৩০০ আসন পেতে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি!



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে লোকসভা বা সংসদের নিম্নকক্ষে মোট ৫৪৩টি আসন রয়েছে। সরকার গঠন করতে কোনো দল বা জোটের কমপক্ষে ২৭২টি আসন প্রয়োজন।

ছয় ধাপের ভোট শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি প্রধান আমিত শাহ বলতে শুরু করেছেন, তারা এবার ৩০০টিরও বেশি আসনে জয়ী হবেন এবং দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করবেন।

ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ বা লোকসভার নতুন সংসদ গঠনে উদ্দেশ্যে সাত ধাপের এই ভোট উৎসব ১১ এপ্রিল শুরু হয়, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত। ভোট গণনার দিন ২৩ মে।

এই নির্বাচনে বৈধ ভোটার সংখ্যা ৯০ কোটি, যার কারণে এটি বিশ্বের সর্বকালের সর্ববৃহৎ নির্বাচন বলা হচ্ছে।

নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করেছিল।

অমিত শাহ বলেন, ভোটের ছয় ধাপের পর বিজেপি এরই মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অতিক্রম করেছে।

নির্বাচনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ ধাপে এটা স্পষ্ট হয়েছে, বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে এবং সপ্তম পর্যায় অর্থ্যৎ শেষ ধাপে ৩০০ আসন অতিক্রম করবে।

প্রধানমন্ত্রী মোদিও এমনই বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন, ১৫ মে পশ্চিমবঙ্গে এক জনসভায় বক্তব্যে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ৪২ আসনের মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে। আর সারা ভারতে আসনের ক্ষেত্রে এটি ইতিমধ্যে ঘটে গেছে।
নরেন্দ্র মোদি ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে দেড়শর বেশি জনসভা করছেন। তারমধ্যে ৪০ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা এবং উত্তর প্রদেশে তিনি জনসভা করেছেন।

অর্থাৎ এ তিনটি প্রদেশকে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন। বিজেপি মনে করছে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে এ তিনটি রাজ্যেকে কেন্দ্র করে। পশ্চিমবঙ্গ ৪২, উড়িষ্যা ২১ এবং উত্তর প্রদেশে ৮০ মোট ১২৩টি আসনে গুরুত্বপূর্ণ।

পশ্চিমবঙ্গে কোনো জোট হয়নি। উত্তর প্রদেশে বিজেপি বড় কোনো দলের সঙ্গে জোট করেনি। উড়িষ্যাতেও একই অবস্থা

এক সংবাদ সম্মেলনে অমিত শাহ বলেন, ‘আপনি (মিডিয়া) যদি আমাকে প্রশ্ন করেন, আমরা কত আসন জিতব। আমি সারাদেশ ভ্রমণ করেছি এবং জনপ্রিয়তার দিকে তাকিয়ে বলছি, আমি নিশ্চিতভাবেই নিশ্চিত যে বিজেপি পঞ্চম এবং ষষ্ঠ পর্বের নির্বাচনের পরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অতিক্রম করেছে। সপ্তম পর্বে ৩০০ আসন ছাড়িয়ে যাবে এবং এনডিএর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবার সরকার গঠন করবেন।

ভারতে ২৯টি প্রদেশ। ২০১৪ সালের সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে কংগ্রেস ৫৪৩টি আসনের মধ্যে মাত্র ৪৪টি পায়।
আর দলটি প্রায় আড়াইশ আসনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। অর্থাৎ ভারতের শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ নির্বাচনী আসনে কংগ্রেস এখনও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।

এখনো সর্বভারতীয় দল বলতে কংগ্রেস এবং বিজেপি। ১০টি রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে নিশ্চিতভাবেই ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে কংগ্রেস। এগুলো হল- আসাম, ছত্তিশগড়, গুজরাত, হরিয়ানা, কর্ণাটক, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান ও পাঞ্জাব। এই ১০ প্রদেশে রয়েছে লোকসভার ২২৪ আসন। এগুলোর মধ্যে গতবার কংগ্রেস মাত্র ২৯টি পায় এবং ১৫৪টিতে দ্বিতীয় হয়।

২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট আর এবারের প্রেক্ষাপট এক নয়। এমতাবস্থায় বিজেপি কিভাবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তা লক্ষ্য করার বিষয়। বিজেপি ও তার জোট গত জাতীয় নির্বাচনে ৩৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এবার বেশ কিছু রাজ্যে ভোট দেওয়ার হার কমে যাওয়া বিজেপিকে চিন্তায় ফেলেছে। বিশেষ করে যে রাজ্যগুলোতে বিজেপি নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিজেপি ও কংগ্রেসের বাইরে ভারতের প্রায় সব দলই আঞ্চলিক। এর মধ্যে কমিউনিস্টদের সর্বভারতীয় কিছু সাংগঠনিক কাঠামো থাকলেও কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও বিহারের বাইরে তাদের নির্বাচনী কোনো শক্তি নেই বললেই চলে। তারাও চাইছে মোদি হারুক। আঞ্চলিক শক্তিধর দলগুলো চাইছে মোদি হারুক। কংগ্রেস তো আছেই। এত চাওয়ার মাঝেও বিরোধীদলগুলোর অনৈক্য মোদির জন্য একটি আশার আলো।

