মোদি-অমিত জুটি গুজরাতের সর্বময়



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ/ ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুজরাতের আহমেদাবাদ থেকে: গুজরাতে ২০১৪ সালে লোকসভার সবগুলো আসন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জিতেছিল। এবার রাজ্যটিতে যেভাবেই হোক, জয় বহাল রাখতে চায় মোদি-অমিত জুটি। তারাই গুজরাতে সর্বময় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিরাজ করছে।

গুজরাতে একদিনই ভোট হবে। সেটি হলো- ২৩ এপ্রিল। এরই মধ্যে রাজ্যটির রাজনীতিতে নানাবিধ রসায়ন কাজ করছে।

এবারের নির্বাচনে বিজেপি তাদের অন্যতম নেতা এলকে আদভানিকে প্রতিযোগিতা থেকে বসিয়ে দেয়। তিনি গান্ধিনগর থেকে নির্বাচন করে আসছিলেন, বর্তমানে সেখান থেকে নির্বাচন করছেন দলটির প্রধান অমিত শাহ। এর ফলে গুজরাতে বিজেপির রাজনীতির সর্বময় নিয়ন্ত্রণ নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ জুটির হাতে চলে এসেছে।

অন্যদিকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস তথা বিরোধী দলের হারানোর কিছু নেই। তারা ২০১৪ সালে কিছুই পায়নি। কিন্তু ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ভালো ফল করেছিল; যা কংগ্রেস সমর্থকরা চিন্তাও করেননি। তবে সেসময় থেকে পরিস্থিতি বদলে গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, কংগ্রেসের অনেক নেতাকেই বিজেপি কিনে নিয়েছে। তাদের নেতা আলপেশ ঠাকুর বিজেপিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন, তাতে রাজনীতির কোনোও নৈতিকতা মানা হয়নি।যদিও কিছু দিন আগেও গান্ধিনগরের সমাবেশে করেছেন কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী ও আলপেশ ঠাকুর।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/13/1555138665666.jpg

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ১৮২ আসনের গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৯৯টি আসনে জয়ী হয়। এমন ঝলকানি দেখানোর পর বর্তমানে দলটি তার আটজন এমএলএ হারিয়েছে।

এদের মধ্যে পাঁচজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আলপেশ ও তার দুই সহকর্মী বিজেপিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে তারা কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন। তারা বলেছেন, তারা এমএলএ পদ থেকে পদত্যাগ করবেন না বরং স্বাধীন বিধায়ক হিসেবে বিবেচিত হবেন।

এদিকে, কংগ্রেসের একটি বড় সমস্যা রয়েছে। সেটি হলো- বিধানসভা নির্বাচনে তাদের বিধায়ক সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ৬৯টি আসন হয়েছে। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি বিরোধী নেতৃত্বে দেওয়ার জন্য উচ্চ প্রোফাইল নেতা এখন আর গুজরাতে নেই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/13/1555138691305.jpg

দাঙ্গা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে কংগ্রেস নেতা হার্ডিক প্যাটেলও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। উত্তর গুজরাতে চারটি আসন নিয়ে কংগ্রেসের আশা ছিল। এখানে হার্ডিক, জগেশেশ মভানি ও আলপেশের মধ্যে 'শক্তিশালী রাজনৈতিক সিন্ডিকেট' ছিল।

মভানি ও হার্ডিক, দু’জনেই আলপেশ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে ফেলছেন। এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেস বেকায়দায় পড়ে গেছে। যে উন্নয়নের কথা বলে গুজরাতের নামে সমস্ত ভারতে প্রচার করে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছিল, বর্তমানে তার প্রতিফলন ভোটের মধ্যে পড়বে না বলে ধারণা করছেন স্থানীয় ভোটাররা।

রাজেন কুমার বার্তা২৪.কমকে বলেন, শুধু বিরোধীকে নিশ্চিহ্ন করতে চাওয়ার মাধ্যমে বিজেপি নিরঙ্কুশ আসন পাবে না। গুজরাতে শুধু বিজেপি ও কংগ্রেস শাসন করেছে। এখন দরকার, বিকল্প কোনো দল বা জোট ক্ষমতায় আসুক।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/13/1555138736151.jpg

