আদালতের বারান্দায় সিগারেট টানলেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি
এজলাস থেকে বের হয়েই আদালতের বারান্দায় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় সিগারেট টানলেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। আসামির নাম গোলাম রাব্বানী ওরফে রাব্বী।
রাজধানীর দারুসসালাম থানার টোলারবাগে কেএম পারভেজ হাসান হত্যা মামলায় নিহতের স্ত্রীসহ তিনজনের ফাঁসির আদেশ দেন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে ঢাকার ১নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ আদেশ দেন। অপর দুই আসামি হলেন- নিহতের স্ত্রী শাহানাজ পারভীন সোমা ও শ্যালক তানভীর আলম।
বিচারক এজলাস থেকে নেমে নেমে যাওয়ার পর কোর্ট পুলিশের এএসআই রউফ ও কনস্টেবল চিত্তরঞ্জন তাকে মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের তিন তলায় ট্রাইব্যুনালের এজলাস থেকে হাজত খানায় নেয়ার জন্য বের করেন।
এরই ফাঁকে কখন সিগারেট ধরিয়ে ফেলেন আসামি রাব্বি। কোর্ট পুলিশ যখন তাকে নিয়ে যান তখন আসামি সিগারেট টানছিলেন। সাংবাদিক দেখে সিগারেট আর না টানলেও তার হাতে তা ধরা ছিল।
পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ। আর আদালতের বারান্দায়তো নয়ই। সেখানে পুলিশ কাস্টডিতে ফাঁসির আসামি সিগারেট টানায় কোর্ট পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন উপস্থিত অনেকেই।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৩০ জুলাই পারভেজকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে আসামিরা প্রচার করে যে, পারভেজ স্ট্রোক করে মারা গেছেন। নিহতের বাবা-মাকে না জানিয়ে মরদেহ দাফনের চেষ্টা করেন তারা। পরে পারভেজের মা মমতাজ বেগম দারুসসালাম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: স্বামী হত্যায় স্ত্রীসহ ৩ জনের ফাঁসি