ফিল্ডিংয়ের প্রাথমিক শ্রেণিতে ফিরে গেলেন ক্রিকেটাররা!



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক- ছবি: বার্তা২৪

মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক- ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ আটটি ম্যাচ খেলেছে। এই কটি ম্যাচে একেবারে ফুল চান্সের সংজ্ঞায় পড়ে এমন ৮টি ক্যাচ হাত ফসকেছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের।

বিশ্বকাপ শেষে শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দল তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে ৩-০ ব্যবধানে। কোনো ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বীতাও গড়তে পারেনি দল। তবে হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার সেই সিরিজে সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যর্থতার নাম-ফিল্ডিং! হাত গলে ক্যাচ পড়ছে মাটিতে। পায়ের ফাঁক দিয়ে বল বাউন্ডারিতে!

বাংলাদেশ দলের হাস্যকর ভঙ্গিতে ফিল্ডিং মিস ক্রমশ হাসি-ঠাট্টার বিষয়েও পরিণত হয়। বিসিবি এই লাগাতার ফিল্ডিং ব্যর্থতার কারণ জানতে চেয়ে ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুককে তলব করে।

বিশ্বকাপ এবং শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক তার রিপোর্ট জমা দিয়েছেন বিসিবির কাছে। যে রিপোর্টের সারাংশ হচ্ছে-‘বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ফিল্ডিং ব্যর্থতার মুল কারণ হচ্ছে -তাদের বেসিকের অভাব! অর্থাৎ প্রাথমিক পর্যায়ে যেটা তাদের শেখার কথা সেটাই তারা জানে না।

টেস্ট খেলতে শুরু করার ১৯ বছরের মাথায় এসে এখন বাংলাদেশ দলকে শুনতে হচ্ছে-‘দলের ক্রিকেটাররা ফিল্ডিংয়ের বেসিকটা জানে না।’

পেশাদার ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক সেটা বিশ্বাস করেন বলেই কথাটা রিপোর্টে লিখেছেন। বিসিবি কর্তারাও সেটা মেনে নিচ্ছেন। আর তাই রায়ান কুক এখন প্রতিদিনের ফিল্ডিং অনুশীলনে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ফিল্ডিংয়ের বেসিকটাই বেশি শেখাচ্ছেন!

কন্ডিশনিং ক্যাম্পের ফিল্ডিং অনুশীলনের প্রথমদিন ছিলো শনিবার, ২৪ আগস্ট। অনুশীলনের প্রায় পুরোটা সময় জুড়ে ফিল্ডিং কোচ ক্রিকেটারদের ফিল্ডিংয়ে যা শেখালেন সেটাকে বলে ফিল্ডিংয়ের ‘অ, আ, ই, ঈ.....!

যেই সেশনে তার ছাত্র ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিক রহিম, আবু হায়দার রনি, রুবেল হোসেন, জহুরুল ইসলাম অমি থেকে শুরু করে হালের সাদমান ইসলাম পর্যন্ত।
একহাতে বল তুলে থ্রো করতে হলে শরীর কিভাবে বাঁকাতে হয়? পায়ের ভারসাম্য কিভাবে ঠিক রাখতে হয়? কাঁধ কতোটুকু উপরে তুলতে হয়? এমন সব কায়দা মাহমুদউল্লাহকে বারকয়েক রায়ান কুক দেখিয়ে দিলেন। একই দীক্ষা নিলেন মুশফিক রহিমও।

একটু জানিয়ে দেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট খেলছেন ১২ বছর ধরে। আর মুশফিকের টেস্ট অভিষেক হয়েছিলো ২০০৫ সালে।

