মাসিক, প্রসব পরবর্তী স্রাব, দুধ পান করানো ও গর্ভাবস্থায় রোজার বিধান



যাইনাব আল গাযী, অতিথি লেখক, ইসলাম, বার্তা২৪.কম
নারীদের নানাবিধ অসুস্থতা রোজার মাস নিরবচ্ছিন্ন ইবাদতের প্রধান অন্তরায়, ছবি: সংগৃহীত

নারীদের নানাবিধ অসুস্থতা রোজার মাস নিরবচ্ছিন্ন ইবাদতের প্রধান অন্তরায়, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বছরের বারো মাসই ইবাদতের মাস। বারো মাসই আমাদেরকে ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত ও নফল ইবাদতে কাটাতে হবে। কোনো মাসে ছাড় নেই। তবে রমজান হচ্ছে একটা সোনালী সুযোগের মতো। এ মাসে আল্লাহতায়ালা শয়তানকে বেঁধে বান্দাকে সুযোগ করে দেন নেকির কাজ করে আমলনামা ভারি করার।

প্রত্যেক নারী-পুরুষিই চান রমজান মাসে খুব বেশি করে ইবাদত করতে। কিন্তু চাইলেই তো আর সব হয় না, নারীদের নানাবিধ অসুস্থতা পুরো রোজার মাস নিরবচ্ছিন্ন ইবাদতের প্রধান অন্তরায়। তাই বলে এটা নিয়ে মন খারাপের কোনো কারণ নেই। এটা আল্লাহর বিধান।

মাসিক ও প্রসব পরবর্তী স্রাবের সময়কার রোজা
রমজান মাসে বা তার কিছু আগে যদি কেউ মা হন, তবে প্রসব পরবর্তী স্রাব (নেফাস), শারীরিক দূর্বলতা ও বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য মায়ের পক্ষে রোজা পালন সম্ভব হয় না। কোনো উপায়ও থাকে না প্রসব পরবর্তী স্রাব বন্ধ রেখে রোজা রাখার। তবে মাসিক পিরিয়ড ঔষধ সেবন করে বন্ধ রাখা যায়। মাসিক পিরিয়ড বন্ধ রাখা ও না রাখা নিয়ে প্রথমে আলোচনা করা যাক।


মাসিক পিরিয়ড বন্ধ না রেখে রোজা
ক. রমজান মাসে কেউ যদি হায়েজ বা নেফাসের কারণে রোজা রাখা থেকে বঞ্চিত হয়, তবে অবশ্যই তাকে পরবর্তীতে যতগুলো রোজা বাদ পড়েছিল সব কাজা আদায় করতে হবে। কোনো কাফফারা নেই। শুধু একটি রোজার পরিবর্তে একটি রোজা রাখবে।

খ. এই রোজাগুলো সে একাধারে বা দুই-একদিন বাদ দিয়ে, বাদ দিয়ে রাখতে পারবে।

গ. হায়েজের রোজা শাওয়াল মাসে রেখে এরপর শাওয়ালের ছয় রোজা রাখা উত্তম। তবে কেউ যদি কাজা রোজা শাওয়ালে না রাখে, তবে বছরের অন্য যেকোনো মাসেও রাখতে পারবে।

ঘ. নেফাসের রোজা যেহেতু অনেকগুলো হবে তাই সেটা শাওয়াল বা পরবর্তী যেকোনো মাসে বা পরের রমজান আসার আগে পুরো বছর মিলিয়ে সপ্তাহে দুই-তিনটা বা আরও কম বেশি করে রেখে কাজা আদায় করতে পারবে।

ঙ. নেফাসের সর্বোচ্চ সীমা ৪০দিন। তবে কারও এর বেশি বা কম দিনও হতে পারে। যদি ৪০ দিন হওয়ার আগেই কেউ পবিত্র হয় তবে তার শরীর সুস্থ হলে, তার নিজের ও বাচ্চার কোনো ক্ষতি না হলে- সে চাইলে রোজা রাখতে পারবে। আর যদি কারও ৪০ দিনের ওপর চলে যায়, এর মাঝে রমজানও আসে, তবে এটুকু জানতে হবে যে, ৪০ দিনের ওপর যে রক্তটুকু যাবে তা নেফাস নয় বরং তা ইস্তিহাজা অর্থাৎ কোনো রোগজনিত রক্ত। মা চাইলে আর কোনো ক্ষতির আশংকা না হলে রোজা রাখতে পারবে।

