২৪২ রান করলেই চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর, লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড, লন্ডন, ইংল্যান্ড থেকে
কেন উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে আনন্দে ভাসছে ইংলিশ শিবির

কেন উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে আনন্দে ভাসছে ইংলিশ শিবির

  • Font increase
  • Font Decrease

রানটা কি একটু কম হয়ে গেল?

২৪১ রানে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস থামতেই এই কৌতুহল। বিশ্বকাপ ট্রফি জয় থেকে ২৪২ রান দুরে ইংল্যান্ড। শুরুতে ধীরে চলো’র হিসেবি ব্যাটিং করা নিউজিল্যান্ড ফাইনালের কোনো সময়ে ‘হাত খুলে’ খেলতে পারলো না। আর তাই ৫০ ওভার শেষে  ৮ উইকেটে ফাইনালে তারা থেমে গেলো ২৪১ রানে।

লর্ডসের উইকেটে খুব যে তেজ কিছু ছিলো-তাও নয়। সারাক্ষণ আকাশ মেঘলা থাকলেও উইকেটে বল পড়ার পর কিছুটা স্লো হয়ে যায়। একটু দেরিতে বল ব্যাটে আসছিলো। গ্রিপ করছিলো। ইংল্যান্ড ইনিংসেও উইকেট এমন আচরণ করলে নিউজিল্যান্ডের ২৪১ রানকে মোটেও সামান্য সঞ্চয় ভাবার কোনো কারণ নেই।

ইংল্যান্ডের শক্তি যদি হয় লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ; তাহলে নিউজিল্যান্ডের শক্তিমত্তাও কিন্তু তাদের বোলিং!

শুরুর ১০ ওভারে ৩৩ রানে ১ উইকেট। এমন সাবধানী শুরু করেছিলো নিউজিল্যান্ড মুলত শেষের দিকে উইকেট জমা রাখার জন্যই। কিন্তু শুরুটা সাবধানী হলেও মাঝের ইনিংস যে নিউজিল্যান্ডের খুব একটা মজবুত হলো না। উইকেটে জমে ৫৫ রান করে আউট হলেন হেনরি নিকোলাস। কেন উইলিয়ামসনও তাই। লম্বা ইনিংস খেলার প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষ করে এনেছিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। তবে ফাইনালে নিজের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। ৫৩ বল খেলে ৩০ রানে ফিরলেন। তাতে বাউন্ডারি মাত্র দুটো। মিডলঅর্ডারে রস টেলরও আধঘন্টার মতো উইকেটে সময় কাটিয়ে ফাইনালে করলেন মাত্র ১৫ রান।

একই অভিযোগ উঠতে পারে অলরাউন্ডার জেমস নিসামের ক্ষেত্রে। অহেতুক অতিরিক্ত মাত্রায় আক্রমনাত্মক হতে গিয়ে বাজে শটস খেলে উইকেট হারালেন নিসাম।

৩০ ওভারের দ্বিতীয় পাওয়ার প্লে’তে নিউজিল্যান্ড যোগ করে ১৪৬ রান। আর হারায় ৪ উইকেট। এই চার ব্যাটসম্যানই ছিলেন আবার সেট।

উইলিয়ামসন, নিকোলাস এবং টেলর-তিনজনই ইংল্যান্ডের গতির কাছে হার মানলেন। বদলি বোলার হিসেবে বোলিং করতে নামা লিয়াম প্লাঙ্কেট টানা দুই ওভারে দুই উইকেট তুলে নিলেন। জমে উঠা জুটি ভাঙ্গতে দারুণ ওস্তাদ বোলার প্লাঙ্কেট!

