ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সহাবস্থানের রাজনীতিতে মুখরিত ঢাবি



রেজা-উদ্-দৌলাহ্ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সহবস্থানের রাজনীতিতে মুখরিত ঢাবি

ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সহবস্থানের রাজনীতিতে মুখরিত ঢাবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে সহাবস্থানের রাজনীতিতে মুখরিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন। আসন্ন এই নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলোর রাজনৈতিক চর্চা, মিছিল, মিটিংয়ে যেন নব যৌবন ফিরে পেয়েছে রাজনীতির আতুরঘর খ্যাত মধুরক্যান্টিন। ইতোমধ্যেই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় গোটা ক্যাম্পাস এলাকা ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুনে। প্রার্থীরা প্রতিদিন ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন, ভোটারদের আকৃষ্ট করতে তাদের কাছে নিজেদের ইশতেহার পৌঁছে দিচ্ছেন। নির্বাচনে বিজয়ী হলে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে তাদের থাকছে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/09/1552138458981.jpg

শনিবার (৯ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই মধুর ক্যান্টিন জমজমাট হতে থাকে ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে। সকাল ১১ টার পরে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা তাদের দাবি নিয়ে মিছিল করেছে।

এদিকে নির্বাচনে ভোটগ্রহণের মাত্র ২দিন আগে ভোটারদের কাছে নিজেদের ইশতেহার প্রকাশ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেল।

এদিন দুপুর ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে প্যানেলের পরিচিতি সভায় ১৫ দফা সংবলিত এই ইশতেহার ঘোষণা করেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান।

এ সময় সেখানে ডাকসু ও হল সংসদ প্যানেল-প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ইশতেহার ঘোষণা শেষে ছাত্রদল এক‌টি মিছিল বের করে। মিছিলটি মধুর ক্যা‌ন্টিন হ‌য়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগা‌রের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

ছাত্রদল যখন ইশতেহার ঘোষণা করছিল অপরাজেয় বাংলায় তখন দুপুর ১২টার দিকে ২০-২৫ জন নিয়ে মধুর ক্যান্টিনের সামনে মিছিল শুরু করে জাতীয় ছাত্র সমাজ। এ সময় তারা এরশাদের নামে স্লোগান দেয় ৷ তখন মধুর ক্যান্টিনে থাকা ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি তুহিন কান্তি দাসের নেতৃত্বে ছাত্র ইউনিয়ন নেতাকর্মীরা হঠাৎ তাদের ধাওয়া দেয়। ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বে বাম সংগঠনগুলো এতে অংশ নেন। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্র মৈত্রী কর্মীদের লাঠিসোটা নিয়ে যোগ দিতে দেখা যায়। ধাওয়ার ‍মুখে ছাত্র সমাজের নেতাকর্মীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/09/1552138587003.jpg

বামজোটের কয়েকজন নেতা-কর্মী বার্তা২৪.কমকে জানান, নব্বইয়ের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের মিটিংয়ে স্বৈরাচার এরশাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র সমাজকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু এবারের ডাকসু নির্বাচনে তাদের ব্যাপারে প্রশাসন আশ্চর্যজনকভাবে নিষ্ক্রিয় অবস্থান গ্রহণ করে আছে। প্রশাসনের আসকারাতেই ক্যাম্পাসে ছাত্র সমাজ মিছিল করার সাহস পেয়েছে। প্রশাসন না পারলে ছাত্র সমাজকে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোই প্রতিহত করবে।

এছাড়া একইদিন মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল করেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। তারাও এবারের ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে।

গত ১০ বছরে যে মধুর ক্যান্টিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছিল ছাত্রলীগের এক আধিপত্যে সেখানে ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ছাত্রদল, বাম সংগঠন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সরব উপস্থিতি নতুন জোয়ার সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই সহবস্থান ও প্রতিযোগিতামূলক ইতিবাচক রাজনীতিকে স্বাগত জানিয়েছেন।

তাদের মতে, ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সহবস্থানের মধ্যদিয়ে ক্যাম্পাসে একটি ভারসাম্যপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ডাকসু নির্বাচন ক্যাম্পাসে রাজনীতির এই ইতিবাচক পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করেছে। ডাকসু নির্বাচনের জন্যও যেন এই উৎসবমুখর, প্রাণচঞ্চল পরিবেশ বজায় থাকে সেটাই চাওয়া তাদের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/09/1552138823715.jpg

এদিকে ভোটের প্রচার প্রচারণায় সবচেয়ে এগিয়ে ছাত্রলীগ। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে একমাত্র ছাত্রলীগই পূর্ণ প্যানেলে প্রার্থী দিতে সক্ষম হয়েছে। হলগুলোতেও রয়েছে ছাত্রলীগের আদর্শিক একাধিপত্য। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি হলে ছাত্রলীগের ৫০ জন প্রার্থী কয়েকটি পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতও হয়েছেন।

