কুবি ক্যাম্পাস দ্বিখণ্ডিত না করতে আইনি নোটিশ



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ক্যাম্পাসকে দ্বিখণ্ডিত না করতে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। গত ৩০ মে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন ১৩ জন বাদীর পক্ষে এ আইনি নোটিশটি পাঠান। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বিষয়টি এতদিন জনসম্মুখে আসেনি।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, ভূমি সচিব,চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক, কুমিল্লা পুলিশ সুপার, কোটবাড়ী পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর এই নোটিশ পাঠানো হয়।

জানা গেছে, সংলগ্ন জমি থাকা সত্ত্বেও এক হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য অনেক দূরে জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদ করেছেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। এমনকি ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য সংলগ্ন জমি অধিগ্রহণের দাবিতেই এই আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে দ্বিখণ্ডিত করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ বর্জন করেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বর্তমান ক্যাম্পাসের সাথে নতুন ক্যাম্পাসের একটি সুপ্রশস্ত নিজস্ব রাস্তা করে দিবে এমন আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রভাবশালী মহলকে খুশি করতে আন্দোলনরত এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের দাবি এড়িয়ে যান।

আইনি নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৩ অক্টোবর ২০১৮ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)সভায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক হাজার ৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার মেগা প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। পরে কুবিক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য কুমিল্লা সদর উপজেলার লালমাই মৌজার অন্তর্ভুক্ত ৭, ৯, ১২ ও ১৩ নং সিটের জমি নির্ধারণ করা হয়েছে, মূল ক্যাম্পাস থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

এদিকে, প্রকল্প পাসের পর থেকে প্রভাবশালী একটি মহল নতুন ওই এলাকায় জমি কিনতে শুরু করেছেন। যাতে জমি অধিগ্রহণের সময় তারা বেশি দামে জমি বিক্রি করতে পারেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র নেতারা জানান,বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুকৌশলে ক্যাম্পাস দ্বিখণ্ডিত করার চেষ্টা করছে। বর্তমান ক্যাম্পাস সংলগ্ন যাদের জমি আছে তারা জমি দিতে প্রস্তুত। এরপরও ক্যাম্পাস দ্বিখণ্ডিত চেষ্টা করা হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

নোটিশদাতা আইনজীবী কামাল হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘নোটিশে ক্যাম্পাস দ্বিখণ্ডিত করার কার্যক্রম বন্ধ করতে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করি নোটিশ গ্রহীতারা এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মো. আবদুল মান্নান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমি এখনও লিগ্যাল নোটিশ পাইনি। তবে যদি ক্যাম্পাস সংলগ্ন পর্যাপ্ত জমি পাওয়া যায় তাহলে কেন দূরে যাবে?’

এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীকে একাধিক বার ফোর করেও পাওয়া যায়নি। তবে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমরা আইনি নোটিশটি পেয়েছি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী নোটিশের জবাব দেওয়া হবে।’

   

৩ বছরেও সমন্বয় হয়নি জবি শিক্ষার্থীদের অবৈতনিক অধ্যয়নের টাকা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

মেধাবৃত্তি ও অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অবৈতনিক অধ্যয়নের টাকা এখনো সমন্বয় হয়নি বলে অভিযোগ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রসায়ন বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর স্টুডেন্ট আইডির প্রোফাইলে লগ ইন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

রসায়ন বিভাগ ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মারুফা হাকিমের স্টুডেন্ট আইডির প্রোফাইলে লগ ইন করে দেখা যায়, প্রতিবছর ১ বার করে সেমিস্টার ফি থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মেধাবৃত্তি ও অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফি থেকে এক শিক্ষাবর্ষে ২ বার ৬০০ টাকা মওকুফের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। তিনি ২০২১ সালে মেধাবৃত্তি এবং ২০২২ ও ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছেন। ফলে বৃত্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতি সেমিস্টার ফি থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ হবার কথা। অর্থাৎ ১ বছরে ২ বার এবং ৩ বছরে ৬ বার ৬০০ টাকা করে মওকুফ হবার কথা থাকলে ৩ বছরে মাত্র ৩ বার ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে।

২০২১ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "বৃত্তি নীতিমালা-২০১৩" অনুযায়ী প্রত্যেক বিভাগ হতে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ০৩ (তিন) জন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ৪০০/- (চারশত) টাকা হারে মেধাবৃত্তি এবং এক শিক্ষাবর্ষের জন্য অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। মেধাবৃত্তি ছাড়াও প্রত্যেক বিভাগে প্রতি শিক্ষাবর্ষে মোট শিক্ষার্থীর ১০% (শতকরা দশজন) অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান করা হবে।

২০২২ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "বৃত্তি নীতিমালা-২০১৩" অনুযায়ী প্রত্যেক বিভাগ হতে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ০৩ (তিন) জন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ৬৫০/- (ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা হারে মেধাবৃত্তি এবং এক শিক্ষাবর্ষের জন্য অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। মেধাবৃত্তি ছাড়াও প্রত্যেক বিভাগে প্রতি শিক্ষাবর্ষে মোট শিক্ষার্থীর ১০% (শতকরা দশজন) অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান করা হবে।

