মদিনা রাষ্ট্রের প্রাসঙ্গিকতা আজও বিদ্যমান



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় প্রধান, ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

বির্তককে সঙ্গী করে পাকিস্তানে ১১তম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলে একসময়ের জগদ্বিখ্যাত ক্রিকেট অধিনায়ক ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন তেহরিক-ই- ইনসাফ পার্টি সরকার গঠনের দ্বারপ্রান্তে। তবে তাকে জোট গড়তে হবে। এই নিবন্ধ লেখা পর্যন্ত তিনি কোন দলের সঙ্গে জোট করবেন তা স্পষ্ট হয়নি।

উপমহাদেশ ও বৈশ্বিক বাস্তবতায় পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উপমহাদেশের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে ভিন্নতর। আফগানিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক বাস্তবতা, পশ্চিমাদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং চীন-মার্কিন মেরুকরণ, ভারতের সঙ্গে ক‚টনৈতিক সম্পর্কের উত্তাপ পাকিস্তানকে সরাসরি প্রভাবিত করে। তবে এটা স্বীকৃত যে, পাকিস্তানের রাজনীতিতে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সেনাবাহিনী সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে থাকে। দেশ পরিচালনায় সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যকার দূরত্ব বা সমন্বয়হীনতার কারণে পাকিস্তানের জাতীয় রাজনীতি ও সামাজিক বাস্তবতায় বিরূপ প্রভাব পড়তে দেখা যায়। সেটা অবশ্য ভিন্ন প্রসঙ্গ।

সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, পাকিস্তান প্রধান সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পালাবদল এবং নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ পূর্ণ করার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ হলো। এটা পাকিস্তানের গণতন্ত্র ও জাতীয় রাজনীতিতে অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।

পাকিস্তানে এবারের জাতীয় নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের পাশাপাশি ভোটারদের উপস্থিতি বা অংশগ্রহণও ছিল অতীতের যে কোন জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে বেশি। পাকিস্তানের অতি রক্ষণশীল সামাজিক বিধি-নিষেধ ডিঙিয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

প্রাপ্ত ফলাফল অনুসারে ইমরান খানই পাকিস্তানের পরবর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন, এটা নিশ্চিত। ইমরান খান একই সঙ্গে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত এবং ইসলামি মূল্যবোধের প্রতি একনিষ্ঠ। তেহরিক-ই- ইনসাফ পার্টির নির্বাচনী ইশতিহারটিও ছিল সময়োপযোগী এবং জনগণের প্রত্যাশার কাছাকাছি।

/uploads/files/FZAixM7HNxtN5ghL0gu8GyoUd7TCaaM5ea36HBaq.jpeg

নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ইমরান খান বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশ বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। কৃষকরা তাদের শ্রমের মূল্য পান না, ২ কোটি ৫০ লাখ শিশু শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত, পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবার অভাবে আমাদের প্রসূতি মায়েরা অব্যাহতভাবে মারা যাচ্ছেন, সরকার নিরাপদ খাবার পানিও সরবরাহ করতে পারে না। আমি মদিনা রাষ্ট্রের মতো করে পাকিস্তান গঠনের স্বপ্ন দেখি। যেখানে বিধবা ও দরিদ্ররা অবহেলিত হবে না। আমাদের সকল নীতি হবে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সহযোগিতা করার জন্য।

ইমরান খানের ওই ভাষণেকে রাজনৈতিক মহল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে। তিনি ভাষণে বলেছেন, সরকার গঠনের পর তার দল এই ভিশন নিয়েই দেশ পরিচালনা করবে। আমরাও মনে করি, পাকিস্তানের রাজনৈতিক বলয়ে ক্ষমতার মসনদে নির্দিষ্ট দল বা শক্তিগুলোর বাইরে ইমরান খানের প্রবেশ একেবারেই নতুন ঘটনা। এমতাবস্থায় তাকে বিচক্ষণতার সঙ্গে পথ চলতে হবে।

