যোগ হচ্ছে ১৪ লাখ দরিদ্র, বরাদ্দ কমছে হিজড়া-বেদে জনগোষ্ঠীর!

সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী



আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে নতুন করে ১৩ লাখ ৭৫ হাজার দরিদ্র মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে এ খাতের ৭৩ লাখ মানুষকে ভাতা দেয় সরকার। ফলে আগামী বাজেটে সুবিধাভোগীর মোট সংখ্যা হবে ৮৭ লাখ ৭৫ হাজার। তবে নতুনদের অন্তর্ভুক্ত করলেও বরাদ্দ কমছে হিজড়া ও বেদে জনগোষ্ঠীর।

বাজেট প্রণয়নের আওতায় সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৭তম সভার কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, এ কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলো স্বতন্ত্র তৃতীয় পক্ষ দিয়ে এ কর্মসূচির ইনপ্যাক এনালাইসিস করাতে পারবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে মোট বাজেটের ১৩ শতাংশ অর্থ এই সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। চলতি অর্থবছরে এ খাতে মোট বরাদ্দ দেওয়া হয় ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির আড়াই শতাংশ। আগামী বাজেটে এ খাতে মোট ৭২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে।

গত ২৯ এপ্রিল বাজেট সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সামাজিক নিরাপত্তা বলয় বাড়াতে দুটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেন। যার মধ্যে-কর্মক্ষম ভাতাভোগীদের স্বাবলম্বী করা ও সব ভাতাভোগীকে দ্রুত অনলাইন ডাটাবেজের বা ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসা। ওইদিন অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, যারা এখন ভাতা পাচ্ছেন, তাদের অনেকেই কর্মক্ষম। তাদের ভাতার আওতা থেকে বের করে আনতে আয় বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া বর্তমানে বয়স্ক, বিধবাসহ কিছু ভাতার টাকা পরিশোধ পদ্ধতি ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। অন্যান্য ভাতাও যাতে উপকারভোগীর অ্যাকাউন্টে জমা হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

বয়স্ক ভাতা: আসন্ন বাজেটে বয়স্ক (৬৫ বছর) ভাতা বাড়ানো হচ্ছে না। তবে ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪৪ লাখ এবং বরাদ্দ ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিমাসে ৫০০ টাকা হারে এ ভাতা দেয়া হয়। এছাড়া বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতাও অপরিবর্তীত থাকছে।

প্রতিবন্ধী ভাতা: বর্তমানে ১০ লাখ অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ৭০০ টাকা হারে ভাতা পান।  আগামী বাজেটে অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের আওতা বাড়িয়ে ১৫ লাখ ৪৫ হাজারে উন্নীত করা হচ্ছে। আর ভাতা বাড়িয়ে করা হবে ৭৫০ টাকা। এছাড়া বর্তমানে ৯০ হাজার অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী পরিবারের ছেলেমেয়ে শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে (প্রাইমারি থেকে উচ্চতর) সর্বনিম্ন মাসিক ৭০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ এক হাজার ২০০ টাকা করে বৃত্তি পায়। আসন্ন বাজেটে  প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ভাতা ৫০ টাকা এবং উচ্চতর স্তরে ১০০ টাকা বাড়ানো হচ্ছে। সব মিলে ১৬ লাখ ৪৫ হাজার  প্রতিবন্ধী ও তাদের পরিবারের শিক্ষিত ছেলেমেয়েকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনা হচ্ছে।

গত মাসে আন্তর্জাতিক অটিজম দিবসের অনুষ্ঠানে সব প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের নিদের্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। জরিপে ১৫ লাখ ৫০ হাজার প্রতিবন্ধী চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে ১০ লাখকে ইতোমধ্যে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনা হয়েছে, বাকিদের পর্যায়ক্রমে আনা হবে।

মুক্তিযোদ্ধা ভাতা: আসন্ন বাজেটে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সুখবর থাকছে। বর্তমানে প্রায় দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধা নগদ ১০ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা পান। যা বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করা হচ্ছে। ‍এর বাইরে দুই ঈদের বোনাস, বিজয় দিবস ভাতা ও বৈশাখী ভাতা অপরিবর্তীত থাকছে।

বিধবা ভাতা:  বর্তমানে ১৪ লাখ বিধবা মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা পান। নতুন বাজেটে তাদের সংখ্যা বাড়িয়ে ১৭ লাখে উন্নীত করা হচ্ছে। তবে ভাতার পরিমাণ অপরিবর্তীত থাকছে।

মাতৃত্বকালীন ভাতা: বর্তমানে সাত লাখ নারী মাসে ৮০০ টাকা করে মাতৃত্বকালীন ভাতা পান। আসন্ন বাজেটে আরও ৭০ হাজার দরিদ্র মাকে এর আওতায় আনা হচ্ছে। তবে ভাতা বাড়ানো হচ্ছে না।

হিজড়া জনগোষ্টি: হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্ষক্রম আগামী অর্থ বছর বরাদ্দ রাখা হচ্ছে মাত্র ৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। বরাদ্দ কমানোর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কয়েক অর্থ বছর ধরে চলা প্রশিক্ষণ আগামী অর্থ বছর বন্ধ হয়ে যাবে। এ প্রশিক্ষণ দিয়ে কোনো হিজড়া কর্ম ক্ষেত্রে ফিরে আসছে না । অন্যদিকে আগামী বছর বেদে জনগোষ্ঠীর বরাদ্দ ৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা কমে গেছে। কারণ উপকার ভোগীর সংখ্যা ৬১ হাজার ৫০০ জন থেকে কমে ১০ হাজারে দাঁড়িয়েছে।

কার্যপত্র অনুযায়ী, বর্তমানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সবচেয়ে বেশি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নাধীন আছে। এর মধ্যে বয়স্ক, বিধবা, অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী, প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি, ক্যানসার, কিডনিসহ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তথা বেদে সম্প্রদায় ও তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি, হিজড়া জনগোষ্ঠী ও চা-বাগানের শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন অঙ্কের মাসিক ভাতা দেওয়া হয়। এর বাইরে ত্রাণ-দুর্যোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ ২২ মন্ত্রণালয় ও সংস্থা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ১৩০টি কর্মসূচি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

যেমন-পেনশন সুবিধা এক ধরনের সামাজিক কর্মসূচি। এতে বছরে সরকারের ব্যয় হয় ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। আবার কম দামে গরিবদের চাল দেওয়া, ভিজিডি, ভিজিএফ, ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার লক্ষ্যে বাস্তবায়নাধীন ন্যাশনাল সার্ভিসের মতো কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন করা হয়। এরকম ১৩০টি কর্মসূচি আছে, যা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে জনপ্রিয় এবং বড় কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন করছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর।

   

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার। আগামীকাল শুক্রবার (২৯ মার্চ) এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে দেশে আসছে। শুক্রবারের মধ্যে আসার কথা রয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে।

জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।

এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

;