টোকিও অলিম্পিক

জাপানের রাইজিং সান পতাকা নিষিদ্ধের দাবি দ. কোরিয়ার



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
জাপানের রাইজিং সান পতাকা, ছবি: সংগৃহীত

জাপানের রাইজিং সান পতাকা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টোকিও অলিম্পিকে জাপানের রাইজিং সান পতাকা নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। অন্যদিকে জাপানের ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের আয়োজকরা বিতর্কিত পতাকাটি নিষিদ্ধ করতে রাজি হননি।

দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ বলছেন, বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকের দশকগুলোতে জাপানি শাসনের অধীনে সহিংসতা, পাশবিক জীবনের স্মৃতি জাগিয়ে তোলে এ ‘শয়তানের পতাকা’ (রাইজিং সান পতাকা)। জাপানি সেনারা এ পতাকা দেখিয়েই লাখো মানুষকে হত্যা করেছেন, যাদের মধ্যে বহু কোরিয়ান রয়েছেন।

a
শিল্পীর তুলিতে কোরিয়ায় জাপানের আগ্রাসন, ছবি: সংগৃহীত

 

দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রীড়া সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি মনে করে, তথাকথিত রাইজিং সান পতাকাটি আগামী বছর টোকিও অলিম্পিকে অনুষ্ঠানের স্থানগুলোতে নিষিদ্ধ করা উচিত।

কারণ, দক্ষিণ কোরিয়া এ পতাকাকে জাপানিদের ‘সাম্রাজ্যবাদ ও সামরিকতন্ত্রের’ প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করে।

তবে চলতি সপ্তাহে টোকিও-২০২০ অলিম্পিকের আয়োজক কমিটি বলেছে যে পতাকাটি জাপানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হওয়ায় এটি নিষিদ্ধ করা হবে না।

তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, পতাকা নিজেই একটি রাজনৈতিক বিবৃতি হিসেবে বিবেচিত হয় না, সুতরাং এটিকে নিষিদ্ধ বস্তু হিসেবে দেখা হয় না।

এ সিদ্ধান্তটি দক্ষিণ কোরিয়ায় বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, সেখানে ক্রীড়া সংসদীয় কমিটির সভাপতি আন মিন-সুক এ সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে আন বলেন, যুদ্ধের প্রতীকী পতাকা শান্তিপূর্ণ অলিম্পিক গেমসের জন্য উপযুক্ত নয়।

a
দক্ষিণ কোরিয়ায় জাপানের রাইজিং সান পতাকাবিরোধী আন্দোলন, ছবি: সংগৃহীত 

 

উদীয়মান সূর্যের পতাকাটি এশিয়ান এবং কোরিয়ানদের কাছে শয়তানের প্রতীকের অনুরূপ, যেমনটি স্বস্তিকা নাৎসিদের প্রতীক, যা ইউরোপীয়দের আক্রমণ ও বিভীষিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

কোরিয়ান ক্রীড়া ও অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে যে টোকিও ২০২০ বা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) কাছে পতাকাটি নিষিদ্ধ করার জন্য এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করা হয়নি।

আইওসির মুখপাত্র বলেন, খেলার সময় স্টেডিয়ামগুলো রাজনৈতিক বিক্ষোভমুক্ত রাখতে হবে। গেমসের সময় উদ্বেগ দেখা দিলে আমরা পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেই।

দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা কূটনৈতিক চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সপ্তাহের প্রথম দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র কিম ইন-চুল বলেছেন, জাপান সরকারের উচিত তাদের ইতিহাসের স্বীকৃতি দেওয়া। এটি জাপান সরকারের বোঝা উচিত যে রাইজিং সান পতাকাটি প্রতিবেশী দেশগুলোতে জাপানি সাম্রাজ্যবাদ ও সামরিকতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

a
রাইজিং সান পতাকা নিয়ে জাপানিদের উল্লাস, ছবি: সংগৃহীত 

 

