পবিত্র শবেকদর: শান্তি ও সার্বিক কল্যাণের রাত



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইসলাম, বার্তা২৪.কম
হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ রাত লাইলাতুল কদর, ছবি: সংগৃহীত

হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ রাত লাইলাতুল কদর, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ রাত লাইলাতুল কদর শনিবার (১ জুন) দিবাগত রাত। শনিবার সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে মহিমান্বিত এ রাতের রহমত বর্ষিত হতে থাকবে গোটা বিশ্বের সকল মানুষের ওপর। বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান রাতটি ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আজকার, নফল নামাজ আদায় ও কোরআনে কারিম তেলাওয়াতের মাধ্যমে কাটাবেন। এ রাত পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়।

লাইলাতুন অর্থ রাত আর কদর অর্থ ভাগ্য। তাই লাইলাতুল কদর অর্থ অতি উচ্চ, মর্যাদা ও মাহাত্ম্য। এ রাতকে ভাগ্য রজনীও বলা হয়। এ রাতে প্রত্যেক বান্দা গোটা বছর কখন কি খাবে বা কি করবে এসব বাজেট নির্ধারণ করা হয় বলে বলা হয়ে থাকে। তাই এ রাতে আল্লাহতায়ালার ইবাদাত করে আল্লাহতায়ালার কাছে নিজের প্রয়োজনীয় বিষয় চেয়ে নিতে বলা হয়েঠে। আর এ রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম হিসেবে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন। মূলত এ রাতে পবিত্র কোরআ্ন নাজিল হয়েছে বলেই এ রাতের এতো মর্যাদা। আর এ রাতের কারণেই পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা সূরা আল কদর নামে একটি স্বতন্ত্র সূরা নাজিল করেছেন। ওই সূরায় বলা হয়েছে এ রাত প্রসঙ্গে। ইরশাদ হয়েছে, আমি একে (কোরআনে কারিম) নাজিল করেছি, শবেকদরে। শবেকদর সম্বন্ধে আপনি কি জানেন? শবেকদর হলো- এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এতে প্রত্যেক কাজের জন্য ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে। এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাইলাতুল কদর তালাশ করার জন্য সম্ভাব্য যে পাঁচটি বেজোড় রাতের উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে ২৬ রোজার দিবাগত সাতাশের রাতটি অন্যতম।

পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদিস দ্বারা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব প্রতিষ্ঠিত। শবেবরাত ও শবেবরাতের হাদিসগুলোর বর্ণনা নিয়ে হাদিস বিশেষজ্ঞ ও ইসলামি স্কলারদের মধ্যে যে সংশয় রয়েছে, লাইলাতুল কদরের ব্যাপারে তার কোনো অবকাশ নেই। পবিত্র কোরআন, নির্ভরযোগ্য হাদিস ও হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর লাইলাতুল কদরের জন্য গৃহীত কর্মতৎপরতা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

এই রাত কোন মাসে? এ বিষয়ে কোরআনে বলা হয়েছে, ‘রমজান এমন মাস যাতে কোরআন নাজিল হয়েছে।’ -সূরা বাকারা: ১৮৫


এই রাত রমজানের কোন তারিখে? হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) রহস্যময় কারণে তারিখটি সুনির্দিষ্ট করেননি। ইমাম বোখারি, ইমাম মুসলিম, ইমাম আহমদ ও ইমাম তিরমিজি কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে, হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘কদরের রাতকে রমজানের শেষ দশ রাতের কোনো বেজোড় রাতে খোঁজ করো।’


হজরত আবু বকর (রা.) ও হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস থেকেও এই একই ধরনের তথ্য পাওয়া যায়।

