বাউন্ডারির নিয়ম নিয়ে উত্তাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
একটুর জন্য ট্রফি স্পর্শ করতে পারলেন না কেন উইলিয়ামসন- ছবি: আইসিসি

একটুর জন্য ট্রফি স্পর্শ করতে পারলেন না কেন উইলিয়ামসন- ছবি: আইসিসি

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে রূপকথার নতুন কাহিনী লিখেছে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আর নখ কামড়ানো ফাইনাল শেষে শেষ হাসি হেসেছে অবশ্য ইংল্যান্ড।

কিন্তু যেভাবে ইংলিশরা প্রথমবারের মতো বিশ্বসেরা হল তাকে ‘নাটক’ বললেও বোধ হয় ভুল হবে। নির্ধারিত সময়ে নিউজিল্যান্ডের গড়া ২৪১ রান তুলে ম্যাচ টাই করে ইয়ন মরগানরা। সুপার ওভারে ইংল্যান্ডের সমান ১৫ রান করে ফের টাই করে বসে কেন উইলিয়ামসনরা।

কিন্তু ম্যাচে বাউন্ডারি বেশি হাঁকানোর জন্য স্বাগতিক ইংল্যান্ডই পেয়ে যায় বিশ্বকাপ ট্রফি। আইসিসির এ নিয়মটা মেনে নিতে পারছেন না অনেক সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বোদ্ধারা। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে সমালোচনার ঝড়। অনেকে আবার ফাইনালের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সৌন্দর্যে কেবলই মুগ্ধ।

পাকিস্তানের সাবেক পেস তারকা শোয়েব আখতার এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘ওহ সৃষ্টিকর্তা! কী চমৎকার বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ! ভালো হতো শিরোপাটা যদি দুদলকেই ভাগ করে দেওয়া যেত। ম্যাচের সঙ্গে সুপার ওভারও টাই। ইংল্যান্ড বেশি বাউন্ডারি পাওয়ায় জিতে গেছে। লর্ডসের অনন্য এক চিত্রনাট্য।’

জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া  জানান, ‘জীবনের সেরা একদিনের ম্যাচ দেখলাম। ক্রিকেট বিশ্বকাপের শ্রেষ্ঠ ফাইনাল। এর মতো কখনো কিছু ঘটেনি।’

আরেক বিখ্যাত ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে লেখেন, ‘শেষ বলে রান আউট! আর কোনো বিশ্বকাপ ফাইনালে কখনো এমনটা দেখা যাবে না।’

বিশ্বকাপ জয়ী ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়ের টুইট বার্তা, ‘এটাই তো ক্রিকেট!’ হারের কষ্ট পোড়াচ্ছে কিউই অলরাউন্ডার জেমস নিসামকে, ‘অনেক কষ্ট দিলো। আগামী এক দশকে আমি ম্যাচের  শেষ আধা ঘন্টার স্মৃতি কখনো মনে করব না।’

অজি পেস গ্রেট ব্রেট লি টুইটারে লিখেন, ‘ইংল্যান্ডকে শুভেচ্ছা। দুর্ভাগ্য নিউজিল্যান্ডের। তাদের জন্য সমবেদনা। বিজয়ী বেছে নিতে খুব বাজে পদ্ধতি। এ নিয়ম বাদ দিতেই হবে।’

নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার স্কট স্টাইরিস বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অনেকটা কটাক্ষ করে টুইটারে লিখেছেন, ‘দারুণ নিয়ম আইসিসি! আপনারা সত্যিই হাসাতে পারেন!’

