আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে ডাকসু!

সাত কলেজের অধিভুক্তি



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন, পুরনো ছবি

সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন, পুরনো ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজ বাতিলের দাবিতে কয়েকদিন যাবৎ আন্দোলন করে আসছিলেন ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিরসনের তাগিদে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নেতৃবৃন্দ।

রোববার (২১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এই বৈঠক বসছে বলে জানা গেছে।

এর আগে আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবন এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেয়। যার ফলে ওইসব ভবনে দুপুর পর্যন্ত সব ধরনের ক্লাস পরীক্ষা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

এমতাবস্থায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা বলেছেন ডাকসু নেতৃবৃন্দ। এর আগে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানকল্পে ডাকসু নেতাদের সঙ্গে প্রো ভিসি ড. মুহাম্মদ সামাদের নেতৃত্বে বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৈঠকে গৃহীত পদক্ষেপগুলো জানাতে মূলত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে বলে জানা যায়।

কখন বৈঠক হবে এমন প্রশ্নে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, 'আমরা এখনই বসব'। প্রেস রিলিজ আকারে তাদের সাথে হওয়া সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেবেন বলে তিনি জানান।

এদিকে বৈঠকের কোনো কথা জানেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে আন্দোলনের মুখপাত্র সাকিল আহমেদ বলেন, 'ডাকসু নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের বসার একটা আমন্ত্রণ পেয়েছি। কী হয় জানিয়ে দেওয়া হবে'।

   

বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম, ছয় দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) গত ২৮ মার্চ ক্যাম্পাসের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটি প্রোগ্রাম করেছে। এর প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে রাজনীতি সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারসহ ছয় দফা দাবি নিয়ে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চ সকল প্রকার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে বুয়েট শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবিসমূহ উত্থাপন করেন তারা।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, উত্থাপিত দাবি সমূহ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।

তাদের দাবিসমূহ হলো:

১। ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে এমন অনুপ্রবেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধের নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘন এবং ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক চর্চা। এমন নীতিমালা বহির্ভূত রাজনৈতিক চর্চায় সেসময় সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরোকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বী। যে ঐ বিশেষ রাজনৈতিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সদস্য। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে পূর্বে ক্যাম্পাসের অরাজনৈতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখতে তার পদ থেকে অব্যাহতি নিবে বলে জানায়, কিন্তু পরবর্তীতে এবং বর্তমানে সে প্রকাশ্যে তার রাজনৈতিক চর্চা চলমান রেখেছে। এমনকি ওই রাতে বহিরাগতদের সাথে নিরঙ্কুশ যোগাযোগ, তাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করানো, গার্ডদের সাথে কথা বলা, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সাথে সাক্ষাত, তাদের গাড়ি বের করানো কিংবা প্রবেশ করানো এই সকল সক্রিয় ভূমিকায় তাকে দেখা যায়। দ্রুত ইমতিয়াজ রাব্বীর বহিষ্কার চাই।

২। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে বুয়েটের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বি এর বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল বাতিল করতে হবে। সেই সঙ্গে যারা এ ঘটনায় জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করতে হবে।

৩। বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ যারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলো তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তারা কেন কিভাবে প্রবেশ করার অনুমতি পেল এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা বুয়েট প্রশাসন কর্তৃক আসতে হবে।

৪। উপরোক্ত ১নং এবং ২নং দাবি আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে আমরা সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ডিএসডাবলু এর পদত্যাগ চাই।

৫। ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের কারণে আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এর প্রতিবাদ হিসেবে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করছি।

৬। আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোন রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না- এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

উল্লেখ্য, সমাবেশে শিক্ষার্থীরা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

