গুডবাই গেইল, ‘দ্য এন্টারটেইনার!’



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ক্রিস গেইল অধ্যায় শেষ হচ্ছে আজ

ক্রিস গেইল অধ্যায় শেষ হচ্ছে আজ

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতিহাস তাহলে ফিরে ফিরে আসে!

অন্তত নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু এবং শেষের হিসেবে মেলাতে বসলে ক্রিস গেইলও মানবেন ইতিহাসের এই সত্যটা।

আজ থেকে ১৯ বছর আগে পোর্ট অব স্পেনে ক্রিস গেইলের টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিলো। সেই মাঠে আজ বুধবার, ১২ আগস্ট জীবনের শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামছেন তিনি।

যে মাঠে টেস্টের শুরু। সেই মাঠেই ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ! ইতিহাসের কাছে এমনভাবে সবাই ফিরে যেতে পারে না। গেইল ফিরছেন।

এবারের বিশ্বকাপের আগেভাগেই জানিয়েছিলেন-এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ, শুধু তাই নয়-সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই অবসর নেবেন; সেটাও বেশ সাড়া শব্দ করে জানিয়েছিলেন।
 
 বিশ্বকাপের পর তার সিদ্ধান্তটা বদলে যায়। হঠাৎ জানিয়ে বসেন-ভারতের বিপক্ষে দেশের মাটিতে সিরিজটা তিনি খেলতে চান। বিদায়টা সেখান থেকেই নিতে চান বলেই নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন গেইল। শুধু তাই নয়, পাঁচ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেটে না খেলা গেইল জানান- ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও খেলার ইচ্ছে আছে তার। সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচটা হবে জ্যামাইকার কিংসটাউনে। জ্যামাইকা গেইলের জন্মভূমি।
 
নিজ শহরের মাঠ থেকে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটকে গুডবাই বলার একটা ইচ্ছে ছিলো তার। কিন্তু সেই ইচ্ছেটা অপূর্ণ রয়ে যাচ্ছে তার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের নির্বাচকরা তাকে টেস্ট দলে রাখেননি। পাঁচ বছর টেস্ট না খেলা কোনো ব্যাটসম্যানকে তো আর হঠাৎ করে একটা সিরিজে শুধু তার মনের ইচ্ছে পুরুণের জন্য খেলিয়ে দেয়া যায় না! তবে গেইলের বিদায়ের জন্য তাকে ওয়ানডে দলে খেলার সুযোগটা ঠিকই করে দিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

তিন ম্যাচের ওয়ানডের সেই সুযোগের শেষ ম্যাচটা আজ বুধবার ১২ আগস্ট রাতে পোর্ট অব স্পেনে খেলতে নামছেন গেইল।

বিদায়ই ইনিংসটা কেমন হবে তার? চলতি সিরিজে ব্যাট হাতে ক্রিস গেইলের যে পারফরমেন্স তাতে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার উপায় নেই। পেছনের দুই ম্যাচে রান তার যথাক্রমে ৪ ও ১১।

তবে শেষ ইনিংসে ক্রিস গেইল যাই রান করেন না কেন-ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট ইতিহাস তাকে একটা দেশের ‘গ্রেট ক্রিকেটারদের’ মর্যাদা ঠিকই দিয়েছে। হয়তো ব্যাটিংয়ে টেকনিক্যালি অত দক্ষতা তার নেই। কিন্তু ব্যাট হাতে যে ক্রিকেট মাঠে বিনোদন দেয়ার যে উপলক্ষ তিনি তৈরি করে  দিতে পেরেছেন সেটা ক’জনা পারে? আর তাই নিজের নাম উচ্চারণের সময় ক্রিস গেইল সগর্বে বলেন-‘আই অ্যাম দ্য এন্টারটেইনার!’

টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাট হাতে দু’হাত উঁচিয়ে ক্রিস গেইল যখন দাবি করেন-‘আই অ্যাম দ্য ইউনিভার্সেল বস!’ তখন পুরো বিশ্ব তার সেই দাবিটা বিনাবাক্য ব্যয়ে মেনে নেয়। টি-টুয়েন্টির ক্রিকেটে রেকর্ডটাই তার অমন এভারেষ্টসম! রেকর্ডের সেই উচ্চতা থেকে ক্রিস গেইলকে দেখাচ্ছে পুরো দৈত্যাকৃতির। বাকিরা লিলিপুট!