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার টোকিও-২০২০ এ পতাকাটি প্রদর্শন বাতিলের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

দু'দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য বিস্তারের মধ্যে এ পতাকা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যা গত জুলাই মাস থেকে বেড়েই চলেছে।

জাপানের কাছে রাইজিং সান পতাকা সংস্কৃতির অংশ। পতাকাটি ইম্পেরিয়াল জাপানি সেনাবাহিনী ব্যবহার করেছিল এবং দেশের নৌ ও প্রতিরক্ষা বাহিনী এখনও এ পতাকা ব্যবহার করে।

টুইটারে এক জাপানি নাগরিক লিখেছেন, উদিত সূর্য প্রতীকটি কী উপস্থাপন করে, সে সম্পর্কে আমাদের ভিন্ন মতামত থাকতে পারে, তবে এর অর্থ এমন নয় যে তারা সব সময় আমাদের শত্রু।

বিশ শতকের প্রথমার্ধে, কোরিয়ান উপদ্বীপে জাপান উপনিবেশ স্থাপন করে এবং অনেক কোরিয়ানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। যারা বেঁচেছিলেন, তাদের দাস বানিয়ে রাখা হয়েছিল। এ নির্মম সময়টি প্রবীণ কোরিয়ানদের স্মৃতিতে আছে। উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়া উভয় ক্ষেত্রেই এটি বড় ক্ষত হিসেবে দেখা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে এবং সে সময় জাপানি সৈন্যদের যৌন সেবা দিতে বাধ্য করা হতো কোরিয়ান নারীদের।

দক্ষিণ কোরিয়ার সুপ্রিম কোর্ট ভক্তুভোগী নাগরিকদের ক্ষতিপূরণ আদায়ে জাপানি সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিয়েছে। যদিও দীর্ঘকালীন যুদ্ধ থামাতে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান ১৯৬৫ সালে এ নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। অনেক কোরিয়ান মনে করেন, এ চুক্তিটি অন্যায্য ছিল এবং তারা বিশ্বাস করেন যে ভুক্তভোগীদের আইনগত দাবি করার এখনও অবকাশ রয়েছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা বাণিজ্য বিরোধে রূপ নিয়েছে। জুলাই মাসে টোকিও দক্ষিণ কোরিয়ার তিনটি রাসায়নিক পদার্থের রফতানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, যা কম্পিউটারের চিপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

গত মাসে, জাপান আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ কোরিয়াকে তার পছন্দসই ব্যবসায়ীক অংশীদারদের তালিকা থেকে সরিয়ে নিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক এ পদক্ষেপটিকে ‘অন্যায়’ বলে আখ্যায়িত করে এবং বলেছে, এর মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ‘বৈরী জাতি’ হিসেবে গণ্য হচ্ছে জাপান।

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়াও বিশ্বস্ত ব্যবসায়ীদের অংশীদারদের তালিকা থেকে জাপানকে সরিয়ে দিয়েছে। তারা ঘোষণা করেছে, এর মাধ্যমে জাপানের সঙ্গে তাদের সামরিক অংশীদারিত্ব চুক্তিটি বাতিল হয়েছে, যা ২০১৬ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

দক্ষিণ কোরিয়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে এ বাণিজ্য বিরোধ স্মার্টফোন এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইসের জন্য গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনকে হুমকির সম্মুখীন করতে পারে।

   

তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। অবস্থার অবনতি হয়ে বিপজ্জনক মাত্রায় তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি হয়েছে বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ। জাতিসংঘ সংস্থা এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুদান, বুর্কিনা ফাসো, সোমালিয়া এবং মালির লোকেরা সম্ভবত ২০২৩ সালে তীব্রভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে।

২০১৯ সালের শেষের দিকে যখন করোনাভাইরাস আঘাত হানে, তখন ৫৫টি দেশের ওপর বৈশ্বিক খাদ্য সংকট নিয়ে করা গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন উদ্বেগজনক হারে খাদ্য সংকটে ভুগছিল। ঠিক পরের বছরই এ সংখ্যা পাঁচজনের মধ্যে একজনে চলে আসে।