অবশ্য কোনো কোনো অভিজ্ঞ ইসলামি স্কলার নিজস্ব চিন্তা ও গবেষণা এবং গাণিতিক বিশ্লেষণ ইত্যাদির মাধ্যামে রমজানের ২৭ তারিখের রাতে (অর্থাৎ ২৬ রোজার দিবাগত রাতে) শবেকদর হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা জোর দিয়ে বলেছেন। কিন্তু হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এটাকে সুনির্দিষ্ট করেননি; বরং কষ্ট করে খুঁজে নিতে বলেছেন।

মহিমান্বিত এ রাতকে আল্লাহতায়ালা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লুকিয়ে রেখেছেন। এ সময় বান্দা বিনিদ্র্র রজনী কাটাবে, সবর করবে এর মধ্যে খুঁজে পাবে সম্মানিত রাত। পাবে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত। ফেরেশতার অদৃশ্য মোলাকাতে সিক্ত হবে তার হৃদয়, আপন রবের ভালোবাসায় হবে সে উদ্বেলিত। এ যেন দীর্ঘ বিরহের পর আপনজনকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ। এ দীর্ঘ প্রতিক্ষার কষ্ট-বিরহের মাধ্যমে রব তার বান্দাকে আরও আপন করে নেন। কাজেই রমজানের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ইবাদতে মশগুল হতে হবে। প্রতিটি রাতকেই লাইলাতুল কদর মনে করতে হবে। তা হলে লাইলাতুল কদর আল্লাহর মেহেরবানিতে হাতছাড়া হবে না- ইনশাআল্লাহ।

এ রাতের আর একটি গুরুত্ব হলো- এ পবিত্র রাতেই কোরআনে কারিম নাজিল হয়েছে। আর এই কোরআনে কারিমের সঙ্গে মানুষের ভাগ্য জড়িয়ে আছে। এ রাতে ফেরেশতা নাজিল হয় এবং আবেদ বান্দাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে। ফজর পর্যন্ত এ রাত পুরোপুরি শান্তি ও নিরাপত্তার। এ রাতে প্রত্যেকটি ব্যাপারে অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত ও সুদৃঢ় ফায়সালা জারি করা হয়। এ রাতে ইবাদতে মশগুল বান্দাদের জন্য অবতরণকৃত ফেরেশতারা দোয়া করেন।

হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমান সহকারে ও আল্লাহর কাছ থেকে বড় শুভফল লাভের আশায় ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে, তার পেছনের সব গোনাহ মাফ হয়ে যাবে।’ –সহিহ বোখরি ও মুসলিম

   

২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল
মডেল। বিশ্বের ৩৫ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। আমাদের এই অগ্রযাত্রার মূল নিয়ামক স্বাধীনতা।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন” শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি
এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিলো সোনার বাংলা গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার
কাজ করে যাচ্ছেন। সবাই মিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে সার্থক করে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা.
বশিরুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক মোঃ হাবেজ আহমেদ। এতে অন্যান্যের মধ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোঃ ফজলুর রহমান, প্রতিটি জেলা উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক মো. নজিবর রহমান, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক এ এস এম শফিউল আলম তালুকদার, পরিচালকবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম।অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।

;

ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত, ছবি : সংগৃহীত

ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ২০২ জন ভিক্ষুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ট্যুরিস্ট ভিসায় দুবাইয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশের ভিক্ষাবিরোধী বিশেষ অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন তারা।

বুধবার (২৭ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস দুবাই পুলিশের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আলী সালেম আল সামসির বরাতে জানিয়েছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিক অর্থ পাওয়ার আশায় ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করছিলেন আটককৃত এসব ভিক্ষুক। মূলত তারা পেশাদার ভিক্ষুক নন। তবে রমজানে ধনীরা দুস্থদের সহায়তা করে থাকেন, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে প্রতারণা করছিলেন তারা।

জানা গেছে গ্রেপ্তার হওয়া ২০২ জন ভিক্ষুকের মধ্যে ১১২ জন পুরুষ, আর বাকি ৯০ জন নারী।