প্রথমদিনের ফিল্ডিং সেশনে খেলোয়াড়দের পরিশ্রম করানোর পর ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক সাংবাদিকদের সামনে এসেও জানালেন-‘আমরা দিনকে দিন উন্নতি করছি। কত দ্রুত শিখছি সেটার ওপর উন্নতি নির্ভর করছে। অবশ্যই ক্রিকেটারদের ফিল্ডিংয়ের বেসিকে কিছু সমস্যা আছে। যতদূর সম্ভব পারা যায় সেটা আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। যদি খেলোয়াড়রা অনুর্ধ্ব-১৫ দল থেকে আসে তাহলে এই বেসিকটা সেখানে শেখা হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু অনেক সময় অনেক খেলোয়াড় কোনো বয়সভিক্তিক দলে না খেলে সরাসরি জাতীয় দলে আসে। উদাহরণ হিসেবে এবাদতের নামটা বলতে পারি, তখন বেসিক ফিল্ডিংয়ে এমন ক্রিকেটারদের মানিয়ে নিতে কিছুটা সমস্যা হয়।’

ফিল্ডিং তখনই বেশি খারাপ হয়, যখন কোনো ক্রিকেটারের ফিল্ডিংয়ের বেসিক জ্ঞানের অভাব থাকে। আর তাই এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে হলে বেসিকটা ঠিক করা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছেন না ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক। সামগ্রিক অর্থে বাংলাদেশের ফিল্ডিংকে এই কোচ মধ্যম মানের শ্রেণীতে রাখছেন।

দলের ফিল্ডিংয়ের মান মধ্যম শ্রেণীর। অথচ বাংলাদেশ সার্বিক অর্থে র‌্যাঙ্কিংয়ে তিন-চারে উন্নীত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।

বাস্তবতার সঙ্গে পার্থক্যটা তাই এতো বেশি। এতো বড়!

-কতো বড়?

দু’হাত আপনি দুপাশে যতদুর প্রসারিত করতে পারেন, এই পার্থক্য ঠিক তত বড়!

   

রিয়ান ঝড়ের পর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রাজস্থানের জয় 



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০ বলে জয়ের জন্য তখন ৫৩ রান দরকার দিল্লি ক্যাপিটালসের। সেখানে জয়ের পাল্লা রাজস্থান রয়্যালসেরই ভারী ছিল। তবে এক ট্রিস্টান স্টাবসে চড়ে জয়ের স্বপ্ন বুনছিল রাজধানীর দলটি। এই প্রোটিয়া ব্যাটারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের বিপরীতে শেষ দিকে এসে রাজস্থানের পেসাররা দেখান নৈপুণ্য। এতেই শেষ পর্যন্ত ১২ রানের জয় পায় সঞ্জু স্যামসনের দল। 

এদিকে রাজস্থানের টানা দ্বিতীয় জয়ে এদিন ব্যাট হাতে বড় অবদান ছিল রিয়ান পরাগের। আইপিএলের ২০১৯ সালের আসরে অভিষেক পরাগের। সেই আসর থেকেই রাজস্থানের হয়ে খেলেন তিনি। নিয়মিত জায়গাও পান একাদশে। তবে পারফর্ম যেন একেবারেই শূন্যের কাতারে। এই আসরের আগে মোট ৫৪ ম্যাচে স্রেফ ৬০০ রান করেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। সেখানে দুটি ফিফটির মারে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৫৬ রানের। এমন বাজে পারফর্মে বেশ সমালোচিতও হচ্ছিলেন তিনি। যেন এন্টারটেইনমেন্টের জন্যই থাকেন দলে। তবে সেসব সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০২৪ সালে যেন দেখা মিলল নতুন রিয়ানের। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে করেন ৪৩ রান। পরে আজকের দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে খেলেন ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এতেই ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় রাজস্থান। ম্যাচে বাকি কাজ সারেন বোলাররা মিলে। 

জয়পুরে এদিন দিনের একমাত্র ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তোলে রাজস্থান। 

