এবার কনডম বিতর্কে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতের্তের। ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে সমাজকর্মীদের রোষের মুখে পড়লেন তিনি । কুয়েতে কর্মরত ফিলিপাইনের বাসিন্দারের একটি সভায় বক্তব্য রাখছিলেন দুতের্তে। সেখানে তিনি বলেন, ''এইডস-এর প্রকোপ ও তার প্রকিকার শীর্ষক এই আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘যৌন মিলনের সময় কনডম ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ কনডম কোনো সুখ দিতে পারে না।' সভায় নারীদের সংখ্যা ছিল বেশি। তাদের উদ্দেশ্য করে প্রেসিডেন্ট দুতের্তের পরামর্শ, ‘আপনারা কনডমের বদলে গর্ভনিরোধক ওষুধ ব্যবহার করুন। কারণ কনডম আপনাকে সুখ দিতে পারবে না।’ প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য নিয়ে ইতোমধ্যেই ফিলিপাইনে শোরগোল পড়ে গেছে। তার মন্তব্যের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন সমাজকর্মীরা। প্রতিবাদে নেমেছে বিরোধীরাও। প্রসঙ্গত এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ফিলিপাইনে। প্রতি বছর এই সংখ্যাটা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যে বিরোধীতার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। দিন কয়েক আগেই দেশের সেনাবাহিনীকে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, নারীরা বিদ্রোহ করলে তাদের প্রাণে না মেরে যৌনাঙ্গে গুলি চালানোর জন্য। তার এই মন্তব্যকে ঘিরে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
   

স্থায়ী সংঘাতে রূপ নিচ্ছে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা: তুরস্ক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের উত্তেজনা বৃহত্তর স্থায়ী সংঘাতে রূপ নিচ্ছে বলে সতর্ক করেছে তুরস্ক। উভয় দেশকে উত্তেজনা না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ আহ্বান জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় বলেছে, চলমান উত্তেজনা বৃহত্তর সংঘাতে গড়াতে পারে। 

সংবাদমাধ্যম হুরিয়াত ডেইলি ও বার্তাসংস্থা এপির পৃথক পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলেছে, সর্বশেষ পরিস্থিতির আলোকে চলমান উত্তেজনা স্থায়ী সংঘাতে পরিণত হচ্ছে। দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে ইসরায়েলের বেআইনি হামলার মাধ্যমে এই উত্তেজনার সূচনা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় গুরুত্বারোপ করে বলেছে, গাজায় সংঘাত বন্ধ এবং একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করার বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

;

ইসরায়েলকে ১৩০ কোটি ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যপ্রাচ্যে শক্তি প্রদর্শনের জন্য ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল তার মোট অস্ত্র সহায়তার ৬৮ শতাংশই পায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। সম্প্রতি সংঘাতময় মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে দিতে ইসরায়েলের কাছে আরও ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের ভারী সমরাস্ত্র বিক্রি করতে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।

গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। এরই মধ্যে নতুন করে ইরানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে মার্কিন মদদপুষ্ট রাষ্ট্রটি। সব মিলিয়ে এই মূহুর্তে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতেও ইরানের ইস্পাহান শহরে পারমাণবিক স্থাপনার কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে শুধু অস্ত্রই নয়, আর্থিক ও নৈতিক সব ধরনের সমর্থনই তারা মূলত পেয়ে থাকে মার্কিন প্রশাসনের কাছ থেকেই।

শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিশেষ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন আরেকটি অস্ত্র চুক্তি করার কথা বিবেচনা করছে। এই চুক্তির আওতায় অস্ত্র সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ট্যাংকের গোলা, ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক যান ও ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মর্টারের গোলা পাবে ইসরায়েল।

ইসরায়েলকে সমর্থনের ক্ষেত্রে এরপরের স্থানটিই জার্মানির। মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তি চর্চার জন্য ইসরায়েলের মোট চাহিদার আনুমানিক ৩০ শতাংশ অস্ত্রই সরবরাহ করা হয় জার্মানির পক্ষ থেকে। বাদবাকি মাত্র দুই শতাংশ অস্ত্র তারা পায় ব্রিটেন, ইতালি এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোর কাছ থেকে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী পেনি ওং অবশ্য সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে তার দেশ অস্ত্র সরবরাহ করেনি ইসরায়েলকে।

;

ভারতে প্রথম দফায় ভোটের হার ৬০%



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে সাত ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের প্রথম ধাপ শুরু হয়। এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় রেকর্ডসংখ্যক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবগুলো আসন মিলিয়ে ভোট পড়েছে ৫৯ দশমিক ৭ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ভোট হয়েছে তামিলনাড়ু, উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, আন্দামান-নিকোবর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, পুদুচেরি, সিকিম, লাক্ষাদ্বীপসহ মোট ২১ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে।

প্রথম দফার ভোটে প্রায় ২ হাজার প্রার্থীর ভাগ্য পরীক্ষা করবেন ১৬ কোটি ৬৩ লাখ ভোটার। এরমধ্যে তরুণ ভোটার রয়েছেন ৩ কোটি ৫১ লাখ। আর প্রথমবারের মতো ভোট দিচ্ছেন ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার ভোটার। প্রথম দফায় মোদি সরকারের ছয় শীর্ষ মন্ত্রী ছাড়াও বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে।

নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের মধ্যে মূল লড়াই হতে যাচ্ছে। জোটগতভাবে ৪০০ আসন জয়ের স্বপ্ন দেখছে ক্ষমতাসীন জোট এনডিএ। আর এককভাবে ৩৭০ আসনের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে জোটটির মূল দল ভারতীয় জনতা পার্টি।

তবে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া গেছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার লোকসভা আসনে। স্থানীয় শীতলকুচি এবং মাথাভাঙ্গায় সকাল থেকেই বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করছে ভারতীয় গণমাধ্যম। আর বরাবরের মতোই সহিংসতার জন্য দায় একে অপরের কাছে চাপিয়েছেন রাজ্যের দুই রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন সাতটি ধাপে মোট ৯৬ কোটি ৯০ লাখ ভোটার ভোট দেবেন। ভোটারের এই সংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০ ভাগেরও বেশি।

দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে ২৬ এপ্রিল। পরবর্তী ধাপগুলোর ভোট হবে যথাক্রমে, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ভোট গণনা এবং ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

;

গাজায় ইসরায়েলি হামলা: মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৩৪ হাজার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪২ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৩৪ হাজারে। গত ২৪ ঘণ্টায় আহত হয়েছেন আরও ৬৩ জন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার এক লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরাইলে হামলা চালায় ইরান। এর প্রতিত্তোরে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পের জন্য আলোচিত শহর ইসফাহানে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি।

এমন পরিস্থিতিতে গাজায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৩৪ হাজারে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৪ হাজার ১২ জন নিহত হয়েছেন। এসময়ে আরও ৭৬ হাজার ৮৩৩ জন আহত হয়েছেন। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৯ জনে। এছাড়াও গাজায় কয়েক ডজন ইসরায়েলি নাগরিক বন্দী রয়েছে।

;