পশ্চিমবঙ্গে একজন ছাড়া সব বাম প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঐতিহাসিক জয়ে ভেস্তে গেছে বিরোধীদের সব হিসাব-নিকাশ। দু’হাত উজাড় করে মোদী তথা বিজেপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট এনডিএকে ভোট দিয়েছেন ভারতবাসী।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। গত ১০ বছরে বিজেপির ৩৪ শতাংশ ভোট বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গে।

পশ্চিমবঙ্গে ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত টানা ৩৪ বছর শাসন করেছে সিপি(আই)এম-এর নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট। গত মেয়াদে তারা দু’টি আসন পেলেও এবার খাতা শূন্য। বামফ্রন্ট থেকে এবার একটি আসনেও কেউই জেতেনি।

পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট শুধু হারেইনি, বরং যাদবপুর কেন্দ্রের সিপি(আই)এম-এর প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ছাড়া আর সবার জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যাদবপুর কেন্দ্রে বিকাশরঞ্জন পেয়েছেন ২১.০৪ শতাংশ ভোট।

ভারতের এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামানতের ২৫ হাজার টাকা ফেরত পেতে ন্যূনতম ১৬.৬ শতাংশ ভোট প্রয়োজন হয়। কিন্তু বিকাশরঞ্জন ছাড়া কেউই এ ভোট পাননি। শুধু তাই নয়, রায়গঞ্জের প্রার্থী মহম্মদ সেলিম (১৪.২৫ শতাংশ), দমদমের প্রার্থী নেপালদেব ভট্টাচার্য (১৩.৯১ শতাংশ), কলকাতা দক্ষিণের প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায় (১১.৬৩ শতাংশ) ও মুর্শিদাবাদের প্রার্থী বদরুদ্দোজা খান (১১.৬৩ শতাংশ) ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছাতে পারেননি। গত ছয় দশকে এটাই তাদের সর্বোচ্চ ফল বিপর্যয়। এক সময়ের বামদের দুর্গ এবার ভেঙ্গে পড়েছে।

সারাদেশে এবার বামফ্রন্ট মোট পাঁচটি আসন পেয়েছে। এর মধ্যে তামিলনাড়ুতে চারটি ও কেরালায় একটি আসন পেয়েছে। ১৯৫২ সালের পর এবারই পুরো ভারতে বামফ্রন্ট দু্ই অঙ্কেরও কম আসন পেয়েছে। ২০১৪ সালে তাদের সবচেয়ে ফল বিপর্যয়ের সময়ও ১২টি আসন পেয়েছিল। আর ২০০৯ সালে পেয়েছিল ৫৯টি আসন।

এবার গেরুয়া নামক সাইক্লোন ভারতের সব শিবির লণ্ডভণ্ড করে দিলেও বামদের এক রকম নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে গেছে।

   

রাজহাঁসের নৌকায় ভালুকের দল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলের দক্ষিণ-পশ্চিমে বেডফোর্ডশায়ার কাউন্টিতে ওবার্ন সাফারি সম্প্রতি প্রবল বৃষ্টিতে ১৩ একর জমিতে পানি জমে সাফারি পার্কে ছোট্ট একটি হ্রদের মতো সৃষ্টি হয়েছে। এটি দেখে ওবার্ন সাফারি পার্কের তত্ত্বাবধায়কেরা ভালুকের বিচরণ এলাকায় জলের উপর একটি রাজহাঁস প্যাডালো নৌকা ভাসানোর সিদ্ধান্ত নেন। আর সেই নৌকায় চড়ে বসে একদল কালো ভালুক।

পার্কের মাংসাশী প্রাণী বিভাগের উপপ্রধান টমি বাবিংটন বলেন, নিজেদের এলাকায় হ্রদের মধ্যে এমন রাজহাঁসের মতো নৌকা ভাসতে দেখে কৌতূহলী হয়ে মনে হয় এতে চড়ে বসেছে ভালুকের দল। এই জিনিস কী, তা জানতে এতটুকুও সময় নষ্ট করেনি তারা।

রাজহাঁসের নৌকায় কৌতূহলী ভালুক

টমি আরও বলেন, ‘এ বছর এত বেশি বৃষ্টি ছিল যে কালো ভালুকের বিচরণ এলাকায় একটি নতুন ছোট হ্রদের সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমরা এটিকে তাদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করেছি।’

ভালুক স্বভাবজাতভাবেই বেশ উৎসুক প্রকৃতির। আর এরা যেন সেটি বজায় রাখতে পারে, সে ধরনের সব চেষ্টা করে যাবেন সাফারি কর্মীরা। সেই বোটে ওঠা চার ভালুকের মধ্যে দুটি ভাই ও দুটি বোন। এদের নাম হার্ভার্ড, ম্যাপল, কলোরাডো ও আসপেন।

উত্তর আমেরিকার বনে সচরাচর কালো ভালুক দেখা যায়। এরা দৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ ছয় ফুট তিন ইঞ্চি ও ওজনে ৩০০ কিলোগ্রাম হয়ে থাকে।

;

বাল্টিমোর ব্রিজ ধস: ডুবে যাওয়া ট্রাক থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর পোতাশ্রয়ে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজ 'দ্য ডালির' ধাক্কায় সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় ডুবে যাওয়া একটি লাল রঙয়ের ট্রাকের মধ্যে থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে অনুসন্ধানকারীরা।

