বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কী পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
সারা দেশের আদালতে বিচারক, আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া কুমিল্লার আদালতের যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাও জানাতে হবে আদালতকে।
সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে ৩০ জুলাইর মধ্যে এ ব্যাপারে আদালতকে অবহিত করবেন।
বিচারকদের নিরাপত্তা চেয়ে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বুধবার (১৭ জুলাই) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ মৌখিক ভাবে এ নির্দেশ দিয়েছেন। ওইদিন পর্যন্ত এ বিষয়টি মুলতবি ( স্ট্যান্ডওভার) রেখেছেন আদালত।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনালের এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আগেরদিন কুমিল্লার আদালতে হত্যা মামলার এক আসামি অপর আসামিকে ছুরিকাঘাতে খুন করায় ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণ ও বিচারকদের যথাযথ নিরাপত্তার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান।
রিটে বিবাদী করা হয় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের।
রিটের পর আইনজীবী ইশরাত হাসান জানান, সোমবার কুমিল্লায় এজলাস কক্ষে বিচারকের সামনে এক আসামি অপর হত্যা করেছে। একজন আইনজীবী ও সচেতন নাগরিক হিসেবে এ ঘটনায় আমি উদ্বিগ্ন। এ কারণে আমি সমগ্র আদালত অঙ্গন ও বিচারকদের যথাযথ নিরাপত্তা প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছি।
ওইদিন কুমিল্লার তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌসের আদালতে প্রকাশ্যে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম ফারুক হোসেন (২৭)। অভিযুক্ত আবুল হাসানকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই। নিহত ফারুক লাকসাম উপজেলার ঘোষপাড়া গ্রামের অহিদ উল্লাহর ছেলে। পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। আবুল হাসান একই গ্রামের শহিদুল্লার ছেলে।