১০ ওভারে ৪৩ রানে রানে ৩ উইকেট নিয়ে এই পেসারই লর্ডসের ফাইনালে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার। ক্রিস ওকসও তিন উইকেট পান। তবে উইকেট মুল্য বিবেচনায় প্লাঙ্কেট বেশি এগিয়ে।

যেভাবে ফিল্ডিং, সেভাবেই বোলিং-ইংল্যান্ডের এই কৌশলে নিউজিল্যান্ড তাদের ইনিংসে কোনো সময়ে হাত খুলে খেলার সুযোগই পেলো না। ৫০ ওভারের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের ১৬০ টি ডট বল তো তারই জ্বলজ্বলে প্রমাণ! তবে অতিরিক্ত রান দেয়ার ক্ষেতেও বেশ উদারতা দেখায় ইংল্যান্ড লর্ডসের ফাইনালে। অতিরিক্ত খাতে তাদের খরচ ৩০ রান। যেখানে নো বল একটি ওয়াইড ১৭টি।

অর্থাৎ অতিরিক্ত তিন ওভার খেলে নিউজিল্যান্ড জমা ২৪১ রানের বেশি নিতে পারলো না।
 
ফাইনালে নিউজিল্যান্ড ইনিংসের শুরুতে এমনকি অর্ধেক সময় পর্যন্ত রিভিউ হয়ে রইলো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। শুরুর এই সময়ে সবমিলিয়ে তিনটি রিভিউ’র ঘটনা ঘটলো। প্রথমবার রিভিউ নিয়ে হেনরি নিকোলাস ঠিকই রক্ষা পেলেন। তবে রিভিউ নিয়ে সেটা নষ্ট করলেন আরেক নিউজিল্যান্ড ওপেনার মারটিন গাপটিল। উইকেট খোয়ালেন এবং সেই সঙ্গে দলের একমাত্র রিভিউও নষ্ট করলেন। বদলি বোলার হিসেবে আসা লিয়াম প্লাঙ্কেটের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলেন কেন উইলিয়ামসন। ইংল্যান্ড সমস্বরে আপিল তুলে। কিন্তু আম্পায়ার ধর্মসেনা তাতে সাড়া দেননি। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিলো ইংল্যান্ড। এবং সফল হলো! রিভিউ জানালো নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের ব্যাটে হালকা ছোঁয়া নিয়েছে বল। উইলিয়ামসনের প্রাইজ উইকেট পেলো ইংল্যান্ড সেই সঙ্গে রিভিউও রয়ে গেলো!

মজার তথ্য হলো তিনটি রিভিউ’র ঘটনা ঘটলো প্রেসবক্স এন্ডে দাড়ানো আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনার প্রান্ত থেকে! এই তিন ক্ষেত্রে দু’বার তিনি ভুল। ঠিক একবার। মুলত রিভিউ তার আম্পায়ারিংয়ের মান বাঁচালো লর্ডসের ফাইনালে!

আর ২৪১ রানের সঞ্চয় নিয়ে নিউজিল্যান্ড কি পারবে বিশ্বকাপ ট্রফি জেতার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে?

   

লক্ষ্ণৌয়ের কাছে পাত্তাই পেল না মুস্তাফিজের চেন্নাই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস। চেন্নাইকে ১৭৬ রানে আটকে দিয়ে কুইন্টন ডি কক আর কেএল রাহুলের জোড়া ফিফটিতে এক ওভার এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

লক্ষ্ণৌয়ের একানা স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে টসভাগ্য স্বাগতিকদের পক্ষে ছিল। টস জিতে আগে অতিথিদের ব্যাটিংয়ে পাঠান লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক কেএল রাহুল। আইপিএলের চলতি আসরে দুইশ রানকে মামুলি বানিয়ে ফেলেছে বেশ কয়েকটি দল। তবে লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও তাদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না চেন্নাই। আইপিএলে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে এসেও সে 'ম্যাজিক ফিগার' ছোঁয়া হয়নি তাদের।

রবীন্দ্র জাদেজার ৪০ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের সঙ্গে রাহানে (৩৬) আর মঈনের (৩০) ছোট দুটি ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ পায় চেন্নাই। শেষদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির ৯ বলে ২৮ রানের জাদুকরী ক্যামিও'র কথা ভুলে গেলে চলবে না। তাতে ২০ ওভারে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৬।

লক্ষ্ণৌয়ের পক্ষে ৩ ওভার বল করে ১৬ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

