গান্ধীনগরে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি অমিত শাহ



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গুজরাটে বিজেপির লাগানো সাইনবোর্ড/ ছবি: বার্তা২৪

গুজরাটে বিজেপির লাগানো সাইনবোর্ড/ ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গুজরাটের গান্ধীনগর থেকে: ভারতের চলতি লোকসভা নির্বাচনে গুজরাটের গান্ধীনগরের আসনটি নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য বিভিন্ন অনুষঙ্গ যোগ হওয়ায় আপাত দৃষ্টিতে সহজ আসনটিতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে পড়তে হতে পারে বলেই মনে হচ্ছে।

প্রবীণ নেতা এলকে আদভানিকে যেভাবে এ আসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তা আহত করেছে সাধারণ মানুষকে। তাইতো আদভানির কথা শুনে গান্ধীনগরের অনেকের মতো কান্তি লালেরও হৃদয় হাহাকার করে ওঠে। তিনি বলেন, আদভানিজিকে এভাবে সরিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। তারপরও গান্ধীনগর থেকে অমিত শাহই জিতবেন।

পাশে থাকা বিমল, রাধাকৃষ্ণ, অনিলের মুখেও একই কথা। ভোট কমবে। তবে অমিত শাহই জিতবেন। তাদের মতে, 'বোড়া নেতা সব ইলেকশন জিতেগা' (বড় নেতা সব নির্বাচন জিতবেন)।

এখানে কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী সিজে চ্যাড্ডা ও অমিত শাহের মধ্যে কঠিন লড়াই হবে বলেও মনে করছেন অনেকে।

সিজে চ্যাড্ডা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এখানে ব্যক্তির কোনো লড়াই হচ্ছে না। আপনারা দেখেছেন যে আমাদের সমাবেশে কত মানুষ হচ্ছে। এখানে লড়াই হবে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে।

গান্ধীনগর আসনটি ১৯৯০ সাল থেকেই বিজেপির দখলে। বিজেপি নেতা এল কে আদভানি এখান থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এবার প্রায় জোর করে তাকে বসিয়ে দিয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এ আসনে লড়াই করছেন।

১৯৯০ সালের পর তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার টিএন সেসনের দৃঢ় পদক্ষেপের জন্য কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে লড়ে আদভানি এ আসনটিতে জয়ী হতে পেরেছিলেন। সেসন তৎকালীন কংগ্রেস নেতাদের নির্বাচন বিধি ভাঙ্গার জন্য বহিষ্কার করেছিলেন। কংগ্রেস নেতা জনপ্রিয় অভিনেতা রাজেশ খান্নাকেও ছেড়ে কথা বলেননি সেসন।

১৯৯০ সালে লালকৃষ্ণ আদভানি গান্ধীনগর আসনে লড়লেও ১৯৯৬ সালে অটল বিহারি বাজপেয়ি এখানে লড়ে জয়ী হন। বাজপেয়ি অবশ্য গান্ধীনগর ছাড়াও অন্য আসনে লড়েও জয়ী হন।

আদভানির ওপর একটি মামলা থাকায় তিনি সেবার নির্বাচনে নামেননি। এরপর ২০১৪ পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে জয়ী হন আদভানি। গুজরাটের ২৬টি আসনের মধ্যে চলতি নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৯.২১ লাখ ভোটার রয়েছেন গান্ধীনগরে। এতে সাতটি বিধানসভা এলাকা রয়েছে-গান্ধীনগর উত্তর, কালোল, সানন্দ, ঘাতোডিয়া, ভেজালপুর, নারানপুরা এবং সাবরমতী।

২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচটি শহুরে আসন- ঘাতোডিয়া, ভেজালপুর, নারানপুরা, সাবরমতী ও সানন্দ- বিজেপির কাছে গিয়েছিল।

তখন গান্ধীনগর উত্তর ও কালোলের দু’টি আধা-গ্রামীণ আসন কংগ্রেস জিতেছিল। গান্ধীনগর উত্তর আসনের বিধায়ক বর্তমান কংগ্রেস প্রার্থী সিজে চ্যাড্ডা এলাকার ঠাকুর সম্প্রদায়ের অন্তর্গত, যাদের বেশ প্রভাব রয়েছে।

রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি একজন ভেটেরিনারি চিকিৎসক ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন, এ ভোট যুদ্ধ কংগ্রেস-বিজেপির মধ্যে। অমিত শাহ ও তার মধ্যে নয়।