মাসিক বন্ধ রেখে রোজা
এক ধরনের পিল পাওয়া যায় যা খেয়ে মাসিক কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা যায়। এই পিল খেয়ে হায়েজ বন্ধ রাখার জায়েজ ও নাজায়েজ উভয় হুকুমই হবে অবস্থা বুঝে।

পিল খেয়ে মাসিক বন্ধ রাখার কিছু শর্ত আছে। শর্তগুলো পূরণ হলে তখন জায়েজ হবে, অন্যথায় নয়। শর্তগুলো হলো-

১. বিবাহিত হলে স্বামীর অনুমতি লাগবে। কারণ পিল খেয়ে মাসিক বন্ধ করার সঙ্গে পেটে বাচ্চা আসার সম্পর্ক রয়েছে। আর বাচ্চা পেটে আসার সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক রয়েছে।

২. পিল খেলে শরীরের কোনো ক্ষতি হতে পারবে না। অনেকের মাসিকের নিয়মিত অভ্যাস অনিয়মিত হয়ে যায়, অনেকের হরমনজনিত সমস্যা দেখা দেয়, শরীর মোটা হয়ে যায়। অর্থাৎ কেউ কেউ অসুস্থ হন আবার কেউ কেউ হন না। যাদের পিল নিলে সমস্যা হয় তারা পিল নিয়ে মাসিক বন্ধ রাখতে পারবেন না। কিংবা যদি কাউকে ডাক্তার নিষেধ করেন পিল নিতে, তবে তার জন্যও জায়েজ হবে না।

৩. বিনা প্রয়োজনে পিল খাওয়া জায়েজ নেই। (অনেকে এমনিতেই মাসিক বন্ধ রাখতে পিল নেন)।

উল্লেখিত আলোচনায় উঠে আসা প্রয়োজনকে নিরঙ্কুশভাবে শতভাগ বৈধ বলা কঠিন। তবে উমরা ও হজপালনের সময় কিছুটা অবকাশ দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার পক্ষে অনেক ইসলামি স্কলার।

ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো, রমজান মাসে মাসিক বন্ধ রাখার খুব প্রয়োজন হয় না। কারণ রোজার কাজা আদায় করার অনেক সময় থাকে ও কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে না। তবে এটা দুঃখজনক যে, কদরের রাত আমরা বছরে একবারই পাই। আর এই সুবর্ণ সুযোগটা হাতছাড়া হয়ে যায় মাসিকের কারণে। এক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, কারো যদি রমজানের শুরুতে হায়েজ আসে তবে যেন সে পিল না খায়। আর যদি শেষ দশ দিনে আসে তবে শর্তগুলো মেনে পিল নিতে পারে।

হায়েজ মানব শরীরের একটি সাধারণ নিয়ম। এটা কোনো রোগ বা আল্লাহর তরফ থেকে আজাব নয়। বরং একটা রহমত। হায়েজের কারণে মেয়েরা মা হয়। এটা দুঃখজনক কিছুই না, বা ইবাদত থেকে আল্লাহ বঞ্চিত করছেন এমন কিছুও না। কেউ যদি পুরো রমাজানেই হায়েজ বন্ধ না রাখেন তবে তারও দুঃখের কিছু নেই। আপনি ওইটুকু নেকি হাসিল করতে পারবেন, যা আপনার তকদিরে লেখা আছে।

গর্ভাবস্থায় রোজা
গর্ভাবস্থাকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করতে পারি। শুরু থেকে ৩-৪ মাস। ৫ থেকে ৭ মাস ও তারপর থেকে একদম প্রসব পর্যন্ত।

ক. প্রথম অবস্থায় মায়েরা অনেক বেশি দূর্বল ও অসুস্থ থাকেন। বমি হয় প্রচুর এবং জ্ঞান হারান ঘন ঘন। এমন অবস্থায় অনেকে রোজা রাখতে পারেন, অনেকে পারেন না। যারা পারছেন না, বেশি দূর্বল হয়ে যাচ্ছেন; তারা পরবর্তীতে কাজা আদায় করবেন। আর যারা রাখছেন, আল্লাহ তাদের মাঝে বরকত দিন।

