দেনমোহর



মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

মুসলিম বিয়ের অন্যতম উপাদান দেনমোহর। এটি স্ত্রীর আর্থিক নিরাপত্তা বিধান করে। স্ত্রীর প্রতি স্বামীর সম্মনসূচক একটি দায় বা দেনাও এটি। বিয়ের সময়ই দেনমোহর নির্ধারিত হওয়ার উচিৎ। কিন্তু তা না হলে বিয়ের পরও তা নির্ধারণ করা যায়।

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে- ‘আর তোমরা নারীদের তাদের মোহর স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে প্রদান করবে। (সুরা আন-নিসা, আয়াত-৪)।

দেনমোহর নিয়ে অনেকেরেই সঠিক ধারণা নেই। বার্তা২৪.কমের পাঠকদের জন্য দেনমোহরের কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো-

· বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিয়ে অবশ্যই রেজিস্ট্রি হতে হবে। কাবিননামায় দেনমোহরের পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে। মৌলভী দিয়ে বিয়ে পড়ালে ইসলামী শরিয়ত মতে বিয়ে শুদ্ধ হবে। পরবর্তীতে তা রেজিস্ট্রি করে নেওয়া ভালো। নতুবা পরবর্তীতে আইনগত জটিলতার সৃষ্টি হয়।

· দেনমোহর নির্ধারণে পাত্রের আর্থিক সামর্থকে প্রধান্য দিতে হবে। পাত্রের সামর্থের কথা চিন্তা না করে অধিক পরিমাণে দেনমোহর নির্ধারণে অপ্রীতিকর নানা ঘটনা ঘটে। তবে দেনমোহরের নির্ধারণে স্ত্রীর অর্থনৈতিক নিরাপত্তার কথাও মাথায় রাখতে হবে। স্ত্রীর পারিবারিক অবস্থা, বংশ মর্যাদা, স্ত্রীর ব্যক্তিগত যোগ্যতা, স্ত্রীর ফুফু, খালা ও বোনের মোহরের বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে।

· স্বামীর সামর্থ থাকলে যেকোনো পরিমাণ দেনমোহর নির্ধারণ করা যায়। এর সর্বোচ্চ কোনো সীমা নেই। তবে নূন্যতম পরিমাণ হচ্ছে হানাফি মাজহাবের মতে ১০ দিরহাম বা এর সমপরিমাণ অর্থ। দেনমোহর নির্ধারণের পর স্বামী ইচ্ছা করলে বাড়াতে পারেন। কিন্তু কমানো যাবে না।

· দেনমোহর বিয়ের শুরুতেই দেওয়া ভালো। পরে দিলেও ক্ষতি নেই। এটি স্বামীর সম্পত্তিতে স্ত্রীর দুই আনা প্রাপ্যের অতিরিক্ত।

· স্বামী বা স্ত্রী যে-ই তালাক দিক না কেন, স্ত্রী দেনমোহরের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় না। স্বামীর মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে তা আদায়যোগ্য। স্ত্রী স্বেচ্ছায় মাফ করা ছাড়া এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় নেই। বাসর রাতে মাফ চেয়ে নেওয়া কিংবা স্বামীর মৃত্যুর পর স্বামীর লাশ সামনে রেখে মোহর মাফ করে নেওয়া স্বেচ্ছা প্রণোদিত নয়। বিধায় পরবর্তীতে স্ত্রী তা দাবি করতে পারে।

· দেনমোহর দুই ধরনের। একটি তাৎক্ষণিক আদায়যোগ্য দেনমোহর, অপরটি বিলম্বিত দেনমোহর। তাৎক্ষণিক দেনমোহর স্ত্রী চাওয়া মাত্র পরিশোধ করতে হয়। বিলম্বিত দেনমোহর বিয়ের পর যেকোনো সময় পরিশোধযোগ্য। স্বামীর কাছে স্ত্রী তাৎক্ষণিক দেনমোহর চাওয়ার পর তা না পাওয়া পর্যন্ত স্ত্রী দাম্পত্য মিলনে অস্বীকার করতে পারেন।

· বিয়ে বলবৎ থাকাকালীন স্ত্রী স্বামীর কাছে দেনমোহর দাবি করতে পারেন। তালাক বা স্বামীর মৃত্যুর সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

· বিয়ের সময় স্ত্রীকে দেওয়া শাড়ি, কসমেটিকস বা অন্যান্য জিনিসপত্র দেনমোহরের অংশ নয়। তবে যদি স্বর্ণের গয়না দেওয়া হয়, তবে তা দেনমোহরের অংশ হিসাবে কাবিননামায় উসুল হিসাবে দেনমোহর থেকে কর্তন করা যাবে।

· বিয়ের পর দাম্পত্য মিলনের আগেই তালাক হলে কিংবা স্বামীর মৃত্যু হলে স্ত্রীকে দেনমোহরের অর্ধেক পরিশোধ করতে হয়।

· বিয়ের পর স্বামী স্ত্রীকে উপহার হিসাবে বাড়ি-গাড়ি প্রভৃতি উপহার দিতে পারেন। এগুলো দেনমোহর নয়। দেনমোহর হতে হলে স্পষ্টভাবে দেনমোহরের কথা উল্লেখ করে দিতে হবে।

