অভিষ্ঠ লক্ষ্যে বরিশাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বরগুনা থেকে
দ্রুত এগিয়ে চলেছে  বরিশাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

দ্রুত এগিয়ে চলেছে বরিশাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাইভেট খাতের বেশ কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি করেছে সরকার। এর মধ্যে শুধুমাত্র বরিশাল ৩০৭ মেগাওয়াট প্রকল্পটির দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময় ২০২২ সালেই উৎপাদনে আসার বিষয়ে দৃঢ় সংকল্পের কথা জানিয়েছে।

বর্তমান সরকারের হাত ধরে বিদ্যুৎ খাতের অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। কিন্তু খুবই হতাশাজনক চিত্র সাশ্রয়ী হিসেবে বিবেচিত কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে। দেশীয় একাধিক খ্যাতনামা কোম্পানিকে কাজ দেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত তাদের পরিকল্পনা হাক-ডাকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে বরিশাল পাওয়ার কোম্পানির বরিশাল ৩০৭ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। কোম্পানিটি ২০১৭ সালের এপ্রিলে চুক্তিবদ্ধ হয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে। অল্প সময়ের মধ্যে ভূমি উন্নয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।

প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্য জমির প্রয়োজন হবে দেড়শ’ একরের মতো। আমরা সেকেন্ড ফেজ মাথায় রেখেই এগিয়ে যাচ্ছি। সেকেন্ড ফেজ অর্থাৎ দ্বিতীয় ইউনিট করতে হলে আড়াইশ’ একরের মতো জমির প্রয়োজন পড়বে। প্রায় দুইশ’ একর জমির মাটি ভরাট শেষ হয়েছে। প্রথম ইউনিটের জন্য যে জমির প্রয়োজন, সেসব জমির উন্নয়ন শেষ।

আর যদি আড়াইশ’ একর ধরি, তাহলে ৭০ শতাংশ জমি ভরাট শেষ হয়েছে। এখন সাইট অফিস নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আগামী মাসে ডরমেটরি নির্মাণসহ অন্যান্য সিভিল ওয়ার্ক শুরু হবে। তখন এক সঙ্গে মূল পাওয়ার প্লান্টের কাজও শুরু হবে বলে জানান আনোয়ার হোসেন।

বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পের জটিল বিষয় হচ্ছে ভূমি অধিগ্রহণ ও বাসিন্দাদের পুনর্বাসন। অন্যান্য জায়গায় পুনর্বাসন নিয়ে জটিলতা থাকলেও এখানে তেমনটি ছিল না। মাত্র ১৩৯টি বাস্তুহারা পরিবার ওই প্রকল্প এলাকায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। তাদের কোম্পানির পক্ষ থেকে জমি কিনে দেওয়া হয়েছে। নিজেদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে বলে জানিয়েছে পুনর্বাসিত আইয়ুব আলীসহ অন্যরা।

htt
দ্রুত এগিয়ে চলেছে  বরিশাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

প্রকল্প এলাকা থেকে আধা কিলোমিটার দূরে শোভা পাচ্ছে এক সময়ের এসব ভাসমান লোকজনের বাসস্থান।

সরেজমিন পরিদর্শন কালে দেখা গেছে, চারদিকে শত শত মেশিনারিজ বিরামহীনভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি খনন করা ও সমান করার কাজ চলছে। ক্রেন দিয়ে ভারি মালামাল ও যন্ত্রপাতি ওঠানো-নামানো চলছে। বুলডোজার ও ভেকু দিয়ে চলছে বিরামহীনভাবে মাটি লেভেলিংয়ের কাজ। রোলার দিয়ে হচ্ছে মাটি শক্ত করার কাজ। ভরাটকৃত জমিতে কমপ্যাক্ট নিশ্চিত করার জন্য হ্যামার ব্যবহার করে পানি শুষে নেওয়া হচ্ছে। পশ্চিম দিকে পায়রা নদীর কোল ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে অস্থায়ী শেড।

প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে চীনের ‘পাওয়ার চায়না রিসোর্স লিমিটেড’ ও বাংলাদেশের আইসোটেক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘আইসোটেক ইলেকট্রিফিকেশন কোম্পানি লিমিটেড’। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা (৫৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। চুক্তি অনুযায়ী সরকারকে ২৫ বছর বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে ভেন্ডর। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দর ধরা হয়েছে ৬.৭৭ টাকা (প্রতিটন কয়লার দর ১২০ ডলার হিসেবে)। কয়লার দাম কম থাকলে সেই অনুযায়ী বিদ্যুতের দাম কমে যাবে।