তবে মনে রাখবেন, অনিচ্ছাকৃত বমি হলে রোজা ভাঙে না। অনেকে রোজা রাখেন, কিন্তু বমি হওয়ার পর মনে করেন রোজা ভেঙে গেছে এবং খাওয়া-দাওয়া করে ফেলেন; এটা ভুল। তবে বমি মুখে আসার পর কেউ যদি তা ইচ্ছাকৃত গিলে ফেলে রোজা ভেঙে যাবে। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র কাজা রোজা করতে হবে, কাফফারা ওয়াজিব নয়। কিন্তু অবস্থা যদি এমন হয়, অজান্তেই বমি এসে আবার ভেতরে চলে যায়, তবে রোজা ভাঙবে না।

দ্বিতীয় অবস্থায় মায়েরা মোটামুটি সুস্থ থাকেন। তারা একটু আরাম করে রোজাগুলো রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে পরিবারের বাকি সদস্যদের সাহায্য দরকার। গর্ভবতী মা যেন লম্বা সময় রান্না ঘরে কাজ না করেন, বা বাড়ির অন্য এমন কোনো কাজ না করেন যেন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন ও খাবারের প্রয়োজন পরে।

সবাই মায়ের প্রতি যত্নশীল হলে ইনশাআল্লাহ রোজা রাখতে সমস্যা হবে না। তবে কেউ যদি এ সময়েও অসুস্থ থাকেন এবং কোনো রোজা রাখতে অপারগ হন, তবে পরে কাজা আদায় করবেন।

তৃতীয় অবস্থাও দ্বিতীয় অবস্থার মতোই। অনেকে এ সময়ে একদম সুস্থ-সবল থাকেন, অনেকে আবার খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমনকি হাঁটাচলাও বন্ধ হয়ে যায়, হাত-পা ফুলে যায়। এমতাবস্থায় গর্ভবতী নারী যদি পারেন রোজা রাখতে তবে রাখবেন। আর যদি না পারেন, পরে কাজা করে নেবেন। তবে এ সময় অনেক বেশি করে ইবাদত-বন্দেগি করবেন। চেষ্টা করবেন সব নামাজ সুন্নতসহ আদায় করতে। তারাবি এবং তাহাজ্জুদ আদায় করতে। শুয়ে-বসে, সবসময় জিকির ও কোরআন তেলাওয়াত করতে। গর্ভের সন্তানের জন্য দোয়া করবেন। চেষ্টা করবেন দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে। দাঁড়াতে না পারলে বসে আদায় করবেন। অনেকে তারাবি বা তাহাজ্জুদ বাদ দেন। এটা না করে বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে বসে হলেও পুরো নামাজ আদায় করার চেষ্টা করা।

দুধ পান করানো অবস্থায় রোজা রাখা
কেউ যখন রমজানের আগে মা হন অর্থাৎ এমন সন্তানের জনক যে কিনা শুধুই মায়ের দুধ পান করে। তখন ওই মায়ের জন্য কষ্টকর হয় রোজা রাখা। কারণ বাচ্চা দুধ পান করলে মাকেও ঘনঘন খাবার খেতে হয়। আবার মা রোজা রাখলে বাচ্চা দুধ কম পায়। আবার অনেক মায়ের দু’জন দুধের শিশু থাকে। সে ক্ষেত্রে মা রোজা রাখলে মা ও শিশু উভয়েই দূর্বল হয়ে পরে। এমতাবস্থায় সেই মায়ের জন্য অনুমতি আছে রোজা না রাখার। এই অনাদায়ী রোজাগুলো পরবর্তী রমজান আসার আগেই কাজা আদায় করে ফেলবে।

তবে এমন যদি হয়, মা রোজা রাখলে দূর্বল হন না এবং বাচ্চা দুধ পায় পর্যাপ্ত, অথবা বাচ্চা দুধ ছাড়াও অন্য খাবার খায়- সে ক্ষেত্রে মা রোজা রাখবেন।

