জেতা সম্ভব, আমরা জিতবো-ভারত ম্যাচ নিয়ে সৌম্য



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম, বার্মিংহ্যাম, ইংল্যান্ড থেকে
ভারতের বিপক্ষে জয়ে চোখ রেখেই নামবেন সৌম্য সরকার

ভারতের বিপক্ষে জয়ে চোখ রেখেই নামবেন সৌম্য সরকার

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিপক্ষ ভারত। ভেন্যু বার্মিংহ্যাম। এই দুই যোগ করলে সৌম্য সরকারের একটু দুঃশ্চিন্তায় পড়ারই কথা।

সর্বশেষ এই ভেন্যুতে ভারতের বিপক্ষে তিনি শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। তবে ২০১৭ সালের ১৫ জুনের সেই দুঃস্মৃতিকে ২০১৯ এর ২ জুলাই সুখস্মৃতি বানিয়ে ফিরতে চান বাংলাদেশ দলের এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে থাকার দৌড়ে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশের সামনে আপাতত দুটো আবশ্যিক শর্ত হলো-গ্রুপের শেষ দুই ম্যাচে জয়। সেই লড়াইয়ে ২ জুলাই ভারত এবং ৫ জুলাই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।

পাকিস্তান ম্যাচ পরে। তাই আপাতত ২ জুলাই ভারত ম্যাচ নিয়েই এখন সব পরিকল্পনা এবং ভাবনা বাংলাদেশ দলের। সেই পরিকল্পনার অংশবিশেষ বৃহস্পতিবার বার্মিংহ্যামে হায়াত রিজেন্সি টিম হোটেলের সামনে দাড়িয়ে বাংলাদেশ মিডিয়ার সঙ্গে ভাগাভাগি করলেন সৌম্য সরকার।
 
ভারত বিশ্বকাপে এসেছে হট ফেভারিট হিসেবে। আর বাংলাদেশের নামের পাশে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকে লেখা হচ্ছিলো- নেহাত অংশগ্রহণকারি আরেকটি দল হিসেবেই! তবে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ থেকেই বাংলাদেশ সেই হিসেবও বদলে দিয়েছে। এই বিশ্বকাপের বিপদজনক এবং চমকপ্রদ দল এখন বাংলাদেশ। যারা অনায়াস কায়দায় ৩২১ রান তাড়া করে ম্যাচ জিততে পারে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার দাবি নিয়ে সামনে বাড়া দলের নাম।

আর তাই ২ জুলাইয়ের ম্যাচ শুরুর আগে যারা ভারতের এগিয়ে থাকা গলা ফাটাচ্ছেন তাদের জন্য সৌম্য সরকারের সহজ পরামর্শ- ‘ভারত আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে, এমন চিন্তা নিয়ে মাঠে নামলো তো আমরা অনেক আগেই পিছিয়ে যাবো! জিততে হবে-এই চিন্তা নিয়েই নামতে হবে। আমরাও রেসে আছি-এমন মানসিকতা নিয়েই খেলতে হবে। আমরা এখানে একটা বড় টুর্নামেন্ট খেলতে এসেছি। এই টুর্নামেন্টের মাঝপথে এসে আমরা যদি কাউকে আলাদা ভাবে দেখি, তাহলে আমরা ঐ যে বললাম, প্রথম থেকেই পিছিয়ে যাবো। যে ক্রিকেট খেলছি আমরা এই বিশ্বকাপে সেই ধারাটা যদি ভারত ম্যাচে তিন বিভাগেই ধরে রাখতে পারি তাহলে ভারতের বিপক্ষে জেতা সম্ভব। এবং আমরা জিতবো।’

তারপরও হিসেব-নিকেষ থেমে নেই। ভারত অনেক শক্তিমান। ওদের কিভাবে থামাবে বাংলাদেশ-এমনসব অংক এবং ফুর্মলা জাহির করছেন অনেকে। তবে বাংলাদেশ দলের জোর বিশ্বাস একটাই-নিজেদের ক্রিকেটীয় কাজগুলো যদি সঠিক ভাবে করা সম্ভব হয় তবে সামনে থাকা সব প্রতিপক্ষই উড়ে যাবে সেদিন। দলের সেই বিশ্বাস আরেকবার উচ্চারিত হলো সৌম্যের কণ্ঠে- দু’দলের মধ্যে সহজ একটা পার্থক্য হলো, ওরা ইন্ডিয়া, আমরা বাংলাদেশ। ব্যস আর কিছু না! মাঠে যেদিন যারা ভালো খেলবে, সেদিন তারাই সেরা। বিশ্বকাপ অনেক বড়ো টুর্নামেন্ট। এমন বড়ো টুর্নামেন্টে যদি নাম ধরে প্রতিপক্ষকে বড়ো দলের কাতারে ফেলে দিলে, সমস্যা তো নিজেদেরই হবে। শুরুতেই তাহলে ব্যাকফুটে চলে যাবে দল। তাই কে বড়ো দল, সেই চিন্তা না করে একটা পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামা এবং সেটা ঠিক মতো প্রয়োগ করাটাই বড়ো কথা।’

২ জুলাই বার্মিংহ্যামে সেই ‘বড়’ কাজও এবার করতে চায় বাংলাদেশ!