এক্ষেত্রে তিনি ‘মদিনা রাষ্ট্রের মতো করে পাকিস্তান গঠনের স্বপ্ন দেখি’ বলে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশাকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে মদিনা রাষ্ট্র যে আজও প্রাসঙ্গিক তা তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। বস্তুত হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। তার জীবনের পূর্ণতা ও সফল বাস্তবায়ন ঘটে মদিনায় একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে। তিনি ঐতিহাসিক মদিনা সনদের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর সামনে আদর্শ রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের উজ্জ্বল একটি নজির রেখে গেছেন। দেড় হাজার বছর আগের ঐতিহাসিক সেই সূত্র আজকের আধুনিক বিশ্বেও প্রাসঙ্গিক। সামাজিক ভারসাম্য ও আদর্শভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে তার প্রণীত নীতিমালার কোনো বিকল্প নেই।

মদিনায় হিজরতের পর নবী করিম সেখানে বসবাসকারী ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মূর্তি পূজকদের সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের সহাবস্থানের জন্য একটি সনদ প্রণয়ন করেন। ইতিহাসে তা ‘মদিনা সনদ’ নামে পরিচিত। এর মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দেন। ধর্মীয় এবং সামাজিক জীবনেও এই সনদের প্রভাব বিস্তৃত ছিল। দ্বিধাবিভক্ত মদিনাকে তিনি গেঁথেছিলেন এক সুতোয়। গৃহযুদ্ধে লিপ্ত মদিনাবাসীকে জড়ো করেন শান্তি ও সম্প্রীতির ডোরে। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব মুসলমান ও ইহুদি নাগরিকদের সমান অধিকার ও কর্তব্য নির্ধারণ করেন। মুসলমান ও অমুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে মৈত্রী, সদ্ভাব ও পরস্পর সহযোগিতার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব ও প্রীতির সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

মদিনা সনদের আলোকে গড়ে ওঠা ঐতিহাসিক মদিনা রাষ্ট্রের আবেদন আজও ফুরিয়ে যায়নি। বর্তমান সমস্যাসংকুল এই বিশ্বে, গভীর সংকটে আবর্তিত সমাজ ও রাষ্ট্রের উত্তরণ ঘটতে পারে একমাত্র মদিনা সনদের আলোকেই। ঐতিহাসিক সেই ৪৭টি ধারা অনুসরণ করলে আমাদের দেশের রাজনীতি, রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে পারে। মদিনার সনদের পরতে পরতে শান্তি, সম্প্রীতি, সহাবস্থান, মানবাধিকার ও ধর্মীয় গোঁড়ামি পরিহারের যে বারতা রয়েছে তা অনুসরণ করলে আমরাও লাভ করতে পারি বহুল কাঙ্ক্ষিত একটি কল্যাণ রাষ্ট্র। সামগ্রিক জীবনধারা নবীর আদর্শে গড়ে তোলার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা।

পরিবর্তনশীল বিশ্বে নানা মতবাদ ও তন্ত্রমন্ত্রে আচ্ছন্ন বিশ্ববাসীর সামনে বিষয়গুলো নতুনভাবে তুলে আনায় পাকিস্তানের হবু প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে শুভেচ্ছা, সেই সঙ্গে অভিনন্দন তার বিজয়েও।

   

২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল
মডেল। বিশ্বের ৩৫ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। আমাদের এই অগ্রযাত্রার মূল নিয়ামক স্বাধীনতা।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন” শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি
এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিলো সোনার বাংলা গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার
কাজ করে যাচ্ছেন। সবাই মিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে সার্থক করে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা.
বশিরুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক মোঃ হাবেজ আহমেদ। এতে অন্যান্যের মধ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোঃ ফজলুর রহমান, প্রতিটি জেলা উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক মো. নজিবর রহমান, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক এ এস এম শফিউল আলম তালুকদার, পরিচালকবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম।অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।

;

ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত, ছবি : সংগৃহীত

ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ২০২ জন ভিক্ষুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ট্যুরিস্ট ভিসায় দুবাইয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশের ভিক্ষাবিরোধী বিশেষ অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন তারা।