জবাব দিতে নেমে মুস্তাফিজ-তুষারদের তুলোধুনো করে ওপেনিং জুটিতেই ডি কক-রাহুল মিলে তুলে ফেলেন ১৩৪ রান। ১৫তম ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজ যখন ডি কককে ধোনির ক্যাচ বানিয়ে ফেরান, ম্যাচ তখন লক্ষ্ণৌয়ের করতলে। তাই তো সেই উইকেটের উদযাপনও তেমন হল না বললেই চলে। ফেরার আগে ৫৪ রান করে দিয়ে গেছেন ডি কক।

লক্ষ্ণৌকে জয়ের দোরগোড়ায় রেখে মাতিশা পাতিরানার বলে আউট হয়েছেন ৮১ রান করা লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক রাহুল। বাকি কাজটা নির্ঝঞ্ঝাটে সেরেছেন নিকোলাস পুরান (২৩*) ও মার্কাস স্টয়নিস (৮*)।

বল হাতে আরও একবার চেন্নাইয়ের সবচেয়ে খরুচে বোলার মুস্তাফিজ। একটি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৪৩ রান।

এই জয়ে লক্ষ্ণৌয়ের পয়েন্ট হয়েছে চেন্নাইয়ের সমান ৮। তবে নেট রানরেটের ব্যবধানে চেন্নাই এখন টেবিলের তিনে, আর লক্ষ্ণৌয়ের অবস্থান ৫ নম্বরে।

;

মাঠ ছাড়ল মোহামেডান, পিছিয়ে থেকেও জয়ী আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অঘোষিত ফাইনাল! প্রিমিয়ার হকি লিগে আবাহনী-মোহামেডানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ কম ছিল না। ম্যাচের আগেই রাসেল মাহমুদ জিমির তিন হলুদ কার্ডে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একচোট বিতর্ক হয়ে গেছে। অন্তত মাঠের খেলা বিতর্ক মুক্ত থাকুক, সংশ্লিষ্টদের সেটাই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু মাঠের খেলাতেও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রইল বিতর্ক। তাতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ড আগেই শেষ হল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। ২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জিতল আবাহনী। এগিয়ে থেকেও শিরোপা হাতছাড়া মোহামেডানের।

মওলানা ভাসানি হকি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই কোয়ার্টারে দুই গোল করে অনেকটা এগিয়ে যায় আবাহনী। তিন মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আফফান ইউসুফ এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আবার সেই পেনাল্টি কর্নার থেকেই পুস্কর খিসা মিমোর গোলে এগিয়ে যায় তারা।

এর মাঝে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে মোহামেডান খেলোয়াড়দের বচসায় খেলা বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ।

তৃতীয় কোয়ার্টারে রাজসিকভাবে ম্যাচে ফেরে মোহামেডান। ফয়সাল বিন সারির হ্যাটট্রিকে ম্যাচে এগিয়ে যায় সাদাকালোরা। প্রথমে রিভার্স হিটে ফিল্ড গোল এবং পরে পেনাল্টি কর্নার থেকে আরও দুই গোল করে মোহামেডানকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন তিনি।

তবে তৃতীয় কোয়ার্টারে যখন ঘড়ির কাটায় আর কেবল ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি, তখন দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হঠাৎ একপ্রকার হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দুই আম্পায়ার দীর্ঘ আলোচনার পর মোহামেডানের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় মিজুন এবং আবাহনীর আফফান ইউসুফকে হলুদ কার্ড দেখান। আর মোহামেডানের সিয়াম, দ্বীন ইসলাম এবং আবাহনীর নাইমউদ্দিনকে সরাসরি লাল কার্ড দেখতে হয়।

কার্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে চলে যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। সেখান থেকে মোহামেডানের কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে আম্পায়ারদের অনেক আলোচনা হয়। তবে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত মানতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আর মাঠে নামেনি তারা।  উপায়ান্তর না দেখে আম্পায়াররা শেষ বাঁশি বাজিয়ে এক কোয়ার্টার এবং আরেক কোয়ার্টারের ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি থাকতেই শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন।

২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় পেয়ে যায় আবাহনী। এতে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট এখন আকাশি-হলুদদেরও। এখন এই দুই দলের মধ্যে প্লে-অফের মাধ্যমে শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। আর যে মোহামেডানের এই ম্যাচ জিতলেই শিরোপা উৎসব করার কথা, ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা শিরোপার দৌড়েই আর নেই।

