ইমরান জমানায় পাক-মার্কিন সম্পর্ক কোন পথে?



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম
পাকিস্তান-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক।

পাকিস্তান-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক।

  • Font increase
  • Font Decrease

 

পুরনো বন্ধু পাকিস্তান-আমেরিকার সখ্যতা  জঙ্গি দমন প্রশ্নে ছিল সাম্প্রতিক সময়ে ভঙ্গুর। রাশিয়া থেকে পাক সেনাবাহিনীর জন্য অস্ত্র কেনা আর ট্রেনিং নেওয়ার চুক্তির ফলেও দুদেশের সম্পর্ক নাজুক হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে নব্য ক্ষমতাসীন প্লেবয় থেকে রাজনীতিবিদ ইমরান খানের জমানায় খেপাটে ট্রাম্পের আচরণ কেমন হবে? চিড়-ধরা দু’দেশের সম্পর্ক সামনের দিনগুলোতে কোন পথে চলবে?

বলা হচ্ছে পাক-মার্কিন ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের সম্পর্ক এখন রয়েছে সবচেয়ে নাজুক অবস্থান। দূরত্ব ও শীতলতাই শুধু নয়, পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্যের একাংশও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। তবে সেটা ছিল আগের সরকারের আমল থেকে চলে আসা ঘটনা।

পাকিস্তানের সঙ্গে বিরাজমান শীতল ও দূরত্বপূর্ণ সম্পর্ক সম্ভবত দীর্ঘায়িত না হয়ে কেটে যাওয়ার লক্ষ্যণ দেখা দিয়েছে ইমরান খানের ক্ষমতায় আরোহণের পর পরই। কারণ প্রকাশ্যেই কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে বিদ্যমান শীতল পরিস্থিতিতে ইমরান খান সরকারের সঙ্গে ‘নতুন’ সম্পর্ক শুরু করার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইমরান খানের সরকার ভালো ভাবে পা ফেলার আগেই ইসলামাবাদে এসে হাজির হয়েছে মার্কিনিরা। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পাকিস্তান সফরের মাধ্যমে সেই কাজই শুরু করলেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো। ক্ষমতায় বসতে না বসতেই ওয়াশিংটনের পক্ষে পাক সরকার প্রধান ইমরানকে এসে ঘিরে ধরলেন তিনি।

পাকিস্তানের নতুন সরকারকে কব্জা করার মতলবটিকেও লুকিয়ে রাখেনি মার্কিনিরা। পাকিস্তানের পথে বিমানে আসার সময়েই পম্পেয়ো সাংবাদিকদের জানান, 'পাক-মার্কিন সম্পর্কের সাম্প্রতিক অবনতির বেশিরভাগটাই হয়েছে ইমরান ক্ষমতায় আসার আগে। ফলে এই সরকারের সঙ্গে নতুন ভাবে শুরু করতে চায় আমেরিকা।'

পাকিস্তানে এসে চুপ করে বসে থাকেন নি মার্কিন মন্ত্রী। ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি ও সেনাপ্রধান কমর বাজওয়ার সঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ বৈঠক করেন তিনি। যদিও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে সাবধানী ভাষায় জানানো হয়, 'মার্কিন সাহায্য বন্ধ রাখা ও আফগানিস্তানে শান্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে পাক নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছেন পম্পেয়ো', তথাপি আলোচনা যে আরও অনেক গুরুতর বিষয়ে হয়েছে, সেটা টের পাওয়া যায় ইমরানের কথায়। আলোচনার পরে ইমরান বলেন, 'আমি সব সময়েই আশাবাদী। খেলোয়াড়কে সব সময়েই আশাবাদী হতে হয়। কারণ, মাঠে নেমে জেতার কথাই ভাবতে হয়।' নতুন প্রধানমন্তী হলেও ইমরানের কূটনৈতিক ধরনের বক্তব্যে পাক-মার্কিন সম্পর্কের আসন্ন উন্নতির বিষয়টি আঁচ করতে অসুবিধা হয় না।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রীও আলোচনার ভেতরকার সব কথা খুলে না বলে জানিয়েছেন জঙ্গি দমন নিয়ে তার দেশের কড়া অবস্থানের বিষয়টিকে। আগের অবস্থান থেকে এক লাফে যে আমেরিকা সরে আসবে না, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন পম্পেয়ো। তাঁর কথায় অতীতের পাকিস্তান সরকারের প্রতি ক্ষোভ স্পষ্ট, 'জঙ্গি দমনে যেমন পদক্ষেপ দেখব বলে আমরা আশা করেছিলাম, তা দেখতে পাইনি। তার ফলেই পাকিস্তান ওই আর্থিক সাহায্য পাচ্ছে না।' তবে তিনি পাকিস্তানের মুখের উপর আশার মূলাটিও ঝুঁলিয়ে রেখেছেন যে, 'অবস্থার পরিবর্তন হলে আমাদের সিদ্ধান্তও পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।'