অস্ট্রেলিয়ার ডিন জোন্স লিখেছেন, ‘বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএল মেথডে রান ও উইকেটের  ভিত্তিতে হার-জিত নির্ধারিত হয়। কিন্তু ফাইনালের ফল আসবে কী না বাউন্ডারির ভিত্তিতে! অনেকের কাছে এটা ভালো মনে হতে পারে! কিন্তু আমার দৃষ্টিতে, এটা ভারী অন্যায়।’

মোহাম্মদ কাইফ লিখেছেন, ‘এ বাউন্ডারির নিয়ম মেনে নেওয়া কঠিন। এটা হঠাৎ মৃত্যুর মতো। ফল না আসা পর্যন্ত  সুপার ওভার চালিয়ে যাওয়াটাই সঠিক সমাধান। বুঝেছি, একক কোনো বিজয়ী চান। বাউন্ডারিতে ফল নির্ধারণের চেয়ে ট্রফি ভাগ করে দেওয়াটা অনেক ভাল। নিউজিল্যান্ডের জন্য এটা মেনে নেওয়া খুবই কঠিন।’

বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রোহিত শর্মার অভিমত, ‘ক্রিকেটের কিছু নিয়ম নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা–ভাবনা করা উচিত।’

গৌতম গম্ভীর বলেন, ‘বুঝতেই পারলাম না বিশ্বকাপ বিজয়ী কীভাবে বাউন্ডারির হিসেবে বেছে নেওয়া হল। আইসিসির হাস্যকর নিয়ম এটি। টাই ম্যাচে শিরোপা ভাগাভাগি হওয়াই শ্রেয়।’ নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন শুধু বলেন, ‘নিয়মটা আগে থেকে ছিল, কিন্তু কখনো কাজে লাগেনি। এবার কাজে দিল।’

অবিশ্বাস্য ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন টুইটারে লেখেন, ‘দুদলের কেউই হারেনি। ক্রিকেটের জন্য অসাধারণ এক দিন। যা নতুন প্রজন্মকে ক্রিকেট খেলতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।’

   

শামীমের ব্যাটে রূপগঞ্জের হাসি, ৫ উইকেট নিয়েও মলিন রিশাদের মুখ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা চার জয়ের পর মোহামেডানের কাছে হেরে ছন্দপতন হয়েছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। তবে সে হার ভুলে আবার জয়ের ধারায় ফিরেছে রূপগঞ্জ। শামিম পাটোয়ারি এবং তৌফিক খান তুষারের জোড়া ফিফটিতে পারটেক্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পারটেক্স অধিনায়ক মিজানুর রহমান। কিন্তু অধিনায়ক বাদে দলটির অন্য কেউ সে সিদ্ধান্তের মান রাখতে পারেননি। দলীয় সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলে মিজান নিজেই যা দলের স্কোরকে ভদ্রস্থ করার চেষ্টা করেছেন। তার ৮৮ রানের ইনিংসে চড়ে ৪৭.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান পর্যন্ত পৌঁছে।

রূপগঞ্জের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম এবং শুভাগত হোম। মাশরাফি ৯ ওভার বল করে ৩০ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি।

তবে রূপগঞ্জের দুই ব্যাটার শামিম এবং তুষারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২৫.৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ। ওপেনার তুষারের ব্যাটে আসে ৮৩ রান। আর ৪৩ বলে ৬ চার এবং ৮ ছক্কায় ৮৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেল দলকে জয় এনে দেন ম্যাচসেরা শামিম।

এদিকে ৫ উইকেট নিয়েও শাইনপুকুরকে জেতাতে পারেননি স্পিনার রিশাদ হোসেন। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়ার পথে শাইনপুকুরকে ২৬ রানে হারিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দিনের অপর ম্যাচে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সিটি ক্লাবকে ৩৮ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে গাজী টায়ার্স।

;

‘লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিৎ বাংলাদেশের’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে ১-০ তে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। বড় হারের সে স্মৃতিকে পেছনে রেখে বাংলাদেশের সামনে এখন আরেকটি টেস্টের চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রামে লঙ্কানদের ধরাশায়ী সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া বাংলাদেশ, তাতে সিরিজ হার এড়ানোর পাশাপাশি প্রথম টেস্টে বড় হারের কষ্টও কিছুটা লাঘব হতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে ‘ব্যক্তিগত কারণে’ অস্ট্রেলিয়া গেছেন। কোচ না থাকায় কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ। তবে দল এবং একইসঙ্গে সমর্থকদের জন্য সুখবর, টেস্ট সিরিজে খেলার কথা না থাকলেও দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। 

