৭ বছরেও নেই শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি



আরাফ আহমদ, শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (শাবিপ্রবি) ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছেন একঝাঁক মেধাবী শিক্ষার্থী। সবারই আশা থাকে রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়ার। কিন্তু শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সাত বছর চললেও এখনো নতুন কমিটি দেওয়া হয়নি।

এ নিয়ে কেন্দ্র থেকে বারবার আশ্বাস দিলেও কেউ কথা রাখেনি। তাই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এর আগে ২০১৩ সালের ৮মে ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাত সদস্য বিশিষ্ট একবছর মেয়াদি কমিটি অনুমোদন দেন। এরপর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুটি নতুন কমিটি আসলেও কমিটি হয়নি গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটে।

জানা গেছে, ২০১৩ সালে কমিটির দেওয়ার একবছর পর ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরু করে নতুন কমিটি। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তিন বছর পর ২০১৬ সালে দেওয়া হয়েছে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি। অনেক নেতাকর্মী হয়েছেন বহিষ্কার ও সমালোচিত। বেশিরভাগই নতুন কমিটির আশা ত্যাগ করে হতাশাগ্রস্ত হয়ে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে নতুন নেতৃত্ব এবং কমিটির দাবি উঠলে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন। সম্মেলনের পরিবর্তে কর্মী সভা করে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সিভি সংগ্রহ করা হয় তখন। ওই সময় সবাই কমিটির আশা দেখলেও আবার হতাশ হতে হয় তাদেরকে।

কেন্দ্রে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে কমিটি হচ্ছে, হবে বলেই দায়সারা কথা বলতে দেখা যায়। এরই মধ্যে পরিবর্তন আসে কেন্দ্রীয় কমিটিতে, নেতৃত্বে আসেন শোভন-রব্বানী। আবার আশার আলো দেখতে শুরু করেন শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্র্রীয় কমিটি হওয়ার পর সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও নতুন কমিটির আশ্বাস দেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরই কমিটি হবে বলে সিলেটে সফরত অবস্থায় তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় নেতাকর্মীদের আবার শুরু হয় ঢাকা-সিলেট যোগাযোগ। ঘোষণা দেওয়ার কয়েকমাস পার হয়ে গেলেও কমিটি দিতে পারেনি কেন্দ্র। আবার ফিকে হয়ে যায় তাদের আশা, কমে যায় ঢাকা সিলেট যোগাযোগ। পরবর্তীতে চলতি বছরের শুরুতে আবার যোগাযোগ করা হলে কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা নিয়ে ব্যস্ত আছেন বলে সাংবাদিকদের জানান রাব্বানী। চলতি বছরের ১৩মে কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়ার পরও নতুন কমিটির আলো আসেনি শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির ২১ সহসভাপতির মধ্যে ১৮ জনই সাবেক ছাত্র, বিবাহিত ও চাকরিজীবী। যৌন হয়রানি ও সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় তৎকালীন সভাপতি সঞ্জিবন চক্রবর্তী পার্থ বহিষ্কার হলে ২০১৭ সালে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সহসভাপতি রুহুল আমীন। এখনো পড়ালেখা শেষ করতে পারেননি সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান, তিনি ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ১৪৯তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তার ছাত্রত্ব বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয়। নয় জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে সাতজন সাবেক ছাত্র, বিবাহিত ও বহিষ্কৃত।

অন্যদিকে, নয় সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে ছয়জন সাবেক ছাত্র, বিবাহিত ও একজন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। ৫০ জন সম্পাদক ও উপসম্পাদকের মধ্যে ২৬ জনই সাবেক ছাত্র ও ছয় জন চাকরিজীবী। ২৫ জন সহ-সম্পাদক ও ৩৫ কার্যনির্বাহী সদস্যের মধ্যে ২৭ জনের ছাত্রত্ব রয়েছে এবং বাকিদের ছাত্রত্ব শেষ, বহিষ্কৃত ও চাকরিজীবী।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা মাস্টার্স ফাইনাল সেমিস্টারে অধ্যয়নরত। নতুন কমিটি না পাওয়ায় ২০১২-১৩, ২০১১-১২, ২০১০-১১ কিংবা ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সাবেক ছাত্রের খাতায় নাম লেখাতে হয়েছে।