   

গুজরাটকে গুঁড়িয়ে দিল্লির রেকর্ডগড়া জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এই তো এক ম্যাচ আগের কথা। টেবিল টপার রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে দিয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। সেই গুজরাট এবার রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণই করল দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে। ৮৯ রানে গুটিয়ে গেল দলটা। তাদের এই রান দিল্লি টপকে গেল ৬৭ বল হাতে রেখেই। তাতে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জেতার কীর্তিও গড়ে ফেলল ঋষভ পান্তের দল। 

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে গুজরাট। পাওয়ার প্লের আগেই মাত্র ৩০ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বসে শুভমান গিলের দল। সেই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি দলটা। ৪৮ রান তুলতে শেষ হয়ে যায় তাদের ৬ উইকেট। সেখান থেকে ৮৯ পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে দলটা, তার কৃতিত্ব রশিদ খানের। তার ৩১ রানের ইনিংস এক সময় তিন অঙ্কের সম্ভাবনাও দেখাচ্ছিল দিল্লিকে। যদিও শেষমেশ তা আর হয়নি। ১৭.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৮৯ রান তুলতেই যবনিকা পড়ে যায় গুজরাটের ইনিংসে।

এই ৯০ রানের লক্ষ্য টপকাতে উইকেট খোয়ালেও খুব একটা বেগ পেতে হয়নি দিল্লিকে। জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক, অভিষেক পোড়েল, শেই হোপরা ১৫০ ছাড়ানো স্ট্রাইকরেটে ছোট্ট অথচ কার্যকরি তিন ইনিংস খেলে দিয়ে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান। ৬৭ রানে ৪ উইকেট খোয়ানোর পর দিল্লিকে বাকি পথটা দেখান ঋষভ পান্ত। তার ১১ বলে ১৬ রানের ইনিংসে ভর করে দিল্লি পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। ব্যাটিংয়ের আগে কিপিং গ্লাভস হাতে দুটো স্টাম্পিং করে ম্যাচসেরার পুরস্কার বাগিয়ে নেন পান্ত।

এবারের আইপিএলে সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জয়ের কৃতিত্ব এখন পর্যন্ত ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আর রাজস্থান রয়্যালসের। ২৭ বল হাতে রেখে জিতেছিল দুটো দল। তবে এবার দিল্লি রেকর্ডটার সীমানা একেবারে আকাশেই তুলে দিল রীতিমতো। ম্যাচটা জিতল ৬৭ বল হাতে রেখে। 

বিশাল এই জয়ে এক লাফে পয়েন্ট টেবিলের ৯ থেকে ৬ এ উঠে এল পান্তের দল। আর ৬ থেকে ৭ এ নেমে গেল গুজরাট টাইটান্স। দুই দলেরই পয়েন্ট ৭ ম্যাচে ৬, তবে বড় ব্যবধানের জয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে গুজরাটকে টপকে গেছে দিল্লি।

;

জালাল ইউনুসের ‘কৌতুক’ শুনে হেসে খুন সালাউদ্দিন!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমান আইপিএলে খেলা চালিয়ে যাবেন নাকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে দেশে ফিরবেন-তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা থামছেই না। বিসিবি পরিচালক আকরাম খান জিম্বাবুয়ে সিরিজের চেয়ে বরং মুস্তাফিজের আইপিএলে খেলার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

আকরামের বক্তব্য খণ্ডন করতে গিয়ে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলে বসেন, ‘মুস্তাফিজকে আইপিএল খেলে শেখার কিছু নেই। মুস্তাফিজের শেখার প্রসেস ওভার। বরং মুস্তাফিজের থেকে শিখতে পারে আইপিএলে অনেক খেলোয়াড় আছে।’

জালাল ইউনুসের এমন মন্তব্য শুনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা তো হাস্যরস করছেনই, এবার সে দলে যোগ দিলেন দেশের অন্যতম স্বনামধন্য কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনও। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে জালাল ইউনুসের ওই মন্তব্য সম্বলিত একটি ফটো কার্ড পোস্ট করেছেন এই কোচ।

পোস্টের ক্যাপশনে রীতিমত জালাল ইউনুসকে ধুয়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করিনি। দুর্দান্ত চিন্তাভাবনা। আমার শোনা অন্যতম সেরা কৌতুক। আল্লাহ মাফ করুক।’ সঙ্গে বেশকিছু অট্টহাসির ইমোজিও জুড়ে দিয়েছেন এই ক্রিকেট কোচ।

;

