ফের একপেশে ইতিহাস, পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল ভারত



আপন তারিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
বিশ্বকাপের ময়দানে আরো একবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের দাপট

বিশ্বকাপের ময়দানে আরো একবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের দাপট

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতিহাস তার চেনা পথেই হাটলো। ছক উল্টে দিতে পারল না পাকিস্তান। বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে দ্বৈরথ মানেই যেন তাদের নিশ্চিত হার। এবার নিয়ে সাতবারের লড়াইয়ে প্রতিবারই হাসিমুখ ম্যান ইন ব্লু'দের। রোববার ব্যাটে-বলে দাপট বিরাট কোহলিদের। ক্রিকেটের সেরা দ্বৈরথে মাঠের লড়াইয়ে এবারও ছিল না প্রাণ! সেই একপেশে ইতিহাস!

ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইটা ছিল একেবারেই নিস্প্রাণ। বৃষ্টির বাধায় শেষ পর্যন্ত ডাকওয়ার্থ ও লুইস ম্যাথডে ভারত জিতেছে ৮৯ রানে।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত সংগ্রহ করে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রান। যা কীনা পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে কোনো দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের সর্বোচ্চ ছিল নটিংহ্যামে ইংল্যান্ডের ৯ উইকেটে ৩৩৪ রান। আর ভারতের সর্বোচ্চ ছিল গতবার করা ৭ উইকেটে ৩০০ রান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/17/1560711018374.jpg

এরপর বল হাতেও একইভাবে আধিপত্য থাকল ভারতের। জয়ের পথেই ছিল দল। ৩৫ ওভারে পাকিস্তান যখন ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ তখনই ফের শুরু হয় বৃষ্টি। এরপর খেলা শুরু হলে কঠিন এক লক্ষ্য দাঁড়ায় পাকিস্তানের সামনে। ৩০ বলে চাই ১৩৬! মিশন ইমপসিবল।

আর সেই লড়াইয়ে ৪০ ওভারে ৬ উইকেটে ২১২ রানে আটকে যায় পাকিস্তান। বৃষ্টির শঙ্কা নিয়ে শুরু হওয়া এই মহারণে টস জিতে সরফরাজ আহমেদের শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্তটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েই থাকল।

বড় সংগ্রহের সামনে জবাব দিতে নেমে অপয়া ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। ৭ রানে সাজঘরে ফেরেন ইমাম উল হক। তবে এরপরই প্রতিরোধ গড়েছিলেন ফকর জামান ও বাবর আজম। দু'জন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে করেন ১০৪ রান। বাবর ৪৮ রানে বিদায় নিতেই শুরু উইকেট পতনের মিছিল। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ভারতের হাতে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/17/1560711052750.jpg

ফকর জামান ৭৫ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন। শেষ দিকে ইমাদ ওয়াসিমের ৪৬ রানের ইনিংস শুধু হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছে।

ভারতের হয়ে বিজয় শঙ্কর ৫.২ ওভারে ২২ রানে নেন ২টি উইকেট। হার্দিক পান্ডিয়া ও কুলদীপ যাদব তুলে নেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে শিখর ধাওয়ানের ইনজুরিতেই ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়ে যান লোকেশ রাহুল। আর সেটি কাজেও লাগালেন তিনি। রোহিত শর্মার সঙ্গে মিলে উদ্বোধনী জুটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে গড়েন রেকর্ড। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড রোহিত-রাহুল গড়েন ১৩৬ রানের ওপেনিং জুটি। এটিই এখন পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারতের সর্বোচ্চ ওপেনিংয়ে রানের জুটি। তারা ভেঙ্গে ফেলেন শচীন টেন্ডুলকার ও নভজ্যোৎ সিং সিধুর গড়া ১৯৯৬ বিশ্বকাপের রেকর্ড। তারা গড়েছিলেন ৯০ রানের জুটি।

রেকর্ড গড়া জুটিতে রাহুল ফেরেন ৫৭ রানে। ৭৮ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছক্কা। রোহিত শর্মা তুলে নেন শতরান। ১১৩ বলে করেন ১৪০ রান। ৩৪ বলে ফিফটি করেন তিনি। ক্যারিয়ারের ২৪তম শতরান করেন ৮৫ বলে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/17/1560711083531.jpg
 
বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে আসে ৬৫ বলে ৭৭ রান। আউট না হয়েও প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি! হঠাৎ আমিরের বলে সরফরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট তিনি। যদিও পরে দেখা যায় বলটি তার ব্যাটেই লাগেনি! আম্পায়ারের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা না করে কিংবা রিভিউ না নিয়েই সাজঘরে ফিরে যান কোহলি। 