আইসোটেক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মঈনুল আলম বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ কাজ ৪৫ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ এবং স্থানীয় প্রশাসন প্রত্যক্ষভাবে সহোযেগিতা করে যাচ্ছে। এজন্য আমরা সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

‘প্রকল্পটি সফলভাবে সমাপ্ত করতে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের জনগণও সাহায্য করছে। সবার সাহায্য সহযোগিতা না পেলে এত বড় কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করা সম্ভব নয়। আমরা আশা করছি, সবার সহযোগিতা নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবো,’ যোগ করেন মঈনুল আলম।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পার্টনার পাওয়ার চায়না রিসোর্স লিমিটেড কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান। তারা ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, কম্বোডিয়াসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে দক্ষতার সঙ্গে কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। তারা বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।’

htt
দ্রুত এগিয়ে চলেছে  বরিশাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে সাড়ে তিন হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া এ অঞ্চলের জনগণের কথা চিন্তা করে প্রকল্প এলাকায় স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। যেহেতু ওই এলাকার মিঠা পানির সঙ্কট রয়েছে, তাই গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে স্থানীয়দের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছে বরিশাল পাওয়ার কোম্পানি।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প। এটি হলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক চিত্র বদলে যাবে বলে আমি মনে করি। আমরা চাই, বিদ্যুৎ কেন্দ্র হোক। প্রকল্পের লোকজন আমাদের নিশ্চিত করেছেন, পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ তারা করবেন না। আমরাও এ বিষয়ে সজাগ রয়েছি।’

 

   

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সরকার বদ্ধপরিকর: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার মধ্যে দ্রুত সমন্বয় করা হচ্ছে।

শনিবার (২১ এপ্রিল) আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিঃ (এপিএসসিএল) পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ ত্রুটি মেরামত করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রাথমিক জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই গরমের বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট হতে পারে। এই চাহিদা পূরণ করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। একটিই চ্যালেঞ্জ – অর্থ।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, কোথাও কোন সঞ্চালন বা বিতরণে সমস্যা থাকলে তা যেন দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিঃ একটি সরকারি মালিকানাধীন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি এবং বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পাওয়ার হাব। এর ৬টি ইউনিটের বর্তমান মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ৫৮৪ মেগাওয়াট। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিঃ এর লক্ষ্য আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমান এক হাজার ৫৮৪ মেগাওয়াট থেকে তিন হাজার ৩০২ মেগাওয়াট-এ উন্নীত করা।

এপিএসসিএল সমাজের দায়বদ্ধতার স্থান থেকে নীতি গ্রহণ করে আসছে। ২০২২-২৩ সময়কালে, এপিএসসিএল সিএসআর কার্যক্রমের জন্য ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও এপিএসসিএল গতবছর বেশ কিছু বড় ভূমিকা পালন করেছে।

এসময় অন্যদের মধ্যে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ একরাম উল্লা ও এটুআই (এসপায়ার টু ইনোভেট )কার্যক্রমের পলিসি এডভাইজার আনীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

;

সোনার দাম ২ হাজার টাকা বাড়িয়ে কমল ৮৪০ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই দফা বাড়ানোর পর এবার কমানো হলো সোনার দাম। স্থানীয় বাজারে ভরিতে ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা। এর আগে গত ১৮ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস।

শ‌নিবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আজ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৩৮৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৮ হাজার ৮০১ টাকা। যা সেদিন সন্ধ্যা ৭ টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।

চলতি বছর এ নিয়ে ৯ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

;

ময়মনসিংহে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা সম্মেলন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ময়মনসিংহে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা সম্মেলন

ময়মনসিংহে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা সম্মেলন

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ময়মনসিংহ জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জিএম মোহা. গিয়াস উদ্দিন কাদের।

ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ময়মনসিংহ জোনপ্রধান মো. আনিসুল হক। সম্মেলনে ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. খলিলুর রহমান ও মো. আব্দুল জলিল এবং সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এম শহীদুল এমরানসহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, ময়মনসিংহ জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধানগণ, উপ-শাখা ইনচার্জগণ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল



রাকিব হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল

বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ভোজ্য তেলের ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক-ভ্যাট) প্রত্যাহারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু, ভোজ্য তেলের ‘যৌক্তিক মূল্য’ নির্ধারণ করে দিলেও তা মানার ব্যাপারে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

বাজারে গিয়ে দেখা যায় নির্ধারিত মূল্যের চাইতেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। দাম নেবার কারণ জানতে চাইলে দায়সারা উত্তর ব্যবসায়ীদের।

