পুঁজিবাজারে অস্বস্তি কমছে না, কমছে পুঁজি



মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
প্রতীকী

প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

সাত ইস্যুতে চলমান দরপতনে অস্বস্তিতে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা। চলমান দরপতনে বাজার মূলধন কমেছে ৪৫ হাজার ২৭০ কোটি টাকা। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে থেমে থেমে চলা দরপতনে বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সাড়ে ২৫ লাখ বিনিয়োগাকারীর পুঁজি অর্থাৎ বাজার মূলধন কমেছে ৪৫ হাজার ২৭০ কোটি ২৮ লাখ ৩১ হাজার টাকা। ফলে বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি দুই স্টক এক্সচেঞ্জ, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও সরকার অস্বস্তিতে রয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৯ সালে প্রথম ৬ মাসে মুদ্রানীতির ঘোষণাকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে পুঁজিবাজারে দরপতন শুরু হয়। এরপর অনৈতিক প্রাইভেট প্লেসমেন্ট, উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির হিড়িক এবং মন্দ কোম্পানির আইপিওর অনুমোদনকে কেন্দ্র করে জুন মাস পর্যন্ত পুঁজিবাজারে দরপতন চলে।

তারপর নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় পুঁজিবাজারে টালমাটাল অবস্থা, আর তার সঙ্গে যোগ হয় অর্থমন্ত্রীর বিরূপ মন্তব্য। এরপর বাজেট ঘোষণা হয়, কিন্তু প্রত্যাশা অনুসারে বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য প্রণোদনা না থাকায় চলতেই থাকে দরপতন। এগুলো কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন করে বকেয়া পাওনা আদায়ে শুরু হয় বিটিআরসি ও গ্রামীণফোনের প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব। তাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বাজারে। এছাড়াও সবশেষ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্বৃত্ত ও রিজার্ভের অর্থ সরকার নিয়ে নেবে এমন ঘোষণায় দরপতন চলছে পুঁজিবাজারে।

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে সুশানের অভাব। এ কারণে ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসছে না। বহুজাতিক কোম্পানির পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোও তালিকাভুক্ত হচ্ছে না।

অন্যদিকে একটি গ্রুপের কাছে বাজার জিম্মি হয়ে গেছে। ফলে প্রকৃত বিনিয়োগকারী বিশেষ করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ স্থবির রয়েছে। তাতে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন তিনি।

সুশাসনের অভাবকেই বড় কারণ বলে মনে করেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়ালি-উল মারুফ মতিন। তিনি বলেন, সমস্যা হচ্ছে- পুঁজিবাজার বিষয়ে ভালো ধারণা রাখেন এমন দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তির অভাব বাজারে সর্বত্র। ফলে ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত অনেক পদক্ষেপ সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিয়েছে, অনেক আইনের সংস্কার হয়েছে। কিন্তু আশানুরূপ কিছুই হয়নি। এ কারণে বিনিয়োগকারীদের এ বাজারের প্রতি আস্থা নেই।

ইবিএল সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী মুজাহিদুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, শেয়ারের দাম কম, কিনলেই লাভ হবে এমন প্রত্যাশায় গত ৮ বছর পর নতুন করে বিনিয়োগ করেছেন যারা তারাও লস করছেন। বাজারে যে কারা মুনাফা করছে বলাটা মুশকিল। কেউ বলতে পারছেন না বাজার পরিস্তিতি কোন দিকে যাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদ বলেন, এখানে ব্রোকারেজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ সব স্টেকহোল্ডার কেবল নিজেদের স্বার্থটাই দেখে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে সুশাসন নেই। মালিকরা বেনামে শেয়ার ব্যবসা করছে। তারা ভুয়া আর্থিক প্রতিবেদন দিচ্ছে। অনেক অডিট প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায় কেউ আর্থিক প্রতিবেদনে বিশ্বাস রাখতে পারছে না। অথচ বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এটাই প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ অবস্থায় কোনো বুদ্ধিমান ব্যবসায়ী বিনিয়োগ করবে না।

আবু আহমেদ বলেন, আসলে স্টক এক্সচেঞ্জ বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি দায়িত্বশীল হতো তাহলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না।

ডিএসইর ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএর সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, যে বাজারে ভালো পণ্য বিক্রি হয় না সেই বাজারে ভালো ক্রেতাও থাকে না। পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রেও একই কথা।

তিনি বলেন, বছরের পর বছর ভালো কোম্পানির শেয়ার আনার কথা বলছি, কিন্তু ভালো কোম্পানি আসছে না। যেগুলো আসছে সেগুলো কি মূলধন সংগ্রহের জন্য আসছে নাকি সেগুলোর মালিকরা শেয়ার ব্যবসা করে টাকা হাতিয়ে নিতে আসছেন-এ প্রশ্ন এখন অনেকের।

   

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;

টেন মিনিট স্কুলের কোর্স ফি বিকাশ পেমেন্টে ১৫% ক্যাশব্যাক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিকাশ অ্যাপ থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল-এর নির্দিষ্ট কোর্স নিয়ে পেমেন্ট করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ১৫% ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক, সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত। বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিনের সাজেশনস সেকশন থেকে ‘টেন মিনিট স্কুল’ সিলেক্ট করে ৩০ জুন পর্যন্ত অফারটি গ্রহণ করা যাবে।

টেন মিনিট স্কুল-এর লাইভ কোর্স, স্পোকেন ইংলিশ, আইইএলটিএস, ফ্রিল্যান্সিং এর মতো ভাষা শিক্ষা ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স, ইংলিশ মাস্টার্স, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ডিজিটাল মার্কেটিং-এর মতো বান্ডেল কোর্স, বুয়েট, মেডিকেল, ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার কোর্স, এসএসসি-এইচএসসি প্রস্তুতি ও অনলাইন ব্যাচের জন্য একাডেমিক কোর্স, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সহ নানা ধরনের কোর্স নিতে পারবেন বিকাশ গ্রাহকরা এই অফারের আওতায়।

অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/10minuteschool-bkash-offer লিংকটিতে।

 

;

এক দিনের ব্যবধানে ফের কমল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে সোনার দামের উত্থান-পতন অব্যাহত আছে। একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমছে। তাতে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকায়। নতুন এ দাম আজ বুধবার থেকেই কার্যকর হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম কমেছে, সে জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, ২৩ এপ্রিল সোনার দাম ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আর গত ২১ এপ্রিল ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।

তার আগে, ২০ এপ্রিল সোনার দাম ক‌মিয়ে‌ছিল বাজুস। যা ওইদিনই কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা, ২১ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ১৯৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা।

;