বাকিদের অনুসন্ধানে উদ্ধার কাজ এখনো চলছে বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার হওয়া দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন এল সালভাদরের নাগরিক মিগুয়েল লুনা অন্যজন হন্ডুরাসের নাগরিক মেনর সুয়াজো স্যান্ডোভাল।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহাজটি যখন সেতুতে আঘাত করে তখন ওই সেতুতে আটজন নির্মাণ শ্রমিক কাজ করছিলেন। ওই দিনই ডুবুরীরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর বাকী চারজন ইতোমধ্যেই মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ নদীর ঠাণ্ডা পানিতে এত দীর্ঘসময় ধরে টিকে থাকা অসম্ভব।

এর আগে গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) মেরিল্যান্ড স্টেট পুলিশ এক প্রেস কনফারেন্সে মৃত দুই ব্যক্তির পরিচয়ের কথা জানায়। তাদের একজন মেক্সিকান নাগরিক আলেজান্দ্রো হার্নান্দেজ ফুয়েন্তেস (৩৫) ও গুয়াতেমালার নাগরিক ডোরলিয়ান রনিয়াল ক্যাস্টিলো ক্যাব্রেরা (২৬)।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনার পর ব্রিজে থাকা অনেক যানবাহন নদীতে পড়ে যায়। ওই যানবাহনগুলোর মধ্যে অনেক মানুষ থাকতে পারে। এতে বহু ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। নদীতে এখন কংক্রিট ও সেতুর ধ্বংসাবশেষ থাকায় ডুবুরিরা আর পানিতে নিরাপদে চলাচল করতে পারছে না। তাই, তারা এখন সোনার স্ক্যান বা শব্দ সংকেত ব্যবহার করছেন। তারা মনে করছেন, সেতু ধসের সময় যে গাড়িগুলো নদীতে পড়ে গিয়েছিলো, সেগুলো সেতুর এই “সুপারস্ট্রাকচার এবং কংক্রিটে আবদ্ধ” রয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর পোতাশ্রয়ে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজ দ্য ডালির ধাক্কায় সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে উল্লেখযোগ্য বাধার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাল্টিমোর বন্দর দিয়ে মূলত মার্কিন ব্র্যান্ডের গাড়ি, ইউকে, ইইউ ব্র্যান্ড, জেনারেল মোটরস এবং ফোর্ড থেকে (জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার), নিসান, ফিয়াট এবং অডি আমদাসি-রফতানি করা হয়েছে।

এছাড়া, বাল্টিমোর তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) একটি উল্লেখযোগ্য রফতানিকারক। যার প্রভাব যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর পড়বে।প্রতি মাসে প্রায় অর্ধ মিলিয়ন টন এলএনজি বাল্টিমোর ছেড়ে যায়।

;

গাজার ২৪টি হাসপাতাল অকার্যকর: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় সংস্থা (ওসিএইচএ) বলেছে, গাজা উপত্যকার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে অন্তত ২৪টি অকার্যকর।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম তাস।

ওসিএইচএ-এর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান যুদ্ধ এবং সরবরাহ সীমাবদ্ধতার কারণে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। যার ফলে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক হাসপাতাল যা পরিষেবার বাইরে চলে গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে ২৭ মার্চ গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে ২৪টি অকার্যকর। দুটি উত্তর গাজায় ন্যূতমভাবে কার্যকরী এবং গাজায় চারটি এবং দক্ষিণ গাজায় ৬টিসহ মোট ১০টি আংশিকভাবে কার্যকরী।

আল-আকসা মসজিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসাবে হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। হামাসের এই হামলার প্রতিশোধ নিয়ে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে। ইসরায়েল ২৩ লক্ষ ফিলিস্তিনিদের আবাসস্থল গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণ অবরোধ ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি লেবানন ও সিরিয়ার কিছু অংশে বিমান হামলা শুরু করে।

;

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। উইন রোজারিও (১৯) নামের ওই যুবককে নিজ বাসায় গুলি করে পুলিশ।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৭ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে নিউইয়র্কের কুইন্স শহরে নিজ বাসায় পুলিশ রোজারিও নামের ওই যুবককে গুলি করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

রোজারিও মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। তার পরিবার ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হয়েছিল।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গুলিতে নিহত হওয়ার আগে ওই যুবক সাহায্যের জন্য ৯১১ নম্বরে ফোন করেছিলেন। পরে পুলিশ সেখানে গেলে ওই যুবক কাঁচি নিয়ে পুলিশ অফিসারদের দিকে তেড়ে আসেন। পরে আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিল, দুজন কর্মকর্তা মানসিক সমস্যায় ভোগা এক ব্যক্তির ৯১১ নম্বরে ফোনকল পেয়ে প্রতিক্রিয়ায় অ্যাপার্টমেন্টে যায়। সেখানে পরিস্থিতি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ এবং বিপজ্জনক ছিল। অ্যাপার্টমেন্টে যাওয়ার পর পুলিশ কর্মকর্তারা রোজারিওকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি ড্রয়ার থেকে কাঁচি বের করে কর্মকর্তাদের দিকে ধেয়ে আসেন। পরে কর্মকর্তারা রোজারিওর ওপর গুলি করেন। এই পরিস্থিতেতে আত্মরক্ষা করার জন্য গুলি করা ছাড়া উপায় ছিল না।

নিহত রোজারিওর ভাই ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন, মা রোজারিওকে আটকাচ্ছিলেন, কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তাদের গুলি করার দরকার ছিল না। প্রথমত, দুজন পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন। আমার মা আগে থেকেই আমার ভাইকে ধরে রেখেছিলেন, তাই তিনি তাদের ওপর আক্রমণ করতে পারতেন না। আমি মনে করি না একটি কাঁচি দুজন পুলিশ কর্মকর্তার জন্য হুমকি ছিল।

তিনি আরও বলেন, তার ভাই দুই বছর আগে ওজোন পার্কের জন অ্যাডামস হাই স্কুল থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন এবং সম্প্রতি মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছিলেন।

;