নিজের শুক্রাণু দিয়ে ফেঁসে গেলেন ফার্টিলিটি চিকিৎসক
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কৃত্রিমভাবে গর্ভধারণ করতে আসা নারীদের গর্ভে ভুল শুক্রাণু সরবরাহ করে আসছিলেন বার্নার্ড নর্মান বারউইন (৮০) নামে এক ফার্টিলিটি চিকিৎসক। এর মধ্যে কয়েক বার নিজের শুক্রাণুও ব্যবহার করেন তিনি।
তার এমন আতঙ্কজনক এবং নিন্দনীয় কাজের কথা প্রকাশ হওয়ায় ফেঁসে গেছেন তিনি। এরই মধ্যে বাতিল করা হয়েছে তার চিকিৎসকের লাইসেন্স।
ওন্টারিও’র চিকিৎসক ও সার্জন কলেজের শাস্তিদায়ক প্যানেল তাকে ১০ হাজার কানাডিয়ান ডলার জরিমানা করেছে। মেডিকেল রেগুলেটরির পক্ষ থেকে ওই চিকিৎসকের উদ্দেশে বলা হয়েছে, আপনি রোগীদের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। আপনার এমন কাজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও তার পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, যার প্রভাব তাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম বইতে হবে।
তবে এ শুনানিতে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তার আইনজীবীরা এতে অংশ নিলেও তার পক্ষে কোনো যুক্তি দেননি।
২০১৪ সালে তিন নারীর গর্ভে ভুল শুক্রাণু সঞ্চার করানোর অভিযোগে তিনি তার চিকিৎসকের লাইসেন্স ছেড়ে দেন। তদন্তে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেরসহ বিভিন্ন জনের ভুল শুক্রাণু ব্যবহার করার বিষয়টি ধরা পড়ায় এখন তার লাইসেন্সই বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি যাতে কাউকে কোনো চিকিৎসা দিতে না পারেন এবং প্রাকটিস করতে না পারেন সেজন্য সতর্ক করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। যাতে অভিযোগ করা হয়েছে যে তিনি অন্তত ৫০ থেকে ১০০ শিশুর জন্ম হয়েছে ভুল শুক্রাণুতে। এর মধ্যে ১১ বার তিনি নিজের শুক্রাণু ব্যবহার করেছেন।
কৃত্রিমভাবে গর্ভধারণের ফলে জন্ম নেওয়া একটি শিশুর জেনেটিক ব্যাকগ্রাউন্ড ও বংশের বিস্তারিত তথ্য (ফ্যামিলি ট্রি) সম্পর্কে জানতে গিয়ে ওই পরিবারের কাছে এ জঘন্য বিষয়টি ধরা পড়ে। এছাড়া এভাবে জন্ম নেওয়া আরেকটি শিশুর সেলিয়াক রোগ ধরা পড়ে। বংশগত এ রোগ তার বাবা-মা কারোই নেই। এ দু’টি ঘটনার পর এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসে চিকিৎসকের অপকর্মের চিত্র।