ডাস্টবিনে নবজাতকের কান্না, টুইটারের মাধ্যমে দত্তক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ডাস্টবিনে কুঁড়িয়ে পাওয়া শিশু পিহুর সাথে সাংবাদিক বিনোদ কাপ্রি ও সাক্ষী জোশি/ ছবি: সংগৃহীত

ডাস্টবিনে কুঁড়িয়ে পাওয়া শিশু পিহুর সাথে সাংবাদিক বিনোদ কাপ্রি ও সাক্ষী জোশি/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনোদ কাপ্রি, ভারতের নয়াদিল্লিভিত্তিক একজন চলচ্চিত্র পরিচালক ও সাংবাদিক। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার চেক করা তার অভ্যাস।

শুক্রবার (১৪ জুন) সকালেও অভ্যাসমতো মোবাইল হাতে নিয়ে টুইটারের পোস্টগুলো চেক করেছিলেন। হঠাৎ তার দৃষ্টি পড়ে একটি ভিডিও কন্টেন্টের উপর। ভিডিওটিতে তিনি ডাস্টবিনে সদ্যপ্রসূত এক নবজাতককে চিৎকার করে কাঁদতে দেখেন।

দৃশ্যটি তাকে প্রচণ্ড নাড়া দেয়, সঙ্গে সঙ্গে বিনোদ কাপ্রির চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। কাপ্রি ভিডিওটি তার সাংবাদিক স্ত্রী সাক্ষী জোশিকে দেখান। সেও খুব বিমর্ষ হয়ে পড়েন। শিশুটির কান্না সহ্য করা অসম্ভব-তাই পুরো ভিডিওটা দেখা যাচ্ছিল না।

তারা দুইজন তখন ভাবতে থাকেন, তাদের কী করা উচিত এবং তখনই সিদ্ধান্ত নেন, যেকোনোভাবে বাচ্চাটাকে দত্তক নেবেন তারা।

বিনোদ কাপ্রি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিনিধিকে বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমাদের কাছে শিশুটির কোনো ঠিকানা জানা ছিল না। ভিডিওটি সত্যি কি-না তাও নিশ্চিত হতে পারছিলাম না। কারণ, এর আগে অনেক ফেইক ভিডিও সম্পর্কে আমাদের ধারণা ছিল।’

তখন জোশি টুইটারে ভিডিওটি শেয়ার করে তার ফলোয়ারদের কাছে শিশুটি সম্পর্কে তথ্য জানতে চান। কোন এলাকার ডাস্টবিনে শিশুটির ভিডিও ধারণ করা হয়েছে তাও জানতে চান।

জোশি বলেন, ‘মেয়ে শিশুটিকে রাজস্থানে খুঁজে পাওয়া যায়। আর তার খোঁজ পেতে টুইটার বড় ভুমিকা পালন করে।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকেরই তার নিজস্ব মতাদর্শ ও মতামত রয়েছে। কিন্তু এখানে মানবতা কাজ করেছে। তাতে বোঝা যায় বিশ্বে এখনও মানবতা রয়েছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/18/1560873727393.jpg

শিশুটি এখন রাজস্থানের নাগৌর শহরের জওহরলাল নেহেরু (জেএলএন) হাসপাতালে ডা. আর কে সুতোর তত্ত্বাবধানে রয়েছে। শিশুটি এখন ভালো আছে, তার ওজন এক কেজি ৬০০ গ্রাম। শিশুটির জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে টুইট করেছেন বিনোদ কাপ্রি।

এর আগে ডাস্টবিনে পরিত্যক্ত শিশুটিকে বিনোদের সাবেক সহকর্মী রাহুল চৌধুরী উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন।

পরে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেন বিনোদ কাপ্রি ও সাক্ষী জোশি। ডাক্তার এ সময় তাদের কাছে শিশুটি দত্তক নেওয়ার কারণ জানতে চান। এই দম্পতির আবেগ ও অনুভূতির বিষয়টি আঁচ করতে পারেন ডাক্তার। পরে ডাক্তার জানান শিশুটি ভালো আছে। শুধু তার ওজনের বিষয়টি নজরে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে রাজস্থানে শিশুটিকে নিতে আমন্ত্রণ জানান ডা. আর কে সুতোর।