ওয়ানডে ক্রিকেটেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে প্রায় সব রেকর্ডের মালিক ক্রিস গেইল। দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ। সবচেয়ে বেশি রান। সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি এমনকি সবচেয়ে বেশি শূন্যের (২৪টি) রেকর্ডটি তারই!

টি-টুয়েন্টিতেও ক্রিস গেইল ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ। সবচেয়ে বেশি রান। দুটি সেঞ্চুরির মালিক। এখন পর্যন্ত গেইল ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর কোনো ব্যাটসম্যানের আর্ন্তজাতিক টি-টুয়েন্টিতে সেঞ্চুরি নেই। সবচেয়ে বেশি ফিফটি (১৩) তার। সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড (১০৬) ও তারই।

১০৩ টেস্টের ক্যারিয়ারও তার বেশ সমৃদ্ধ। ১৫টি সেঞ্চুরির মধ্যে আছে দুটো ট্রিপল সেঞ্চুরি। টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি ট্রিপল সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে শুধু ব্রায়ান লারা ও ক্রিস গেইলের।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট ইতিহাসে একজন সত্যিকারের ম্যাচ উইনারের তালিকা তৈরি করলে সেখানে অতি অবশ্যই ক্রিস গেইলের নাম রাখতে হবে।

গেইল ব্যাট হাতে যেদিন খেলেন, সেদিন গ্যালারির দর্শকদের কাছ থেকে শুধু হাততালি শোনা যায়। প্রতিপক্ষের বোলারদের শুকনো মুখের দেখা মিলে। ফিল্ডারদের কাজ হয়ে দাড়ায় শুধু বল কুড়িয়ে আনা।

ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচেও কি সেই ‘ধামাকা’ দেখাচ্ছেন ক্রিস গেইল?

   

২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত জার্মানির কোচ নাগেলসমান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরো পর্যন্তই তার জার্মানির ডাগআউটে থাকার গুঞ্জন ছিল। কিন্তু সে গুঞ্জনকে মিথ্যে প্রমাণ করে জার্মানির সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছেন ইউলিয়ান নাগেলসমান। ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই কোচকে রেখে দিচ্ছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি।

টালমাটাল অবস্থায় জার্মান দলকে পেয়েছিলেন নাগেলসমান। দায়িত্ব নিয়ে ধীরে ধীরে দলকে নিজের মতো করে গড়ে নিচ্ছেন। গত সেপ্টেম্বরে জার্মানদের দায়িত্ব নিয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন। এর মধ্যে তিন ম্যাচে দলকে এনে দিয়েছেন জয়। যার দুটি আবার ইউরোপীয় ফুটবলের দুই পরাশক্তি নেদারল্যান্ডস ও ফ্রান্সের বিপক্ষে।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নতুন চুক্তি-নাগেলসমানের উচ্ছ্বাস বাঁধ মানছে না, ‘সিদ্ধান্তটা হৃদয় থেকে নিয়েছি। জাতীয় দলকে প্রশিক্ষণ দিতে পারা এবং দেশের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্য অনেক সম্মানের ব্যাপার।’

নাগেলসমানের ধ্যানজ্ঞান এখন আগামী জুন-জুলাইয়ে জার্মানিতে অনুষ্ঠিতব্য ইউরো। নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের পরই সে টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দিলেন ৩৬ বছর বয়সী এই তরুণ জার্মান কোচ, ’আমরা নিজেদের মাঠে সাফল্যমণ্ডিত ইউরো খেলতে চাই। আমি এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছি এবং (এরপর) আমার কোচিং দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ নেওয়ার অপেক্ষায় থাকব।’

;