কমিটির ধারাবাহিকতা না থাকায় এই শিক্ষাবর্ষগুলো থেকে কমিটি আসাটা দিনদিন অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরেও যদি কমিটি না হয় তাহলে আরও একটি ব্যাচ সাবেক ছাত্রের খাতায় নাম লেখাবে। বিগত বছরগুলোতে যারা কমিটির ‘হট ক্যান্ডিডেট’ হিসেবে আলোচনায় থাকার কথা ছিল তারাও আজকে সাবেক ছাত্রের খাতায় নাম লেখাচ্ছেন। অনেকে হতাশ হয়ে ক্যাম্পাস ছাড়ছেন। আবার অনেকে ক্যাম্পাসে থেকেই চাতক পাখির মত চেয়ে আছেন কেন্দ্রের দিকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করলেও আমাদের কপালে জুটেনি কোনো রাজনৈতিক পরিচয়। বারবার কেন্দ্র থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও কেউ কথা রাখেনি। দ্রুত সময়ের মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কমিটি দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান তারা।

কমিটি নিয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে কমিটি দেওয়ার কথা জানান। তারা বলেন, কমিটির দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্র আন্তরিক। ঢাকার ইউনিটগুলো নিয়ে কাজ করছেন তারা, শিগগিরই বাকি কমিটিগুলো দেওয়া হবে বলে জানান।

   

৬ বছর পর জাবির সিনেট-সিন্ডিকেটে অধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে নতুন ৭ মুখ



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল থেকে কলেজ অধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে সিনেটে ৫ জন এবং সিন্ডিকেটে ২ জন সদস্যকে নির্বাচিত করা হয়েছে। তারা সকলেই 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের' প্যানেল থেকে জয় লাভ করেছেন। অপরদিকে ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ পানেল থেকে এই দুই পদে জয় পাননি কেউই।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কক্ষে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৩৮ তম সভা শেষে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ ভোট গণনা শেষে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসান এর ফল প্রকাশ করেন। 

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শেষে আবু হাসান জানান, নির্বাচনে ৩৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ২৮৬ জন ভোট দেন। সিন্ডিকেটে ২টি পদের বিপরীতে ৪ জন এবং সিনেটে ৫টি পদের বিপরীতে ১১জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ শিক্ষা পর্ষদের নিয়মিত সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ১৯(১) (জি) ও ২২(১) (ডি) ধারা অনুযায়ী ২৪ ও ২৫ নাম্বার এজেন্ডায় অনুসারে ৫ জন অধ্যক্ষকে সিনেট সদস্য ও ২ জন অধ্যক্ষকে সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচনে আগামী ২ বছরের জন্য এই সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যদের নির্বাচিত করা হয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পর্ষদ থেকে সিনেট ও সিন্ডিকেটের কলেজ অধ্যক্ষ প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ' প্যানেল থেকে সিনেট প্রতিনিধি হিসেবে ৫ জন এবং আওয়ামীপন্থিদের আরেক অংশ ও বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সম্মিলিত জোট 'শিক্ষক ঐক্য পরিষদ' প্যানেল থেকে ৫ জন সহ এই 

প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ তবে সিনেট প্রতিনিধি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা  করেছেন বরগুনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. মতিউর রহমান।