জানা গেছে, ছাত্রলীগের মনোনীত প্রার্থীরা যেমন ক্যাম্পাসে জনপ্রিয়, ক্লিন ইমেজধারী ঠিক তেমনি ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে নেতা-কর্মীরা। ইতোমধ্যেই তারা প্যানেল পরিচিতির মাধ্যমে ভোটারদের কাছে ইশতেহার তুলে ধরেছে। প্রতিদিন তারা অনলাইন, অফলাইন ক্যাম্পেইনে অন্য প্যানেল কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। ডাকসু ও হল সংসদে ছাত্রলীগের পুরো প্যানেলের নির্বাচনের সমন্বয়ে নিরলস কাজ করছে ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি ও  ছাত্রলীগের ডাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান সনজিত চন্দ্র দাস।

জানতে চাইলে ছাত্রলীগের ডাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান সনজিত চন্দ্র দাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগামী ১১ তারিখের নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পেতে ছাত্রলীগের সমস্ত নেতা-কর্মী আদা জল খেয়ে মাঠে নেমেছে। আমরা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার ভোটারদের কাছে তুলে ধরেছি। প্রতিটা হলে হলে আমরা প্যানেল নিয়ে প্রজেকশন মিটিং করেছি। নির্বাচনে ছাত্রলীগকে বিজয়ী করতে মুখিয়ে আছে ভোটাররা।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২৮ বছর পর আগামী ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচন আয়োজনের সর্বশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

   

এবার দুই পদ থেকে পদত্যাগ করলেন কুবি শিক্ষক



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষক দুইটি পদ থেকে একসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী শিক্ষক হলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হক। তিনি ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিনিধি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর দেয়া একটি পদত্যাগপত্র তিনি প্রদান করেন।

পদত্যাগপত্রে মোহাম্মদ আইনুল হক উল্লেখ করেন, আমি ২০২২ সালের ০৬ নভেম্বর থেকে ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এবং ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের কর্তৃক বিভিন্ন অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরিকৃত সংকটের কোনো সমাধান না করে উপরন্তু নতুন নতুন সংকট তৈরি, অনিরাপদ কর্মক্ষেত্র এবং পেশাগত বিশৃঙ্খলা তৈরির পাশাপাশি বিভিন্নভাবে শিক্ষকদের মর্যাদাহানি করা হচ্ছে। এ সমস্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে আমি উক্ত পদসমূহের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করছি।'

এ বিষয়ে মোহাম্মদ আইনুল হক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তা সমাধান না করে আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডিন, বিভাগীয় প্রধান নিয়োগে আইন মানা হচ্ছে না। এমনকি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষকদের সাথে কর্মকর্তাদের যে অসৌজন্যমূলক আচরণ তার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যার প্রেক্ষিতে আমার মনে হয়েছে এই পদে আমার থাকা অনুচিত। তাই আমি পদত্যাগ করেছি।

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন মজুমদার, ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মো: কামরুল হাসান ও শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক কুলছুম আক্তার স্বপ্না পদত্যাগ করেন। এছাড়াও ১৯ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় 'এজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনীভাবে ডিন নিয়োগ' দেয়ার কারণ দেখিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যর পদ থেকে অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান পদত্যাগ করেন। সর্বশেষ গত ২০ মার্চ চার হলের চার আবাসিক শিক্ষক পদত্যাগ করেছিলেন।

;

৩ বছরেও সমন্বয় হয়নি জবি শিক্ষার্থীদের অবৈতনিক অধ্যয়নের টাকা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

মেধাবৃত্তি ও অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অবৈতনিক অধ্যয়নের টাকা এখনো সমন্বয় হয়নি বলে অভিযোগ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রসায়ন বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর স্টুডেন্ট আইডির প্রোফাইলে লগ ইন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

রসায়ন বিভাগ ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মারুফা হাকিমের স্টুডেন্ট আইডির প্রোফাইলে লগ ইন করে দেখা যায়, প্রতিবছর ১ বার করে সেমিস্টার ফি থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মেধাবৃত্তি ও অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফি থেকে এক শিক্ষাবর্ষে ২ বার ৬০০ টাকা মওকুফের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। তিনি ২০২১ সালে মেধাবৃত্তি এবং ২০২২ ও ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছেন। ফলে বৃত্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতি সেমিস্টার ফি থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ হবার কথা। অর্থাৎ ১ বছরে ২ বার এবং ৩ বছরে ৬ বার ৬০০ টাকা করে মওকুফ হবার কথা থাকলে ৩ বছরে মাত্র ৩ বার ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে।