দলে ফিরেই সাকিব জানালেন, লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিত বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে ভালো ক্রিকেট খেলার পর এমনটাই চাইছেন সাকিব, ‘আশা তো সব সময় করি আমরা জিতব। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সব সময়ই আমরা স্ট্রাগল করেছি, আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনেক ভালো করা উচিত এবং টেস্ট ম্যাচ জেতা উচিত।’

অনভিজ্ঞ একটা দল নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের অথৈ সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য সাকিবের প্রত্যাবর্তন অনেক আনন্দের সংবাদ। প্রথম টেস্ট শেষে অধিনায়ক শান্ত সংবাদ সম্মেলনে সেটাই বলেছিলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।’

;

রূপায়ণ সিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব আল হাসান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আবাসন খাতের প্রথম সিটি ব্র্যান্ড রূপায়ণ সিটি ও ক্রিকেটের ব্র্যান্ড সাকিব আল হাসান এবার হয়েছেন জুটিবদ্ধ। রূপায়ণ সিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে রূপায়ণ সিটি উত্তরার স্কাই ভিলা লাউঞ্জে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রূপায়ণ সিটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন সাকিব। রূপায়ণ সিটির পক্ষে সিইও এম মাহবুবুর রহমান চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রূপায়ণ গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান মাহির আলী খাঁন রাতুল ও উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন পি জে উল্লাহ (অব.), চিফ অপরেটিং অফিসার ব্রিগেডিয়ার সালাহউদ্দীন (অব.), সিবিও (আরসিইউ) রেজাউল হক লিমন, সিবিও (ম্যাক্সাস) গৌতম তরফদারসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে রূপায়ণ সিটি ঘুরে দেখেন সাকিব আল হাসান। এ সময় তিনি বলেন, একদমই ব্যতিক্রম এখানকার পরিবেশ। কারণ খেলাধুলার জায়গা আছে, বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ। বয়স্কদের জন্য আছে হাঁটা-চলার পৃথক রাস্তা। যা ঢাকার অন্যান্য জায়গায় বড়ই অভাব। এখানকার পরিবেশ যে কাউকে মুগ্ধ করে তুলবে। আমি জানি না ক্রিকেটারদের কেউ রূপায়ণ সিটিতে থাকেন কিনা। যদি না থাকেন তাহলে তারা এদিকে আসতে পারে।

রূপায়ণ সিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রচারণামূলক কাজে অংশ নেবেন বলেও জানান সাকিব আল হাসান।

বাংলাদেশের গেটেড কমিউনিটির ধারণাতে ‘ব্রেক দ্য স্কয়ার ফিট স্টোরি’- এই দর্শনের মাধ্যমে নতুন মাত্রা দিয়েছে রূপায়ণ সিটি। যার মাধ্যমে এসেছে প্রিমিয়াম মেগা গেটেড কমিউনিটি- রূপায়ণ সিটি উত্তরা। যেখানে আছে রূপায়ণ স্কাই ভিলা, ম্যাক্সাস- দি মল অব বাংলাদেশ এবং নেক্সট জেনারেশন স্মার্ট সিটি ‘নর্থ সাউথ সিটি’।

;

স্বপ্ন সত্যি হলো, অবশ্যই এটা সৈকতের প্রাপ্য



মাসুদুর রহমান মুকুল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৈকতকে তো আসলে শুধু আম্পায়ার হিসেবে চিনি না, তারও বহু আগে থেকে প্লেয়ার হিসেবে তাকে দেখে আসছি '৯০-থেকে। তখন থেকেই দেখেছি ওর ভেতর উদ্যম আছে। ও মানসিকভাবে অনেক শক্ত ও ডেডিকেশন অনেক হাই। ও যখন আম্পায়ারিংয়ে এসেছে তখন কিন্তু অনেক পরিশ্রম করে গেছে। সবকিছু মিলিয়ে ও যেই সংগ্রাম করে গেছে মাঠ ও মাঠের বাইরে তা অকল্পনীয়। সে যেটা অর্জন করেছে সেটা তার প্রাপ্য ছিল।