জরিমানার মুখে পড়লেন রাহুল ও গায়কোয়াড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার রাতে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) চলতি আসরের ৩৪ তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিক লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। যেখানে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে লক্ষ্ণৌ। তবে স্লো ওভার-রেটের রাখার কারণে লক্ষ্ণৌয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি চেন্নাইয়ের অধিনায়কও পাবেন একই শাস্তি।

ওভার-রেট সংক্রান্ত জরিমানার অধীনে এবারই লক্ষ্ণৌকে প্রথমবার জরিমানার মুখে পড়তে হলো। নিয়ম অনুযায়ী লোকেশ রাহুলকে ১২ লাখ রুপি জরিমানা বহন করতে হবে। একই পরিমাণ জরিমানার সম্মুখীন হবেন রুতুরাজ গায়কোয়াডও।

এদিন টসে জিতে শুরুতে বোলিংয়ে যেয়ে ধোনিদের দল চেন্নাইকে ১৭৬ রানে আটকায় লক্ষ্ণৌ। জবাবে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান কেএল রাহুল এবং কুইন্টন ডি ককের উদ্বোধনী জুটি। রাহুল ৫৩ বলে ৮২ এবং ডি কক ৪৩ বলে ৫৪ করেন যা তাদের জয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তবে ফিল্ডিংয়ের সময় স্লো-ওভার রেটের আওতায় জরিমানার মুখে পড়তে হলো লক্ষ্ণৌ এবং চেন্নাইয়ের অধিনায়ককে।

;

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দৌড়ালেন শান্ত-মুশফিক-তানজিমরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, দেশের ক্রিকেট যাত্রা শুরু হয়েছিল এই মাঠের মাধ্যমেই। ২০০৬ সালের আগে আন্তর্জাতিক অথবা ঘরোয়া ম্যাচের বেশিরভাগই গড়াতো এই মাঠে। এরপর এই মাঠ ফুটবলের জন্য বরাদ্দতা পায় এবং ক্রিকেটের নতুন ঠিকানা হিসেবে পরিচিতি পায় মিরপুরের শেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

আজ অনেক বছর পর আবারও দেশের প্রথম সারির ক্রিকেটারদের দেখা পেল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। তবে ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে নয়, বরং অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে দৌড়ের মাধ্যমে। ফিটনেস টেস্টকে উদ্দেশ্য করেই মুলত এই আয়োজন।

মে মাসের শুরতেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ, এরপরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টকে মাথায় রেখেই খেলোয়াড়দের ফিটনেস বিষয়ে বেশ সচেতন ক্রিকেট বোর্ড। তাই আজ (শনিবার) থেকে শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট। যেখানে অংশ নেবেন সিরিজের জন্য বিবেচনায় থাকা ৩৫ জন ক্রিকেটার। ফিটনেস টেস্টের শুরুর ধাপটা হয়ে গেল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে ১৬০০ মিটার দৌড়ের মাধ্যমে।

ভোর ৬টায় পৌঁছে ৪০০ মিটারের এই ট্র্যাকে মোট চারটি চক্কর মেরে দৌড় সম্পন্ন করেছেন টাইগার ক্রিকেটাররা। ১৬০০ মিটারের দৌড় শেষে ৪০ মিটারের স্প্রিন্টেও অংশ নেন সবাই। এরপর মিরপুরে যেয়ে জিম সেশন দিয়ে শেষ হবে আজকের ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পর্ব। ট্রেনিংয়ের এই পর্বগুলো পর্যবেক্ষণ করছেন দলের নতুন ট্রেইনার নাথান কেলি।

এখনও আন্তর্জাতিক দলে খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে এই ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলেছেন এমন অভিজ্ঞতা আছে মাত্র দুইজনের, তারা হলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিম। দীর্ঘ বছর পর এখানে আবারও এসে বেশ স্মৃতিচারণ করছেন তারা। গ্যালারির আশেপাশে তাকিয়ে এবং ঘুরে দেখছিলেন মাহমুদউল্লাহ।

জাতীয় দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবালের খেলোয়াড়ি জীবনের শুরুটাও এখানে। তিনি পুরোনো স্মৃতি মনে করে বলেছেন, ‘সবকিছুই দেখি বদলে গেছে! কী স্টেডিয়াম ছিল রে ভাই। খেলার সময় গেট বন্ধ করে রাখা লাগত, কী মনে নাই ভাই?’