;

পিছিয়ে পড়েও আবাহনীর দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে জয় পেয়েছে আবাহনী। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুই বিদেশির গোল ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে আবাহনী। আবু তোরের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের মাটি কামড়ানো শট নেন আব্দুল্লাহ। আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল ঝাঁপিয়ে পড়েও সে শট প্রতিহত করতে পারেননি।

২৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল শেখ জামাল। দলটির অধিনায়ক ইগর লেইতে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিলেও তা শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য লক্ষ্যচ্যুত হয়।

মিনিট দুয়েক পরই এই মিসের মূল্য চুকাতে হয় শেখ জামালকে। বাম প্রান্ত থেকে আবাহনীর কর্নেলিয়াসের শেখ জামালের শট শাখজদ শেমানভ ব্লক করলেও ফিরতি শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন জোনাথান ফার্নান্দেস।

সমতায় ফেরার পর দাপট বাড়ে আবাহনীর। ৩৩ মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান প্রথম গোলের নায়ক জোনাথান। কিন্তু শেখ জামাল গোলকিপারকে এক পেয়েও পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন।

তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর কোনো ভুল করেনি আবাহনী। মধ্যমাঠ থেকে জোনাথানের থ্রু বল ধরে কর্নেলিয়াসের দিকে পাস বাড়ান ওয়াশিংটন। আলতো শটে বল জালে জড়িয়ে আবাহনীর হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সেই কর্নেলিয়াস। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আকাশি-হলদুরা।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই রইল আবাহনী। তবে হেরে যাওয়ার ফলে পাঁচে নেমে গেছে সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পাওয়া জামাল। দিনের অন্য ম্যাচে শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের পয়েন্ট ১৭।

;

‘হকির স্বার্থে’ অঘোষিত ফাইনালে খেলছে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীন ডেল্টা প্রিমিয়ার হকি লিগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। ম্যাচ অফিসিয়ালদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তসহ নানা ইস্যুতে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। আজ (শুক্রবার) আবাহনী-মোহামেডানের অঘোষিত ফাইনালের আগেও ডালপালা মেলেছে বিতর্ক। তিন হলুদ কার্ড দেখা মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরগরম হকির মাঠ।

জানা গেছে, কোনো খেলোয়াড় দুই হলুদ কার্ড দেখলে বাইলজ অনুযায়ী সেই দলকে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কার কথা তার দলকে ফেডারেশনের জানানোর কথা। তবে এক্ষেত্রে হকি ফেডারেশন সেটা না করে বরং তিন হলুদ কার্ড দেখার পর জিমিকে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যার ফলে আবাহনীর বিপক্ষে আজ তার মাঠে নামার সুযোগ নেই।

এই বিষয়টি নিয়েই মুখোমুখি অবস্থানে  চলে এসেছিল মোহামেডান এবং হকি ফেডারেশন। আজ আবাহনীর বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা উঠবে সাদাকালোদের হাতে। অথচ এমন একটা ম্যাচ তারা না খেলার হুমকি দিয়েছিল জিমির নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে।

শেহস পর্যন্ত অবশ্য তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ‘হকির স্বার্থে’ তারা ম্যাচটি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সঙ্গে এও জানিয়ে রেখেছে, ম্যাচ চলাকালে কোনো অনিয়ম হলে তৎক্ষণাৎ মাঠ ছাড়তে পিছপা হবেন না তারা।

উল্লেখ্য, এই ম্যাচের আগে মোহামেডানের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩৫। অন্যদিকে আবাহনীর ৩৪ ও মেরিনার্সের ঝুলিতে ৩৭ পয়েন্ট। মোহামেডানকে আবাহনী হারিয়ে দিলে মেরিনার্সের মতো তাদের পয়েন্টও হবে ৩৭। বাইলজ অনুযায়ী তখন আবাহনী-মেরিনার্স প্লে-অফ ম্যাচের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে শিরোপা। মোহামেডানের জন্য হিসেব সহজ, জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। মোহামেডান-আবাহনী ড্র করলে শিরোপা উৎসব করবে মেরিনার্স।

;