দুবাই পুলিশের তথ্যমতে, যারা নির্দেশনা অমান্য করে ভিক্ষা কর ধরা পড়বেন, তাদের ৫ হাজার দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দেড় লাখ টাকা) জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের ৩ মাসের বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হবে। আর যারা অন্য দেশ থেকে সাধারণ মানুষকে এনে ভিক্ষাবৃত্তির মতো পেশায় নামাবে, তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং এক লাখ দিরহাম জরিমানা করা হবে।

দুবাই পুলিশের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আল সামসি অনুরোধ করেছেন, সন্দেহজনক কাউকে ভিক্ষা করতে দেখলে যেন তাদের অবহিত করা হয়। এই কর্মকর্তার মতে, বেশিরভাগই ভিক্ষুকই বানানো গল্প বলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন।

এমন প্রতারণার ঘটনাও সামনে এসেছে। সম্প্রতি নারীর পোশাক পরিধান করে মহিলার ছদ্মবেশে মসজিদের বাইরে ভিক্ষা করার সময় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দুবাইয়ের পুলিশ। তবে লোকটির নাম ও দেশের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। লোকটি পুলিশের কাছে বলেছে নারী ভিক্ষুকরা বেশি সহানুভূতি পায় বলে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারে। তাই আরও বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য একজন নারীর ছদ্মবেশে সে এ কাজটি করেছিল।

দুবাই পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের জেনারেল ডিপার্টমেন্টের সন্দেহভাজন এবং অপরাধমূলক ঘটনা বিভাগ বলেছে, লোকটি বোরকা এবং নেকাব আবৃত একজন মহিলার ছদ্মবেশে দুবাইয়ের একটি মসজিদের বাইরে ভিক্ষা করার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৫ মার্চ দেশটির ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

দুবাইয়ে ভিক্ষাবিরোধী কঠোর আইন রয়েছে। দেশটিতে এমনিতেই ভিক্ষাবৃত্তি একেবারেই নিষিদ্ধ। সেখানে ভিক্ষা নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ভিক্ষা না দিতেও উদ্বুদ্ধ করা হয়।

আর রমজান মাসে ভিক্ষা করার দায়ে পাঁচ হাজার দিরহাম জরিমানা ও তিন মাস জেলের বিধান রয়েছে আরব আমিরাতে। তারপরও একশ্রেণির লোক ভিজিট ভিসায় এসে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করে। বিশেষ করে পবিত্র মাহে রমজানকে পুঁজি করে ভিজিট ভিসায় এসে এ ভিক্ষাবৃত্তি বেশি করা হচ্ছে বলে পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে।

;

‘৫৩ বছরেও দেশের মানুষ অধিকার ফিরে পায়নি’



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পায়নি। বর্তমান অবৈধ সরকার দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরকে নষ্ট করেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার কোনটাই তারা পাচ্ছে না।

বুধবার (২৭ মার্চ) পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগর আয়োজিত মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি কামনায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে গণ-ইফতারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ একথা বলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী সমাজ সামান্য স্বার্থে নিজেদের নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে দিয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সৎ সাহস অধিকাংশই হারিয়ে ফেলেছে। আল্লামা মামুনুল হক-সহ গুটিকয়েক সাহসী আলেম যারা দেশ-জাতি ও ইসলামের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন তাদেরকেও মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন জেলে আটকে রাখা হয়েছে। এ সুযোগে আধিপত্যবাদী শক্তি দেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। ইসলাম এদেশের গনমানুষের অন্তরে গ্রথিত। একে এত সহজে উপড়ে ফেলা যাবে না।