লিখিত বক্তব্য শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সবচেয়ে সমাদৃত এবং শীর্ষস্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর এ আবরার ফাহাদ ভাই এর নৃশংস মৃত্যুর মাধ্যমে বুয়েট বাংলাদেশ এর সবচেয়ে নিরাপদ ক্যাম্পাসে রুপ নেয়। বুয়েটে সর্বশেষ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে যে নিরাপদ এবং সুন্দর একটি ক্যাম্পাস আমরা উপহার হিসেবে পেয়েছি, তা দেশব্যাপী সকলের কাছে প্রশংসিত এবং অনুকরণীয়। দেশের সকল মানুষ, নানা প্রান্তের নানা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থী দেখেছে একটি রাজনীতিবিহীন ক্যাম্পাসের রোল মডেল, তার সুফল, তার সৌন্দর্য, তার উৎকর্ষের যত সম্ভাবনা। তবে যে কলুষিত হাতগুলোর কারণেই ঝরে গিয়েছিল আমাদেরই নিষ্পাপ মেধাবী প্রাণ, সে কলুষিত হাতগুলো পরবর্তীতে বারে বারে ভিন্ন ভিন্নভাবে পুনরায় অপরাজনীতির অনুপ্রবেশের অপচেষ্টা চালিয়েছে ক্যাম্পাসে।

তারা এই সুন্দরতম পরিবেশকে পুনরায় ধ্বংস করে দিতে চেয়েছে বলে দাবি করে বলেন, তবে ২০১৯ এর সেই সময়টির পর থেকে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে উদ্যম, সৎ সাহস আর প্রেরণা পেয়েছিল সেটিই প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ছাত্ররাজনীতি অনুপ্রবেশ এর সকল অপচেষ্টাকে রুখে দিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুনির্দিষ্ট ঐক্য গড়ে তুলতে ভূমিকা রেখেছিল। তবে এখনো বারে বারে পড়াশোনা কিংবা একাডেমিকস এর চূড়ান্ত চাপ থাকার পরেও আমাদের এই নিরাপদ ক্যাম্পাসটিকে রক্ষা করতে আমাদের সর্বদা সজাগ থাকতে হয়, করতে হয় নিরন্তর নিয়মিত সংগ্রাম। শিক্ষার্থীদের যেন সেই কলুষিত হাতদের বিরুদ্ধে ন্যায়ের লড়াই, সত্যের লড়াই চালিয়ে যাওয়া যেন শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং নিত্য অংশ হয়ে গিয়েছে।

তারা আরো জানান, এমনই একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমাদেরই এই প্রাণের বুয়েট ক্যাম্পাসে ঘটে গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে। রাত ১টার দিকে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানতে পারি, বুয়েটে একটি বিশেষ রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের বেশ ক'জন শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ এসেছেন এবং তারা ক্যাম্পাসের মেইন গেইট দিয়েই প্রবেশ করে ভেতরে ঢুকেছেন। রাত সাড়ে ১০টার পরে যেখানে নিরাপত্তাজনিত কারণে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদেরই ক্যাম্পাসে ঢোকার অনুমতি নেই সেখানে রাজনৈতিকভাবে সংশ্লিষ্ট বহিরাগত ব্যক্তিদের মধ্যরাতেই আমাদের প্রাণের ক্যাম্পাসে অনুপ্রবেশ ঘটে। ঘটনার তীব্রতা বাড়তে থাকে রাত বাড়ার সাথে সাথে, একের পর এক বহিরাগত রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ক্যাম্পাসের মেইন গেইটের সামনে আসতে থাকে।

লিখিত বক্তব্যে তারা আরো জানান, বিপুল সংখ্যক বহিরাগত ক্যাম্পাসে অনায়াসে প্রবেশ করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেখতে পায়, মিছিল এর মতন করে বিশাল একটি জনবহর হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে আমাদের ক্যাম্পাসে রাত ২টার পর প্রবেশ করতে থাকে। দুঃখজনকভাবে, এই বিশাল জনবহরের সকলেই বহিরাগত ছিল এবং তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভেতরে প্রবেশ করে মধ্যরাতের সেই সময়টাই বিশেষ ঐ ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দদের চিনতে পারে যা সুস্পষ্ট জানান দেয় এত বিপুল জনসমাগম রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ এমন একটি ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে ঘটে যাওয়া এত বড় একটি রাজনৈতিক সমাগম এবং বহিরাগতদের আগমন ক্যাম্পাসের মর্যাদার প্রতি তীব্র অপমানজনক। একই সাথে এটি একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস এবং শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠ স্বাভাবিক শিক্ষা পরিবেশের নিরাপত্তার ব্যাপারকে গুরুতরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তর কোনোরুপেই উক্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়ার দায় এড়িয়ে যেতে পারে না।