প্রণব ভাই বলেন, গত পাঁচ বছরে জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়েছে। সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পালন করতে না পেরে অন্য ইস্যু তুলে ধরছে।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক রাজ্যের আরেক ভোটার বলেন, সব কিছুর পরেও এখানে বিজেপিই জিতবে। আজ জাতীয়তাবাদ ও হিন্দুত্ববাদ যেভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে, মানুষ ভোট দেওয়ার সময় এছাড়া কিছুই চিন্তা করতে পারছে না।

গুজরাতে চাকরির বিশাল সংকট রয়েছে। দলিতরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। মাঝে-মাঝেই আন্দোলন করছেন তারা। এরই মাঝে কংগ্রেসের নেতারা মনে করছেন, জনগণের ক্ষোভ তাদের জন্য ভোটে পরিণত হবে।

   

দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে বাস খাদে, নিহত ৪৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ আফ্রিকার লিমপোপোতে সেতুর নিচে একটি চলন্ত বাস পড়ে গিয়ে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। বেঁচে থাকা একমাত্র একটি আট বছরের মেয়েকে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাসযাত্রীরা মোরিয়াতে ইস্টারের সময় দীর্ঘ সপ্তাহান্তে চার্চ সার্ভিসের জন্য যাচ্ছিলেন। মারকেন ও মোকোপেন শহরের মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাসটি প্রথমে সেতুতে ধাক্কা মারে, এরপর নিচের খাদে পড়ে তাতে আগুন ধরে যায়। পরিবহনমন্ত্রী চিকুঙ্গা দুর্ঘটনাস্থলে যান এবং দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত করা হবে বলে জানান।

এই দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই প্রেসিডেন্ট রামাফোসা সবাইকে সাবধান করে দিয়ে বলেছিলেন, ইস্টার সপ্তাহান্তে যাতায়াতের সময় তারা যেন সতর্ক থাকেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলে। কিছু দেহ এতটাই পুড়ে গেছে যে তা চেনা যাচ্ছে না। অন্য দেহগুলো ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে ছিল বা আশপাশে ছড়িয়ে পড়েছিল।

উল্লেখ্য, গত বছর ইস্টারের সময় দীর্ঘ সপ্তাহান্তে চার দিনে ২২৫ জন মারা গিয়েছিল। ১৮৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ভালো হওয়া সত্ত্বেও সেখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা হয়। ফলে সড়ক নিরাপত্তার দিক থেকে তা একেবারেই ভালো জায়গায় নেই।

;

দক্ষিণ আফ্রিকায় গিরিখাদে বাস, নিহত ৪৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি বাস সেতু থেকে গভীর গিরিখাদে পড়ে আগুন ধরে যায়। এতে বাসটির ৪৬ যাত্রীর মধ্যে ৪৫ জন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পরিবহন মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে।

সংবাদ মাধ্যম এএফপি’র খবরে বলা হয়, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আট বছর বয়সী এক শিশু প্রাণে বেঁচে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গাড়িটি বতসোয়ানা থেকে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় মোরিয়ার দিকে যাচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে চালক বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে তা সেতুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে গিয়ে আগুন ধরে যায়। এতে ৪৫ জন প্রাণ হারায়।

দুর্ঘটনার পর সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে অনেকের লাশ এবং জীবিতাস্থায় এক শিশুর উদ্ধার করা হয়। সেখানে অনেকের লাশ বাসের ভিতরে আটকে এবং কিছু লাশ ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। এই ঘটনায় বাসটিতে আগুন ধরে যাওয়ায় কিছু লাশ এমন বিভৎসভাবে পুড়ে গেছে যে তাদের শনাক্ত করা যায়নি।

পরিবহন মন্ত্রী সিন্দিসিয়ে চিকুনগা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তিনি দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে পূর্ণ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দেন।

 

;

পাথর ছুড়ে নারী হত্যার প্রথা ফেরাচ্ছে তালেবান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে নারীকে পাথর ছুড়ে হত্যার প্রথা আবারও চালু করতে যাচ্ছে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার। 

শনিবার রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত এক অডিও বার্তায় তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এই ঘোষণা দেন। 