২০২৩ সালে ৫৯টি দেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন তীব্র খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল, যেখানে ২০১৬ সালে ৪৮টি দেশে ১০ জনের মধ্যে একজন খাদ্য সংকটে ভুগছিল।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) পরিচালক ডমিনিক বারজিন বলেছেন, ‘তীব্র খাদ্য সংকটের ফলে তীব্র ক্ষুধার সৃষ্টি হয়। এটি মানুষের জীবিকা ও জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকির সৃষ্টি করে। এমন খাদ্য সংকটের কারণে বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হতে পারে এবং এতে ব্যাপক মৃত্যু হতে পারে।’

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লওিএফপি) এবং জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর ১.২ শতাংশ বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছিল। করোনা মহামারির পর থেকে এ সংকট উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে খাদ্য সংকট উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিচালক জিয়ান কার্লো সিরি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজা এবং সুদানে খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছেছে। এসব এলাকার মানুষ তীব্র ক্ষুধার কারণে ঘাস খাচ্ছে, ভিক্ষা করছে। যেখানে মানুষ স্পষ্টতই ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। তাদের বেশিরভাগই এখন নিঃস্ব।

ডব্লিউএফপির এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা দিনে দিনে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির কাছাকাছি চলে আসছি। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা অনুমান করছি, দুই বছরের কম বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু এখন তীব্রভাবে অপুষ্টি এবং উত্তরাঞ্চলের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হয়েছে। দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় এখন প্রয়োজন খুব স্বল্প সময়ে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা।

;

তিউনিসিয়া উপকূলে ১৪ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির জেরবা উপকূল থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য তিউনিসিয়া এবং এর প্রতিবেশী লিবিয়া অভিবাসীদের কাছে গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় রুট হয়ে উঠেছে। ইউরোপে উন্নত জীবন যাপনের আশায় বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। তিউনিসিয়ার জেরবার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত দুই দিনে তিউনিসিয়ার উপকূলে মৃত অভিবাসীর সংখ্যা আরও বাড়ল।

নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে এসেছিল। এদের মধ্যে একজন মিশরীয় ব্যক্তিও ছিলেন। তার কাছে থাকা পাসপোর্টটি থেকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির মেডেনাইনের আদালতের প্রসিকিউটর ফেথি বাককুচে।

এদিকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় পথ অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় প্রায় ২ হাজার ৪৯৮ জন মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বেশি।

 

;

আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা

বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে বকেয়া রাজস্ব পরিশোধে আয়াটার আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর জোট ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আয়াটা) বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কাছ থেকে মোট ৭২ কোটি ডলার রাজস্ব পাওনা রয়েছে বলে দাবি করেছে। দ্রুত এ রাজস্ব পরিশোধের জন্য উভয় দেশকে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

আয়াটার মতে, বাংলাদেশের কাছে ৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার এবং পাকিস্তানের কাছে ৩৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার বকেয়া রয়েছে এই জোট ভুক্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা সংস্থার। এই রাজস্ব থেকেই সংস্থার বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ হয়ে থাকে, তাই রাজস্ব বকেয়া থাকায় পরিস্থিতি বর্তমানে গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে । এ অবস্থায় দ্রুত এই বকেয়া অর্থ পরিশোধে দুই দেশের সরকারকে তাগাদাও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়াটা।