মাসিক ও প্রসব পরবর্তী স্রাব অবস্থায় ইবাদত
নারীরা রমজান মাসে মাসিক ও প্রসব পরবর্তী স্রাবের কারণে ৩ ধরনের ইবাদত থেকে বঞ্চিত হয়। সেগুলো হলো- নামাজ, রোজা এবং কোরআন তেলাওয়াত।

নামাজ তো আল্লাহতায়ালা মাফ করে দিয়েছেন। রোজা পরবর্তীতে কাজা আদায় করা যাবে। আর কোরআন তেলাওয়াত একটা উত্তম সুন্নত। অনেকেই মন খারাপ করেন ইবাদতগুলো করতে না পারার জন্য। তবে এমন আরও অনেক ইবাদত আছে যা এ সময় নারীরা পালন করতে পারেন।

সেহেরি ও ইফতার বানানোর দায়িত্ব নিয়ে রোজাদারকে ইবাদত করার সুযোগ করে দেওয়া। এই সুযোগ করে দেওয়ার ফলে ইবাদতকারীর নেকির অংশীদার তিনিও হবেন, কিন্তু তার সওয়াব একটুও কমবে না।

সারাক্ষণ ইস্তেগফার, তাহমিদ, তাহলিল, তাকবির ও নানান ফজিলতপূর্ণ জিকির করতে পারেন।

প্রতিবেশীসহ পথেঘাটের গরিব-মিসকিনদের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে পারেন।

যারা রোজা অবস্থায় আছেন, তাদের অন্যান্য কাজগুলো করে দিতে পারেন। বেশি বেশি দান-সদকা করবেন।

কোরআনে কারিমের তাফসির পড়বেন, রাসূলের জীবনী পড়বেন, দ্বীনি কিতাব পরে ইলম অর্জন করবেন। তবে কোনো কিতাবে কোরআনের আয়াত থাকলে ওই জায়গাটা স্পর্শ করা যাবে না।

অনেকে নামাজের সময় বা তারাবি-তাহাজ্জুদের সময় ইবাদতের অভ্যাস চালু রাখতে অজু করে জায়নামাজে বসে জিকির করেন ও দোয়া করেন। এতে কোনো সমস্যা নেই, তা করতেই পারেন। তবে এতে অজু করা জরুরি নয়, যেহেতু হায়েজ অবস্থায় অজু হয় না। তাই অজু করা না করার মাঝে কোনো তফাৎ নেই। আর হায়েজ অবস্থায় যদি নাপাকি না লাগে তবে জায়নামাজেও বসতে কোনো সমস্যা নেই।

শেষ দশ দিনের বিজোড় রাত্রিগুলোয় বেশি বেশি দান-সদকার পাশাপাশি বেশি বেশি দোযা ও জিকির করা।

   

ঈমানের স্বাদ ও মিষ্টতা কী?



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঈমানের স্বাদ সবাই আস্বাদন করতে পারে না, ছবি : সংগৃহীত

ঈমানের স্বাদ সবাই আস্বাদন করতে পারে না, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, হজরত জিবরাইল (আ.) রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, এবার আমাকে ঈমান সম্পর্কে বলুন, রাসুল (সা.) বললেন, ‘ঈমান হলো, তুমি ঈমান রাখবে আল্লাহর প্রতি, তার (আল্লাহর) ফেরেশতাদের প্রতি, তার কিতাবসমূহের প্রতি, তার রাসুলদের প্রতি এবং শেষ দিবসের (কেয়ামত) প্রতি। (এবং) তুমি ঈমান রাখবে তাককিরের ভালো-মন্দের প্রতি।’ হজরত জিবরাইল (আ.) বললেন, আপনি সত্য বলেছেন। -সহিহ মুসলিম : ৮

ঈমানের স্বাদ
হজরত আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী কারিম (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করবে ওই ব্যক্তি, যে আল্লাহকে রবরূপে, ইসলামকে দ্বীনরূপে এবং মুহাম্মাদ (সা.)-কে রাসুলরূপে সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহণ করবে। -সহিহ মুসলিম : ৩৪