টেলিগ্রাফ ও এনডিটিভি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, টেলিগ্রাফের হাতে আসা এক ভিডিওতে আখুন্দজাদা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নারীদের অধিকারের পক্ষে যে ওকালতি করছে তা শরিয়াহ-বিরোধী। পাথর মেরে কোনো নারীকে হত্যা করার ঘটনা নারী অধিকারের লঙ্ঘন বলে ভাবছেন তারা। কিন্তু আমরা শিগগিরই ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে এই নিয়ম কার্যকর করব। আমরা নারীদের জনসমক্ষে বেত্রাঘাত করব। আমরা তাদের জনসমক্ষে পাথর মেরে হত্যা করব।’

তিনি আরও বলেন, কাবুল দখল নিয়েই তালেবানের কাজ শেষ হয়নি, এটি কেবল শুরু মাত্র।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আফগানিস্তানের নারীরা অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও জনসমাগমপূর্ণ স্থানে কোনো প্রবেশাধিকার নেই।

একজন তরুণ ছাত্রের বরাত দিয়ে এএফপি বলেছে, দেশটিতে অনেক পরিবারের জন্য মেয়েদের একমাত্র ভবিষ্যৎ হলো বিয়ে। তাদের মধ্যে বিষণ্নতা ব্যাপক। গত দুই বছরে মেয়েদের আত্মহত্যার হারও অনেক বেড়েছে দেশটিতে। 



;

হার্ভার্ড লাইব্রেরির বই বাঁধাই থেকে মানুষের চামড়া অপসারণ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি লাইব্রেরিতে গত ৯০ বছর যাবত সংরক্ষিত ছিল মানুষের চামড়ায় বাঁধানো একটি বই। বুধবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, এ বইটি থেকে মানুষের চামড়া অপসারণ করা হয়েছে।

সংবাদ মাধ্যম এএফপি’র মাধ্যমে জানা যায়, ঊনবিংশ শতকের বই ডেস ডেস্টিনেস দে ল’আমে বা আত্মার নিয়তি। পরবর্তীতে বইটি নিয়ে গবেষণা হয়। ২০১৪ সালে জানা যায়, এক মৃত নারীর চামড়া দিয়ে বাঁধাই করা হয় এই বই।

হার্ভার্ড জানিয়েছে, বইটির বাঁধাই অপসারন করা হয়েছে এবং উল্লেখ করেছে, ‘বইটির তদারককারীদের অতীতের ব্যর্থতা যা মানুষের মর্যাদাকে আরও আপত্তিকর এবং যার দেহাবশেষ বাঁধাইয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল তাকে হেয় করেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তার শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, ফরাসি লেখক আর্সিন হোসায়ের লেখা বইটির প্রথম মালিক ছিলেন ড. লুডোভিচ বোল্যান্ড। তিনি এক হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ওই হাসপাতালের এক মানসিক রোগী হৃদরোগে মারা গেলে তার চামড়া দিয়ে বইটি বাঁধাই করেন ড. বোল্যান্ড। বোল্যান্ড একটি নোটে হাউসেয়েকে বলেছিলেন: ‘মানুষের আত্মা সম্পর্কে একটি বই মানুষের ত্বকের আবরণ পাওয়ার যোগ্য।’

বুধবার হার্ভার্ড বিবৃতিতে বলেছে, বইটির সাথে সম্পর্কিত বোল্যান্ডের স্টুয়ার্ডশিপ অনুশীলনগুলো ‘নৈতিক মানগুলোর স্তর পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’ এতে বলা হয়, বইটি মানুষের ত্বকে আবদ্ধ ছিল তা নিশ্চিত করার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের পরে লাইব্রেরি ব্লক পোস্টে বইটি সম্পর্কে ‘একটি চাঞ্চল্যকর, বিষাদগ্রস্ত এবং হাস্যকর টোন ব্যবহার করেছে যা অনুরূপ আন্তর্জাতিক মিডিয়া কভারেজকে উৎসাহিত করে।’

২০২২ সালে হার্ভার্ডের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়টির সংরক্ষণে রয়েছে আরও ২০ হাজারেও বেশি মানব দেহাবশেষ, যার মধ্যে আছে কঙ্কাল, দাঁত, চুল, এবং হাড়ের অংশ।

;