এসময় তিনি ঈদের পূর্বে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

যুব মজলিস ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ জাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফের পরিচালনায় গণ-ইফতারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুব মজলিসের সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজীজুর রহমান হেলাল, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, অফিস ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা রাকীবুল ইসলাম, ইসলামী যুব সমাজের মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ খান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাধারন সম্পাদক মাওলানা ছানাউল্লাহ আমীনী, যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা মুর্শিদুল আলম সিদ্দীক, বায়তুল মাল বিভাগের সম্পাদক মাওলানা শহীদুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা যাকারিয়া ফারুকী, অফিস সম্পাদক মিজানুর রহমান মজলিসে আমেলা সদস্য মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ আমীন, ওমর মাতুব্বর, নাঈমুদ্দীন, মোল্লা খালিদ সাইফুল্লাহ, আব্দুল আজীজ, দীদার প্রমুখ।

;

মক্কা-মদিনার রেলভাড়ায় বিশাল ছাড়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মক্কা-মদিনা রুটের ট্রেন হারামাইন এক্সপ্রেস, ছবি : সংগৃহীত

মক্কা-মদিনা রুটের ট্রেন হারামাইন এক্সপ্রেস, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান উপলক্ষে মক্কা-মদিনা রুটের ট্রেন হারামাইন এক্সপ্রেসের টিকেটমূল্যে বিশাল ছাড় দিয়েছে সৌদি সরকার। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় বুধবার (২৭ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে হারামাইন এক্সপ্রেসের ইকোনমি ক্লাসের টিকেটের দামে ৫০ শতাংশ এবং বিজনেস ক্লাসের টিকেটে ৩০ শতাংশ ছাড় পাবেন যাত্রীরা। তবে এই ছাড় কেবল মদিনা থেকে মক্কা এবং জেদ্দা থেকে মক্কা-মদিনা রুটের যাত্রীরা ভোগ করবেন।

পবিত্র দুই শহর মক্কা ও মদিনার মধ্যকার দূরত্ব ৪৫০ কিলোমিটার। সারা বছরই শহর দু’টিতে হজ ও উমরা যাত্রীদের ভিড় লেগে থাকে। ২০১৮ সাল থেকে এই রুটে উচ্চগতিসম্পন্ন হারামাইন এক্সপ্রেস চালু করে সৌদির সরকার। যাত্রাপথে জেদ্দা শহরে যাত্রাবিরতি দেয় ট্রেনটি।

যাত্রীরা চাইলে সরাসরি স্টেশনে গিয়ে টিকেট কিনতে পারবেন, কিংবা এসএআর ডট এইচএইচআর ডট এসএ ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনেও টিকেট কিনতে পারবেন।

অনলাইনে মূল্য পরিশোধের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ইমেইলে টিকেট এসে যাবে বলে জানিয়েছে সৌদির পরিবহন মন্ত্রণালয়।

হারামাইন হাইস্পিড রেলওয়ে বা এইচএইচআর ট্রেন পবিত্র দুই নগরীর মধ্যে দূরত্বকে কমিয়ে এনেছে। চলাচলকে করে তুলেছে আরও সহজ ও আরামদায়ক। সুচালো মাথার হারামাইন ট্রেন প্রায় দুই ঘণ্টায় মদিনা থেকে মক্কায় পৌঁছে দিচ্ছে যাত্রীদের। যেখানে সড়কপথে সময় লাগে এর দ্বিগুণেরও বেশি।

ট্রেনগুলো ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার গতিতে ছোটে। বিদ্যুৎ চালিত ট্রেনগুলো এ রুটে দিনে প্রায় ৫০ বার যাতায়াত করে। তবে হজের সময় এ ট্রিপের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়।

হারামাইন ট্রেন বিশ্বের ১০টি দ্রুততম ট্রেনেরও একটি। অন্যান্য অঞ্চলও উচ্চগতির এ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার। জ্বালানি তেল-নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে অর্থনীতি বৈচিত্র্যময় করার লক্ষ্যে রেলসহ অবকাঠামো খাতে বিপুল পরিমাণ ব্যয় করছে সৌদি আরব। উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কও দেশটির ভিশন-২০৩০ পরিকল্পনার অংশ।

;