চাঁদে ভারত: মহাকাশ যান থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ইসরোর কন্ট্রোল রুম, ছবি: সংগৃহীত

ইসরোর কন্ট্রোল রুম, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১টা ৫৫ মিনিটে চাঁদে পা রাখার কথা ছিল চন্দ্রযান-২ এর নায়ক বিক্রমের। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও চাঁদে নামা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, মহাকাশ যান চন্দ্রযান-২ এর সঙ্গে দেশটির মহাকাশ যান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ইসরোর যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চাঁদে পা রাখার নির্ধারিত সময় ইতোমধ্যে পেরিয়ে গেলেও চাঁদের কক্ষপথে থাকা অরবাইটারের কাছে কোনো তথ্য পৌঁছাতে পারেননি বিক্রম। এই নিয়ে গভীর উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় পার করছেন দেশটির মহাকাশ যান বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন: শুক্রবার রাতে চাঁদে পা রাখছে ভারত

জানা গেছে, চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার ৫১০ মিটার দূরত্ব থেকে শেষ সংকেতটি প্রেরণ করেছিলেন বিক্রম।

এদিকে, এই ঘটনাটি নিজ চোখে দেখতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেঙ্গালেরুতে অবস্থিত ইসরোর কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত ছিলেন। তার সঙ্গে বিভিন্ন স্কুলের ৭০জন শিক্ষার্থী আছে।

   

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনের পক্ষে ব্যাপক বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত সপ্তাহে ১০৮ জন শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার এবং তিনজনকে বহিঃস্কার করা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের দল দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পগুলোকে সরিয়ে দিয়ে যা অর্জন করার আশা করেছিল, তার বিপরীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আরও বেগবান হয়েছে।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব ক্যাম্প স্থাপন, ভবন দখল এবং সমাবেশ করেছে।

ইসরায়েল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির ক্রমবর্ধমান দাবির মধ্যে ইয়েল, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি) এবং নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির (এনওয়াইইউ) মতো নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ দমন করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন।

ইউসি বার্কলে এবং ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের মতো বিশ্ববিদ্যালয়েও ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ চলছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। কারণ, শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্প খালি করার দাবি মানতে অস্বীকার করেছে। প্রশাসনও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে।

ফলস্বরূপ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে, আগামী সপ্তাহে শেষ হওয়া স্প্রিং সেমিস্টারের শেষ পর্যন্ত ক্লাসগুলো হাইব্রিড লার্নিং মোডে স্যুইচ করা হবে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা সেখানে সড়ক অবরোধের পরিকল্পনা করছেন। ওই এলাকায় মার্কিন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চাক শুমারের বাড়ি।

গত শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীসহ কয়েক শ বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে কলম্বিয়া, ইয়েল, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির মতো বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন।

তবে বিক্ষোভের নামে ইহুদি বিদ্বেষ ছড়ানো ও হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন সমালোচকদের অনেকেই। তাদের মধ্যে রিপাবলিকান দলের প্রভাবশালী কয়েকজন আইনপ্রণেতাও রয়েছেন।

অন্যদিকে ব্যাপক ধড়পাকড়ের সমালোচনা করেছেন অধিকারকর্মীরা। তাদের মতে, এর মধ্য দিয়ে বাকস্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে।

গত শতকের ষাটের দশক থেকে নানা অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সরব হতে দেখা যায় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের শিক্ষার্থীদের। এখানকার শিক্ষার্থীরাও গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।

ক্যাম্পাসে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের কারণে ক্যালফোর্নিয়া পলিটেকনিক হামবোল্ডট বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের অনুরোধের পর ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার সেন্ট পল ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

নিউইয়র্ক পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছে, গত সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ নিউইয়র্কের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো থেকে ১২০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুরোধের পরই বিক্ষোভকারীদের আটক করেছে পুলিশ।