এ বিষয়ে ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মারুফা হাকিম বলেন, আমি ২০২১ সালে মেধাবৃত্তি পেয়েছি এবং ২০২২ ও ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছি। সে হিসেবে আমার প্রতি সেমিস্টারে ৬০০ টাকা করে মওকুফ হবার কথা। অর্থাৎ এক শিক্ষাবর্ষে দুই সেমিস্টারে ৬০০ করে মোট ১২০০ টাকা মওকুফ হবার কথা কিন্তু প্রতিবছর শুধু একবার করে ৬০০ টাকা মওকুফ করেছে।

রসায়ন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম ২০২১ ও ২০২২ সালে মেধাবৃত্তি এবং ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছেন। মেধাবৃত্তির টাকা পেলেও সমন্বয় হয়নি অবৈতনিক অধ্যয়নের টাকা।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ২০২১ ও ২০২২ সালে মেধাবৃত্তি এবং ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছি। বৃত্তির নোটিশ অনুযায়ী আমার প্রতি সেমিস্টার ফি থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ হওয়ার কথা। কিন্তু তা হয় নি। ২০২৩ সালে দুটি সেমিস্টার থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে। তবে ২০২১ ও ২০২২ সালে একবার করে ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, আমি যখন ছাত্রকল্যাণের পরিচালক ছিলাম তখন এ বিষয়গুলো আপডেট করা হয়েছে। এমন হওয়ার কথা না। এরপরেও যদি হয়ে থাকে তবে সমস্যা আইসিটি সেলের নাকি অন্য কোথাও সেটা দেখতে হবে।

তিনি বলেন, যদি কোনো শিক্ষার্থীর অনার্স বা মাস্টার্স শেষ হয়ে যাওয়ায় তার টাকা সমন্বয় করার কোনো উপায় না থাকে তবে সে এপ্লিকেশন করলেই তাকে তার প্রাপ্য টাকা দিয়ে দেয়া হবে। কোনো শিক্ষার্থীই বঞ্চিত হবে না।

সশরীরে উপস্থিত হয়ে সমন্বয় করতে হবে-এমন কথা বৃত্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ না থাকলেও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, যখন শিক্ষার্থীরা দেখলেন যে সমন্বয় হচ্ছে না তখন তাদের উচিত ছিল অভিযোগ জানানো। আমরা নিজেরাও তো ব্যাংকে সরাসরি যোগাযোগ করি যখন কোনো সমস্যা হয়।

এ বিষয়ে আইসিটি সেলের পরিচালক ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, এটা আইসিটি সেলের বিষয় না। রেজিস্ট্রার স্যারের সাথে কথা বললে সঠিক তথ্য পাবেন।

;

ঢাবির বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিট ও ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এক লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯ হাজার ৭২৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল।

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪ হাজার ৫৮২ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পাশের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। প্রথম হয়েছেন চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী অথৈ ধর। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ৫০ নম্বর পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফল ঘোষণা করেন।

এদিকে বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল। তিনি রাজধানীর নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১১১ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন।

চলতি বছরের ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৮৫১টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ১হাজার ৭৭৫টি, মানবিক শাখা থেকে ৫১টি, ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ২৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

আর ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৫০টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৩০টি মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৫টি বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ২৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও চারুকলা ইউনিটের ফলও প্রকাশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল ফল জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে। এছাড়া মোবাইলে এসএমসএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU SCI <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।

;

ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ১ লাখ ২ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০ হাজার ২৭৫ জন জন পাস করেছেন। এই ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তী মন্ডল।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফল ঘোষণা করেন।

এই ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তী মন্ডল। তিনি খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন।

চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট আসন ২ হাজার ৯৩৪টি। তার মধ্যে মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ১ হাজার ৭০৭টি, বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৪৪টি, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য ২৮৩ আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও চারুকলা ইউনিটের ফলও প্রকাশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে। মোবাইলে এসএমসএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। এছাড়া টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU ALS <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।

;

২৪ দিন বন্ধ থাকবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইস্টার সানডে, পবিত্র শবে কদর ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৪ দিন ছুটি থাকবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। আগামী ২৮ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২৮ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল ২২ দিন সব ধরনের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৩১ মার্চ ইস্টার সানডে উপলক্ষে একদিন এবং ৭-১৮ এপ্রিল ১২ দিন পবিত্র শবে কদর ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকবে। ১৮ এপ্রিলের পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার হওয়ায় এবারের ইদের ছুটিতে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা ২৪ দিন ছুটি পাচ্ছেন।

এ বিষয়ে রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ছুটি কার্যকর হওয়ার কথা জানান।

হল প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি চলাকালীন হল বন্ধ থাকবে, এ সময় কোনো শিক্ষার্থী হলে থাকতে পারবেন না। তবে বিশেষ কারণে যদি কেউ হলে থাকে সেক্ষেত্রে তাকে ২ এপ্রিলের মধ্যে হল অফিসে রক্ষিত রেজিস্টারে উপযুক্ত কারণসহ পরিচয় এন্ট্রি করতে হবে এবং নিজ দায়িত্বে থাকতে হবে। তবে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা চাইবো ছুটিতে হলে কেউ না থাকুক।’

;