সুস্বাদু খাদ্যের স্বাদ সেই বুঝতে পারে যার জিহ্বায় স্বাদ আছে। রোগ-ব্যাধির কারণে নষ্ট হয়ে যায়নি। তদ্রূপ ঈমান ও যাবতীয় আমলের স্বাদও ওই খোশনসিব ব্যক্তিই অনুভব করে, যে সম্পূর্ণ সন্তুষ্টিচিত্তে ও সর্বান্তকরণে আল্লাহকে রব ও পরওয়ারদিগার এবং মুহাম্মদ (সা.)-কে রাসুল ও আদর্শ এবং ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ দ্বীন ও জীবন ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করে।

আল্লাহতায়ালা, নবী মুহাম্মদ (সা.) ও ইসলামের সঙ্গে যার সম্পর্ক কেবলই বংশগত ও প্রথাগত বা কেবলই চিন্তাগত ও বুদ্ধিগত পর্যায়েই নয় বরং সে আল্লাহর বন্দেগি, মুহাম্মদ (সা.)-এর আনুগত্য এবং ইসলামের অনুসরণকে মনেপ্রাণে নিজের জীবনে গ্রহণ করে নেবে। সেই ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করতে পারবে। -মাআরিফুল হাদিস : ১/৯১

ঈমানের মিষ্টতা
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (সা.) বলেছেন, তিনটি গুণ যার মধ্যে থাকবে সে ঈমানের মিষ্টতা অনুভব করবে। আল্লাহ ও তার রাসুল তার কাছে সবকিছু থেকে অধিক প্রিয় হওয়া, কাউকে ভালোবাসলে শুধু আল্লাহরই জন্য ভালোবাসা, আর কুফুরিতে ফিরে যাওয়াকে এমন ঘৃণা করা, যেমন সে ঘৃণা করে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে। -সহিহ বোখারি : ১৬

এই হাদিসের বিষয়বস্তুও আগের হাদিসের বিষয়বস্তুর প্রায় কাছাকাছি। উপস্থাপনায় কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। এই হাদিসে বলা হচ্ছে, ঈমানের মিষ্টতা ওই ব্যক্তিই অনুভব করতে পারবে, যে আল্লাহ ও তার রাসুলের ভালোবাসায় পরিপূর্ণ সমর্পিত থাকবে; আল্লাহ ও তার রাসুলকে জগতের সবকিছু থেকে বেশি ভালোবাসবে। অন্য কারও প্রতি যদি তার ভালোবাসা হয়, তা হবে সম্পূর্ণ এই ভালোবাসার অধীন। আর ইসলাম তার এতই প্রিয় যে, ইসলাম থেকে ফিরে যাওয়া, কুফুরিতে লিপ্ত হওয়া তার কাছে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার সমতুল্য। -মাআরিফুল হাদিস : ১/৯১

;

মসজিদ নির্মাণ করবে দাউদ কিম

কোরিয়ার প্রতিটি গলি থেকে ভেসে আসবে আজানের সুর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জমি কেনার দলিল হাতে দাউদ কিম, ছবি : সংগৃহীত

জমি কেনার দলিল হাতে দাউদ কিম, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েক বছর আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী দক্ষিণ কোরিয়ান ইউটিউবার দাউদ কিম মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। এরই মধ্যে মসজিদের জন্য জমিও কিনেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে ওই জমি ও তার দলিলের ছবি শেয়ার করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক এই নওমুসলিম। তিনি দেশটির ইঞ্চোন শহরে মসজিদটি নির্মাণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

ইনস্টাগ্রামে কিম লিখেছেন, ‘অবশেষে আপনাদের সাহায্যে আমি ইঞ্চোনে মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি ক্রয়ের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছি। খুব শিগগিরই জায়গাটিতে মসজিদ নির্মিত হবে। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না আমার এই স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে।’

ওই পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘ওই জমিতে মসজিদের পাশাপাশি একটি ইসলামিক পডকাস্ট স্টুডিও তৈরির ইচ্ছা আমার। সত্যি এটি একটি দুঃসাহসিক পদক্ষেপ, এতে বহু সমস্যার সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে। তবে আমার বিশ্বাস- আমি এগুলো সম্পন্ন করতে সক্ষম হব।’

দাউদ কিম আশাবাদ ব্যক্ত করে লিখেছেন যে, ‘এমন একটি দিন আসবে, যেদিন কোরিয়ার প্রতিটি গলি আজানের সুমধুর ধ্বনিতে ভরে উঠবে। এ জন্য আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

