খাদ্যে ভেজালের শাস্তি



মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খাদ্যে ভেজাল দেওয়া ইসলামে নিষিদ্ধ, ছবি: সংগৃহীত

খাদ্যে ভেজাল দেওয়া ইসলামে নিষিদ্ধ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা বছর খাদ্যে ভেজালের প্রবণতা থাকলেও রমজান এলেই খাদ্যে ভেজালের তৎপরতা বেড়ে যায়। ফুটপাত থেকে অভিজাত হোটেল রেস্টুরেন্ট কোনোটাই ভেজালমুক্ত নয়।

ভেজাল খাদ্য এক ভয়ঙ্কর খুনি
মানুষ খুনের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। অথচ ভেজাল খাদ্যের মাধ্যমে প্রতিদিন শতশত মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তাই অপরাধ বিশেষজ্ঞরা ভেজালকারীদের ভয়ঙ্কর খুনিরূপে জ্ঞান করেন।

২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট সারাদেশে এক জরিপ চালায়। তারা ২১ হাজার ৮৬০টি খাদ্য পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করেন। পরীক্ষায় তারা ৫০ শতাংশ খাদ্য পণ্যে ভেজাল পায়। মহাখালী পাবলিক হেলথ ইনস্টিটিউটের খাদ্য পরীক্ষাগারের তথ্যানুযায়ী, দেশের ৫৪ ভাগ খাদ্য পণ্য ভেজাল এবং তা দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

খাদ্যে ভেজাল দেওয়া ইসলামে নিষিদ্ধ
খাদ্যে ভেজাল দিলে তা বিক্রির ক্ষেত্রে মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। সত্যের সাথে মিথ্যার সংমিশ্রন ঘটাতে হয়। অথচ আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিমে ইরশাত করেছেন, তোমরা সত্যের সঙ্গে অসত্যের মিশ্রণ ঘটিয়ো না এবং জেনেশুনে সত্য গোপন করো না।’ -সূরা বাকারা: ৪২

একদিন হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বাজারে এক খাদ্যস্তুপের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় তিনি খাদ্যস্তুপের ভেতরে হাত প্রবেশ করিয়ে দেখেন স্তুপের ভেতরে ভেজা। খাদ্য বিক্রেতার কাছে তিনি এর কারণ জানতে চাইলেন- এটি কেমন কথা? সে বলল- হে আল্লাহর রাসূল, এগুলো বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। রাসূল (সা.) বললেন- তাহলে ভেজা খাদ্যগুলো উপরে রাখোনি কেন, যাতে মানুষ দেখতে পেত। অত:পর রাসূল (সা.) বললেন- যে ব্যক্তি প্রতারণা করবে সে আমার উম্মাত নয়। -সহিহ মুসলিম শরীফ: ১০২

খাদ্যে ভেজাল দিয়ে উপার্জিত অর্থ অবৈধ এবং হারাম। আর ইসলামে অবৈধ ও হারাম অর্থ উপার্জনকে কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

আইনে খাদ্যে ভেজালের শাস্তি
ভারতীয় উপমহাদেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রনের জন্য ১৮৬০ সালে প্রণীত হয়েছিল দণ্ডবিধি। দণ্ডবিধির ২৭২ থেকে ২৭৬ ধারা পর্যন্ত খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল, বাজারজাতকরণ ও বিক্রির শাস্তি বর্ণনা করা হয়েছে। উক্ত ধারানুসারে ভেজালকারীর সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা এক হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।

আইনটি বেশ পুরোনো ও শাস্তি অপ্রতুল হওয়ায় ১৯৫৯ সালে বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়। উক্ত অধ্যাদেশের ৬ থেকে ৩৭ ধারা পর্যন্ত খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল, বাজারজাতকরণ ও বিক্রির শাস্তি বর্ণনা করা হয়েছে। এ আইনে এসব অপরাধের শাস্তির মাত্রা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ড ও তিনলাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়।

কিন্তু এ আইন প্রণয়ন করেও খাদ্যে ভেজাল রোধ করা সম্ভব না হওয়ায় আরও কঠোরতম আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয় দেখা দেয়। সে প্রেক্ষিতে খাদ্যদ্রব্য কিংবা ঔষধে ভেজাল মেশালে, বিপণন কিংবা বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রদর্শন করলে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড কিংবা যাবজ্জীবন বা ১৪ বছর কারাদণ্ড ও জরিমানার বিধান রেখে ১৯৭৪ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইন পাশ করা হয়। উক্ত আইনের ২৫-গ ধারায় এসব শাস্তির কথা বলা হয়েছে।

খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে দিন দিন কঠোর আইন প্রণীত হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সাজার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবু ভেজাল রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ভেজাল প্রতিরোধে আইনের পাশাপাশি প্রয়োজন জন সচেতনতা।

   

বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় ভাতিজার যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন বছর আগে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের পশ্চিম রোহিতপুর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীকে হত্যার দায়ে ভাতিজা ঠাণ্ডুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ঠাণ্ডুকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নিহতের মেয়ে জেলিনা আক্তার মৌকে গুরুতর আঘাতের দায়ে তাকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিনহাজুল মনিরার আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রায় ঘোষণার আগে ঠাণ্ডুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঠাণ্ডুর বাবা মারা যাওয়ার পর সে তার সম্পত্তি চাচা মোজাফফর আলীর কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যায়। মাঝে মধ্যে ঠাণ্ডু তার চাচার কাছে এসে খরচের টাকা দাবি করে নিয়ে যেত।

২০২১ সালের ১৫ জুলাই সে তার চাচার কাছে ৫০০ টাকা চাইলে মোজাফফর আলী তাকে ২০০ টাকা দিয়ে বলেন আর নাই। এরপর তিনি বাড়ির সামনে টিউবওয়েলে গোসল করতে যান। এসময় ঠাণ্ডু অতর্কিতভাবে চাচার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয়। তার বড় মেয়ে জেলিনা আক্তার বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও আহত করে। দুই জনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোজাফফর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন মোজাফফর আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগম মামলা দায়ের করেন।

;

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল থানার পৃথক তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জামিন না পাওয়ায় এখনই তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না।

২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

;

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চান হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চান হাইকোর্ট

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চান হাইকোর্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গাকে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত করা হয়েছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

এর আগে মঙ্গলবার কত রোহিঙ্গা কক্সবাজারে নাগরিকত্ব পেয়ে ভোটার হয়েছেন তার তালিকা দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। একইসঙ্গে ভোটার তালিকা থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দেওয়ার আর্জি জানানো হয় রিটে। এছাড়া ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ঘোষিত তফসিলে নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ বন্ধ বা স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়।

রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

স্থানীয় ভোটার মো. হামিদুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এ রিট দায়ের করেন।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৩৮ রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়। এছাড়াও একই ইউনিয়নে কয়েকশ’ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা হাল নাগাদ না করা পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছে রিটে।

;

আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারপতিকে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৫ (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নিয়োগ প্রদান করেন।

নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিরা হলেন, বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ২৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন।

;