বুধবার (২৭ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস দুবাই পুলিশের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আলী সালেম আল সামসির বরাতে জানিয়েছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিক অর্থ পাওয়ার আশায় ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করছিলেন আটককৃত এসব ভিক্ষুক। মূলত তারা পেশাদার ভিক্ষুক নন। তবে রমজানে ধনীরা দুস্থদের সহায়তা করে থাকেন, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে প্রতারণা করছিলেন তারা।

জানা গেছে গ্রেপ্তার হওয়া ২০২ জন ভিক্ষুকের মধ্যে ১১২ জন পুরুষ, আর বাকি ৯০ জন নারী।

দুবাই পুলিশের তথ্যমতে, যারা নির্দেশনা অমান্য করে ভিক্ষা কর ধরা পড়বেন, তাদের ৫ হাজার দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দেড় লাখ টাকা) জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের ৩ মাসের বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হবে। আর যারা অন্য দেশ থেকে সাধারণ মানুষকে এনে ভিক্ষাবৃত্তির মতো পেশায় নামাবে, তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং এক লাখ দিরহাম জরিমানা করা হবে।

দুবাই পুলিশের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আল সামসি অনুরোধ করেছেন, সন্দেহজনক কাউকে ভিক্ষা করতে দেখলে যেন তাদের অবহিত করা হয়। এই কর্মকর্তার মতে, বেশিরভাগই ভিক্ষুকই বানানো গল্প বলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন।

এমন প্রতারণার ঘটনাও সামনে এসেছে। সম্প্রতি নারীর পোশাক পরিধান করে মহিলার ছদ্মবেশে মসজিদের বাইরে ভিক্ষা করার সময় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দুবাইয়ের পুলিশ। তবে লোকটির নাম ও দেশের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। লোকটি পুলিশের কাছে বলেছে নারী ভিক্ষুকরা বেশি সহানুভূতি পায় বলে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারে। তাই আরও বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য একজন নারীর ছদ্মবেশে সে এ কাজটি করেছিল।

দুবাই পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের জেনারেল ডিপার্টমেন্টের সন্দেহভাজন এবং অপরাধমূলক ঘটনা বিভাগ বলেছে, লোকটি বোরকা এবং নেকাব আবৃত একজন মহিলার ছদ্মবেশে দুবাইয়ের একটি মসজিদের বাইরে ভিক্ষা করার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৫ মার্চ দেশটির ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

দুবাইয়ে ভিক্ষাবিরোধী কঠোর আইন রয়েছে। দেশটিতে এমনিতেই ভিক্ষাবৃত্তি একেবারেই নিষিদ্ধ। সেখানে ভিক্ষা নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ভিক্ষা না দিতেও উদ্বুদ্ধ করা হয়।

আর রমজান মাসে ভিক্ষা করার দায়ে পাঁচ হাজার দিরহাম জরিমানা ও তিন মাস জেলের বিধান রয়েছে আরব আমিরাতে। তারপরও একশ্রেণির লোক ভিজিট ভিসায় এসে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করে। বিশেষ করে পবিত্র মাহে রমজানকে পুঁজি করে ভিজিট ভিসায় এসে এ ভিক্ষাবৃত্তি বেশি করা হচ্ছে বলে পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে।

;

‘৫৩ বছরেও দেশের মানুষ অধিকার ফিরে পায়নি’



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পায়নি। বর্তমান অবৈধ সরকার দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরকে নষ্ট করেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার কোনটাই তারা পাচ্ছে না।

বুধবার (২৭ মার্চ) পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগর আয়োজিত মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি কামনায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে গণ-ইফতারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ একথা বলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী সমাজ সামান্য স্বার্থে নিজেদের নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে দিয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সৎ সাহস অধিকাংশই হারিয়ে ফেলেছে। আল্লামা মামুনুল হক-সহ গুটিকয়েক সাহসী আলেম যারা দেশ-জাতি ও ইসলামের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন তাদেরকেও মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন জেলে আটকে রাখা হয়েছে। এ সুযোগে আধিপত্যবাদী শক্তি দেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। ইসলাম এদেশের গনমানুষের অন্তরে গ্রথিত। একে এত সহজে উপড়ে ফেলা যাবে না।