পাকিস্তানকে সামাল দিয়েই ওয়াশিংটন ফিরে যান নি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দক্ষিণ এশিয়ার আরেক গুরুত্বপূর্ণ দেশ ভারতে হাজির হয়েছেন আঞ্চলিক পরিস্থিতিটি চাক্ষুষ বোঝার জন্য। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে আলোচনায় নিজে একা নন, ডেকে এনেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিসকেও।

রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী ব্যবস্থা কেনায় ভারত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পাবে কি না তা যখন অস্পষ্ট, ঠিক তখনই গুরুত্বপূর্ণ দুই মার্কিন মন্ত্রীর পাকিস্তান ঘুরে ভারতে আসা নানা কিছুর ইঙ্গিতবাহী। তদুপরি ইরান থেকে তেল কেনার ক্ষেত্রেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে মার্কিন  মন্ত্রীদ্বয় দিল্লিকে আদপে কি বার্তা দিয়েছেন, সেটাই দেখার বিষয়।

দক্ষিণ এশিয়ায় আসা মার্কিন মন্ত্রীর লক্ষ্য যে একমাত্র পাকিস্তান বা ইমরান খান নয়, সেটাও ওয়াশিংটন স্পষ্ট করেছে সফরের গোড়াতেই।বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ে পম্পেয়ো প্রসঙ্গত এটাও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এগুলো আমরা এই আলোচনায় মেটাতে পারব বলে মনে হয় না। ভারত আমাদের একমাত্র বড় প্রতিরক্ষা সহযোগী। দীর্ঘ দিন ধরে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে এমন অনেক প্রকল্প রয়েছে। সেগুলো নিয়েই মূল আলোচনা হবে।’

উল্লেখ্য, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে ভারত-মার্কিন আলোচনা দু’বার পিছিয়ে গিয়েছিল। সম্ভবত পাকিস্তানে ক্ষমতার পালাবদলের জন্য অপেক্ষা করছিল মার্কিনিরা। ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর আর দেরি করেনি মার্কিন পক্ষ। ভারত ও পাকিস্তান, দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক ঝাঁলাই আর আলাপ-আলোচনার ইস্যুগুলোকে নবায়নযোগ্য করে নিয়েছে ওয়াশিংটন।

ওয়াশিংটনের এই আগ্রহ ও তাড়ার পেছনে অবশ্য আরেকটি অতীব জরুরি কারণও লুক্কায়িত রয়েছে। তাহলো, ইতিমধ্যে দক্ষিণ চীন সাগর এলাকায় আরও বেশি শক্তি প্রদর্শন শুরু করেছে চিন। ভারত-মার্কিন কৌশলগত আলোচনায় এই বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব ইস্যু বলে মনে করেছেন কূটনীতিকেরা। আর এ কাজে চীনের কাছ থেকে সরিয়ে পাকিস্তানকে পাশে রাখাও কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত জরুরি। নইলে বেইজিং ইসলামাবাদকে হাত করে দক্ষিণ এশিয়ায় কর্তৃত্ব ক্রমেই বাড়িয়ে তুলতে পারে।

সব মিলিয়ে সামনের দিনগুলোতে পাক-মার্কিন সম্পর্কে এবং মার্কিনিদের দক্ষিণ এশিয়া নীতিতে যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী, সে কথা আগাম বলে দেওয়া যায়।

   

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংকট-কবলিত জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএনআরডব্লিউএ) জাপান পুনরায় অর্থায়ন শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংস্থাটি গাজাকে প্রায় সমস্ত সাহায্যের সমন্বয় করে। সরকার এ কথা জানিয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএ’র ১৩ হাজার গাজা কর্মচারীর মধ্যে ১২ জন ৭ অক্টোবর হামাসের মারাত্মক হামলায় জড়িত ছিল বলে ইসরায়েলের অভিযোগের পর সংস্থার ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থায়নকারী জাপান এক ডজনেরও বেশি দেশের সাথে তাদের তহবিল স্থগিত করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া প্রশাসন ও স্বচ্ছতা জোরদার করার জন্য সংস্থার গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) টোকিওতে ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনির সাথে দেখা করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, জাপান এবং ইউএনআরডব্লিউএ নিশ্চিত করেছে, তারা জাপানের অবদান পুনরায় শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টার বিষয়ে চূড়ান্ত সমন্বয় এগিয়ে নেবে।

