রাবিতে নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, শঙ্কিত শিক্ষার্থীরা



সাইফুল্লাহ সাইফ, রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) একাডেমিক ভবন, প্রশাসন ভবন, হল, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবনসহ ছোট বড় প্রায় ১৫৮টি ভবন রয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে কেবল তিনটি ভবনে অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে অগ্নি ঝুঁকিতে রয়েছে বাকি ১৫৫টি ভবন এবং এখানে থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বনানী ও চুড়িহাট্টার মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫৭টি ভবনের মধ্যে ১৭টি আবাসিক হল, ১০টি একাডেমিক ভবন, দুটি প্রশাসনিক ভবন, একটি করে আইবিএস ভবন, টিএসসিসি, মিলনায়তন, ডিনস ভবন, সিনেট ভবন, আইবিএ ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবন। এছাড়া উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের বাসভবনসহ শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রায় ১১৫টি আবাসিক ভবন রয়েছে। আর এসব ভবনের মধ্যে কেবল কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ১৯টি, মুহম্মদ কুদরত-ই-খোদা ভবনে চারটি ও স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ভবনে ১১টি অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার রয়েছে। আর বাকি ভবনগুলোর কোনটিতেই অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা নেই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বিভিন্নস্থানে ১৯টি সিলিন্ডার রয়েছে যেগুলোর কোনটিরও মেয়াদ নেই। এর মধ্যে গ্রন্থাগারের মূল ফটকে যে সিলিন্ডার রয়েছে সেটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০০৯ সালে। পাশে থাকা রেফারেন্স শাখার সিলিন্ডারের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৫ সালে। সিঁড়ির পাশে ক্যাটালগিং শাখার সিলিন্ডারের মেয়াদ শেষ হয় ২০১১ সালে। রিডিং রুমের সামনে রাখা সিলিন্ডারটি মেয়াদ শেষ হয় ২০১৩ সালে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহম্মদ কুদরত-ই-খোদা ভবনে চারটি ও স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ভবনের বিভিন্ন বিভাগে ১১টি অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার দেখা গেছে। এই দুই ভবনের ১৫টি সিলিন্ডারের মধ্যে চারটির মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের জুলাইয়ে। এছাড়া প্রশাসনিক ভবন, হল ও শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবনগুলোতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দেখা যায়নি।

রাবিতে নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, শঙ্কিত শিক্ষার্থীরা
যে তিনটি ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে তার মধ্যে অনেকগুলোর মেয়াদ নাই: ছবি: বার্তা২৪

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, গত বছরের ২ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের দুটি ল্যাব ও অফিস কক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনগুলোতে অগ্নিদুর্ঘটনা নিরসনে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এছাড়া হলগুলোতে আগুন লাগলে নিয়ন্ত্রণে আনার কোন উপায় নেই বলেও জানা যায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের সাথে কথা বললে তারা বলেন, 'ক্যাম্পাসের অন্য কোন ভবনে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র আছে কিনা জানা নেই। তবে শিক্ষকদের কোয়ার্টারের কোন ভবনেই নেই অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা। ভবনগুলো যে কাঠামোতে তৈরি করা হয়েছে আগুন লাগলে প্রাণে বাঁচার সম্ভাবনা নেই। সারাদেশে যেভাবে আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে এখানে যে হবে না তার নিশ্চয়তা নাই। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।'

আবুল কাশেম নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'ক্যাম্পাসের ভবনগুলো অনেক পুরাতন। এছাড়া ভবনগুলোতে বৈদ্যুতিক তারের যে লাইন টানানো হয়েছে সেগুলোতে অনেক ত্রুটি রয়েছে। প্রতিটি হলে শিক্ষার্থীরা বৈদ্যুতিক হিটার ব্যবহার করছে। ফলে যেকোনো সময় অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে।'

গ্রন্থাগারের একাধিক কর্মকর্তা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'গ্রন্থাগারের ভেতরে যেসব সিলিন্ডার রয়েছে সেগুলোর মেয়াদ নেই। যদি গ্রন্থাগারের কখনো আগুন লাগে তাহলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এছাড়া অনেক প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। কেননা গ্রন্থাগারের মূল ফটক ছাড়া বের হওয়ার অন্য কোন পথ নেই। এছাড়া গ্রন্থাগারের ভেতরে এলোমেলোভাবে বৈদ্যুতিক লাইন টানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে বারবার বলা হলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।'

