মোহামেডানকে ফের হারালো রূপগঞ্জ
একেই বলে ব্যাটে-বলে পারফরমেন্স!
ব্যাটসম্যানরা সকালে বড় পুঁজি এনে দিলো দলকে। বিকালে বোলাররা সেই সঞ্চয়ের ওপর দাড়িয়ে বল হাতে উড়িয়ে দিলেন মোহামেডানকে। লিগের পর সুপার লিগেও মোহামেডানকে হারালো লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ম্যাচ জিতলো ৪৬ রানে। ২২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট রূপগঞ্জের শীর্ষস্থানটা অক্ষুণ্ন।
বিকেএসপিতে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ব্যাট হাতে দাপট দেখায়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মুমিনুল হক ও অধিনায়ক নাঈম ইসলাম ১০৭ রান যোগ করেন। মুমিনুল ৮৮ বলে ৭৮ রান করে ফিরেন। মোহামেডানকে পেলেই যেন নাঈম ইসলামের ব্যাটে আগুন ঝরে। লিগের প্রথম মোকাবেলায় মোহামেডানের বিপক্ষে ৮৫ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছিলেন নাঈম। সুপার লিগ এসে সেই পারফরমেন্সকে ছাড়িয়ে গেলেন। ১০৮ বলে অপরাজিত রইলেন ১০৮ রান করে। চলতি লিগে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি।
পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামা শাহরিয়ার নাফীস ২ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে ৬১ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন। ৪ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ৩১৩ রানের স্বাস্থ্যবান ইনিংস গড়ে রূপগঞ্জ।
জবাবী ইনিংসে মোহামেডানের শুরুটা মন্দ হয়নি। কিন্তু লিটন দাস শুরুর মারকুটো ইনিংসটা বড় করতে পারলেন না। তার ২১ বলের ইনিংস থেমে গেলো ২৪ রানে। অপর ওপেনার ইরফান সুকুর ৯১ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন দলকে ভরসা দিচ্ছিলেন। দারুণ ফর্মে থাকা রকিবুল হাসানও হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। কিন্তু বড় রান তাড়া করতে হলে সম্মিলিতভাবে অনেকের অবদানের প্রয়োজন হয়। সেই দাবি মেটাতে পারেনি মোহামেডান। রান রেটের চাহিদাও অনেক বেড়ে দাড়ায়। শেষের দিকে ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে মোহামেডান থেমে যায় ২৬৭ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: রূপগঞ্জ: ৩১৩/৪ (৫০ ওভারে, মুমিনুল ৭৮, নাঈম ১০৮*, শাহরিয়ার নাফীস ৬৮, আশরাফুল ২/৪৪)। মোহামেডান: ২৬৭/১০ (৪৬.২ ওভারে, ইরফান ৭৩, রকিবুল ৫৮, সোহাগ গাজী ২৯, আশরাফুল ১১, শুভাশীষ রায় ৩/৫৬, শহীদ ২/৪৩, মুক্তার আলী ২/৫১)। ফল: রূপগঞ্জ ৪৬ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা: নাঈম ইসলাম।