গতকাল (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দাম ঘোষণা করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

সংবাদ সম্মেলনে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ১৮ টাকা বাড়িয়ে ৮১৮ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেলের দাম দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা করা হয়েছে।

তবে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাজারে গিয়ে দেখা গেছে সরকার নির্ধারিত মূল্যের কোন তোয়াক্কা করছে না দোকানীরা।

প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হলেও লিটার প্রতি ১৮ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা করে। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৭ টাকা বিক্রি করার কথা থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা দরে। তবে ভিন্ন চিত্র ছিলো ৫ লিটারের বোতলজাত তেলের দামে। সরকারের বেঁধে দামের চাইতেও প্রতি ৫ লিটারের বোতলে ১৮ টাকা কম মূল্যে ৮০০ টাকা করে বিক্রি করছেন দোকানীরা।

সরকারের বেঁধে দামে তেল বিক্রি না করার কারণ জানতে চাইলে রাব্বি ফ্লাওয়ার মিলের স্বত্বাধিকারী লুতফুর রহমান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, গতকাল কি ঘোষণা হইছে তেলের দাম কমছে নাকি বাড়ছে তা ভালো করে জানিনা। তবে শুনছি ফেছবুকে টিভিতে। আমাদের দোকানে যে তেল আছে তা আগের দামে কেনা। তাই আগের দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। নতুন তেল আসলে আবার নতুম দামে বিক্রি করবো। খোলা তেলে ১৮ টাকা বেশি নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ যে বললাম আগের দামে কেনা। আমি তো নতুন দামের চাইতে ৫ লিটারের বোতলে ১৮ টাকা কম নিচ্ছি এখনো। কিন্তু খোলা তেল আমার আগের দামে কেনা তাই ১৮ টাকা বেশি নিতেছি। দাম বৃদ্ধির ঘোষণা এলে যতো দ্রুত দাম বাড়ে কিন্তু দাম কমানোর ঘোষণা এলে কমেনা কেনো জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বড় বড় পাইকারদের কাজ। তারা সিন্ডিকেট করে। কিন্তু আমাদের এমন সুযোগ নেই। আমরা এক দুই টন মাল সর্বোচ্চ কিনি। কখনো আরও কম কিনি।

আরেক ব্যবসায়ী খাদিজা এন্টারপ্রাইজের মালিক মোসলে উদ্দিন বলেন, ৫ লিটারের তেলের বোতলে যে দাম ৮০০ টাকা দেয়া সেই দামে বিক্রি করছি। এছাড়া এক লিটারের বোতলের দাম ১৬৩ টাকা দামে বিক্রি করছি। তবে খোলা তেল আমার কেনা ছিলো ১৬৩ টাকা করে তাই আমি ১৬৪/১৬৫ টাকা দামে বিক্রি করতেছি। খোলা তেল ১৪৭ টাকা সরকার নির্ধারণ করছে কিন্তু সেটা কি ভালো নাকি মন্দা জানিনা। যে দামে কিনি তার থেকে এক দুই টাকা বেশি দামে বিক্রি করি।

একটি সিকিউরিটি গার্ডের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আলতাফ হোসেন। তার কাছে খোলা তেল কতো নিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৬৫ টাকা নিলো। খোলা তেলে দুই টাকা কমে ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে জানেন কিনা প্রশ্ন করলে আলতাফ হোসেন বলেন, ভাই এসব খবর দিয়ে তো কোন কাজ হয়না। দাম বাড়লে তখন ব্যবসায়ীরা পারলে আরও বাড়িয়ে নেয়। অথচ কমলে তিন মাসেও দাম কমার খবর থাকেনা। আপনার সামনেই তো বেশি নিলো কিছু করার আছে বলেন? আমি এক লিটার তেল নিতে আসছি। এখন এদের সাথে কি দাম নিয়ে ঝগড়া করবো।

আরেকজন ক্রেতা সজিব মোল্লা বলেন, বাজারে সব কিছুর দাম বাড়ে তবে খোলা তেলের দাম কমাইছে শুনে ভালো লাগলো। তবে দুই টাকা দাম কমায় তার প্রভাব আসলে বাজারে পরেনি। তাছাড়া লোক দেখানো বাজার মনিটরিং করে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণ করা কখনো সম্ভব না। একদিকে ব্যবসায়ীদের উপর ট্যাক্স বসাইবেন। জরিমানা করবেন আবার বলবেন দাম কমাইতে তারা কিভাবে দাম কমাবে। জীবনে শুনছেন কোনকিছুর দাম বাড়লে তা আবার কমে সহজে।

;