এই ইনিংস খেলার পথে ব্যাটিং লিজেন্ড শচীন টেন্ডুলকারকে পেছনে ফেলেন কোহলি। ২৭৬ ইনিংসে ওয়ানডেতে দ্রুততম ১১ হাজার রানের  রেকর্ড গড়েন তিনি। সেই রেকর্ড ভাঙ্গেন কোহলি মাত্র ২২২ ইনিংসে।

মোহাম্মদ আমির ৪৭ রানে নেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট শিকার করেন হাসান আলি ও ওয়াহাব রিয়াজ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/17/1560711104455.jpg

সব মিলিয়ে ব্যাটে-বলে ম্যাচটা দুঃস্বপ্ন হয়েই থাকল পাকিস্তানের জন্য। একইসঙ্গে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে উঠার পথটাও কঠিন হয়ে গেল তাদের। ৫ ম্যাচে দলটির অর্জন মাত্র ৩ পয়েন্ট। ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে আছে ভারত। শীর্ষে ৮ পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ভারত: ৫০ ওভারে ৩৩৬/৫ (রাহুল ৫৭, রোহিত ১৪০, কোহলি ৭৭, পান্ডিয়া ২৬, ধোনি ১, শঙ্কর ১৫*, কেদার ৯*; আমির ৩/৪৭, হাসান ১/৮৪, ওয়াহাব ১/৭১)
পাকিস্তান: (লক্ষ্য ৪০ ওভারে ৩০২) ৪০ ওভারে ২১২/৬ (ইমাম ৭, ফখর ৬২, বাবর ৪৮, হাফিজ ৯, সরফরাজ ১২, মালিক ০, ওয়াসিম ৪৬*, শাদাব ২০*; শঙ্কর ২/২২, পান্ডিয়া ২/৪৪, কুলদীপ ২/৩২)
ফল: ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৮৯ রানে জয়ী ভারত
ম্যাচসেরা: রোহিত শর্মা

   

‘লজ্জাজনক’ রেকর্ডের মালিক হলেন মোহিত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএল ইতিহাসে কোনো ম্যাচে একজন বোলারের সর্বোচ্চ রান হজমের রেকর্ডটি এতদিন ছিল বাসিল থাম্পির। ২০১৮ আইপিএল আসরে তিনি এক স্পেলে রান হজম করেছিলেন ৭০। এবার সে রেকর্ডটি ভেঙে দিলেন ভারতের সাবেক পেসার মোহিত শর্মা।

আইপিএলের চলতি আসরে গুজরাট টাইন্টান্সের হয়ে খেলছেন মোহিত। গতরাতে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল গুজরাট। যেখানে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২২৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিক দিল্লি।

গুজরাটের বোলারদের মধ্যে ৪ ওভার বোলিং করে সবচেয়ে বেশি ৭৩ রান হজম করেছেন মোহিত। বিনিময়ে একটি উইকেটও শিকার করতে পারেননি। বাজে পারফরম্যান্সের এই রাতে নিজের নামে করে নিলেন ‘বিব্রতকর’ এই রেকর্ডটিও।

মোহিতের এই অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডের রাতে হেরেছে তার দল গুজরাটও। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েও শেষে মাত্র ৪ রানের হতাশাজনক হারের মুখ দেখতে হয় তাদের। এই হারের পর পয়েন্ট তালিকার সাতে অবস্থান করছে গুজরাট।

;

বিশ্বকাপের আগে চোটে পড়লেন রিজওয়ান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে বর্তমানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। যেখানে চোটের কারণে দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, উইকেটকিপার-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ছিটকে যেতে হলো। চলিত সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে এই চোটে পড়েন তিনি।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তিন ম্যাচ শেষে বর্তমানে ১-১ সমতায় আছে দু’দল। সবশেষ ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যান রিজওয়ান। কিউইদের বিপক্ষে চলতি সিরিজটিটে আর খেলা হবে না তার।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রেডিওলজি রিপোর্ট দেখে রিজওয়ানকে সিরিজ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে চোটটি অতটা গুরুতর নয় বলেও জানিয়েছে বোর্ড। তাদের ভাষ্যমতে, এক সপ্তাহ থেকে দশ দিনের মতো মাঠের বাইরে থাকবেন তিনি।

নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর সামনে পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফর এবং জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর আছে। শুরুতে রিজওয়ানের সেখানে খেলা নিয়ে অনেকের মনে শঙ্কা তৈরি হলেও আসন্ন সফরগুলোতে তাকে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে তাদের ক্রিকেট বোর্ড।

;

বার্সেলোনাতেই থাকছেন জাভি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমটা খুব একটা ভালো কাটছে না বার্সার। জাভির অধীনে গত মৌসুমে লা লিগা শিরোপা জেতার পর এই মৌসুমে কোনো সাফল্যই আসেনি বার্সেলোনার ঝুলিতে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে হাতছাড়া হয়েছে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ে স্বপ্ন।

বছরের শুরুতে টানা ম্যাচ হারতে থাকার পর খানিকটা হতাশ হয়েই কোচ জাভি হার্নান্দেজ বলেছিলেন যে, চলতি মৌসুম শেষে বার্সার দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন তিনি। ঘোষণাটি শোনার পর বার্সা সমর্থকরা বেশ দুঃখই পেয়েছিলেন। কারণ দীর্ঘদিন পর এই জাভির অধীনেই আলোর মুখ দেখা শুরু করেছিল কাতালান ক্লাবটি।

তবে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন জাভি। জানিয়েছেন যে অন্তত আরও এক মৌসুম বার্সেলোনাতেই থাকবেন তিনি। অর্থাৎ ২০২৪-২৫ মৌসুমেও জাভিকেই কোচ হিসেবে পাবে বার্সা।

জাভির থেকে যাওয়ার বিষয়টি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন ক্লাবেরই এক মুখপাত্র। আগামী সোমবার বার্সেলোনা নিজেদের পরের ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে। এর আগে রবিবার জাভি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন। তার আগে আজ (বৃহস্পতিবার) বার্সা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা কোচের সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলতে তাকে সংবাদ সম্মেলন ডাকবেন।

বার্সেলোনার হয়ে ১৭ বছরের বর্ণাঢ্য কারিয়ার আছে জাভির। লাল-নীল জার্সিটা ৭৬৭ ম্যাচ গায়ে জড়ানোর পর তুলে রেখেছেন। মোট ২৫টি শিরোপা জিতেছেন, যার মাঝে আছে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও আটটি লিগ শিরোপা। বিশ্বকাপজয়ী এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার কোচ হিসেবেও পেয়েছেন সফলতা, জিতেছেন স্প্যানিশ সুপার কাপ আর লা লিগা শিরোপা।

;

শিরোপার দৌড়ে পিছিয়ে গেল লিভারপুল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শিরোপার জন্য চলতি মৌসুমে চলছে ত্রিমুখী লড়াই। আর্সেনাল, লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটি একে অপরকে টপকে যাচ্ছে প্রতি ম্যাচ পরপরই। শিরোপা জিততে জয়ের দিকেই বর্তমানে নজর রাখছে এই তিন দল।

তবে গতরাতে এভারটনের মাঠে যেয়ে তাদের কাছে ২-০ গোলে হেরে এসেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। পয়েন্ট হারানোর ফলে লিগ শিরোপার দৌড়ে বাকি দুই দলের চেয়ে তাই কিছুটা পিছিয়ে গেল তারা। ৩৪ ম্যাচে ৭৪ পয়েন্টের সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলের দুইয় অবস্থান করছে অল রেডরা। সমান ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আর্সেনাল এবং দুই ম্যাচ কম খেলে ৭১ পয়েন্টে নিয়ে তিনে ম্যানচেস্টার সিটি।

এভারটনের বিপক্ষে পূর্ণ তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়াটা খুবই প্রয়োজন ছিল লিভারপুলের জন্য। এতে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের সঙ্গে পয়েন্ট সমান করতে পারত তারা। তবে নিজেদের ভুলে তা আর সম্ভব হলো না।

ম্যাচে ৭৭ শতাংশ বলের দখল এবং ২৩টি গোলের উদ্দেশ্যে শট নিয়েও একটি গোলের দেখা পেল না লিভারপুল। অপরদিকে দুই অর্ধে দুটি গোল আদায় করে খুব ঠান্ডা মাথায় ম্যাচটি নিজেদের নামে করে নিয়েছে এভারটন।

প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে হলে বাকি আর চারটি ম্যাচেই জয় ছাড়া বিকল্প নেই লিভারপুলের কাছে। তাই পরের ম্যাচগুলোতে নিজেদের সর্বোচ্চটা নিয়েই মাঠে নামার চেষ্টা থাকবে তাদের।

;