মধ্যরাতে বহিরাগত রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টদের এমন দাপটসহ প্রবেশ কর্তৃপক্ষ এবং ডিএসডাবলু এর দৃষ্টি অগোচরে হওয়া অসম্ভব বলে দাবি করে তারা বলেন, ঘটনা ঘটে যাওয়ার দেড় দিন পার হয়ে গেলেও ডিএসডাবলু থেকে উক্ত ঘটনার সাথে সম্পর্কিত কোনো প্রকার সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা এখন পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে আসেনি। ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে তারা প্রবেশের অনুমতি কিভাবে কর্তৃপক্ষ থেকে পেয়েছিল এই সম্পূর্ণ ব্যাপারটি এখনো ধোঁয়াশাপূর্ণ এবং সন্দেহের সঞ্চার করে যে কিভাবে এবং কোন মদদে তারা প্রবেশ করতে পারলো। এর সমস্তই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েটে বর্তমানে চলমান পাঁচটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিপুল সমালোচনার ঝড় ওঠে, তারা তাদের নিন্দা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং প্রতিটি আলাদা আলাদা ব্যাচ নিজেদের মধ্যে দীর্ঘ সময়ব্যাপী আলোচনা করে, তা অন্য ব্যাচদের সামনে তুলে ধরে এবং পরিশেষে সকল ব্যাচ কিছু সম্মিলিত সিদ্ধান্ত এবং দাবি দাওয়ায় উপনীত হয়।

নিরাপদ ক্যাম্পাস এর নিশ্চয়তা, রাজনীতিবিহীন পরিবেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা বজায় রাখা সম্পূর্ণরুপে বিঘ্নিত হয়েছে ২৮ মার্চ মধ্যরাতের প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার মাধ্যমে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সর্বদা বিরোধী।

;

ঢাবি অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের কুলখানিতে দোয়ার আয়োজন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্রিমিনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের প্রয়াণে পরিবারের পক্ষ থেকে তার কুলখানিতে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকালে মরহুম অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে এ দোয়ার আয়োজন করা হয়। এ সময় তার পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য ড.এ.এস.এম মাকসুদ কামাল, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) ড.আব্দুস ছামাদ, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দীন আহমেদ, প্রক্টর ড. মাকসুদুর রহমান, সাবেক উপাচার্য ড.আখতারুজ্জামান প্রমুখ।

ঢাবি উপাচার্য ড.এ.এস.এম মাকসুদ কামাল প্রফেসর জিয়া রহমানের স্মৃতিচারণ করেন এবং সকলের নিকট তার জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ড. জিয়া রহমান সকলের সাথে হাসি মুখে কথা বলতেন, সবার সাথে চলাফেরা করতেন। তিনি আমার বন্ধু ছিলেন, খুব ক্লোজ চলাফেরা ছিলো আমাদের। আমরা সকলেই চলে যাবো, কিন্তু কোনো কোনো মৃত্যু একটা বড় ক্ষতি করে যায় আমাদের জন্যে ও প্রতিষ্ঠানের জন্যে। জিয়া রহমানের মৃত্যু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় ক্ষতি। আজকের এই এতো মানুষের ভিড় জিয়ার প্রতি মানুষের ভালোবাসার লক্ষণ। তার জানাযায় ও প্রচুর মানুষের ভিড় হয়েছিল। আমরা সকলেই তার জন্য দোয়া করব ও তার মা-ভাই, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সকলেই যেন শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন সেই প্রার্থনা করব।