কিম ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেন। এরপর ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে তিনি সারাবিশ্বে বিখ্যাত বনে যান। জনপ্রিয় এই ইউটিউবার তার নিয়মিত ব্লগে ইসলামিক বিভিন্ন কনটেন্ট, নামাজ পড়ার ভিডিওসহ নানা কিছুই পোস্ট করে থাকেন। ২০২২ সালে কিম বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন। বাংলাদেশ ঘুরে তিনি পবিত্র উমরা পালন করতে সৌদি আরব যান।

দক্ষিণ কোরিয়ার এই গায়ক ইউটিউবিং করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ান। ঘুরতে ঘুরতে তিনি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও তিউনিশিয়া যান। দেশগুলোতে গিয়ে ইসলাম ধর্মকে কাছ থেকে দেখে ও বুঝে তিনি আকৃষ্ট হন। ইসলামের জীবনবিধান দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে পুরোপুরি মুসলমান হয়ে যান।

দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ। যা কোরিয় উপদ্বীপের দক্ষিণ অংশ নিয়ে গঠিত। সিউল দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানী। সিউল বিশ্বের শীর্ষ ১০টি ধনী শহরের তালিকায় থাকা একটি শহর।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ইসলামের উপস্থিতি খুবই সামান্য। ২০০৫ সালেও দেশটির আদমশুমারিতে মুসলিমদের কোনো বিভাগের সদস্য হিসেবে ধরা হত না। বর্তমানে দেশটিতে ২ লাখ মুসলিম রয়েছে, যাদের বেশিরভাগ বিভিন্ন মুসলিম প্রধান দেশ থেকে আসা অভিবাসী এবং কিছু ধর্মান্তরিত বাসিন্দা। দেশটিতে ২১টি মসজিদ, ১৩টি ইসলামিক সেন্টার ও ১৪০টির মতো নামাজের স্থান রয়েছে।

১৯৬৯ সালে কোরিয়ান সরকার প্রদত্ত জমিতে গড়ে ওঠে সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার। সিউল সেন্ট্রাল মসজিদ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম মসজিদ। যা হেনামডং সিউলে অবস্থিত। মসজিদটি ইতিমধ্যে বিশ্বের অনন্য সুন্দর মসজিদ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে।

;

তীব্র গরম মুমিনকে যা শিক্ষা দেয়



মাওলানা ফখরুল ইসলাম, অতিথি লেখক, ইসলাম
গরম থেকে বাঁচতে ফুটপাতের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাথায় পানি দিচ্ছেন, ছবি : রাজু আহমেদ

গরম থেকে বাঁচতে ফুটপাতের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাথায় পানি দিচ্ছেন, ছবি : রাজু আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে এখন চলছে গ্রীষ্মকাল। ফলে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। বস্তুত শীত, গরম, রোদ, বৃষ্টি সবই আল্লাহর দেওয়া। তীব্র শীত আর প্রচণ্ড গরমে রয়েছে মুমিনে জন্য শিক্ষা। জনজীবন অতিষ্ট হওয়া গরম আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আজাবের কথা। তাই তীব্র তাপদাহের সময় দয়াময় আল্লাহতায়ালার কাছে বেশি বেশি তওবা-ইস্তেগফার করা জরুরি।

পৃথিবীতে ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যেখানে মানবতার কল্যাণ সাধনকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। ফলে তীব্র গরমের সময় ইবাদত-বন্দেগি সহজ করেছে ইসলাম। হজরত আবু জার (রা.) বলেন, এক সফরে আমরা আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম।
এক সময় মোয়াজ্জিন জোহরের আজান দিতে চেয়েছিল। তখন নবী কারিম (সা.) বলেন, গরম কমতে দাও। কিছুক্ষণ পর আবার মোয়াজ্জিন আজান দিতে চাইলে নবী কারিম (সা.) পুনরায় বলেন, গরম কমতে দাও।
এভাবে তিনি (নামাজ আদায়ে) এত বিলম্ব করলেন যে, আমরা টিলাগুলোর ছায়া দেখতে পেলাম।
এরপর নবী কারিম (সা.) বলেন, গরমের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের উত্তাপ হতে। কাজেই গরম প্রচণ্ড হলে উত্তাপ কমার পর নামাজ আদায় করো। -সহিহ বোখারি : ৫৩৯
বর্ণিত হাদিসের আলোকে বিধান হলো, অতীব গরমের সময় কিছুটা বিলম্ব করে জোহরের নামাজ আদায় করা সুন্নত।

