আগের মতোই প্রটোকল পাবেন ভিআইপিরা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
হাইকোর্ট

হাইকোর্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সংবিধান, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদা ও দেশের আইন মোতাবেক ভিআইপিদের প্রয়োজনীয় প্রটোকল সুবিধা দিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং মহানগর ও শহরাঞ্চলের সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

কোন রকম ব্যর্থতা ছাড়াই অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের পদমর্যাদাক্রম অনুসারে সুবিধা (প্রটোকল) অব্যাহত রাখার এ নির্দেশনা পালন করতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে অবিলম্বে আদেশের অনুলিপি সকল জেলা জজদের কাছে বিতরণ করতে বলেছেন আদালত। এছাড়া আদেশের অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবের কাছেও পাঠাতে বলা হয়েছে।

আদেশে আদালত সাংবাদিকদের সতর্ক করে বলেছেন, রাষ্ট্র ও সমাজের মুখপাত্র হিসেবে আমরা সাংবাদিকদের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীলতা প্রত্যশা করি। এ দায়িত্বশীলতা বিশদ, সত্যের প্রতিফলন এবং এটা সম্পূর্ণ হতে হবে।

একটি রিটের নিষ্পত্তি করে বুধবার (৭ আগস্ট) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একরামুল হক টুটুল।

আইনজীবী একরামুল হক টুটুল বলেন, একজন বিচারপতির প্রটোকল নিয়ে কিছু অনলাইন প্রতিবেদন করেছিল। প্রেতিবেদনগুলো চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হলে আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আদালত বলেছেন, প্রটোকল নিয়ে সংবাদ প্রকাশে গণমাধ্যমকে আরও সতর্ক হতে হবে।

গত বুধবার (৩১ জুলাই) মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ির এক নম্বর ফেরিঘাটে যুগ্ম সচিবের জন্য তিন ঘণ্টা ফেরি দাঁড়িয়ে থাকলে স্কুল ছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিটে হাইকোর্ট বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ ভিআইপি নয়, বাকিরা সবাই রাষ্ট্রের কর্মচারী।’

এরপর হাইকোর্টের একজন বিচারপতি প্রটোকল চাইলে গত ২ আগস্ট ঢাকা ট্রিবিউনে (বাংলা) “‘রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ ভিআইপি নয়’ আদেশের পর ভিআইপি প্রটোকল চাইলেন বিচারপতি”, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের অনলাইনে ‘ডিসির কাছে ভিআইপি প্রটোকল চাইলেন বিচারপতি!’, বাংলাদেশ টুডের অনলাইনে ‘হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পরও ভিআইপি প্রটোকল চাইলেন বিচারপতি’ শিরোনামে প্রতিবেদন যুক্ত করা হয় রিট আবেদনে। এছাড়াও আওয়াজ বিডি.কম ও বরিশাল টাইমস.কম এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

বুধবার (৭ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শাহিনুর রহমান রিট আবেদনটি করেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের প্রটোকল নিয়ে প্রতিবেদন তৈরিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা রিটে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। বিবাদী করেন তথ্য সচিব ও প্রেস কাউন্সিলের সচিবকে।

রিটের যুক্তিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা সাংবিধানিক পদধারী। রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে বিচারপতিরা ৯ নম্বর ক্রমিকে রয়েছেন। হাইকোর্ট সাংবিধানিক পদের প্রটোকলের ওপর কোন রকম নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। প্রটোকল নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন ভিত্তিহীন।

সাংবিধানিক পদধারী যারা তাদের চাকরি অনুসারে প্রটোকল পান, তাদের প্রটোকল না দিতে সরকারের কোন কর্তৃপক্ষকে হাইকোর্ট নির্দেশ দেননি। কোন রকম ভিত্তি ছাড়া এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা মর্যাদাহানিকর।

চাকরির সুবাদে সুপ্রিম কোর্টেও বিচারপতিরা আচরণবিধি অনুসরণ করেন। যদি তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা না দেওয়া হয় তাহলে শপথ অনুযায়ী তাদের কর্তব্য পালন বিঘ্নিত হবে। এ ধরনের মর্যাদাহানিকর প্রতিবেদনের কারণে সুপ্রিম কোর্টের মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে।

রিট আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির প্রটোকল নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি থেকে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট গণমাধ্যমকে বিরত রাখতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন প্রশ্নে রুল জারির আর্জি ছিল।

   

গয়েশ্বর-কায়সার কামালের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার নাশকতার ছয় মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন তার এ জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলাগুলোর মধ্যে পল্‌টন থানার চার ও রমনা থানার দুই মামলা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, গয়েশ্বরের হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার আদালতে এসে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় এ ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়।

গত ২২ জানুয়ারি বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ২৫ মার্চ পর্যন্ত আগাম জামিন দেন।

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় জামিন নিতে এদিন একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। শুনানি শেষে আদালত তারও জামিন মঞ্জুর করেন।

;

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে এই তিন বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

এর আগে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এই তিনজনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে একই দিন দুপুরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া এই তিন বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ পড়াবেন। শপথ গ্রহণের পর থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন এই তিনজনের নিয়োগ হওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা আটজনে দাঁড়াল।

;

বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় ভাতিজার যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন বছর আগে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের পশ্চিম রোহিতপুর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীকে হত্যার দায়ে ভাতিজা ঠাণ্ডুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ঠাণ্ডুকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নিহতের মেয়ে জেলিনা আক্তার মৌকে গুরুতর আঘাতের দায়ে তাকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিনহাজুল মনিরার আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রায় ঘোষণার আগে ঠাণ্ডুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঠাণ্ডুর বাবা মারা যাওয়ার পর সে তার সম্পত্তি চাচা মোজাফফর আলীর কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যায়। মাঝে মধ্যে ঠাণ্ডু তার চাচার কাছে এসে খরচের টাকা দাবি করে নিয়ে যেত।

২০২১ সালের ১৫ জুলাই সে তার চাচার কাছে ৫০০ টাকা চাইলে মোজাফফর আলী তাকে ২০০ টাকা দিয়ে বলেন আর নাই। এরপর তিনি বাড়ির সামনে টিউবওয়েলে গোসল করতে যান। এসময় ঠাণ্ডু অতর্কিতভাবে চাচার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয়। তার বড় মেয়ে জেলিনা আক্তার বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও আহত করে। দুই জনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোজাফফর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন মোজাফফর আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগম মামলা দায়ের করেন।

;

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল থানার পৃথক তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জামিন না পাওয়ায় এখনই তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না।

২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

;