কমিউনিস্টরা অনেক প্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়তে পারেনি। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ ও উরিষ্যাতেও কংগ্রেস একা। এ রাজ্যগুলোতে আঞ্চলিক দল শক্তিশালী। তাদের সঙ্গে কংগ্রেসের মোদি বিরোধীতায় মিল থাকলেও একসঙ্গে পথচলায় খুব একটা বোঝাপড়া নেই। এমতাবস্থায় নির্বাচন শেষে যদি দেখা যায় মোদির বিরুদ্ধে সরকার গঠন সম্ভব, তখন হয়ত তারা রাহুলকে সমর্থন দেবেন। আবার গড়ে বিরোধীদের আসন সংখ্যা সরকার গঠনের কাছাকাছি হলে তখন নানা শর্তের বেড়াজাল সামনে আসবে। তখন হয়ত, মোদি তাদের কারো সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে চমক দিতে পারেন।

এবারের নির্বাচনে রাজনৈতিক দোলাচল বিরাজ করছে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র প্রদেশে। ৬৪টি আসন সমৃদ্ধ এই দুই রাজ্যে কংগ্রেসের ফল ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এই দুই প্রদেশে তারা স্থানীয় শক্তিশালী দলগুলোর হাত ধরেছে। তামিলনাড়ুতে ডিএমকে এবং অন্ধ্রে টিডিপি।

তবে নির্বাচনের গতি-প্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে, কংগ্রেস যদি গত নির্বাচনে প্রাপ্ত আসনসংখ্যা ৪৪-এর সঙ্গে আরও প্রায় ১০০টি আসন যুক্ত করতে না পারে, তাহলে তাদের ক্ষমতাসীন হওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই। আবার একই সঙ্গে ১০০টি আসন পাওয়া কংগ্রেসের জন্য বেশি কঠিন এটাও জোর দিয়ে বলা যায় না। সবকিছু জানা যাবে ২৩ মে। কিন্তু ততদিন তো চাপানউতোর চলবেই।

   

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ৯



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল ফ্রান্সিস ওমন্ডি ওগোল্লাসহ শীর্ষস্থানীয় ৯ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে এই খবর জানিয়েছে বিবিসি, এএফপিসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।

;

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোয় ইরানের ড্রোন কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) একযোগে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে ইহুদি রাষ্ট্রটির ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত দেশ দুটি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের ইউএভি (ড্রোন) উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ১৬ ব্যক্তি এবং ২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এরা ইরানের শাহেদ ড্রোন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত। ওই ড্রোন ১৩ এপ্রিলের হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যও ইরানের ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত দেশটির সামরিক বাহিনী-সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।

শনিবার রাতে ইসরাইলে প্রত্যাশিত ও অভাবনীয় হামলা চালায় ইরান। ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরাইলের বিমান হামলায় কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা নিহতের প্রতিশোধ হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়।

বড় ধরনের এই হামলায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইরান। এগুলোর বেশির ভাগই আকাশে ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরায়েল। এই হামলা রুখতে ইসরায়েলকে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান।

এই হামলার জবাবে ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, নিজেদের সুরক্ষার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে।

;

হারিয়ে যাওয়া প্রাণী

২৫ মিটার লম্বা নতুন প্রজাতির সামুদ্রিক সরীসৃপের সন্ধান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যের সমুদ্রের তীরে ২৫ মিটার লম্বা অতি দীর্ঘাকৃতির সামুদ্রিক সরীসৃপের ফসিল পাওয়া গেছে। এই প্রাণীটি ২শ ২ মিলিয়ন বছর আগে ডাইনোসরের পাশাপাশি এই পৃথিবীতে বাস করতো। গণবিলুপ্তির মুখে পড়ে একসময় পৃথিবী থেকে হারিয়ে যায় তারা।

২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের সমারসেট সমুদ্রের তীরে এক ফসিল-গবেষক প্রথম এটির সন্ধান পান। এরপর ২০২০ সালে ওই সমুদ্রে তীরে বাবা ও মেয়ে বেড়াতে গিয়ে আরেকটি হাড়ের ফসিল খুঁজে পান।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, সামুদ্রিক এই সরীসৃপ সাঁতার জানতো না। দুটো বাস মুখোমুখি রাখলে যতটা লম্বা দেখায়, এই প্রাণীটি ছিল তার চেয়েও লম্বা।