জাপানি মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে স্থগিত হওয়া তহবিল পুনরায় চালু করা হবে। এপ্রিলের প্রথমার্ধে সহায়তা সংস্থায় পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তহবিল আকস্মিকভাবে স্থগিত হওয়ায় ইউএনআরডব্লিউএ-এর গাজায় মরিয়া প্রয়োজনীয় সাহায্য প্রদানের প্রচেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। যেখানে জাতিসংঘ আসন্ন দুর্ভিক্ষ সম্পর্কে সতর্ক করেছে।

এই মাসে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইডেন এবং অন্যান্যরা বলেছে, তারা সাহায্য সরবরাহ আবার শুরু করছে।

লাজারিনি মঙ্গলবার বলেছেন, সংস্থাটির অন্তত মে মাসের শেষ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট তহবিল রয়েছে।

;

ইসরায়েলি হামলায় ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা 'ওয়ার মনিটর' এ তথ্য জানিয়েছে।

যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা 'ওয়ার মনিটর' জানিয়েছে, হামলায় কমপক্ষে "লেবানিজ গ্রুপ হিজবুল্লাহর রকেট ডিপোর কাছাকাছি একটি এলাকাকে লক্ষ্যবস্তু করে চালানো হামলায় ৩৬ সিরীয় সৈন্য" নিহত হয়েছে"।

সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও অনেক মানুষ আহত হয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে চালানো সিরিয়ায় বিমান হামলায় হামলায় ১৩ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ইরানপন্থি অন্তত ৯ জনসহ একজন কমান্ডার ছিলেন।

গত কয়েক বছর ধরেই সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু কখনই তারা এসব হামলার দায় স্বীকার করে না।

;

রাশিয়ার ২৬ ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে গুলি করে রাশিয়ার ২৮টি অ্যাটাক ড্রোনের মধ্যে ২৬টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ইরান নির্মিত ড্রোনগুলো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ধ্বংস করা হয়েছে।

জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের গভর্নর টেলিগ্রামে বলেছেন, রাজধানীতে বিধ্বস্ত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে দুই নারী আহত হয়েছেন। বিধ্বস্ত তিনটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে একটি রেস্তোরাঁ, একটি স্টোর এবং বেশ কয়েকটি অফিস ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী আরও জানিয়েছে, সারারাত ধরে করা হামলায় ড্রোনের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়ান বাহিনী। ব্ল্যাক সি’য়ের ওপর থেকে রাশিয়ান বিমানের নিক্ষেপ করা ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাদের যুদ্ধক্ষমতা হারিয়েছে।

ওডেসার গভর্নর ওলেহ কিপার বলেছেন, পরবর্তীতে রাশিয়া সকালে আরও একবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তবে ওই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই হামলায় রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি।

;

গাজায় দুর্ভিক্ষ বন্ধে ইসরায়েলকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ আন্তর্জাতিক আদালতের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে ইসরায়েলকে প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক আদালত সর্বসম্মতভাবে ইসরায়েলকে এই নির্দেশ দিয়েছে। তবে হামাস নেতারা বলেছে, মানবিক সংকট ঠেকাতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

গাজায় রাষ্ট্র পরিচালিত গণহত্যার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করা মামলার অংশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন ব্যবস্থার অনুরোধ করেছিল আদালতকে। পরে আদালত এই নির্দেশ দেয়।

বার্তা সংস্থা রয়র্টাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। গাজার আল শিফা হাসপাতালের চারপাশে ইসরায়েলি বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা লড়াই করার সময় এই আদেশটি এলো।

আদালতের বিচারকরা বলেছেন, গাজার মানুষরা আরও খারাপ অবস্থার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। বিচারকরা আদেশে বলেছেন, আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে গাজার মানুষেরা শুধুমাত্র দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে না বরং সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।

হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, এই রায়টি যথেষ্ট নয়। দুর্ভোগ বন্ধ করতে ইসরায়েলকে অবশ্যই সামরিক আক্রমণ বন্ধ করার নির্দেশ দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গাজায়, বিশেষ করে উত্তর গাজা উপত্যকায় মানবিক ট্র্যাজেডির অবসান ঘটানোর জন্য যেকোনও নতুন দাবিকে আমরা স্বাগত জানাই, তবে আমরা আশা করি যে গাজায় আমাদের লোকেরা যে সমস্ত দুর্দশার মধ্য দিয়ে বসবাস করছে তার সমাধান হিসেবে আদালত যুদ্ধবিরতির আদেশ দেবেন।

আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের বিষয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মঙ্গলবার অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং সমস্ত জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ভোট দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভোট থেকে বিরত ছিল, কিন্তু ভেটো দেয়নি।

;