জাবির শৃঙ্খলা বিধিতে নতুন ধারা: স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা৪.কম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ছবি: বার্তা২৪.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ছাত্র-ছাত্রীদের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ হালনাগাদ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন। সংশোধিত অধ্যাদেশে যুক্ত হওয়া নতুন দুটি ধারা, যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। নতুন এই ধারা দুটিকে ‘নিবর্তনমূলক’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি শিগগিরই এ ধারা বাতিলের দাবিও জানিয়েছেন তারা।

নতুন দুটি ধারা হলো- অধ্যাদেশের ৫ এর (ঞ) উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো ছাত্র/ছাত্রী অসত্য এবং তথ্য বিকৃত করে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কোনো সংবাদ বা প্রতিবেদন স্থানীয়/জাতীয়/আন্তর্জাতিক প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক সংবাদ মাধ্যমে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার বা উক্ত কাজে সহযোগিতা করতে পারবে না।

এছাড়া ৫ এর (থ) উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো ছাত্র/ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র/ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর উদ্দেশ্যে টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ই-মেইল, ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো অশ্লীল বার্তা বা অসৌজন্যমূলক বার্তা প্রেরণ অথবা উত্যক্ত করবে না।

অধ্যাদেশ মতে, ধারা দুটির ব্যতয় ঘটলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের চোখে ‘অসদাচরণ’ বলে গণ্য হবে। এজন্য লঘু শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা, সতর্কীকরণ এবং গুরুতর শাস্তি হিসেবে আজীবন বহিষ্কার, বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার, সাময়িক বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকার বেশি জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশে হস্তক্ষেপ করতেই ধারা দুটি যুক্ত করা হয়েছে। ধারা দুটিতে উল্লেখিত ‘অসত্য, তথ্য বিকৃত’ এবং `অশ্লীল’ বা ‘অসৌজন্যমূলক’ বার্তা প্রেরণ অথবা উত্যক্ত করার’ সংজ্ঞা নির্ধারণ করবেন কে? ফলে স্বাধীন সাংবাদিকতা বাঁধার মুখে পড়বে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে উচ্চ আদালত এক রায়ের পর্যবেক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা বিধিকে ‘দুর্বল ও সেকেলে’ উল্লেখ করে তা হালনাগাদের পরামর্শ দেয়। শৃঙ্খলা বিধির প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করতে ওই বছরের ১৬ মে তৎকালীন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবুল হোসেনকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। ওই কমিটির হালনাগাদ করা শৃঙ্খলা বিধি বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাদেশ হিসেবে অনুমোদন করা হয়।

এ বিষয়ে জাবি সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশের ধারা ৫(ঞ) এবং (থ) উপধারা দুটি বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯ (চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতা) এবং অনুচ্ছেদ ৪০ (পেশা বৃত্তির স্বাধীনতা) এর পরিপন্থী । বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত চিন্তার বিকাশ এবং লালন-পালনের যথাযথ স্থান। এই উপধারা দুটি ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ভীতি ও শঙ্কার তৈরি করবে, যা শুভকর নয় । এছাড়া ক্যাম্পাসে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত করবে এবং সাংবাদিকরা নিগ্রহের স্বীকার হতে পারেন।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মাহমুদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে বিধি দুটি যুক্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি, দুর্বৃত্তপনার বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা সবসময় সোচ্চার। সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করতেই এই উদ্যোগ। অবিলম্বে এটি বাতিল করতে হবে।’

অন্যদিকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার দফতর সম্পাদক হাসান জামিল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি শিক্ষার্থীর স্বার্থ বিরোধী ও নিবর্তনমূলক ধারা বাতিলের আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো আইন তৈরি করা হলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যায়ন বিভাগের সাবেক সভাপতি সহকারী অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘যেখানে রাষ্ট্রের বিধিমালা রয়েছে সেখানে আবার নতুন করে আইন তৈরি করার প্রয়োজন হয় না। এটা কারা করেছে জানি না, এটা করা ঠিক হয়নি। তাছাড়া ধারা দুটির কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই, ফলে যে যার মতো করে অপব্যবহার করতে পারে। এমন ধারা তৈরি করার আগে সংশ্লিষ্ঠদের সাথে আলোচনা করা উচিৎ ছিল।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সাথে যোগাগের চেষ্টা করা হলে তিনি অসুস্থ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে বিশ্ব উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. আমির হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নতুন বছরের প্রবেশিকা অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে তাড়াহুড়া করে শৃঙ্খলা বিধি পাস করা হয়েছে। তবে যদি এ বিষয়ে কারও কোনো বক্তব্য থাকে তবে সেটা অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।’

   

২৭ এপ্রিল শুরু হচ্ছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল) ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তিনটি ইউনিটে মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬ জন পরীক্ষার্থী গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য ইতোমধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) থেকে অপেক্ষাকৃত দূরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কঠোর নিরাপত্তা প্রহারা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রশ্নপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। একইভাবে নিকটবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ২৬ এপ্রিলের মধ্যেই প্রশ্নপত্র পাঠানোর কাজ সমাপ্ত হবে। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এ বছর ‘এ’ ইউনিটে এক লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন, ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬ জন আবেদন করেছেন।