এ বিষয়ে ইউনির্ভাসিটি অব ব্রিস্টল প্লিয়নটোলজিস্ট (প্রাণী বা গাছের ফসিল গবেষক) ডা. ডিন লোম্যাক্স বুধবার (১৭ এপ্রিল) প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে জানান, সরীসৃপ জাতীয় সামুদ্রিক এই প্রাণীটি নীল তিমির মতোই লম্বা। বলা চলে ২৫ মিটার। তিনি বলেন, প্রাণীটির চোয়ালের দুটি হাড় পাওয়া গেছে। এর একটি এক মিটারের চেয়েও লম্বা। অপরটি লম্বায় দুই মিটার। এর ভিত্তিতেই বলা যেতে পারে, এটি ২৫ মিটার লম্বা ছিল।

তবে তিনি তার লেখায় এটাও উল্লেখ করেন, শুধুমাত্র চোয়ালের হাড় দেখেই প্রাণীটির আকৃতি সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা পাওয়া যায় না; অনুমান করা যায় মাত্র। এ জন্য প্রাণীটির মস্তিষ্ক এবং কঙ্কাল পাওয়া প্রয়োজন।

ডা. ডিন লোম্যাক্স জানান, বিশালাকৃতির এই সামুদ্রিক প্রাণী গণভাবে বিপন্ন হয়ে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যায়। এরপর বিশালাকৃতির শরীর নিয়ে তারা আর ফিরে পৃথিবীতে ফিরে আসেনি।

২০১৬ সালে ফসিল-গবেষক পল ডি লা স্যালি সমারসেট সমুদ্র তীরে বিশালাকৃতির চোয়ালের একটি হাড় খুঁজে পান। তিনি ফসিল বিশেষজ্ঞ স্টিভ ইচেজের কাছে ফসিল বিষয়ে হাতেখড়ি হওয়ার ২৫ বছর পর এই বিশালাকৃতির সরীসৃপের চোয়ালের একটি হাড় খুঁজে পান। এই সময় ডি লা স্যালি তার স্ত্রীকে নিয়ে সমুদ্র তীরে ফসিল খুঁজে ফিরছিলেন।

এরপর তিনি ২০১৮ সালে যখন ডিন লোম্যাক্সের সঙ্গে তার পাওয়া চোয়ালের হাড়টি নিয়ে আলোচনা করেন। তখনই জানা যায় যে, তারা একটি বড় ধরনের একটি আবিষ্কার করে ফেলেছেন। তারা তাদের প্রাপ্ত উপাত্ত নিয়ে একটি গবেষণা প্রবন্ধ লেখেন।

প্রাণীটি আসলে লম্বা বা আকৃতিতে কত বড়, সে সম্পর্কে তথ্য পেতে তারা অনুসন্ধান শুরু করেন। ডিন লোম্যাক্স বলেন, ২০২০ সালে বাবা জাস্টিন ও মেয়ে রুবি রেনোল্ডস এ বিষয়ে বড় কিছু আবিষ্কার করে ফেলেন।

বিশালাকৃতির সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীটির নামকরণ করা হয়েছে Ichthyotitan severnensis

তিনি বলেন, আমি সত্যি সত্যি ভীষণভাবে অভিভূত হয়ে যাই, বাবা ও মেয়ের এই আবিষ্কারে। তিনি বলেন, পল ডি লা স্যালি যেভাবে বলেছিলেন, চোয়ালের দ্বিতীয় হাড়টি ঠিক সেভাবেই পাওয়া গেছে।

তাদের এই খবর জানার পর পল সমারসেট সমুদ্রে তীরে ছুটে আসেন এবং তার সহযোগিতায় সেখানকার মাটি খুঁড়তে শুরু করি। প্রায় একঘণ্টার চেষ্টায় শক্ত কিছু একটা খুঁজে পাই। তারপর দেখি, প্রাণীর চোয়ালের হাড়টি একদম ঠিকঠাক মতো সুরক্ষিত রয়েছে।

২০২২ সালে গবেষক দলটি হাড়ের শেষ টুকরোটির সন্ধান পান। এই আবিষ্কার প্রাণীটির প্রকৃত আকৃতি সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা দেয়। তারা বলেন, এই প্রামাণ্য উপাত্ত নতুন একটি প্রজাতি ‘ইচথিওসোর’ সম্পর্কে ধারণা দেয়। তখন এটির নামকরণ করা হয়, ‘ইচথিওটিটান সেভারনেনসিস (Ichthyotitan severnensis) বা দ্য সেভার্নের বিশালাকৃতির লেজওয়ালা মাছ।