এসময় তিনি ঈদের পূর্বে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

যুব মজলিস ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ জাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফের পরিচালনায় গণ-ইফতারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুব মজলিসের সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজীজুর রহমান হেলাল, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, অফিস ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা রাকীবুল ইসলাম, ইসলামী যুব সমাজের মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ খান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাধারন সম্পাদক মাওলানা ছানাউল্লাহ আমীনী, যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা মুর্শিদুল আলম সিদ্দীক, বায়তুল মাল বিভাগের সম্পাদক মাওলানা শহীদুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা যাকারিয়া ফারুকী, অফিস সম্পাদক মিজানুর রহমান মজলিসে আমেলা সদস্য মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ আমীন, ওমর মাতুব্বর, নাঈমুদ্দীন, মোল্লা খালিদ সাইফুল্লাহ, আব্দুল আজীজ, দীদার প্রমুখ।

;

মক্কা-মদিনার রেলভাড়ায় বিশাল ছাড়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মক্কা-মদিনা রুটের ট্রেন হারামাইন এক্সপ্রেস, ছবি : সংগৃহীত

মক্কা-মদিনা রুটের ট্রেন হারামাইন এক্সপ্রেস, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান উপলক্ষে মক্কা-মদিনা রুটের ট্রেন হারামাইন এক্সপ্রেসের টিকেটমূল্যে বিশাল ছাড় দিয়েছে সৌদি সরকার। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় বুধবার (২৭ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে হারামাইন এক্সপ্রেসের ইকোনমি ক্লাসের টিকেটের দামে ৫০ শতাংশ এবং বিজনেস ক্লাসের টিকেটে ৩০ শতাংশ ছাড় পাবেন যাত্রীরা। তবে এই ছাড় কেবল মদিনা থেকে মক্কা এবং জেদ্দা থেকে মক্কা-মদিনা রুটের যাত্রীরা ভোগ করবেন।

পবিত্র দুই শহর মক্কা ও মদিনার মধ্যকার দূরত্ব ৪৫০ কিলোমিটার। সারা বছরই শহর দু’টিতে হজ ও উমরা যাত্রীদের ভিড় লেগে থাকে। ২০১৮ সাল থেকে এই রুটে উচ্চগতিসম্পন্ন হারামাইন এক্সপ্রেস চালু করে সৌদির সরকার। যাত্রাপথে জেদ্দা শহরে যাত্রাবিরতি দেয় ট্রেনটি।

যাত্রীরা চাইলে সরাসরি স্টেশনে গিয়ে টিকেট কিনতে পারবেন, কিংবা এসএআর ডট এইচএইচআর ডট এসএ ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনেও টিকেট কিনতে পারবেন।

অনলাইনে মূল্য পরিশোধের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ইমেইলে টিকেট এসে যাবে বলে জানিয়েছে সৌদির পরিবহন মন্ত্রণালয়।

হারামাইন হাইস্পিড রেলওয়ে বা এইচএইচআর ট্রেন পবিত্র দুই নগরীর মধ্যে দূরত্বকে কমিয়ে এনেছে। চলাচলকে করে তুলেছে আরও সহজ ও আরামদায়ক। সুচালো মাথার হারামাইন ট্রেন প্রায় দুই ঘণ্টায় মদিনা থেকে মক্কায় পৌঁছে দিচ্ছে যাত্রীদের। যেখানে সড়কপথে সময় লাগে এর দ্বিগুণেরও বেশি।

ট্রেনগুলো ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার গতিতে ছোটে। বিদ্যুৎ চালিত ট্রেনগুলো এ রুটে দিনে প্রায় ৫০ বার যাতায়াত করে। তবে হজের সময় এ ট্রিপের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়।

হারামাইন ট্রেন বিশ্বের ১০টি দ্রুততম ট্রেনেরও একটি। অন্যান্য অঞ্চলও উচ্চগতির এ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার। জ্বালানি তেল-নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে অর্থনীতি বৈচিত্র্যময় করার লক্ষ্যে রেলসহ অবকাঠামো খাতে বিপুল পরিমাণ ব্যয় করছে সৌদি আরব। উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কও দেশটির ভিশন-২০৩০ পরিকল্পনার অংশ।

;