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাহাত্ম্য উল্লেখ করে নাফীস আরও বলেন, ‘এখনকার প্রজন্ম হয়তো এখানে খেলেনি। কিন্তু এই স্টেডিয়ামের কথা নিশ্চয়ই শুনেছে। অনেকের জন্ম ২০০০ সালের আশপাশে তাই তাদের খেলার কথাও নয়। তবে আইকনিক স্টেডিয়াম যেহেতু, এটার গল্প নিশ্চয়ই শুনেছে। দেখুন, সাধারণত সকাল ছয়টায় ফিটনেস টেস্ট দেখতে এত মানুষের আশার কথা নয়। যেহেতু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, তাই সবাই এসেছে। সবার জন্যই দারুণ অভিজ্ঞতা এটা।‘

মুশফিকুর রহিম মজার ছলে বলেছেন, অ্যাথলেটদের মতো যেহেতু তারা দৌড়াবেন, সেহেতু তাদের জন্য পুরষ্কারের ব্যবস্থা থাকলে আরও ভালো হতো। বিসিবির এক কর্মকর্তাকে তিনি মজা করে জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘পতাকা কই? পতাকা আনবেন না!’ 

;

আইপিএলে ধোনির যে রেকর্ড ভাঙলেন রাহুল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্ণৌয়ের মাঠে গতকাল চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। যেখানে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। লক্ষ্ণৌ ম্যাচ জিতে নিলেও চেন্নাইয়ের প্রাণ ও মধ্যমণি মহেন্দ্র সিং ধোনি বরাবরের মতোই জিতে নিয়েছেন দর্শক এবং সমর্থকদের মন।

মাঠ লক্ষ্ণৌয়ের হলেও গ্যালারির বেশিরভাগ স্থান জুড়েই ছিল হলুদের ছড়াছড়ি। কারণটা খুব স্বাভাবিকভাবেই হলো ‘ধোনি’। কালকের ম্যাচেও তিনি খেলেছেন ৯ বলে ২৮ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। ধোনি যতক্ষণ ২২ গজে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন ততক্ষণ গগনবিদারী চিৎকারে পুরো স্টেডিয়াম কাঁপিয়ে রেখেছিলো ধোনির সমর্থকরা।

ঘরের মাঠে লক্ষ্ণৌয়ের এই জয়ের দিন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। ৫৩ বলে ৮২ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এই ইনিংসের সঙ্গে রাহুল ছুঁয়ে ফেললেন ধোনির অনন্য এক রেকর্ডকেও।

আইপিএল ইতিহাসে উইকেটকিপার–ব্যাটার হিসেবে সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ্ব (৫০‍+) ইনিংস খেলার রেকর্ডটি এতদিন ছিল ভারতের বিশ্বকাপজয়ী এবং চেন্নাইয়ের অধিনায়ক ধোনির দখলে। ২৫৭টি ম্যাচে ২৪ বার ন্যূনতম ৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। গতরাতের ৮২ রানের ইনিংসের মাধ্যমে ধোনির রেকর্ডটি নিজের নামে করে নিয়েছেন লোকেশ রাহুল। আইপিএলে উইকেটকিপার–ব্যাটার হিসেবে এটি ছিল তার ২৫তম পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস।

তবে রেকর্ড ভাংলেও নিজের সিনিয়র এবং আইডলের প্রতি শ্রদ্ধাবোধটা ঠিকই বজায় রেখেছেন রাহুল। ম্যাচশেষে ধোনির সঙ্গে হাত মেলানোর সময় নিজের মাথা থেকে ক্যাপটা খুলে ফেলে হাতে নেন তিনি। ধোনির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্যই মূলত এই কাজটি করেছেন রাহুল। এতে এটাই বোঝা যায় যে ধোনি শুধুমাত্র জনসাধারণের প্রিয় নয়, বরং ভারত দলের খেলোয়াড়দেরও সম্মানের ও পছন্দের ব্যক্তিত্ব।

;