নুসরাত হত্যাকাণ্ড

ওসি মোয়াজ্জেম গ্রেফতার না হলে হাইকোর্টে রিট: ব্যারিস্টার সুমন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ব্যারিস্টার সুমন

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ব্যারিস্টার সুমন

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক পরিদর্শক (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে গ্রেফতার বা আইনের আওতায় না আনা হলে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন।

মঙ্গলবার (১১ জুন) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার সুমন এ কথা বলেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলার বাদী ব্যারিস্টার সুমন বলেন, 'ওসি মোয়াজ্জেমের খুঁটির জোর কোথায়? মন্ত্রী মহোদয় বলার পরেও তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। আগামী তিনদিনের মধ্যে তাকে পুলিশ প্রশাসন গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয় বা তিনি আত্মসমর্পণ না করেন তাহলে আগামী ১৬ জুন হাইকোর্টে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ বলে ঘোষণা করা হবে না তা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হবে।’

তিনি বলেন, 'এর আগে গত ২৭ মে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। নুসরাতের পরিবারসহ সারাদেশের মানুষ অপেক্ষা করছে কখন পলাতক মোয়াজ্জেম হোসেন গ্রেফতার হবেন বা আইনের আওতায় আসবেন। আমরা ভেবেছিলাম, আজকে তিনি হাইকোর্টে আগাম জামিন নিতে আসবেন। কিন্তু তার মামলাটি হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ওঠেনি। মনে হচ্ছে এর মাধ্যমে তিনি সময়ক্ষেপণ করে আমাদের সঙ্গে এবং জাতির সঙ্গে ইঁদুর বিড়াল খেলছেন।’

আরও পড়ুন: ওসি মোয়াজ্জেম কি দেশ ছেড়েছেন?

তিনি আরও বলেন, ‘এ সপ্তাহে হাইকোর্টের আর মাত্র দুইদিন অবকাশকালীন বেঞ্চ বসবে। আগামী ১৬ জুন রোববার থেকে হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চ বসবে। তাই এ সময়ের মধ্যে মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার না করা হলে আমি বাদী হয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ বলে ঘোষণা করা হবেনা তা নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করব।'

শঙ্কা প্রকাশ করে মামলার এই বাদী আরও বলেন, ‘ওসি মোয়াজ্জেম পুরোপুরি না, সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছেন। আর কতটা সময় নিলে মনে হবে পুলিশ প্রশাসন তাকে গ্রেফতারে ব্যর্থ হয়নি? আমি জানি, পুলিশ প্রশাসন চাইলে এমন কোনো কাজ নেই যে তারা করতে পারেননা। ভুরিভুরি উদাহরণ আছে যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও তারা আসামি ধরেছেন। নুসরাত হত্যাকাণ্ডের মামলায় ১৬ জন আসামিকে তারা বিভিন্ন জায়গা দিয়ে ধরে এনেছেন। পিবিআই একমাস তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং এই প্রতিবেদন পুলিশের হাতে ছিল। ওই প্রতিবেদনে তিনি (মোয়াজ্জেম) দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তবে এ পর্যায়েও কেন তারা (পুলিশ) তাকে (মোয়াজ্জেম) চোখে চোখে রাখতে পারলেন না? ওসি মোয়াজ্জেমকে ধরতে যত দেরি হচ্ছে ততোই মানুষের মধ্যে বিশ্বাস প্রবল হচ্ছে যে, তারা (পুলিশ) ওসি মোয়াজ্জেমকে ধরতে চাচ্ছেন কিনা?

আরও পড়ুন: ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতারে মাঝরাতে অভিযানে পুলিশ

উল্লেখ্য, ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে অশালীন প্রশ্ন করে নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। পরে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও দেন। ভিডিও করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গত ১৫ এপ্রিল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

   

গয়েশ্বর-কায়সার কামালের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার নাশকতার ছয় মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন তার এ জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলাগুলোর মধ্যে পল্‌টন থানার চার ও রমনা থানার দুই মামলা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, গয়েশ্বরের হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার আদালতে এসে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় এ ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়।

গত ২২ জানুয়ারি বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ২৫ মার্চ পর্যন্ত আগাম জামিন দেন।

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় জামিন নিতে এদিন একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। শুনানি শেষে আদালত তারও জামিন মঞ্জুর করেন।

;

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে এই তিন বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

এর আগে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এই তিনজনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে একই দিন দুপুরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া এই তিন বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ পড়াবেন। শপথ গ্রহণের পর থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন এই তিনজনের নিয়োগ হওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা আটজনে দাঁড়াল।

;

বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় ভাতিজার যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন বছর আগে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের পশ্চিম রোহিতপুর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীকে হত্যার দায়ে ভাতিজা ঠাণ্ডুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ঠাণ্ডুকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নিহতের মেয়ে জেলিনা আক্তার মৌকে গুরুতর আঘাতের দায়ে তাকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিনহাজুল মনিরার আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রায় ঘোষণার আগে ঠাণ্ডুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঠাণ্ডুর বাবা মারা যাওয়ার পর সে তার সম্পত্তি চাচা মোজাফফর আলীর কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যায়। মাঝে মধ্যে ঠাণ্ডু তার চাচার কাছে এসে খরচের টাকা দাবি করে নিয়ে যেত।

২০২১ সালের ১৫ জুলাই সে তার চাচার কাছে ৫০০ টাকা চাইলে মোজাফফর আলী তাকে ২০০ টাকা দিয়ে বলেন আর নাই। এরপর তিনি বাড়ির সামনে টিউবওয়েলে গোসল করতে যান। এসময় ঠাণ্ডু অতর্কিতভাবে চাচার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয়। তার বড় মেয়ে জেলিনা আক্তার বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও আহত করে। দুই জনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোজাফফর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন মোজাফফর আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগম মামলা দায়ের করেন।

;

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল থানার পৃথক তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জামিন না পাওয়ায় এখনই তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না।

২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

;