শনিবার (১৫ জুন) ৫০০ কিলোমিটার দূরে রাজস্থানের নাগৌরে রওনা দেন বিনোদ কাপ্রি ও সাক্ষী জোশি।

শিশু দত্তক নেওয়ার ব্যাপারে কোনো আইডিয়া ছিল না- এজন্য তারা গবেষণা শুরু করেন। এরপর ভারতের দত্তক নেওয়ার আইন সম্পর্কে ভালো করে জেনে দুইজনে মেডিকেল চেকআপ করে, একটি আবেদন ফরম পূরণ করেন। এরপর অন্যান্য নিয়মাবলি সম্পন্ন করে শিশুটিকে দত্তক নেন।

সম্প্রতি বাবা দিবসে বিনোদ কাপ্রি একটি ছবি শেয়ার করেন। সেখানে তাদের সুখী পরিবার বলে উল্লেখ করেন। মেয়ে শিশুটির নাম ‘পিহু’ দেওয়া হয়েছে। টুইটার বন্ধুদের দেওয়া নাম থেকে নামটি বাছাই করা বলে গণমাধ্যমকে জানান বিনোদ কাপ্রি।

সেই সঙ্গে সবাইকে ধন্যবাদ জানান, শিশুটিকে খুঁজে পাওয়ার জন্য।

   

মোদি এবং রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধিভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।

এ ছাড়াও এ বিষয়ে কংগ্রেস এবং বিজেপির সভাপতিকে নোটিশ পাঠিয়ে দুই দলের দুই তারকা প্রচারককে সাবধান করার জন্যও বলেছে কমিশন।

শুধু তাই নয়, মোদি এবং রাহুলকে কী বলে সাবধান করা হলো, সেটা চিঠি লিখে জানানোর নির্দেশও দিয়েছে কমিশন। একই সঙ্গে ওই চিঠিতে বিজেপি এবং কংগ্রেসকে দল এবং দলের তারকা প্রচারকদের দায়িত্বও মনে করিয়ে দিয়েছে নির্বাচনী সংস্থাটি।

এনডিটিভি জানিয়েছে, মোদি এবং রাহুল-উভয়ের বিরুদ্ধেই ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশও জমা পড়েছে।

গত রবিবার (২১ এপ্রিল) ভোটপ্রচারের জন্য রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় একটি জনসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন মোদি। সেখানে গিয়ে তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন যে, কংগ্রেস তার ইস্তাহারে দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

তিনি বলেছিলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং অতীতে বলেছিলেন, দেশের সম্পদে সর্বাগ্রে অধিকার মুসলিমদের। সেই কারণেই সমীক্ষা করার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। যাতে দেশবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ মুসলিম এবং অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া যায়।’

এর পরে সোমবার উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে গিয়ে মোদি বলেছিলেন, ‘কংগ্রেসের নজর আপনার সম্পত্তির উপরে। ক্ষমতায় এলে এরা মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে।’

এদিকে, সম্প্রতি হায়দরাবাদে কংগ্রেস নেতা রাহুল মন্তব্য করেন যে, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কোন শ্রেণির হাতে কত সম্পদ আছে, তা আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা করে দেখবে। সেই মন্তব্যের রেশ ধরেই বাঁশওয়াড়া এবং আলিগড়ে ওই মন্তব্য করেন মোদি। মোদির সেই মন্তব্যের নিন্দায় সরব হয় কংগ্রেস এবং বামেরা। কমিশনের কাছে অভিযোগও জমা দেন তারা।

অন্যদিকে, রাহুলের বিরুদ্ধে ভাষা এবং অঞ্চলের ভিত্তিতে ঘৃণা ও বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপিও। পদ্মশিবিরের অভিযোগ, দেশের দারিদ্র বৃদ্ধি নিয়ে রাহুল যে দাবি করে চলেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাহুলের বিরুদ্ধে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করার অভিযোগও তোলে বিজেপি।

;

গণকবরের বিষয়ে ইসরায়েলের কাছে জবাব চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের অবরোধে ধ্বংস হওয়া গাজার দুটি হাসপাতালে গণকবর আবিষ্কারের পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে জবাব চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

খবরটি বুধবার (২৪ এপ্রিল) রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।

গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, ২৪ এপ্রিল স্বাস্থ্যকর্মীরা খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যার শিকার এবং গণকবরে প্রায় ৩৪০ জনের মরদেহের সন্ধান পেয়েছেন।

গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের চত্বরেও দুটি গণকবরে প্রায় ৩০টি মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জবাব চাই। আমরা এটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত দেখতে চাই।’

গণকবরগুলো আবিষ্কারের ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থনে পরিস্থিতির স্বাধীন তদন্তে জাতিসংঘের দাবি জোরালো হচ্ছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর নাদাভ শোশানি বলেছেন, ‘নাসেরের কবরটি কয়েক মাস আগে গাজাবাসীরা খনন করেছিল।’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, ফিলিস্তিনিদের দেওয়া কবরের মরদেহগুলো জিম্মিদের সন্ধানকারী সেনারা পরীক্ষা করেছিল। তবে এই হত্যাকান্ডের পেছনে ইসরায়েলের সেনারা ছিল এমন অভিযোগের ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি তিনি।

গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় চলমান যুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে সুরক্ষা পাওয়া হাসপাতালগুলো বারবার ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের শিকার হয়েছে।

উল্লেখ্য, হামাস পরিচালিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক নির্বিচার এই হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৩৪,২৬২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।

;

তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। অবস্থার অবনতি হয়ে বিপজ্জনক মাত্রায় তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি হয়েছে বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ। জাতিসংঘ সংস্থা এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুদান, বুর্কিনা ফাসো, সোমালিয়া এবং মালির লোকেরা সম্ভবত ২০২৩ সালে তীব্রভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে।

২০১৯ সালের শেষের দিকে যখন করোনাভাইরাস আঘাত হানে, তখন ৫৫টি দেশের ওপর বৈশ্বিক খাদ্য সংকট নিয়ে করা গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন উদ্বেগজনক হারে খাদ্য সংকটে ভুগছিল। ঠিক পরের বছরই এ সংখ্যা পাঁচজনের মধ্যে একজনে চলে আসে।

২০২৩ সালে ৫৯টি দেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন তীব্র খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল, যেখানে ২০১৬ সালে ৪৮টি দেশে ১০ জনের মধ্যে একজন খাদ্য সংকটে ভুগছিল।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) পরিচালক ডমিনিক বারজিন বলেছেন, ‘তীব্র খাদ্য সংকটের ফলে তীব্র ক্ষুধার সৃষ্টি হয়। এটি মানুষের জীবিকা ও জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকির সৃষ্টি করে। এমন খাদ্য সংকটের কারণে বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হতে পারে এবং এতে ব্যাপক মৃত্যু হতে পারে।’

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লওিএফপি) এবং জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর ১.২ শতাংশ বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছিল। করোনা মহামারির পর থেকে এ সংকট উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে খাদ্য সংকট উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিচালক জিয়ান কার্লো সিরি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজা এবং সুদানে খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছেছে। এসব এলাকার মানুষ তীব্র ক্ষুধার কারণে ঘাস খাচ্ছে, ভিক্ষা করছে। যেখানে মানুষ স্পষ্টতই ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। তাদের বেশিরভাগই এখন নিঃস্ব।

ডব্লিউএফপির এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা দিনে দিনে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির কাছাকাছি চলে আসছি। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা অনুমান করছি, দুই বছরের কম বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু এখন তীব্রভাবে অপুষ্টি এবং উত্তরাঞ্চলের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হয়েছে। দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় এখন প্রয়োজন খুব স্বল্প সময়ে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা।

;

তিউনিসিয়া উপকূলে ১৪ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির জেরবা উপকূল থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য তিউনিসিয়া এবং এর প্রতিবেশী লিবিয়া অভিবাসীদের কাছে গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় রুট হয়ে উঠেছে। ইউরোপে উন্নত জীবন যাপনের আশায় বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। তিউনিসিয়ার জেরবার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত দুই দিনে তিউনিসিয়ার উপকূলে মৃত অভিবাসীর সংখ্যা আরও বাড়ল।

নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে এসেছিল। এদের মধ্যে একজন মিশরীয় ব্যক্তিও ছিলেন। তার কাছে থাকা পাসপোর্টটি থেকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির মেডেনাইনের আদালতের প্রসিকিউটর ফেথি বাককুচে।

এদিকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় পথ অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় প্রায় ২ হাজার ৪৯৮ জন মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বেশি।

 

;