এ সময় ঢাবির সাবেক উপাচার্য ড.আখতারুজ্জামান বলেন, ড.জিয়া রহমান জীবদ্দশায় সব জায়গায়ই সম্মানিত হয়েছেন। তার অনেক অনেক ভালো গুণ ছিল। তিনি যে কোনো অনুষ্ঠানে সবাইকে মাতিয়ে রাখতে পারতেন। তার সকল ভুল ত্রুটি সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। তার জন্যে দোয়া করবেন।

;

গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে আবেদন করতে চায় চবি



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে আবেদন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান নিয়ে আসতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১১টায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত হয় এই সভা। এসময় তিনি টাইমস ও কিউ এস র‍্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেতে তাঁর বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

এ সময় চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মান অনুধাবন করা যায় র‍্যাঙ্কিং এর মাধ্যমে। দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে আছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণা, প্রশাসনিক ও অবকাঠামোসহ সার্বিক বিষয়ের সঠিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে হবে। এরপর বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং এর জন্য আবেদন করলে একটা ফলপ্রসু অবস্থান আশা করা যেতে পারে

এছাড়াও উপাচার্য আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক নিয়োগ, সেন্টার অফ এক্সিলেন্স গঠন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন পদক্ষেপ, ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে পরিকল্পনা, পরিবেশ-বান্ধব ক্যাম্পাস নিয়ে সামনের দিনগুলোতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন। এ লক্ষ্যে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি গবেষণা পরিচালনা ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক চবি আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক, চবি আইকিইএসির পরিচালক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন, চবি আইসিটি সেলের পরিচালক কম্পিউটার সায়েন্সেস এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, চবি কলেজ পরিদর্শক পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, চবি ফাইন্যান্স বিভাগের প্রফেসর ড. অনুপম দাশগুপ্ত, চবি জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের প্রফেসর ড. আদনান মান্নান ও সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুব হাসান, চবি ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমন গাঙ্গুলী, চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ, চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ মুছা, চবি একাডেমিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার এস.এম. আকবর হোছাইন ও চবি গ্রন্থাগার দপ্তরের উপ-গ্রন্থাগারিক দিল রুকসানা বসুনীয়া উপস্থিত ছিলেন।

;

এবার দুই পদ থেকে পদত্যাগ করলেন কুবি শিক্ষক



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষক দুইটি পদ থেকে একসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী শিক্ষক হলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হক। তিনি ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিনিধি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর দেয়া একটি পদত্যাগপত্র তিনি প্রদান করেন।

পদত্যাগপত্রে মোহাম্মদ আইনুল হক উল্লেখ করেন, আমি ২০২২ সালের ০৬ নভেম্বর থেকে ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এবং ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের কর্তৃক বিভিন্ন অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরিকৃত সংকটের কোনো সমাধান না করে উপরন্তু নতুন নতুন সংকট তৈরি, অনিরাপদ কর্মক্ষেত্র এবং পেশাগত বিশৃঙ্খলা তৈরির পাশাপাশি বিভিন্নভাবে শিক্ষকদের মর্যাদাহানি করা হচ্ছে। এ সমস্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে আমি উক্ত পদসমূহের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করছি।'

এ বিষয়ে মোহাম্মদ আইনুল হক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তা সমাধান না করে আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডিন, বিভাগীয় প্রধান নিয়োগে আইন মানা হচ্ছে না। এমনকি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষকদের সাথে কর্মকর্তাদের যে অসৌজন্যমূলক আচরণ তার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যার প্রেক্ষিতে আমার মনে হয়েছে এই পদে আমার থাকা অনুচিত। তাই আমি পদত্যাগ করেছি।

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন মজুমদার, ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মো: কামরুল হাসান ও শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক কুলছুম আক্তার স্বপ্না পদত্যাগ করেন। এছাড়াও ১৯ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় 'এজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনীভাবে ডিন নিয়োগ' দেয়ার কারণ দেখিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যর পদ থেকে অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান পদত্যাগ করেন। সর্বশেষ গত ২০ মার্চ চার হলের চার আবাসিক শিক্ষক পদত্যাগ করেছিলেন।

;