কোভিডের পর থেকে আমরা খুবই আশাবাদী ছিলাম, সৈকত আইসিসির এলিট প্যানেলে যাবে। কেননা, কোভিডের পর যেই সুযোগগুলো এসেছে সেসব সৈকত খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে।

আর একটা বিষয়, এসব নিয়ে ভারতে যদি সিনেমা হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের সৈকতকে নিয়েও এমন সিনেমা হতে পারে।

সৈকতের সবচেয়ে বড় গুণ যেটা সে তার ভুলকে সুন্দরভাবে স্বীকার করে। ও যদি কোনো ভুল করে থাকে, সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে বা সতীর্থদের সাথে কোনো বাজে ব্যবহারে করে থাকে; তাহলে সে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই সেটা মেনে নেই। এটা হলো সৈকতের সবচেয়ে বড় গুণ। এছাড়াও সৈকত অনেক সাহসী একটা ছেলে। সে যদি মনে করে এই পথে এগোলে সঠিক; যদিও এই পথে এগোলে অনেক বাধা আসবে তবুও সে ওই সঠিক পথেই এগোয়। ইতিবাচকভাবে ওর জেদটা খুব ভালো।

টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ তারপর বাকি অ্যাসাইনমেন্ট সামনে আসবে। পরে হয়তো টেস্ট ম্যাচগুলো আসবে। আর যখন নতুন কেউ এলিট প্যানেলে ঢুকে, এটা হলো একটা ঐতিহ্য- জানি না হবে কিনা। অ্যাশেজ মানে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড দিয়ে এটা শুরু হয়।

সৈকত আমাদের জন্য বড় একটা পথ দেখিয়ে গেল যে, কষ্ট করলে ওখানে যাওয়া যায়। সৈকতের এই অর্জনটাকে আমরা যারা আম্পায়ারিং করছি বা যারা করবে আমাদের বোর্ডও এই অর্জনটাকে কাজে লাগাতে হবে। কাজে লাগানো বলতে আমি বুঝাচ্ছি, বিসিবি কিন্তু যারা অনেক ক্রিকেট খেলছে তাদের আম্পায়ারিংয়ে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারে। আর আমরাও যারা আম্পায়ারিং করছি তারা কিন্তু এলিট প্যানেলে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারি। আইসিসির এলিট প্যানেলে যাওয়ার মাঝখানের যেই পথচলাটা সেই পথচলাটা বা ত্যাগের জায়গাটা বোর্ড বা আমাদের ডিপার্টমেন্ট আরেকটু সহজ করে দেবে।

দেশে আম্পায়ারিংয়ের ক্ষেত্রে আমাদের অর্থনৈতিক দিক যত উন্নত হবে, তত আমাদের যোগ্য ছেলেরা আম্পায়ারিংয়ে আগ্রহী হবে।

সৈকত-মুকুল-গাজী বা তানভীর এখন যারা আছে বা অন্য যারা আছে এই পর্যন্ত আসতে হলে কিন্তু অনেক ত্যাগ করতে হবে নতুনদের। আর এই রাস্তাটুকু আসার জন্য উদ্যোগটা বোর্ড এবং আম্পায়ারিং নিয়ে কাজ করে সেই ডিপার্টমেন্ট থেকে নিতে হবে।

(সৈকতের) স্বপ্ন সত্যি হলো। এবং অবশ্যই সে এটার প্রাপ্য। সৈকতের ১৩ বছরের যুদ্ধ এটা। আইসিসি প্যানেলে সে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে আম্পায়ারিং করছে। আমার ৬ বছর রানিং। আমিও স্বপ্ন দেখছি।

লেখক: আন্তর্জাতিক আম্পায়ার

;