২০২১ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "বৃত্তি নীতিমালা-২০১৩" অনুযায়ী প্রত্যেক বিভাগ হতে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ০৩ (তিন) জন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ৪০০/- (চারশত) টাকা হারে মেধাবৃত্তি এবং এক শিক্ষাবর্ষের জন্য অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। মেধাবৃত্তি ছাড়াও প্রত্যেক বিভাগে প্রতি শিক্ষাবর্ষে মোট শিক্ষার্থীর ১০% (শতকরা দশজন) অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান করা হবে।

২০২২ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "বৃত্তি নীতিমালা-২০১৩" অনুযায়ী প্রত্যেক বিভাগ হতে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ০৩ (তিন) জন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ৬৫০/- (ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা হারে মেধাবৃত্তি এবং এক শিক্ষাবর্ষের জন্য অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। মেধাবৃত্তি ছাড়াও প্রত্যেক বিভাগে প্রতি শিক্ষাবর্ষে মোট শিক্ষার্থীর ১০% (শতকরা দশজন) অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান করা হবে।

এ বিষয়ে ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মারুফা হাকিম বলেন, আমি ২০২১ সালে মেধাবৃত্তি পেয়েছি এবং ২০২২ ও ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছি। সে হিসেবে আমার প্রতি সেমিস্টারে ৬০০ টাকা করে মওকুফ হবার কথা। অর্থাৎ এক শিক্ষাবর্ষে দুই সেমিস্টারে ৬০০ করে মোট ১২০০ টাকা মওকুফ হবার কথা কিন্তু প্রতিবছর শুধু একবার করে ৬০০ টাকা মওকুফ করেছে।

রসায়ন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম ২০২১ ও ২০২২ সালে মেধাবৃত্তি এবং ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছেন। মেধাবৃত্তির টাকা পেলেও সমন্বয় হয়নি অবৈতনিক অধ্যয়নের টাকা।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ২০২১ ও ২০২২ সালে মেধাবৃত্তি এবং ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছি। বৃত্তির নোটিশ অনুযায়ী আমার প্রতি সেমিস্টার ফি থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ হওয়ার কথা। কিন্তু তা হয় নি। ২০২৩ সালে দুটি সেমিস্টার থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে। তবে ২০২১ ও ২০২২ সালে একবার করে ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, আমি যখন ছাত্রকল্যাণের পরিচালক ছিলাম তখন এ বিষয়গুলো আপডেট করা হয়েছে। এমন হওয়ার কথা না। এরপরেও যদি হয়ে থাকে তবে সমস্যা আইসিটি সেলের নাকি অন্য কোথাও সেটা দেখতে হবে।

তিনি বলেন, যদি কোনো শিক্ষার্থীর অনার্স বা মাস্টার্স শেষ হয়ে যাওয়ায় তার টাকা সমন্বয় করার কোনো উপায় না থাকে তবে সে এপ্লিকেশন করলেই তাকে তার প্রাপ্য টাকা দিয়ে দেয়া হবে। কোনো শিক্ষার্থীই বঞ্চিত হবে না।

সশরীরে উপস্থিত হয়ে সমন্বয় করতে হবে-এমন কথা বৃত্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ না থাকলেও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, যখন শিক্ষার্থীরা দেখলেন যে সমন্বয় হচ্ছে না তখন তাদের উচিত ছিল অভিযোগ জানানো। আমরা নিজেরাও তো ব্যাংকে সরাসরি যোগাযোগ করি যখন কোনো সমস্যা হয়।

এ বিষয়ে আইসিটি সেলের পরিচালক ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, এটা আইসিটি সেলের বিষয় না। রেজিস্ট্রার স্যারের সাথে কথা বললে সঠিক তথ্য পাবেন।

;

ঢাবির বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিট ও ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এক লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯ হাজার ৭২৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল।

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪ হাজার ৫৮২ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পাশের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। প্রথম হয়েছেন চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী অথৈ ধর। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ৫০ নম্বর পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফল ঘোষণা করেন।

এদিকে বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল। তিনি রাজধানীর নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১১১ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন।

চলতি বছরের ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৮৫১টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ১হাজার ৭৭৫টি, মানবিক শাখা থেকে ৫১টি, ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ২৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

আর ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৫০টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৩০টি মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৫টি বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ২৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও চারুকলা ইউনিটের ফলও প্রকাশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল ফল জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে। এছাড়া মোবাইলে এসএমসএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU SCI <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।

;

ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ১ লাখ ২ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০ হাজার ২৭৫ জন জন পাস করেছেন। এই ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তী মন্ডল।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফল ঘোষণা করেন।

এই ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তী মন্ডল। তিনি খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন।

চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট আসন ২ হাজার ৯৩৪টি। তার মধ্যে মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ১ হাজার ৭০৭টি, বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৪৪টি, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য ২৮৩ আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও চারুকলা ইউনিটের ফলও প্রকাশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে। মোবাইলে এসএমসএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। এছাড়া টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU ALS <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।

;