১১০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিল বিএসআরএম!



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১১০ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের বিরুদ্ধে। দেশের ভেতরে পণ্য বিক্রি করে তা বিদেশের রফতানি দেখিয়ে এই বিপুল পরিমাণ অর্থের কর ফাঁকি দিয়েছে কোম্পানিটি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চট্টগ্রাম কমিশনারেটের অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। কর ফাঁকির এই অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে ইতোমধ্যেই ঋণে জর্জরিত প্রতিষ্ঠানটিকে চিঠি দিয়েছে এনবিআরের চট্টগ্রাম শাখা। কোম্পানিটি চিঠিটি আমলে নিলেও চিঠির নিয়মের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গেছে তারা।

এনবিআর -এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রফতানিকৃত বলিয়া গণ্য’ সংজ্ঞার আওতায় পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে মূল্য সংযোজন কর বিধিমালা আইনের অপব্যবহার করে পণ্য সরবরাহের বিপরীতে গৃহীত বিধি বহির্ভূত প্রত্যর্পণ ও অপরিশোধিত মূসকের হিসেবে সরকারকে ১১০ কোটি ৫৬ লাখ ৪৮ হাজার ৭১৫ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। বিভিন্ন কর মেয়াদে দাখিলকৃত দলিলাদি ও দফতরের সংরক্ষিত রেজিস্ট্রার যাচাইয়ের মাধ্যমে এই ফাঁকির তথ্য খুঁজে পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে ২০১৬ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএসআরএম প্রায় আড়াই হাজার টন পণ্য সরবরাহের বিপরীতে শুল্ককর প্রত্যর্পণ নিয়েছে তিন কোটি ৫৬ লাখ টাকা, আর ভ্যাট পরিহার করেছে ১৪ লাখ টাকা।

২০১৭ সালে দুই ধাপে প্রায় ১০ হাজার টন পণ্য সরবরাহের বিপরীতে শুল্ককর ও ভ্যাট ফাঁকি ১২ কোটি টাকার ওপরে। আর ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে ৮৯ হাজার টন পণ্য সরবরাহের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটি শুল্ককর প্রত্যর্পণ নিয়েছে ৯১ কোটি টাকা। আর ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে তিন কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

সব মিলে প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহ করা পণ্য ‘রফতানি বলে গণ্য’ দেখিয়ে ১০৬ কোটি টাকার শুল্ককর ও চার কোটি টাকার ভ্যাট অপরিশোধিত রাখে।

এদিকে এনবিআর-এর প্রতিবেদনে উঠে আসা কর ফাঁকির বিষয়ে জানতে চাইলে তা অস্বীকার করে বিএসআরএম কর্তৃপক্ষ। কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) তপন সেনগুপ্ত বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বিএসআরএম কখনো কর ফাঁকি দেয় না। আমাদের কোনো কর ফাঁকি নেই। এনবিআর যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ ভুল। আমরা আদালতেই সেটা প্রমাণ করব।’

তিনি আরো বলেন, ২৫ বছর ধরে বিদেশি অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পে পণ্য সরবরাহ করে শুল্ককর প্রত্যর্পণের এ বিষয়টি চলে আসছে। এনবিআর হঠাৎ করে এমন দাবি করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এরই মধ্যে এনবিআর থেকে এ বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সে ব্যাখ্যা বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

বিএসআরএম -এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত জানান চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক। ‘রফতানি বলে গণ্য’ হওয়ার প্রক্রিয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, কোনো পণ্য ‘রফতানি বলে গণ্য’ হতে হলে বেশকিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। প্রথমত, এ সুবিধা পেতে হলে পণ্য সরবরাহের বিপরীতে প্রাপ্য অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে আসতে হবে। আর পণ্য চালান কীভাবে কোন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণে এনবিআরের প্রতিনিধি থাকা বাধ্যতামূলক। এর বাইরেও আরও অনেক প্রক্রিয়া রয়েছে, যা বিদ্যমান মূসক বিধিতে উল্লেখ রয়েছে।

অথচ এসব প্রক্রিয়া ঠিকভাবে অনুসরণ না করে একটি প্রতিষ্ঠানে পণ্য সরবরাহ করে কেউ যদি শুল্ককর প্রত্যর্পণ দাবি করে, তাহলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। তাছাড়া এ ধরনের কাজ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রাথমিক যে ঠিকাদার তারা একবার প্রত্যর্পণ নিয়েছেন। ওই ঠিকাদার কাউকে সাব-কন্ট্রাকটর নিয়োগ দিলে তারাও যদি প্রত্যর্পণ দাবি করেন, তাহলে বিষয়টি দু’বার এসে যায়।

বিএসআরএম-এর কর ফাঁকির বিষয়ে তিনি বলেন, বিএসআরএম কর্তৃপক্ষ দেশের অভ্যন্তরে পণ্য বিক্রি করে বিদেশে রফতানি করেছে বলে দেখিয়েছে। আমরা প্রতিষ্ঠানটির সমস্যাগুলো তুলে ধরেছি। অথচ তারা এগুলো মানতে চাইছে না বরং উচ্চ আদালতে তিনটি আর কাস্টমস; এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালে আরও দু’টি মামলা করেছে। আমরা সঠিক প্রমাণাদি আদালতে প্রেরণ করেছি। আশা করছি আদালত বিষয়টি বুঝবে।