চ্যাড্ডা প্রশ্ন তোলেন, যদি অমিত শাহ বিজেপির জাতীয় সভাপতি হন, তবে কেন তিনি গুজরাটের তথাকথিত নিরাপদ আসনটি বেছে নিলেন? চ্যালেঞ্জিং আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারতেন। আমাদের জাতীয় নেতারা সম্প্রতি গান্ধীনগরে এসেছিলেন এবং গান্ধীনগরে একটি বিশাল সমাবেশ করেছেন। সেখানে লাখ লাখ লোক উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ দেখেই বোঝা গেছে, গুজরাটে বিজেপির পক্ষে সবকিছু ঠিকমত চলছে না। আমরা কঠোর লড়াই করবো।

অন্যদিকে, অমিত শাহ সম্প্রতি বলেছেন, যে গান্ধীনগর আসন থেকে নির্বাচনী লড়াই আমি লড়ছি সেখানে বাজপেয়িজি ও আদভানিজি লড়েছেন এবং জিতেছেন। এটি আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমিও এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। এর আগে অমিত শাহ, সারাক্ষেজ আসন থেকে চারবার গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/14/1555239132461.gif
গান্ধীনগরের একটি সড়ক/ছবি: বার্তা২৪.কম

 

২০০৯ সালে দেশের অন্যান্য অংশে বিজেপির পক্ষে প্রচারণা চালাতে জাতীয় দলের নেতা আদভানি ব্যস্ত থাকায় অমিত শাহ তার পক্ষে প্রচারে গান্ধীনগর লোকসভা আসনের দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন।

এ আসনে আপনি কি জয়ী হতে পারবেন এমন প্রশ্নে অমিত শাহ বলেন, বিজেপির জনসমুদ্রের সমাবেশের দিকে তাকান। তারাই বলে দিচ্ছে ফলাফল কি হবে।

এদিকে, গান্ধীনগরে অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কংগ্রেসের সমর্থকদের একটি অংশ বিশ্বাস করে, দলটি একটি শক্তিশালী প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছে। অমিত শাহের নাম ঘোষণার পর কংগ্রেস এখানে শক্তিশালী প্রার্থীর খোঁজার চেষ্টা করে।

কংগ্রেস কর্মী রশিদ খান বলেন, অমিত শাহের বিপক্ষে আমাদের স্থানীয় এমএলএ চ্যাড্ডা একজন শক্তিশালী প্রার্থী। যদিও ১৯৯০ সাল থেকে বিজেপি নেতারা এই আসনে জয়ী হয়ে আসছেন। তবু এখানে প্রাথমিক সমস্যাগুলো হলো বিশুদ্ধ খাবার পানি, সাশ্রয়ী শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং চাকরি। যা প্রভাবিত করবে এবারের নির্বাচনকে।

বিজেপি নেতা ভারত পান্ডে বলেন, এখানে বিজেপির হারার কোনো কারণ নেই। এটি বিজেপির দুর্গ। আমরা জনগণের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করেই যাচ্ছি। জনগণ জানে, পার্টি উন্নয়ন ও নিরাপত্তা দিতে পারে।

   

ফিলিপাইনে তীব্র তাপদাহে নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে না



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিপাইনে তীব্র তাপদাহে সবকিছু ঝলসে যাচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটির কর্তৃপক্ষ বুধবার (২৪ এপ্রিল) কিছু এলাকার স্কুল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে এবং লোকজনকে বাইরে থাকার বিষয় সতর্কতা জারি করেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, মার্চ, এপ্রিল ও মে সাধারণত ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে উষ্ণ ও শুষ্কতম মাস। তবে এই বছর এল নিনোর আবহাওয়ার প্রভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

ম্যানিলার দক্ষিণে ক্যাভিট প্রদেশের একটি সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে কাজ করেন ৬০ বছর বয়সি এরলিন তুমারন।

তিনি বলেন, ‘এত গরম যে, আপনি নিশ্বাস নিতে পারবেন না।’ রিসোর্টটিতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তাপ সূচক ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

এরলিন তুমারন বলেন, ‘এটা আশ্চর্যজনক যে, আমাদের পুলগুলো এখনও খালি। এই গরমে আপনি আশা করতে পারেন যে, লোকেরা এসে পুলগুলোতে সাঁতার কাটবে। কিন্তু মনে হচ্ছে তারা গরমের কারণে বাড়ির বাইরে যেতে নারাজ।’

দেশটির আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বুধবার অন্তত ৩০টি শহর ও পৌরসভায় তাপ সূচক ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি বিপদজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজ্যের আবহাওয়া পূর্বাভাসের প্রধান জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আনা সোলিস বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে তাপ আরো তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সোলিস এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের বাইরে কাটানো সময় সীমিত করতে হবে, প্রচুর পানি পান করতে হবে, বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা ও টুপি ব্যবহার করতে হবে।’