গত সপ্তাহে কলম্বিয়ায় বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার কারণে শতাধিক শিক্ষার্থী আটক করা হয়েছিল। বিক্ষোভের মুখে গত সোমবার সরাসরি ক্লাস বন্ধ করে দেয় কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি। ইহুদি শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেয়।

নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই এমন কিছু মানুষ সমস্যা বাধানোর চেষ্টা করছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছে। আমরা তাঁদের সেই সুযোগ দিতে পারি না।’

;

মার্কিন সিনেটে টিকটক নিষিদ্ধকরণ বিল অনুমোদন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে টিকটক নিষিদ্ধের বিল অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিলটি সিনেটে অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বিলটি স্বাক্ষরের জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে যাবে। তার স্বাক্ষরের পর বিলটি চূড়ান্ত আইনে পরিণত হবে। বিলটি অনুমোদনের পক্ষে ৭৯ জন ভোট দিয়েছেন, অন্যদিকে বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৮ জন।

অনুমোদিত বিলের শর্তে বলা হয়েছে, টিকটকের চীনা মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে আগামী নয় মাসের মধ্যে তাদের শেয়ার বিক্রি করতে হবে। নয়তো এই অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে ব্লক করে দেওয়া হবে।

এটি হলে বাধ্যতামূলকভাবে টিকটক বিক্রির বিষয়ে চীনা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন চাইতে হবে বাইটড্যান্সকে। তবে বেইজিং এরই মধ্যে শক্তভাবে এর বিরোধিতা করেছে।

শর্ট-ভিডিও শেয়ারের জনপ্রিয় অ্যাপ টিকটেকের বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ব্যবহারকারী আছে। তবে টিকটকের সঙ্গে চীনা সরকারের যোগসূত্র এবং এর ব্যবহারকারীদের তথ্য উপাত্তের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমশ প্রশ্ন উঠছে।

যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে চীন সরকার যুক্তরাষ্ট্রের এক কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য-উপাত্ত হস্তান্তরের জন্য টিকটককে বাধ্য করতে পারে। টিকটক অবশ্য বলছে, বিদেশি ব্যবহারকারীদের তথ্য তারা চীন সরকারকে দেবে না।

টিকটকের প্রধান নির্বাহী শোউ জি চিউ গত মাসে বলেছেন, প্ল্যাটফর্মটিকে রক্ষায় তার প্রতিষ্ঠান নিজ ‘আইনি অধিকারসহ’ সম্ভব যা কিছু করার, করে যাবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন নাগরিকরা এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারছেন না- এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কারণ বাইটড্যান্স অ্যাপটির জোরপূর্বক বিক্রয় ঠেকাতে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে।

;

সলোমন দ্বীপপুঞ্জে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল চীনপন্থী প্রধানমন্ত্রী মানসেহ সোগাভারে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: আল-জাজিরা

ছবি: আল-জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র সলোমন দ্বীপপুঞ্জের নির্বাচনে নিজেদেগর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে পারেনি চীনপন্থী প্রধানমন্ত্রী মানসেহ সোগাভারে। প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী রাজনীতিবিদদের সাথে জোট গঠন ছাড়া নতুন করে সরকার গঠন করতে পারবেন না তিনি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) নির্বাচনী ফলাফলে দেখা গেছে সোগাভারের ‘আওয়ার পার্টি’ জাতীয় সংসদে ৫০টি আসনের মধ্যে ১৫টি আসন জিতেছে, যেখানে প্রধান বিরোধী দলগুলো ২০টি এবং স্বতন্ত্র ও ক্ষুদ্র দলগুলি ১৫টি আসন পেয়েছে।

সলোমন দ্বীপবাসীরা এক সপ্তাহ আগে হওয়া নির্বাচনী লড়াইয়ে ভোট দেন। সোগাভারে ২০১৯ সালে তাইপেই থেকে বেইজিং-এ কূটনৈতিক সম্পর্ক পরিবর্তন করে চীনের সাথে একটি বিতর্কিত নিরাপত্তা চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল।

