অধ্যাপক আলী হোসেন খুনে দু’জনের মৃত্যুদণ্ড
ইডেন মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ও সৈয়দ গ্রুপের জিএম আলী হোসেন মালিক (৬৮) হত্যা মামলায় অফিস পরিচারকসহ দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামিরা হলেন- অফিস পরিচারক সায়েদ ফকির ওরফে সাইফুল এবং তার বন্ধু মো. সুজন। এ মামলায় আলী হোসেনের ড্রাইভার মাসুদ মল্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ১১ অক্টোবর বনানী ডিওএইচএস-এর দুই নম্বর রোডের সৈয়দ গ্রুপের অফিসে খুন হন আলী হোসেন মালিক।
খুনের ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. খেয়াম মালিক একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, এ ঘ্টনার মাস্টার মাইন্ড হচ্ছেন অফিস পরিচারক সায়েদ ফকির ওরফে সাইফুল। খুন করে টাকা চুরি করে চুরির টাকায় গাড়ি কিনে গাড়ির ব্যবসার টাকায় বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
ঘটনার দিন ১০টি ঘুমের ট্যাবলেট কিনে আনে সাইফুল। এ গুলো কোমল পানীয়ের সাথে অফিসের দুই গার্ডকে খাইয়ে দেওয়া হয়। এরপর রাত্রে আলী হোসেনের দরজায় নক করলে তিনি দরজা খুলে দেন।
এরপর সাইফুল ও সুজন তাকে খুন করে নগদ একলাখ বিয়াল্লিশ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
মামলা দায়েরের পর খুনির গ্রামের বাড়ি বরিশাল থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব।
মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর ২০১৭ সালের ১১ জুন একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। মামলার বিচারকালে আদালত ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার দুলাল।