এছাড়া সিন্ডিকেট প্রতিনিধি হিসেবে উভয় প্যানেল থেকে ২ জন করে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ নির্বাচনে ৭টি পদেই 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ' মনোনীত প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ  জয়লাভ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ১৯ (১) (জি) ধারা অনুযায়ী একাডেমি কাউন্সিল থেকে সিনেট সদস্য ক্যাটাগরিতে ১৬১ ভোট পেয়ে রশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম, ১৫৮ ভোট পেয়ে সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, ১৫১ ভোট পেয়ে শহীদ বুলবুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বাহেজ উদ্দিন, ১৪৮ ভোট পেয়ে আনন্দমোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমান উল্লাহ এবং ১৩২ ভোট পেয়ে বেগম রোকেয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক চিন্ময় বাড়ৈ নির্বাচিত হয়েছেন ।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ২২ (১) (ডি) ধারা অনুযায়ী নির্বাচনে 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ প্যানেল থেকে সিন্ডিকেট প্রতিনিধি পদে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউসুফ ১৬৩ ভোট পেয়ে ও তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. হারুন অর রশিদ ১৫৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন৷ 

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সর্বশেষ কলেজ অধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে সিনেট ও সিন্ডিকেট প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দুই বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ৬ বছর পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ 

;

নিরাপত্তা ও আত্মসম্মান রক্ষায় কুবির সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুবির সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ

কুবির সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরাপত্তা, আত্মসম্মান রক্ষার্থে ও বিভাগের অ্যাকাডেমিক কাজে মনোনিবেশ করার স্বার্থে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রক্টরিয়াল বডি থেকে এক সহকারী প্রক্টর পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী শিক্ষক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো এক পদত্যাগপত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস কমিটির সদস্য আবু ওবায়দা রাহিদ অনুমতি ছাড়াই আমাদের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নির্মিতব্য সংরক্ষিত কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে আসন বিন্যাস পরিকল্পনা করেন এবং তা কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠিয়ে দেন। অনুমতি ছাড়া ল্যাবে প্রবেশ ও আসন পরিকল্পনা করার কথা জানতে চাইলে তিনি আমার সঙ্গে উদ্ধত আচরণ করেন। পরবর্তী সময়ে ঈদ ছুটি শেষে 'অনুমতি নেওয়ার' বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তিনি ক্যাম্পাসে গোল চত্বরে শিক্ষার্থীদের সামনে আমাকে বিভিন্নভাবে অপমানসূচক কথাবার্তা বলতে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে 'স্লেজিং' করতে থাকেন। ওই সময় উপস্থিত তিন শিক্ষক তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। তখনও তিনি আমার দিকে বারবার তেড়ে আসতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে 'সমঝোতা বৈঠকে' বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও একজন অধ্যাপকের সামনে তিনি আমাকে মারতে উদ্যত হন এবং আমার পরিবার নিয়ে অশালীন কথাবার্তা বলেন।

পদত্যাগ পত্রে তিনি আরও বলেন, ওই সদস্য একজন সহকারী প্রক্টর। এ পদের ক্ষমতা এবং প্রভাবশালীর সঙ্গে তার সম্পর্কের জোর দেখিয়ে এ কাজ করেছেন বলে প্রতীয়মান হয় এবং তিনি আমাকে সুযোগ পেলে আক্রমণ করবেন বলে অব্যাহতভাবে হুমকি দিতে থাকেন। কিন্তু ঘটনার তিনদিন পার হয়ে গেলেও ওই সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় বিচার না পাওয়া ও তার ধারাবাহিক হুমকির মুখে তার উপস্থিতিতে প্রক্টরিয়াল বডিতে আমি কাজ করতে তীব্রভাবে শঙ্কিতবোধ ও বিব্রতবোধ করছি। তাই, নিজের নিরাপত্তা, আত্মসম্মান রক্ষার্থে ও বিভাগের অ্যাকাডেমিক কাজে মনোনিবেশ করার স্বার্থে আমি সহকারী প্রক্টর থেকে পদত্যাগ করছি।

পদত্যাগকারী শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, একজন সহকারী প্রক্টর নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে আমাকে অপদস্থ করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। তাই আমি এই দায়িত্বে পালনে বিব্রতবোধ করছি। পাশাপাশি, আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচারের দাবি জানিয়ে আমি সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি৷

;

