গোল্ডেন গার্ল সুলতানা কামাল খুকী



ড. মোঃ আসাদুজ্জামান মিয়া
সুলতানা কামাল খুকী : বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র

সুলতানা কামাল খুকী : বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঁচে থাকলে ৬৭-তে পা রাখতেন তিনি। ক্রীড়াঙ্গনের অদ্বিতীয়া এক নারী অ্যাথলিট- সুলতানা আহমেদ খুকী! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের স্ত্রী। ক্ষণজন্মা এই নারী ছিলেন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। ষাটের দশকের গোড়ার দিকে যখন এ দেশের রক্ষণশীল সমাজব্যবস্থায় মেয়েদের ঘরের বাইরে বেরোনোই কঠিন ছিল সে সময়টাতে তার অ্যাথলেটিকসে যাত্রা।

১৯৬২-৬৩ সালে ঢাকার বকশীবাজার মুসলিম গার্লস স্কুলে পড়াকালীন আন্তঃবিদ্যালয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে শুরু এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অ্যাথলেটিক ট্র্যাক দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। অ্যাথলিট হিসেবে তিনি ছিলেন অনন্য অসাধারণ। হার্ডলস, হাইজাম্প এবং ব্রডজাম্প ছিল তার প্রিয় ইভেন্ট। এই তিন ইভেন্টে বরাবরই তিনি দেশে ও বিদেশের মাটিতে অসামান্য পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন।

জন্ম ১৯৫২ সালের ১০ ডিসেম্বর। বেড়ে উঠা পুরান ঢাকার বকশিবাজারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে। বাবা দবির উদ্দিন আহমেদ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী। মা জেবুন্নেছা বেগম গৃহিণী। নয় ভাই-বোনের মধ্যে ছিলেন অষ্টম এবং বোনদের মধ্যে সবার ছোট। মধ্যবিত্ত পরিবারে ছিলেন সবার খুব আদরের। মাত্র ২৪ বছর বয়সী সুলতানা কামালের ক্যারিয়ার ছিল বর্ণাঢ্যময়। পড়তেন পুরান ঢাকার মুসলিম গার্লস স্কুলে। তারপর গভ: ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বেগম বদরুন্নেসা সরকারী মহিলা কলেজ)। ১৯৬৯ সালে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে। অনার্স শেষে একই বিভাগে ভর্তি হন মাস্টার্সে। ১৯৭৫ সালে মাস্টার্সের লিখিত পরীক্ষাও দেন। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/18/1566105689273.png

কথাবার্তা, আচার-আচরণ, পারফরম্যান্স সবকিছুতেই ছিলেন অনন্য অসাধারণ। ছিলেন বেশ চটপটে, ছটফটে, হাসিখুশি! দুষ্টুমিতে ছিলেন সেরা। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও খেলার মাঠে তার মানবিক গুণাবলি সবাইকে মুগ্ধ করত। ছোটদের যেমন স্নেহ করতেন আবার বড়দের প্রতিও ছিলেন শ্রদ্ধাশীল। ছিলেন সবার প্রিয় মানুষ, প্রিয় মুখ। মুখে সবসময় হাসি থাকত আর হাসি দিয়েই সবার মন জয় করে নিতেন। ছিল না কোনো অহংকার। এমনকি বঙ্গবন্ধুর পুত্রবধূ হওয়ার পরও ছিলেন সাধারণের মতোই।

বিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই। বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামালের সঙ্গে। নিজেদের মধ্যে চেনা জানা থাকলেও বিয়ে হয় পারিবারিক ভাবে। দুই পরিবারের সম্মতিতেই। দুই পরিবারের মধ্যে সখ্য ছিল আগে থেকেই। বিয়ের পর সুলতানা আহমেদ হন সুলতানা কামাল। থাকতেন ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাড়ির তিন তলায়। ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে তিনিও ঘাতকদের নির্মমতার শিকার হন। বিয়ের মাত্র এক মাসের মাথায় মেহেদির রঙ মুছে যাওয়ার আগেই নিহত হন তিনি। ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাড়ির দোতলার শোবার রুমে ঘাতকের বুলেটের আঘাতে (বুক ও পেটে) রক্তাক্ত অবস্থায় সুলতানা কামালের নিথর দেহটি পড়েছিল অন্য সবার মাঝে। তখনও তার দু’হাতে শোভা পাচ্ছিল সদ্য বিয়ের মেহেদির আলপনা। রক্তের রঙ আর মেহেদির রঙের মাখামাখি হয়ে একাকার হয়ে গিয়েছিল সেদিন।

ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন খেলাধুলায় ছিলেন দারুন পারদর্শী। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শুধু মেধাবী ছাত্রীই ছিলেন না, ছিলেন সবার সেরা অ্যাথলিট। আন্তঃস্কুল ও কলেজ প্রতিযোগিতায় বরাবর শীর্ষস্থান ধরে রাখতেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তৎকালীন পাকিস্তান অলিম্পিকে নতুন রেকর্ড স্থাপন করে স্বর্ণপদক জয়লাভ করেছিলেন (১৯৬৭-৬৮)। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর মূলত তার কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় দল জাতীয় পর্যায়ের লড়াইয়ে একাধিক পদক জয় করেছিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা ব্লু ছিলেন (১৯৬৯-৭০)। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় ১৯৭৩, ’৭৪ এবং ’৭৫ সালে পর পর  অংশ নেন এবং রের্কড গড়েন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/18/1566105712059.jpg

‘অলইন্ডিয়া রুরাল গেমসে’ লাভ করেন রৌপ্যপদক (১৯৭৩)। ক্রীড়া জগতে অসামান্য অবদানের জন্য ডাকসু তাঁকে বিশেষ পদকে সম্মানিত করে (১৯৭৩)। ১৯৭৩ সালে জাতীয় ক্রীড়ালেখক সমিতি কর্তৃক তিনি সেরা অ্যাথলিটও নির্বাচিত হন। তাছাড়াও নিজ কলেজের শ্রেষ্ঠ অ্যাথলিট পুরস্কার, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা অ্যাথলিটের পুরস্কার, ব্যাডমিন্টন পুরস্কারসহ আরো অনেক সাফল্য ছিল তার ঝুলিতে। ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পরে তাকে একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক ও ক্রীড়ালেখক সমিতির পুরস্কারেও ভূষিত করা হয়। এসব পুরস্কার থরে থরে সাজানো ছিল ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ঐতিহাসিক বাড়ির একটি কক্ষে। আফসোস, ঘাতকরা তাকে মারার পাশাপাশি তার অর্জনগুলোকেও ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল।

ক্রীড়াক্ষেত্রে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য ও অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তার নামে ধানমন্ডিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স’, বকশিবাজারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোয়ার্টারে থাকতেন, সেখানেও গড়ে তোলা হয়েছে ‘সুলতানা কামাল স্মৃতি কমপ্লেক্স’, তার স্মরণে ঢাকার ডেমরা-তারাবোতে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে ‘সুলতানা কামাল সেতু’।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/18/1566105733582.jpg

তার মূল বাড়ি ঢাকার মাতুয়াইলে পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে চলছে ‘সুলতানা কামাল স্মৃতি পাঠাগার’ কার্যক্রম। এই কৃতি অ্যাথলিটের সুনাম ও দ্যুতি সারা দেশে বিশেষ করে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্রীড়ামোদী নতুন মেয়েদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া দরকার। যা এই প্রজন্মের মেয়েদের খেলাধুলার প্রতি উৎসাহ যোগাতে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।

তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে সুলতানা কামালের অবদান অনেক। দেশের জন্য তিনি অনেক সুনাম বয়ে এনেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী খেলাধুলায় নিজেকে উৎসর্গ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে তিনি ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। লড়াই, সাহস আর সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ছিল তাঁর চরিত্রে। তাঁর হাস্যোজ্জ্বল দীপ্তিময় মুখাবয়ব এখনও এ দেশের নারী খেলোয়াড়দের জন্যে অন্যরকম এক অনুপ্রেরণার উৎস। তখনকার প্রজন্মের কাছে তিনি ছিলেন রোল মডেল । আমাদের দুর্ভাগ্য, তার মতো গুণী অ্যাথলিটকে আমরা অকালেই হারিয়েছি। পঁচাত্তরের পনের আগস্টে ঘাতকদের হাতে ক্রীড়াক্ষেত্রের এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের জীবনপ্রদীপ চিরতরে নিভে যায়। তাই শোকের এই মাসে বঙ্গবন্ধু, তার পরিবারের সকল শহীদসহ শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি এই কৃতি অ্যাথলিটকে, যিনি মন, মননে, চলায়, বলায়, দর্শনে, অর্জনে সত্যিই ছিলেন একজন গোল্ডেন গার্ল। স্যালুট প্রিয় অ্যাথলিট সুলতানা কামাল খুকি।

লেখক: ভিজিটিং সায়েনটিস্ট, এনাসটাসিয়া মসকিটো কন্ট্রোল, সেন্ট অগাস্টিন, ফ্লোরিডা, আমেরিকা ও সহযোগী অধ্যাপক (ডেপুটেশন), কীটতত্ত্ব বিভাগ, পবিপ্রবি, বাংলাদেশ।

   

‘লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিৎ বাংলাদেশের’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে ১-০ তে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। বড় হারের সে স্মৃতিকে পেছনে রেখে বাংলাদেশের সামনে এখন আরেকটি টেস্টের চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রামে লঙ্কানদের ধরাশায়ী সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া বাংলাদেশ, তাতে সিরিজ হার এড়ানোর পাশাপাশি প্রথম টেস্টে বড় হারের কষ্টও কিছুটা লাঘব হতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে ‘ব্যক্তিগত কারণে’ অস্ট্রেলিয়া গেছেন। কোচ না থাকায় কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ। তবে দল এবং একইসঙ্গে সমর্থকদের জন্য সুখবর, টেস্ট সিরিজে খেলার কথা না থাকলেও দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। 

দলে ফিরেই সাকিব জানালেন, লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিত বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে ভালো ক্রিকেট খেলার পর এমনটাই চাইছেন সাকিব, ‘আশা তো সব সময় করি আমরা জিতব। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সব সময়ই আমরা স্ট্রাগল করেছি, আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনেক ভালো করা উচিত এবং টেস্ট ম্যাচ জেতা উচিত।’

অনভিজ্ঞ একটা দল নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের অথৈ সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য সাকিবের প্রত্যাবর্তন অনেক আনন্দের সংবাদ। প্রথম টেস্ট শেষে অধিনায়ক শান্ত সংবাদ সম্মেলনে সেটাই বলেছিলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।’

;

রূপায়ণ সিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব আল হাসান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আবাসন খাতের প্রথম সিটি ব্র্যান্ড রূপায়ণ সিটি ও ক্রিকেটের ব্র্যান্ড সাকিব আল হাসান এবার হয়েছেন জুটিবদ্ধ। রূপায়ণ সিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে রূপায়ণ সিটি উত্তরার স্কাই ভিলা লাউঞ্জে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রূপায়ণ সিটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন সাকিব। রূপায়ণ সিটির পক্ষে সিইও এম মাহবুবুর রহমান চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রূপায়ণ গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান মাহির আলী খাঁন রাতুল ও উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন পি জে উল্লাহ (অব.), চিফ অপরেটিং অফিসার ব্রিগেডিয়ার সালাহউদ্দীন (অব.), সিবিও (আরসিইউ) রেজাউল হক লিমন, সিবিও (ম্যাক্সাস) গৌতম তরফদারসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে রূপায়ণ সিটি ঘুরে দেখেন সাকিব আল হাসান। এ সময় তিনি বলেন, একদমই ব্যতিক্রম এখানকার পরিবেশ। কারণ খেলাধুলার জায়গা আছে, বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ। বয়স্কদের জন্য আছে হাঁটা-চলার পৃথক রাস্তা। যা ঢাকার অন্যান্য জায়গায় বড়ই অভাব। এখানকার পরিবেশ যে কাউকে মুগ্ধ করে তুলবে। আমি জানি না ক্রিকেটারদের কেউ রূপায়ণ সিটিতে থাকেন কিনা। যদি না থাকেন তাহলে তারা এদিকে আসতে পারে।