রুবি রেনোল্ডসের সহলেখক ডিন সর্বশেষ গবেষণাপত্রে জানান, এই প্রজাতির প্রাণীর নাম একসময় ‘রুবি’ হয়ে যেতে পারে। আবিষ্কৃত এই প্রাণীটির ফসিল খুব শিগগিরই ব্রিস্টল মিউজিয়াম অ্যান্ড আর্ট গ্যালারিতে সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

;

ধীরে ধীরে পুনরায় চালু হচ্ছে দুবাই বিমানবন্দর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং প্রতিবেশী দেশগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় দুবাই বিমানবন্দরের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত রয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টির কারণে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্ব হচ্ছে এবং উড়োজাহাজ অবতরণ করতে পারছে না বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ফ্লাইট নামা শুরু হলেও পুরো বিমানবন্দর অনেকটাই অচল। বিদেশি যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত ১ নম্বর টার্মিনালে উড়োজাহাজ অবতরণ করছে। তবে ফ্লাইটের উড্ডয়ন এখনও বিলম্বিত আছে।

বিভিন্ন মহাদেশের মধ্যে ফ্লাইট চলাচলের সংযোগের প্রধান কেন্দ্র দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। গত বছর ৮ কোটির বেশি যাত্রীকে সেবা দিয়েছিল এ বিমানবন্দর। যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা বিমানবন্দরের পরই ব্যস্ততম এ বিমানবন্দরের অবস্থান।

এদিকে মঙ্গলবারের বৃষ্টিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস্তা এবং ব্যস্ত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অংশগুলি প্লাবিত করেছে। আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ওমানে ২০ জন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে একজন নিহত হয়েছে।

দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘বৃষ্টির কারণে পানি জমে যাওয়ায় ফ্লাইট বিলম্ব হচ্ছে এবং বিমানবন্দরগামী উড়োজাহাজ অবতরণ করতে পারছে না। আমরা এই কঠিন পরিস্থিতিতে যতটা দ্রুত সম্ভব বিমানবন্দরের কাজকর্ম শুরুর চেষ্টা করছি।’

মঙ্গলবার দুবাই বিমানবন্দরগামী বা বিমানবন্দর ত্যাগের অপেক্ষায় থাকা ৫০০ এর বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বুধবার, প্রায় ৩০০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং আরও শতাধিক দেরি হয়েছে।

দুবাইয়ের সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ কোম্পানি এমিরেটাস জানিয়েছে, দুবাইয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তাদের সব ফ্লাইটের যাত্রীদের চেক-ইন বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক্স-এ পোস্ট করে কর্মকর্তারা যাত্রীদের বুকিং নিশ্চিত করলেই বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।

দুবাই বিমানবন্দরের প্রধান পল গ্রিফিথস বলেছেন: "এটি একটি অবিশ্বাস্যভাবে চ্যালেঞ্জিং সময়। জীবন্ত স্মৃতিতে, আমি মনে করি না যে কেউ এর মতো পরিস্থিতি দেখেছে।"

অ্যান উইং নামে একজন ব্রিটিশ পর্যটক- যিনি তার স্বামী এবং তিন সন্তানের সঙ্গে লন্ডনে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন, বলেছেন: ‘এটি ভয়ঙ্কর, আমরা পশুদের মতো গাদাগাদি করে অবস্থান করছি - এটি বিপজ্জনক এবং অমানবিক।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘ বিমানবন্দরে কোনো খাবার নেই, ফলে তার পরিবার দুপুরের খাবার খেতে পারেনি এবং কর্তৃপক্ষ শুধু কয়েক বোতল পানি দিয়েছিল তাদের।’

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্যার পানিতে বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার সমস্ত রাস্তা বন্ধ থাকায় আটকে পড়া যাত্রীদের খাবার পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আমিরাতের ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটিওরোলজি তথ্যানুসারে, মঙ্গলবার রাত ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশটিতে ৭৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ১৯৪৯ সালে তথ্য সংগ্রহ শুরু হওয়ার পর থেকে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে এবং সারা দেশের অসংখ্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রভাব পড়েছে।

রেকর্ড বর্ষণের ফলে দেশটির প্রধান মহাসড়কগুলোর কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে এবং দুবাইজুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টির কারণে বাসিন্দারা তাদের গাড়ি রাস্তায় পরিত্যাগ করতে বাধ্য হন।

এদিকে দুবাইয়ের রোডস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (আরটিএ) ভারী বৃষ্টির কারণে লাল এবং সবুজ লাইনের বেশকিছু মেট্রো স্টেশন এবং অভ্যন্তরীণ বাস সার্ভিস সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে।

;