ইউনাইটেড পার্টির নেতা পিটার কেনিলোরিয়া জুনিয়র তাইওয়ানের সাথে সম্পর্ক ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স পার্টির নেতা রিক হাউ রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৬টি আসন নিশ্চিত করার জন্য রাজনীতিবিদরা স্বতন্ত্রদের লবিং করছেন।

বিশ্লেষকরা আল জাজিরাকে বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চীন সম্পর্কের দিকে মনোনিবেশ করতে পারে, সলোমন দ্বীপবাসীরা জীবনযাত্রার ব্যয়, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার মতো সমস্যা নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন ছিল।

সোগাভারে তার আসনে অল্প ভোটে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর জানান, তিনি দেশের নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।

তাভুলি নিউজের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যখন এই দেশের নিরাপত্তার কথা আসে তখন আমি পূর্ণ নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করি। আমি দেশ পরিচালনা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি সম্ভাব্য দাঙ্গা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন বলেও জানিয়েছেন।

হোনিয়ারা ২০২১ সালে দাঙ্গায় কেঁপে উঠেছিল যখন বিক্ষোভকারীরা রাজধানীর চায়নাটাউনে ব্যবসাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল এবং সোগাভারের বাসভবনে হামলার চেষ্টা করেছিল। সে সময় সরকারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের সহায়তায় শান্তি পুনরুদ্ধার হয়।

সোগাভারে বলেন, তার দলের প্রতি দুটি ছোট দলের সমর্থন রয়েছে। তিনি দাবি করেন, বিরোধী দলগুলি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাকে সমর্থন করবে তা নিয়ে স্বতন্ত্রদের প্ররোচিত করবে।

ম্যাথু ওয়েলের সলোমন আইল্যান্ডস ডেমোক্রেটিক পার্টি (U4C) এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী রিক হাউ-এর ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স পার্টির (CARE) জোট ১৩টি আসনে রয়েছে।

কেনিলোরিয়া জুনিয়র বলেছেন যে তার দল, সাতটি আসন জিতেছে তারা সমমনা গ্রুপের সাথে একত্রিত হবে।

সলোমন দ্বীপপুঞ্জের শত শত দ্বীপ জুড়ে ৭ লাখ ৬০ হাজার জনসংখ্যা রয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী সময়টি উত্তেজনাপূর্ণ হতে পারে কারণ রাজনীতিবিদরা একটি শাসক জোটকে একত্রিত করার চেষ্টা করছেন।

সোগাভারের সরকারের আমন্ত্রণে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি এবং ফিজির পুলিশ ও প্রতিরক্ষা বাহিনী নির্বাচনী নিরাপত্তায় সহায়তা করছে।

ইতিমধ্যে নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে মালাইতা দ্বীপে দুটি গ্রামের মধ্যে সহিংসতা দমন করেছে পুলিশ।

;

মার্কিন সিনেটে ইসরায়েল-ইউক্রেনকে সহায়তা বিল অনুমোদন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্য ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সিনেট।

দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার এই বিলে স্বাক্ষর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও বিলটি পাস হয়।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটে ৭৯-১৮ ভোটে বিলটি পাস হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিলটি পাস করায় আইনপ্রণেতাদের প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এ সময় তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই আইন আমাদের দেশ ও বিশ্বকে আরও বেশি সুরক্ষিত করবে। আমরা আমাদের সেই বন্ধুদের সহায়তা করছি, যারা সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও (রুশ প্রেসিডেন্ট) ভ্লাদিমির পুতিনের মতো স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষায় লড়াই করছে।

এদিকে সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদনের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, এটি গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা এবং মুক্ত বিশ্বের নেতা হিসেবে আমেরিকার ভূমিকাকে শক্তিশালী করে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া বিদেশি সহায়তা প্যাকেজে ইসরায়েলে সামরিক ও গাজায় মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মার্কিন মিত্র তাইওয়ানের জন্য ৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কমিউনিস্ট শাসিত চীনকে মোকাবিলায় এই অর্থ সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

;