· দেনমোহর আদায়ে স্ত্রী আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। স্থানীয় সহকারি জজ আদালত যা পারিবারিক আদালত নামে পরিচিত ওই আদালতে এ মামলা করতে হয়।

· দেনমোহর আদায়ে তালাকের পর অথবা স্বামীর মৃত্যুর তিন বছরের মধ্যে মামলা করতে হয়। স্ত্রী আগে মারা গেলেও দেনমোহর মাফ হয় না। স্ত্রীর উত্তরাধিকারীরা দেনমোহরের হকদার। তারাও মামলা করতে পারেন। তিন বছরের মধ্যে এ মামলা না করলে দাবি তামাদি হয়ে যায়।

   

দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে মেজর মান্নান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।

তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম। দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৭ মার্চ এ মামলায় মেজর মান্নানের স্ত্রী বিআইএফসির চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মান্নান ও মেয়ে পরিচালনা পরিষদের পরিচালক তাজরিনা মান্নান আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

তবে ওইদিন বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক ও ম্যাক্সনেট অনলাইনের প্রোপাইটর উম্মে কুলসুম, মান্নানের ভাই রইস উদ্দিন আহমেদ, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক এ.এন এম জাহাঙ্গীর আলম, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের সাবেক পরিচালক আরশাদ উল্লাহ, বিআইএফসির সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনসুর রহমান ও বিআইএফসির সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব বিজনেস, সৈয়দ ফকরে ফয়সালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ এ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে, একে অন্যের সহায়তায়, প্রতারণামূলকভাবে লাভবান হওয়ার মানসে মো. রইস উদ্দিনের নামে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সনেট অনলাইনের নামে ৪টি পৃথক ঋণ চুক্তি করেন। পরে এর মাধ্যমে ২৭ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করে ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বিতরণ করে। উক্ত ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে প্রদত্ত ঋণের আসল ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৮২ টাকা আত্মসাৎ করেন। ঋণের বর্তমান সুদ হিসেবে পাওনা ৮ কোটি এক লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৫ টাকা এবং সুদাসলে পাওনা ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭ টাকা।

;

চেক প্রতারণার অভিযোগে ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ৬ষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ হুমায়ুন কবিরের আদালত এ আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের (ইভ্যালি ডটকম) মাধ্যমে দেখতে পেয়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৫ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেল ক্রয়ের অর্ডার করেন বাদী।

বাদীকে মোটরসাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা বাদীকে প্রদান করবেন।

আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় ২৮ জুন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স ও ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষর করে বাদী তোফাজ্জল হেসেন বরাবর একটি চেক ইস্যু করেন।

ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়। পরবর্তীতে বাদি আসামীদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের তাগিদ দেন। তবু তারা টাকা পরিশোধ না করায় বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেন।

;

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার দায়ে স্বামী মো. পারভেজকে (২৫) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন। মো. পারভেজ সাতকানিয়া উপজেলার চুড়ামনি এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভিকটিম রোকেয়া বেগমের সঙ্গে মো. পারভেজের ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রোকেয়ার পরিবার পারভেজকে ৩ লাখ টাকা দিয়েছিল। এরপরও যৌতুকের জন্য রোকেয়াকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি। পরে বিষয়টি রোকেয়া তার পরিবারকে জানালে তার ভাই মহিউদ্দীন এক লাখ টাকা পারভেজকে দেন। তবুও এতে খুশি ছিলেন না পারভেজ, আরও ২ লাখ টাকার জন্য রোকেয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল পারভেজ রোকেয়ার মা ও বোনকে কল দিয়ে নানা অসংলগ্ন কথা বলেন। এরপর তার পরিবার পারভেজের বাড়িতে গেলে খাটের ওপর রোকেয়ার মরদেহ তারা দেখতে পান। এ ঘটনায় রোকেয়ার বড় ভাই মো. মহিউদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দিলে পারভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ বলেন, ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী মো. পারভেজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা মূলে পারভেজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

হত্যা মামলায় বগুড়া মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক, বগুড়া পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম‌কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম মোজা‌ম্মেল হক চৌধুরী তা‌কে কারাগারে পাঠা‌নোর আদেশ দেন।

আমিনুল ইসলাম বগুড়া সদর উপজেলা বিএন‌পি'র সাধারণ সম্পাদক এ‌্যাড‌ভো‌কেট মাহবুব আলম শাহীন হত‌্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। সেই মামলায় বুধবার জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ এবং অভিযোগ গঠন শুনানি ছিল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল বাছেদ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০১৯ সা‌লের ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়ার নিশিন্দারা উপশহর বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তরা বিএনপি নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী মাহবুব আলম শাহীনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় ওই বছ‌রের ১৬ এপ্রিল নিহত শাহীনের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী বাদী হয়ে আমিনুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের চলমান বিরোধ নিয়ে শাহীনকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত কালে জড়িতদের স্বীকারোক্তিতে হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে আমিনুল ইসলামের নাম আসে। পরে তাকে প্রধান আসামি করে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত আমিনুল ইসলাম উচ্চ আদালতে থেকে জামিনে ছিলেন।

বুধবার শাহীন হত্যা মামলার শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এসময় আমিনুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা জজ আদালত।

;