‘মুস্তাফিজের থেকে শিখতে পারে আইপিএলের খেলোয়াড়রা’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ নাকি আইপিএল-কোনটায় খেলা উচিৎ মুস্তাফিজুর রহমানের, এই প্রশ্নে সরগরম দেশের ক্রিকেট। বোর্ড পরিচালক আকরাম খান বলেছিলেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলার চেয়ে আইপিএলে খেললে মুস্তাফিজ কিছু শিখতে পারবে। সে বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বললেন, আইপিএল খেলে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই।

আগামী মে’তে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তাই আইপিএলের জন্য মুস্তাফিজকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অনাপত্তিপত্র দিয়েছিল। পরে অবশ্য সে অনাপত্তিপত্রের মেয়াদ একদিন বাড়িয়ে ১ মে করা হয়। তবে একটি বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই দেশের ক্রিকেটমহলে আলোচনা চলছে যে, আসলে মুস্তাফিজকে দেশে ফিরিয়ে এনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে খেলালে ভালো হবে নাকি আইপিএলের মতো প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে খেললেই বরং আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজের প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে পারবেন মুস্তাফিজ।

কয়েকদিন আগে এই প্রশ্ন বিসিবির পরিচালক আকরাম খানকে করা হলে তার জবাব ছিল, ‘মুস্তাফিজকে ব্যবহার করতে জানলে শতভাগ ফল পাওয়া যায়। ধোনির দল যেটা করে দেখাচ্ছে।’ এরপরই জিম্বাবুয়ে সিরিজে আইপিএলে খেললে মুস্তাফিজ বেশি উপকৃত হবেন বলে মন্তব্য করেন আকরাম।

তবে তার সেই মন্তব্য খণ্ডন করে আজ (বুধবার) মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জালাল ইউনুস বলেন, ‘মোস্তাফিজের এখন আইপিএলে খেলে শেখার কিছু নেই। মোস্তাফিজের শেখার দিন শেষ। বরং মোস্তাফিজের থেকে শিখতে পারে আইপিএলের অনেক খেলোয়াড়রা।’

মুস্তাফিজের ফিটনেসের কথা ভাবনায় রেখেই তাকে পুরো টুর্নামেন্টের জন্য অনাপত্তিপত্র দেয়া হয়নি বলে জানান এই বিসিবি কর্তা, ‘আমাদের চিন্তা হচ্ছে মোস্তাফিজের স্বাস্থ্য। তার ফিটনেস। তারা চাইবে ওর থেকে ১০০ ভাগ নেওয়ার জন্য। তার ফিটনেসের দিকে কিন্তু ওদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। আমাদের আছে। তাকে ফেরানোর কারণ কিন্তু শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলানোর জন্য না। তাকে ওয়ার্কলোড দিয়ে আমরা খেলাব। এখানে আনলে তাকে ওয়ার্কলোড দিয়ে পরিকল্পনা দেব। আইপিএলে কিন্তু ওই পরিকল্পনা হবে না।’

;

ফের বিগ ব্যাশে না খেলার ‘হুমকি’ রশিদ খানের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানে নারীদের প্রতি অবিচারের অভিযোগ এনে দেশটির বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলা থেকে বিরত রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আইসিসি আয়োজিত বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের আফগানদের বিপক্ষে খেললেও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলায় সায় নেই তাদের। অস্ট্রেলিয়ার এমন অবস্থানের বিরোধিতা করে বিগ ব্যাশে না খেলার হুমকি দিয়েছেন আফগান স্পিনার রশিদ খান।

অবশ্য এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একই কারণে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ বিগ ব্যাশে না খেলার হুমকি দিয়েছিলেন রশিদ। পরে অবশ্য চোটের কারণে বিগ ব্যাশে অংশ নেয়া হয়নি তার।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ২০২১ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট এবং ২০২৩ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ স্থগিত করে। এর প্রতিক্রিয়ায় রশিদ খান বলেন, ‘আসলে এই বিষয়গুলো (নারী অধিকার) নিয়ে খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের খুব বেশি কিছু করার নেই। এগুলো সরকারগুলোর দেখভাল করতে হবে। কিন্তু এসবের কারণে ক্রিকেটে কেন ব্যাঘাত ঘটবে?’

ইএসপিএনক্রিকইনফোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আবেগজড়ানো কণ্ঠে রশিদ বলেন, ‘আপনারা যদি আমার দলের সঙ্গে না খেলেন, তাহলে কেন চান যে আমি আপনাদের দেশে খেলি? আপনারা আমার সতীর্থদের সঙ্গে খেলতে চান না, কিন্তু আমার সঙ্গে খেলতে চান? (আমি যদি বিগ ব্যাশে খেলি) এর মানে হবে, আমি আমার সতীর্থদের এবং আমাদের দেশকে অপমানিত করছি। আমার কাছে দেশের চেয়ে বড় কিছু নেই।’

;