তারা আরও বলেন, 'অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে কিভাবে আগুন নেভাতে হয়, আমাদের জানা নেই। এ বিষয়ে কোন প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়নি। তাই অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'গ্রন্থাগার ও দুই একটি ভবন ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর কোন ভবনে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে। শীঘ্রই অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

   

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করল জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।

১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রায় সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এবারের নববর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন, মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ এর মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ স্থান পায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে আলোচনা সভা হয় ৷ সংগীত বিভাগ ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান ও যাত্রাপালার আয়োজন করা হয় ৷

ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনী।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটিসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

;

শূন্যপদ নিয়ে টেনেটুনে চলছে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে টেনেটুনে। এতে কোনোভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান।

অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে এখানে লোকবলের চাহিদা রয়েছে ২শ ৩৫ জনের। অথচ এতসংখ্যক লোকবলের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র ৫১ জন। যেখানে শূন্যপদের চাহিদার সংখ্যা ১শ ৮৪ জনের, সেখানে ইনস্টিটিউটটির টেনেটুনে না চলে উপায়ও নেই।

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখানে চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ১৪টি। আছেন মাত্র ৩ জন। বাকি ১১টি পদ এখনো খালি।

ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৬টি। আছেন মাত্র ৮ জন। বাকি ৩৮ পদ খালি। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৫টি। আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ৪০ পদ খালি। ওয়ার্কশপ সুপার পদের সংখ্যা ৩টি। ৩টি পদই খালি। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদসংখ্যা ১০৮টি। কর্মরত আছেন ২৪ জন, খালি ৮৪।
৩য় শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ৭টি। কর্মরত ৪, খালি ৩টি। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ১১টি। কর্মরত ৭, শূন্য ৪টি। খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ১২ জন। অধ্যক্ষের পদও খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ল্যাব সংখ্যা ২০টির মতো।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ল্যাব সংখ্যা ৪০টি হলেও শিক্ষার মান যথাযথ রাখা যাবে। তবে যে কয়টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতে সরঞ্জামাদি প্রয়োজনীয়সংখ্যক সরবরাহ রয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র প্রায় একইরকম। তবে প্রতি বছরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকে ৪ জন শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩ জন।

তিনি আরো জানান, নতুন ল্যাব করার আগে এখানে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা হলে ল্যাবসহ ক্লাসরুমের প্রয়োজনও মেটানো যাবে।

 

;

ঢাবি এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর এর বিজ্ঞপ্তি হতে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ও মাধ্যমে এমফিল, গবেষণার জন্য আবেদন করতে হবে। আগামী ২৩ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://du.ac.bd) আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফিস বাবদ ১০০০/- টাকা আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ফিস বাবদ টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্রের ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। এছাড়া, গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

এতে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশ থেকে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র গ্রহণের পূর্বে তাদের অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমতা নিরূপণ কমিটির আহ্বায়কের (ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, কার্জন হল সংলগ্ন) নিকট আবেদন করতে হবে। এম.বি.বি.এস/ সম্মান ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণ তাদের ডিগ্রির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জানানো হয়, প্রার্থীর সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণি এবং CGPA নিয়মে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ ও CGPA ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে এবং সিজিপিএ পদ্ধতিতে ৫-এর মধ্যে ৩ এবং ৪-এর মধ্যে ২.৫০ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (https://du.ac.bd) ভিজিট করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

;

চবির শাটলের নিচে পড়ে কিশোরের মৃত্যু 



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টার শাটল ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বটতলী রেলস্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছিলো। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে পৌঁছালে কিশোরটি শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। এসময় ট্রেনের নিচে পড়ে তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, চবির শাটল ট্রেন পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে আসলে ওই ছেলে ট্রেনের সামনে পড়ে যায় এবং তার পুরো শরীর দুই ভাগ হয়ে তৎক্ষনাৎ দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ছেলেটি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। তার শরীর ও চেহারা দেখে আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সে বস্তির কোনো ছেলে হবে। কিন্তু এখনও তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (চমেক) রয়েছে। পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘শাটলের নিচে পড়ে এক কিশোরের মারা যাওয়ার ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তার পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে মরদেহ পৌঁছে দেওয়া হবে।



;