আয়াটার এশিয়া-প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলিপ গোহ বলেছেন, পরিষেবা সংস্থাগুলোকে বিমান, ইঞ্জিন, খুচরা যন্ত্রাংশ, জ্বালানী খরচ, ওভারফ্লাইট ফি এর জন্য ইজারা সহ ডলার-নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। তাই দীর্ঘদিন ধরে রাজস্ব বকেয়া থাকলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় বিমান পরিষেবা কোম্পানিগুলোকে। এছাড়া রাজস্ব পেতে বিলম্ব হলে মুদ্রা বিনিময় হারের ওঠানামার কারণে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বুঝতে পারি যে করোনা মহামারির পর থেকে বিভিন্ন দেশ বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের কারণে ব্যাপক চাপে রয়েছে। বাংলাদেশ-পাকিস্তানও রয়েছে সেসব দেশের তালিকায়। কিন্তু আমরা নিরুপায়। কারণ চুক্তি অনুযায়ী রাজস্ব প্রদানে মাত্রাতিরিক্ত বিলম্ব করা (চুক্তির) প্রাথমিক শর্তের লঙ্ঘণ। যদি শিগগিরই রাজস্ব পরিশোধ না করা হয়, তাহলে এ দুটি দেশে পরিষেবা প্রদান সংকুচিত করতে বাধ্য হবে সংস্থাগুলো।

উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আয়াটা। সংস্থাটির সদর দপ্তর কানাডার মন্ট্রিয়ালে। এর অন্তর্ভূক্ত সংস্থাগুলো প্রতিদিন বিশ্বের মোট বিমানযাত্রীর ৮৩ শতাংশকে পরিবহন পরিষেবা দেয়। এই পরিষেবা বাবদ এই সংস্থাটিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব দিতে হয় দেশগুলোকে। রাজস্বের অর্থ দিয়ে পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ করে সংস্থাটি।

;

১৯৯৪ সালের বোমা হামলা

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চায় আর্জেন্টিনা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৯৪ সালের বোমা হামলার জন্য ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চায় আর্জেন্টিনা। ৩০ বছর আগের সেই হামলায় ৮৫ জন নিহত হয়েছিল। এ বিষয়ে ইন্টারপোলকে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদির জন্য গ্রেফতারের নোটিশ জারি করতে বলেছে দেশটি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্জেন্টিনার একটি আদালত ১৯৯৪ সালে বুয়েনস আইরেসের একটি ইহুদি সম্প্রদায় কেন্দ্রে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এই অনুরোধ জানিয়েছে। এছড়া ওয়াহিদীকে গ্রেফতার করতে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকেও আহ্বান জানিয়েছে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইন্টারপোল তথাকথিত ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে। যদিও একটি রেড নোটিশ সদস্য দেশগুলোতে পুলিশকে আন্তর্জাতিকভাবে ওয়ান্টেড পলাতকদের সম্পর্কে কেবল সতর্ক করে, এটি গ্রেফতারি পরোয়ানা গঠন করে না।

যার জন্য রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে তাকে গ্রেফতার করতে ইন্টারপোল পুলিশকে বাধ্য করতে পারে না, গ্রেফতার করা হবে কিনা তা সদস্য দেশের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।


বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি-সহ ইরানি প্রতিনিধিদল বুধবার শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেছেন। তবে, বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় পৌঁছানোর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদীকে প্রেসিডেন্টের সাথে যেতে দেখা যায়নি।

ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, আহমেদ ওয়াহিদী মঙ্গলবার ইরানে ফিরে এসেছেন। তবে তাদের প্রতিবেদনে রেড নোটিশের কোনও উল্লেখ করা হয়নি।

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৯৯৪ সালে বুয়েনস আইরেসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বোমা হামলাটি ছিল আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। সেই সময় বিস্ফোরণে ৮৫ জন নিহত এবং তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিল। ইরান অবশ্য সবসময়ই এই হামলার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

তবে গত ১১ এপ্রিল আর্জেন্টিনার কোর্ট অব ক্যাসেশন দেশের সর্বোচ্চ ফৌজদারি আদালত রায় দেয়, ইরান এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল এবং ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হামলাটি চালিয়েছিল।

আদালত এই হামলাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলেও অভিহিত করেছেন। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই রায় প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আদালত রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের জন্য ভিত্তিহীন এ বিষয়কে প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে।

;