রূপায়ণ সিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রচারণামূলক কাজে অংশ নেবেন বলেও জানান সাকিব আল হাসান।

বাংলাদেশের গেটেড কমিউনিটির ধারণাতে ‘ব্রেক দ্য স্কয়ার ফিট স্টোরি’- এই দর্শনের মাধ্যমে নতুন মাত্রা দিয়েছে রূপায়ণ সিটি। যার মাধ্যমে এসেছে প্রিমিয়াম মেগা গেটেড কমিউনিটি- রূপায়ণ সিটি উত্তরা। যেখানে আছে রূপায়ণ স্কাই ভিলা, ম্যাক্সাস- দি মল অব বাংলাদেশ এবং নেক্সট জেনারেশন স্মার্ট সিটি ‘নর্থ সাউথ সিটি’।

;

স্বপ্ন সত্যি হলো, অবশ্যই এটা সৈকতের প্রাপ্য



মাসুদুর রহমান মুকুল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৈকতকে তো আসলে শুধু আম্পায়ার হিসেবে চিনি না, তারও বহু আগে থেকে প্লেয়ার হিসেবে তাকে দেখে আসছি '৯০-থেকে। তখন থেকেই দেখেছি ওর ভেতর উদ্যম আছে। ও মানসিকভাবে অনেক শক্ত ও ডেডিকেশন অনেক হাই। ও যখন আম্পায়ারিংয়ে এসেছে তখন কিন্তু অনেক পরিশ্রম করে গেছে। সবকিছু মিলিয়ে ও যেই সংগ্রাম করে গেছে মাঠ ও মাঠের বাইরে তা অকল্পনীয়। সে যেটা অর্জন করেছে সেটা তার প্রাপ্য ছিল।

কোভিডের পর থেকে আমরা খুবই আশাবাদী ছিলাম, সৈকত আইসিসির এলিট প্যানেলে যাবে। কেননা, কোভিডের পর যেই সুযোগগুলো এসেছে সেসব সৈকত খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে।

আর একটা বিষয়, এসব নিয়ে ভারতে যদি সিনেমা হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের সৈকতকে নিয়েও এমন সিনেমা হতে পারে।

সৈকতের সবচেয়ে বড় গুণ যেটা সে তার ভুলকে সুন্দরভাবে স্বীকার করে। ও যদি কোনো ভুল করে থাকে, সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে বা সতীর্থদের সাথে কোনো বাজে ব্যবহারে করে থাকে; তাহলে সে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই সেটা মেনে নেই। এটা হলো সৈকতের সবচেয়ে বড় গুণ। এছাড়াও সৈকত অনেক সাহসী একটা ছেলে। সে যদি মনে করে এই পথে এগোলে সঠিক; যদিও এই পথে এগোলে অনেক বাধা আসবে তবুও সে ওই সঠিক পথেই এগোয়। ইতিবাচকভাবে ওর জেদটা খুব ভালো।

টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ তারপর বাকি অ্যাসাইনমেন্ট সামনে আসবে। পরে হয়তো টেস্ট ম্যাচগুলো আসবে। আর যখন নতুন কেউ এলিট প্যানেলে ঢুকে, এটা হলো একটা ঐতিহ্য- জানি না হবে কিনা। অ্যাশেজ মানে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড দিয়ে এটা শুরু হয়।

সৈকত আমাদের জন্য বড় একটা পথ দেখিয়ে গেল যে, কষ্ট করলে ওখানে যাওয়া যায়। সৈকতের এই অর্জনটাকে আমরা যারা আম্পায়ারিং করছি বা যারা করবে আমাদের বোর্ডও এই অর্জনটাকে কাজে লাগাতে হবে। কাজে লাগানো বলতে আমি বুঝাচ্ছি, বিসিবি কিন্তু যারা অনেক ক্রিকেট খেলছে তাদের আম্পায়ারিংয়ে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারে। আর আমরাও যারা আম্পায়ারিং করছি তারা কিন্তু এলিট প্যানেলে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারি। আইসিসির এলিট প্যানেলে যাওয়ার মাঝখানের যেই পথচলাটা সেই পথচলাটা বা ত্যাগের জায়গাটা বোর্ড বা আমাদের ডিপার্টমেন্ট আরেকটু সহজ করে দেবে।

দেশে আম্পায়ারিংয়ের ক্ষেত্রে আমাদের অর্থনৈতিক দিক যত উন্নত হবে, তত আমাদের যোগ্য ছেলেরা আম্পায়ারিংয়ে আগ্রহী হবে।

সৈকত-মুকুল-গাজী বা তানভীর এখন যারা আছে বা অন্য যারা আছে এই পর্যন্ত আসতে হলে কিন্তু অনেক ত্যাগ করতে হবে নতুনদের। আর এই রাস্তাটুকু আসার জন্য উদ্যোগটা বোর্ড এবং আম্পায়ারিং নিয়ে কাজ করে সেই ডিপার্টমেন্ট থেকে নিতে হবে।

(সৈকতের) স্বপ্ন সত্যি হলো। এবং অবশ্যই সে এটার প্রাপ্য। সৈকতের ১৩ বছরের যুদ্ধ এটা। আইসিসি প্যানেলে সে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে আম্পায়ারিং করছে। আমার ৬ বছর রানিং। আমিও স্বপ্ন দেখছি।

লেখক: আন্তর্জাতিক আম্পায়ার

;

আইসিসির এলিট প্যানেলে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুকাল বাংলাদেশের আম্পায়াররা ছিলেন পাদপ্রদীপের আড়ালে। তবে সেই দিন গত হয়েছে। দিনকয়েক আগে বাংলাদেশের চারজন নারী আম্পায়ার এবং একজন নারী রেফারি আইসিসির ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। এবার আইসিসির এলিট প্যানেলের অংশ হলেন আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা।

আইসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন শরফুদ্দৌলা।

২০০৬ সাল থেকে আইসিসির ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলে আম্পায়ার হিসেবে কাজ করছেন শরফুদ্দৌলা। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন তিনি।

এখন পর্যন্ত ১০ টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে এবং ৪৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন শরফুদ্দৌলা। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও বেশ কয়েকটি ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এই আম্পায়ার।

এলিট প্যানেলের সদস্য হওয়ার খবর পেয়ে আইসিসিকে শরফুদ্দৌলা বলেন, ‘আইসিসির এলিট প্যানেলের সদস্য হওয়া অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। বাংলাদেশ থেকে প্রথম আম্পায়ার হিসেবে এলিট প্যানেলের সদস্য হওয়ায় উপলক্ষটা আরও বিশেষ হয়েছে। আমি এই আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।’

এদিকে আইসিসির এলিট রেফারি প্যানেলের কলেবর ছোট করে ৬ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। বাদ পড়েছেন ২০০৩ সাল থেকে এই প্যানেলের সদস্য হিসেবে থাকা ক্রিস ব্রড।

;