গরমের সময় এমন কিছু আমল রয়েছে, যেগুলোর সওয়াব অনেক। একজন মুমিন সেসব আমল করে সহজেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারেন। ওই সব আমলের কয়েকটি হলো-

নফল রোজা
গরমের রোজা শীতের থেকে বেশি কষ্টকর। গরমের কষ্ট উপেক্ষা করে যদি নফল রোজা রাখা যায়, তাহলে আল্লাহতায়ালা বেশি নেকি দেবেন। সাহাবায়ে কেরাম ও পূর্ববর্তী বুজুর্গরা বেশি সওয়াবের আশায় গরমকালে রোজা রাখতেন।

পিপাসার্তকে পানি পান করানো
পিপাসার্তকে পানি পান করানো একটি উত্তম কাজ। আর যদি প্রচণ্ড গরমে কাউকে ঠাণ্ডা পানি পান করানো হয়, তাহলে তো কাজটি আরও উত্তম হবে। এক ব্যক্তি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করলেন, ‘কোন দান উত্তম? তিনি বললেন, ‘পানি পান করানো।’ -সুনানে নাসাই : ৫৪৫৬
ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, ‘তৃষ্ণার্তের তৃষ্ণা নিবারণ সর্বোত্তম মহৎ কাজের একটি।’
হাদিসের অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সদকা বা দান জাহান্নামের আগুন নির্বাপণ করে। আর পানি পান করানো উত্তম সদকা।’ -সুনানে আবু দাউদ : ৭৪৩৫

নফল নামাজ
অতিরিক্ত গরম হলো- জাহান্নামের নিশ্বাস, তাই জাহান্নামের ভয়ে বেশি করে এবং লম্বা লম্বা সুরা দিয়ে নফল নামাজ আদায় করা উত্তম। হাদিসে এসেছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন গরম বেশি পড়বে, তখন বেশি নামাজ আদায় করো। কারণ অতিরিক্ত গরম হলো- জাহান্নামের নিশ্বাস।’ -মেশকাত : ৫৯১

গরম থেকে শিক্ষা
গরমের তীব্রতা থেকে মুমিনের জন্য রয়েছে শিক্ষা। কেননা জাহান্নামের আগুনের উত্তাপ পৃথিবীর আগুনের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি। তাই এ গরম থেকে জাহান্নামের তীব্রতা অনুমান করে গোনাহ থেকে মুক্ত থাকা। হাদিসে এসেছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জাহান্নাম তার প্রতিপালকের কাছে এ বলে নালিশ করেছিল, হে আমার প্রতিপালক! (দহনের প্রচণ্ডতায়) আমার এক অংশ আরেক অংশকে গ্রাস করে ফেলছে। ফলে আল্লাহ তাকে দুইটি শ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি শীতকালে অপরটি গ্রীষ্মকালে। আর তাই তোমরা গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড উত্তাপ এবং শীতকালে তীব্র ঠাণ্ডা অনুভব করো।’ -সহিহ বোখারি : ৫৪৫৫

গ্রীষ্মকালকে গালমন্দ না করা
আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে, গরিবদের মাঝে সুমিষ্ট ফল বিতরণ করা। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা। ঘামে ভেজা শরীরে জনসমাগমে গমন না করা। গরমের সময় প্রবাহিত ঘামের গন্ধ যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখা। গ্রীষ্মকালকে গালমন্দ না করা বিষয়টিও খেয়াল রাখার নির্দেশ দেয় ইসলাম।