জিএসটির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের দুপুর ১২টা-১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষাটি বিকেল ৩:৩০টা হতে ৪:৩০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। আর ৩ মে ‘বি’ ইউনিটে মানবিক ও ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য জিএসটি কর্তৃপক্ষ প্রায় সব প্রস্তুতিই সম্পন্ন করেছে। আশা করি, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সব কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান। যেহেতু শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী নিকটবর্তী কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন, সেহেতু এবার আমরা অভিভাবকদের কেন্দ্রে না আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। যদি কেউ আসেন, তাহলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত তাপপ্রবাহ সংক্রান্ত যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো। একইসঙ্গে গুচ্ছভুক্ত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় আপনারা পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সুপেয় পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখবেন।

তিনি আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সময় যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ও পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রসমূহে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ও পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবেন। পরীক্ষার সময় কোনো পরীক্ষার্থী বা দায়িত্বরত কেউই মুঠোফোনসহ কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি কেউ ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে বা অসাধুপায় অবলম্বন করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য আমি জিএসটি গুচ্ছভুক্ত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ স্ব স্ব এলাকার সব স্তরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, জিএসটিভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস, ফলাফলসহ অন্যান্য সব তথ্য https://gstadmission.ac.bd এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

 

;

অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যিরো
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশও দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে চুয়েটের উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৫১তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সই করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ এপ্রিল মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন মেধাবী ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে ২৫ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্তক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, ছাত্রদের বৃহস্পতিবার ( ২৫ এপ্রিল) বিকাল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের আগামিকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ত্যাগের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ক্যাম্পাস থেকে শহরে চলাচল করবে।

এর আগে গত সোমবার মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী।

ওইদিন আনুমানিক বেলা সাড়ে তিনটায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইন। এ ছাড়া গুরুতর আহত হন পুরকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হিমু। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে মাঠে নামেন। আন্দোলন চলার সময় শিক্ষার্থীরা বাসেও আগুন দেন।

;

কুবিতে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টর কার্যালয়ে তালা



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা দিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রশাসনিক ভবন ঘুরে এই তিন দপ্তর তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী দপ্তরে তালা লাগানো আছে। দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট কেউ সকাল থেকে দপ্তরে আসেননি।

এই বিষয়ে জানতে তিনজনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, 'আমরা আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। সে সময় শেষ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে দাবি বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিন দপ্তরে তালা দিয়েছি।' 

;

জবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাস, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাস, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা

জবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাস, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলমান প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে এক সপ্তাহ অনলাইনে ক্লাস চলার পর তাপমাত্রা স্বাভাবিক না হওয়ায় এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সশরীরে সকল ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অনলাইনে ক্লাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে।

এদিকে অনলাইন ক্লাস নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা ফরছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনলা ক্লাসের পক্ষে ও বিপক্ষে নানা ধরনের যুক্তি তুলে ধরছেন শিক্ষার্থীরা।

আকরাম হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ বা অনলাইনে ক্লাস কোনটার পক্ষেই আমি নাহ। কেউ ছুটি নিয়ে বাসায় বসে থাকে বা গরমের জন্য বাসায় থাকে এমন নাহ। আর থাকলেও সংখ্যাটা ১০% এর আশেপাশে। সামান্য একটা অংশের জন্য অনলাইনে ক্লাস এনে বা ছুটি দিয়ে সেশন জটের মত দুর্ভোগ সৃষ্টি করা কতটা যোক্তিক সেটা বুঝে আসেনা।

লিমন ইসলাম স্বাধীন নামের আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস অনলাইনে হলে সবাই ঘরে বসে থাকে না ব্যাপারটা সত্য। কেউ টিউশনি করে, কেউবা অন্য কোন কাজে থাকে। আর টিউশনি করলেও সেটা সবাই রাতে করে। তখন আবহাওয়া কিছুটা শীতল থাকে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস অনলাইন হলে মূল স্বস্তির জায়গা হলো যাতায়াত করা লাগে না। ৩.৩০ এ ক্লাস শেষ করে এমন অসহ্য গরমে ৩/৪ ঘণ্টা জার্নি করে বাসায় যাওয়াটা কতটা অসহ্য সেটা শুধু যাদের বাসা দূরে তারাই উপলব্ধি করতে পারে, সে সংখ্যাটা ৬০ শতাংশের বেশি। তবে যাদের বাসা ভার্সিটির আশেপাশে তাদের ক্ষেত্রে এইটা সমস্যা না। মুদ্রার দুইটা পিঠ নিয়ে যেমন কথা বলা যায়। ঠিক তেমনি অফলাইন আর অনলাইন ক্লাস নিয়েও কথা বলা যায়। দুইটাই দরকার, শুধু সময় বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।

;