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত ইবি 



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্মিলিত গুচ্ছ (জিএসটি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১২টায় প্রক্টর অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এবিষয়ে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ।

এসময় তিনি জানান, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে ভর্তি পরীক্ষার শৃঙ্খলা কমিটি ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাহিরে র‍্যাবের সর্বক্ষণিক টহলের ব্যবস্থা থাকবে। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাসের সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমরা বদ্ধপরিকর। ভর্তি পরীক্ষা যেন নকল মুক্ত এবং প্রক্সি মুক্ত হয় সেজন্য আমাদের সর্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে। কোনো ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেনো না ঘটে সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। 

সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে বিএনসিসি রোভার স্কাউটের ৬২ জন সদস্য বিভিন্ন ভবনে দায়িত্ব পালন করবেন, পাশাপাশি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় ১৭৫ জন পুলিশ সদস্য এবং ২৩ জন পোশাকধারী আনসার সদস্য দায়িত্বে থাকবেন।

তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে ১০০ জন ভ্যান চালকদের পোশাক ও আইডি কার্ড প্রদান করা হয়েছে অনুমতি সাপেক্ষে প্রয়োজনে তারা মেইন গেইট থেকে শিক্ষার্থীদের ভবনে পৌঁছে দেয়ার কাজ করবে। এছাড়াও পার্কিং করার ক্ষেত্রে কুষ্টিয়া হতে আগত শিক্ষার্থীদের ৩নং গেইটে (ডরমিটরি গেইট) নামিয়ে দিয়ে শান্তিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাড়ি অবস্থান করবে এবং ঝিনাইদহ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের শেখপাড়া বাজারে নামিয়ে দিয়ে ডিএম কলেজে গাড়িসমূহ অবস্থা করবে।

উল্লেখ্য, শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান) এর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩ মে (শুক্রবার) ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এর ভর্তি পরীক্ষা এবং ১০ মে (শুক্রবার) ‘সি’ ইউনিট (ব্যবসায়ী শিক্ষা) বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমদিন ৬ হাজার ৪৪২ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় বসবে।

;

সালাতুল ইস্তেস্কার আদায়ে অনুমতি দেয়নি ঢাবি প্রশাসন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বৃষ্টি চেয়ে প্রার্থনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা সালাতুল ইস্তেস্কার আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে ঢাবি প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় এ আয়োজন বাতিল করতে হয়।

বুধবার (২৪এপ্রিল) এ সালাত আদায়ের কথা থাকলেও আগের দিন রাতেই আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয় ঢাবি প্রশাসন এ আয়োজনের অনুমতি দেননি।

ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এ ইস্তিস্কার নামাজ। ইমামতি ও মুনাজাতের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল শাইখ অধ্যাপক মুখতার আহমদকে। তবে, আয়োজকদের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি নিয়ে রাতেই জানানো হয়, এ কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ার বিষয়টি আয়োজকদের পক্ষ থেকে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আয়োজকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, সালাতুল ইস্তেস্কার আদায় সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকালের অনুষ্ঠিতব্য সালাতুল ইস্তেস্কারের ব্যাপারে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের ডেকেছে। তীব্র তাপবদাহ চলমান থাকায় এই মুহুর্তে প্রশাসন আমাদের খোলা মাঠে সালাতুল ইস্তেস্কার আদায়ের অনুমতি দেয়নি। পরবর্তী সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে ঢাবি প্রক্টর ড.মাকসুদুর রহমান বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাস ঘোষণা করা হয়েছে। সে জায়গায় আমরা খোলা মাঠে নামাজের অনুমতি দিতে পারি না। নামাজের জন্য আমাদের কেন্দ্রীয় মসজিদ রয়েছে, হলে হলে মসজিদ রয়েছে, ইমাম-খতিবও রয়েছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইস্তেস্কার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গরমের তীব্রতায় বৃষ্টির আশায় এ ইস্তেস্কার নামাজ আদায় করা হয়ে থাকে।

;