মুম্বাইয়ে চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড
ভারতের মুম্বাইয়ে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল পর্যন্ত ১৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা গত চার বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, এই সপ্তাহের মধ্যে আবহাওয়া কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। তবে এরমধ্যে আরও ভারী বর্ষণ হতে পারে।
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে মুম্বাইয়ের বৃষ্টিপাত নিয়ে এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এরআগে সোমবার (১০ জুলাই) মুম্বাইয়ে গড় বৃষ্টিপাতের পাঁচগুণ বেশি বৃষ্টি হয়। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাতে হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। কান্দিভালীতে একটি গাছ পড়ে একজন মহিলা আহত হয়েছেন। দাদারে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, তবে বৃষ্টিপাতের কারণে থানে এলাকায় স্কুল বন্ধ হয়েছে।
আইএমডির সান্তাক্রুজ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত ১৮৪ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে। আর কেলাবোতে ১৬৫.৮ মিমি রেকর্ড করা হয়।
ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলোতে সব স্কুলে ছুটি ঘোষণা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত এ নির্দেশ বলবৎ থাকবে।
রেল বিভাগ বলছে, বৃষ্টিতে রাস্তা ও রেললাইন ডুবে গেছে। বৃষ্টির কারণে কোনো কোনো জায়গায় রেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ করে ট্রেন চলাচল করছে। কর্মকর্তারা বলছেন, গতিসীমা কমিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। তবে কোথাও ট্রেন চলাচল বন্ধ নেই।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীদের জন্য ইতোমধ্যে একটি সবুজ করিডোর স্থাপন করা হয়েছে। ভাসাইতে পানিতে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার করার জন্য আসেন তাঁরা।
ভারী বৃষ্টিপাত ও জলাবদ্ধতার কারণে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে। হাঁটুপানিতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ। বৃহন্মুম্বাই ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই এবং ট্রান্সপোর্টের (বিইএসটি) মুখপাত্র জানান, বিইএসটির বাসগুলো দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়লেও কোনো সার্ভিস বাতিল বা স্থগিত করা হয়নি।
বৃষ্টির কারণে দৃষ্টিসীমা দুর্বল থাকলেও উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ নেই। বিমান চলাচলে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা এখনো আরোপ করা হয়নি।
ভাসাই ও ভিরার বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। এমএসইবি (কোনাকান অঞ্চল) কমিশনার জগদীশ প্যাটেল বলেন, বেশ কয়েকটি শহর নিমজ্জিত হয়েছে, ফলে নিরাপত্তার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। পানি কমে গেলে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান হবে বলে জানান তিনি।