বৃষ্টির জন্য নামাজ
প্রচণ্ড গরমে একপশলা বৃষ্টির জন্য মুমিনরা আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী। শস্য ফলানোসহ পশুপাখির খাবারের জন্য যেমন বৃষ্টি দরকার, তেমনি তীব্র তাপদাহে সৃষ্ট নানা জটিলতা ও কষ্ট থেকে মুক্তি পেতেও আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি খুব প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে দয়াময় আল্লাহতায়ালার দরবারে বৃষ্টি কামনা করে নামাজ পড়া ও দোয়া করা সুন্নত। পরিভাষায় এই নামাজের নাম ‘ইসতিসকা’ বা বৃষ্টির নামাজ।

ইসলামের শিক্ষা হলো- সর্বাবস্থায় বান্দা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করবে। প্রচণ্ড গরমের সময়ও এর ব্যতিক্রম নয়। তীব্র তাপদাহের সময় মানুষের উচিৎ জাহান্নামের গরমের কথা স্মরণ করা। জাহান্নাম থেকে বাঁচতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষে আত্মনিয়োগ করা।

একটু শান্তির জন্য দুনিয়ার জীবনে গরমের কষ্ট ও তীব্রতা থেকে বাঁচার জন্য যদি আমরা সম্ভবপর সব উপায় অবলম্বন করতে পারি, তাহলে আখেরাতের আজাব ও ভয়াবহতা থেকে বাঁচার জন্য আমলদার এবং সাধনাকারী হওয়া জরুরি।

;

৪০ বছর ধরে মদিনায় বিনামূল্যে চা-কফি খাওয়ানো বৃদ্ধের মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চা-কফি নিয়ে বসে আছেন শায়খ ইসমাইল আল-জাইম আবু আল-সাবা, ছবি : সংগৃহীত

চা-কফি নিয়ে বসে আছেন শায়খ ইসমাইল আল-জাইম আবু আল-সাবা, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মদিনা জিয়ারতকারীদের অনেকের কাছে পরিচিত নাম শায়খ ইসমাইল আল-জাইম আবু আল-সাবা। গত ৪০ বছর ধরে তিনি পবিত্র হজ-উমরা পালনকারীদের মাঝে বিনামূল্যে চা, কফি, রুটি ও খেজুর বিতরণ করেছেন। অনেক বাংলাদেশি হাজি তার হাতে চা-কফি পান করেছেন।

সদাহাস্য সিরিয়ান এই নাগরিক মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৯৬ বছর বয়সে মদিনায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হারামাইনের খবর সরবরাহকারী ভেরিফায়েড পেইজ ‘ইনসাইড দ্য হারামাইন’ এই খবর জানিয়ে তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে।

জানা যায়, প্রতিদিন ৪০টি ফ্লাস্কে করে চা-কফি আনতেন তিনি। এ জন্য একটি বিশেষ ট্রলি ব্যবহার করতেন, মসজিদে নববিতে যাওয়া অন্যতম পথ জায়েদিয়া এলাকায় বসতেন তিনি। সবুজ চা, লাল চাসহ নানা স্বাদের চা বানিয়ে আনতেন। থাকত চিনিযুক্ত, চিনিমুক্ত চা-কফি। এছাড়া এলাচযুক্ত চা, পুদিনা চা, বিভিন্নরকমের মশলাযুক্ত চা আনতেন।

তিনি রাস্তার পাশে বসে পথচারীদের মধ্যে চা, কফি, খেজুর, রুটি ও বিস্কুট বিনামূল্যে বিতরণ করতেন। এই কাজে তাকে সহযোগিতা করতেন ছেলেরা। কেউ কিছু দিতে চাইলে বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখান করতেন।

গত বছর সৌদি আরবের প্রভাবশালী পত্রিকা আল আরাবিয়া তাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সিরিয়ার নাগরিক শায়খ ইসমাইল প্রায় ৪০ বছর ধরে মদিনায় বসবাস করে আসছিলেন। মদিনার কুবা এভিনিউতে একটি সাধারণ বাড়িতে বসবাস করলেও নিজের সম্পদ পুরোটাই উৎসর্গ করেছিলেন হজ ও উমরা যাত্রীদের খেদমতে।

টানা চার দশক ধরে অনন্য এই সেবার কারণে সবার কাছে তিনি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার পাত্রে পরিণত হন। তার মৃত্যুতে মদিনায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বাংলাদেশের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্মৃতিচারণের পাশাপাশি শোকপ্রকাশ করে তার জন্য দোয়া কামনা করেছেন।

;