এনবিআরের তথ্য মতে, বৈদেশিক অর্থায়িত বিভিন্ন প্রকল্পে এভাবে পণ্য সরবরাহ করে ‘রফতানি বলে গণ্য’ সংজ্ঞার আওতায় সুবিধা নিয়ে আসছে বেশকিছু কোম্পানি। পরে এ বিষয়ে এনবিআরের ভ্যাট নীতি শাখা থেকে একটি ব্যাখ্যা সব কমিশনারেটে পাঠানো হয়।

কিন্তু সে ব্যাখ্যা উপেক্ষা করে ‘রফতানি বলে গণ্য’ সুবিধার আওতায় শুল্ককর অব্যাহতি চাচ্ছে বিএসআরএম। বিষয়টিকে আইন ও বিধিবহির্ভূত বলে আখ্যা দিয়েছে এনবিআর।

এনবিআরের মূসক আইন ও বিধি শাখা থেকে দেওয়া ব্যাখ্যায় বলা হয়, বিদেশি মুদ্রায় বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত কোনো প্রকল্প সম্পাদনে আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ নিয়ে যদি দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ পায়, তাহলে তারা এ প্রত্যর্পণ পাবে।

কিন্তু দরপত্রে কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়ে যদি পণ্য সরবরাহের জন্য দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠানকে তারা সরবরাহকারী নিয়োগ দেয়, তাহলে তারা এ ধরনের প্রত্যর্পণ পাবে না। যেসব ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক দরপত্রে কাজ পেয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান। আর ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে পণ্য সরবরাহ করছে বিএসআরএম। কাজেই তারা প্রত্যর্পণ পাওয়ার যোগ্য হবে না।

বর্তমানে বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর আইনের ২(শ) ধারা ও মূল্য সংযোজন কর বিধিমালার ৩১ক বিধি মোতাবেক কোনো প্রতিষ্ঠান উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রফতানি করলে শুল্ক, কর ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট অব্যাহতি পায়।

তবে দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি অর্থায়নে (ফরেন কারেন্সি) বাস্তবায়িত নির্দিষ্ট কোনো প্রকল্পে পণ্য বিক্রি করলেও সেক্ষেত্রে রফতানির সুবিধা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে মূল দরপত্রে সরবরাহকারী হিসেবে নাম উল্লেখ থাকতে হবে। বিএসআরএম স্টিল এ ধরনের প্রকল্পে দেশের অভ্যন্তরে পণ্য সরবরাহ করে শুল্ককর প্রত্যর্পণ নিয়েছে, কিন্তু প্রকল্পের মূল ঠিকাদার হিসেবে তারা তলিকাভুক্ত নয়।

প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ পেয়েছে বিদেশি প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানের কাছে পণ্য সরবরাহ করছে বিএসআরএম। সুতরাং তারা এ ধরনের প্রত্যর্পণ পাওয়ার যোগ্য হবে না বলে মনে করে এনবিআর। তাই প্রত্যর্পণ নেওয়া অর্থ বিএসআরএমকে ফেরত দিতে বলেছে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি।

   

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;

টেন মিনিট স্কুলের কোর্স ফি বিকাশ পেমেন্টে ১৫% ক্যাশব্যাক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিকাশ অ্যাপ থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল-এর নির্দিষ্ট কোর্স নিয়ে পেমেন্ট করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ১৫% ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক, সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত। বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিনের সাজেশনস সেকশন থেকে ‘টেন মিনিট স্কুল’ সিলেক্ট করে ৩০ জুন পর্যন্ত অফারটি গ্রহণ করা যাবে।

টেন মিনিট স্কুল-এর লাইভ কোর্স, স্পোকেন ইংলিশ, আইইএলটিএস, ফ্রিল্যান্সিং এর মতো ভাষা শিক্ষা ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স, ইংলিশ মাস্টার্স, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ডিজিটাল মার্কেটিং-এর মতো বান্ডেল কোর্স, বুয়েট, মেডিকেল, ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার কোর্স, এসএসসি-এইচএসসি প্রস্তুতি ও অনলাইন ব্যাচের জন্য একাডেমিক কোর্স, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সহ নানা ধরনের কোর্স নিতে পারবেন বিকাশ গ্রাহকরা এই অফারের আওতায়।

অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/10minuteschool-bkash-offer লিংকটিতে।

 

;

এক দিনের ব্যবধানে ফের কমল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে সোনার দামের উত্থান-পতন অব্যাহত আছে। একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমছে। তাতে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকায়। নতুন এ দাম আজ বুধবার থেকেই কার্যকর হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম কমেছে, সে জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, ২৩ এপ্রিল সোনার দাম ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আর গত ২১ এপ্রিল ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।

তার আগে, ২০ এপ্রিল সোনার দাম ক‌মিয়ে‌ছিল বাজুস। যা ওইদিনই কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা, ২১ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ১৯৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা।

;