সোলিস বলেন, এল নিনোর কারণে ‘চরম তাপ’ দেশের বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করছে। দেশটির প্রায় অর্ধেক প্রদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে খরায় রয়েছে।

অ্যাপাররি উত্তর পৌরসভায় মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

;

ইউক্রেন-ইসরায়েল সহায়তা ও টিকটক নিষিদ্ধকরণ বিলে বাইডেনের স্বাক্ষর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়া সহায়তা বিল এবং টিকটক নিষিদ্ধকরণ বিলে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশটির সিনেটে বিলগুলো অনুমোদনের পর এটি অপেক্ষায় ছিল বাইডেনের স্বাক্ষরের। অবশেষে তার স্বাক্ষরের পর বিলগুলো চূড়ান্ত আইনে পরিণত হলো।

অনুমোদিত টিকটক বিলের শর্তে বলা হয়েছে, টিকটকের চীনা মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে আগামী নয় মাসের মধ্যে তাদের শেয়ার বিক্রি করতে হবে। নয়তো এই অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে ব্লক করে দেওয়া হবে।

এর আগে মঙ্গলবার ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্য ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন দেয় মার্কিন সিনেট।

এক বিবৃতিতে বিলটি পাস করায় আইনপ্রণেতাদের প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই আইন আমাদের দেশ ও বিশ্বকে আরও বেশি সুরক্ষিত করবে। আমরা আমাদের সেই বন্ধুদের সহায়তা করছি, যারা সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও (রুশ প্রেসিডেন্ট) ভ্লাদিমির পুতিনের মতো স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষায় লড়াই করছে।

এদিকে সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদনের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এটি গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা এবং মুক্ত বিশ্বের নেতা হিসেবে আমেরিকার ভূমিকাকে শক্তিশালী মনে করে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া বিদেশি সহায়তা প্যাকেজে ইসরায়েলে সামরিক ও গাজায় মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মার্কিন মিত্র তাইওয়ানের জন্য ৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কমিউনিস্ট শাসিত চীনকে মোকাবিলায় এই অর্থ সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

;

‘ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকির সম্মুখীন হবে’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলো সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকির সম্মুখীন হবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাকিস্তান সফরকে উদ্দেশ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ মন্তব্য করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

রয়টার্স জানিয়েছে, রাইসির সফরে ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য বাড়ানো নিয়ে আটটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ এপ্রিল) ইসলামাবাদে আকস্মিক সফরে আসেন রাইসি। এ বছরের শুরুতে পাকিস্তান ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলার পর সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ হিসেবে রাইসি পাকিস্তান সফর করেন।

গত সপ্তাহে ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনার মধ্যেই রাইসির এ সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে, ইসলামাবাদ সফরে এসে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন রাইসি। তিনি বাণিজ্য, জ্বালানি, যোগাযোগসহ নানা বিষয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

রাইসির পাকিস্তান সফর ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমঝোতা স্বাক্ষর সই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা ঝুঁকির কথা বলেন।

ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমরা ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি বিবেচনায় নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিই। তবে পাকিস্তান সরকার তাদের নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের কথা জানাতে পারে।’

গত সপ্তাহে চীন ও বেলারুশের তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে ক্ষেপণাস্ত্র যন্ত্রাংশ সরবরাহ করায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, কারণ সেসব এমন উপকরণ ছিল, যা গণবিধ্বংসী অস্ত্র বিস্তারে ভূমিকা রেখেছে।

;

লোকসভায় এনডিএ জোট ২২০টা আসনও পাবে না: কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স) জোট জাতীয় সংসদের লোকসভায় ২শ ২০টা আসনও পাবে না।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভারতের স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এনডিটিভির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সিদ্দারামাইয়া এবারের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রার্থী হবেন না জানিয়ে বলেন, আমার প্রার্থী না হওয়ায় ইন্ডিয়া ব্লক কোনো বেকায়দায় পড়বে না।

তিনি এমন সময় এ মন্তব্য করলেন যখন মাত্র আর দুদিন পর ২৬ এপ্রিল শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপের লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন কর্ণাটকের ২৮টি লোকসভা আসনের ২৪টিতে ভোটগ্রহণ করা হবে।

সিদ্দারামাইয়া বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া ব্লক লোকসভায় ৪শটি আসনে বিজয়ী হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনে লড়ছে। তবে এনডিএ জোট ২শ ২০টি আসনও পাবে না। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখেননি।

এ সময় এনডিটিভিকে তিনি বলেন, বিজেপি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার দল জনতা দলের (ধর্মনিরপেক্ষ) জোটে দেবগৌড়া একজন ‘অপবিত্র’।

 

;