চ্যালেঞ্জিং সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই দিল্লিকে পেস তোপে ভোজ্ঞান নাদ্রে বার্গার। তবে ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক ঋষভ পন্তের জুটিতে জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল দিল্লি। তবে দলীয় ১০৫ রানের মাথায় এই দুই বাঁহাতি ব্যাটার ফিরলে জয়ের পথ হয়ে পড়ে বেশ কঠিন। ৪৯ রান করে ফেরেন ওয়ার্নার। তবে হাল ছাড়েননি স্টাবস। লড়েছেন শেষ ওভার পর্যন্ত। তবে শেষ হাসি হাসে রাজস্থানই। ১৭৩ রানে থামে দিল্লির ইনিংস। রাজস্থানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন বার্গার ও চাহাল। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটাও ছিল ছন্দহীন। ৩৬ রানেই সাজঘরে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন ও জস বাটলার। সেখানে ধীরগতিতে এগিয়ে আগে চাপ সামাল দেন রিয়ান। শুরুর ২৬ বলে করেছিলেন ২৬ রান। পরে শেষ ১৯ বলে করেছেন ৫৮ রান। ৮৪ রানের এই বিধ্বংসী ইনিংসে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। এদিকে রিয়ানকে সঙ্গ দিয়ে ২৯ রানে ইনিংস খেলেন অশ্বিন। এবং শেষে এসে ধ্রুব জুরেলের ২০ রানের ক্যামিওতে ১৮৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রাজস্থান। নান্দনিক এই ইনিংসের জবাবে ম্যাচসেরার খেতাবও জেতেন রিয়ান।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

রাজস্থান রয়্যালসঃ ১৮৫/৫ (২০ ওভার) (রিয়ান ৮৪*, অশ্বিন ২৯; অক্ষর ১/২১, খলিল ১/২৪)

দিল্লি ক্যাপিটালসঃ ১৭৩/৫ (২০ ওভার) (ওয়ার্নার ৪৯, স্টাবস ৪৪*; চাহাল ২/১৯, বার্গার ২/২৯)

ফলঃ ১২ রানে জয়ী রাজস্থান

ম্যাচসেরাঃ রিয়ান পরাগ

;

‘অধিনায়ক’ শান্তকে নিয়ে যা বললেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ভারত বিশ্বকাপের ঠিক আগে দেশের শীর্ষ সারির এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, ঠিক বিশ্বকাপ পর্যন্তই নেতৃত্বে থাকবেন তিনি। এর একদিন পরেও না। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। বিশ্বকাপের পরই ছেড়েছেন দায়িত্ব। পরে লঙ্কান সিরিজের আগে পূর্ণকালীন তিন ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক হন নাজমুল হোসেন শান্ত।

এদিকে নেতৃত্ব তো ছেড়েছেনই, গত বছরের ৬ নভেম্বর বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেই চোট পান সাকিব। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত খেলেনি আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচে। সেখান থেকে সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় পর ফের লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরতে চলেছেন সাকিব।

দ্বিতীয় টেস্টে নিয়ে নিজের ভাবনা, শান্তর অধিনায়কত্ব এসব নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) রূপায়ণ সিটি উত্তরার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সাকিব। সেখানে শান্তর লম্বা পথ দেখছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।

শান্তর অধিনায়কত্বে আস্থা রাখছেন সাকিব। জানালেন সাপোর্ট পেলে নেতৃত্বে শান্ত হয়ে উঠবেন দারুণ একজন। তবে শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চান না সাকিব, ‘খুবই আর্লি স্টেজ (শান্তর অধিনায়কত্বে মন্তব্য করা)। আমি  নিশ্চিত বিসিবি ওকে (শান্ত) লম্বা সময়ের কথা ভেবেই নিয়েছে। ওর শুরুটা খুব ভালো হয়েছে। কিছু ফলাফল ওর পক্ষে এসেছে যেটা ওকে সাহায্য করবে সামনে এগিয়ে যেতে। সবার সমর্থন থাকলে শান্ত অসাধারণ একজন অধিনায়ক হবে।’

;

শামীমের ব্যাটে রূপগঞ্জের হাসি, ৫ উইকেট নিয়েও মলিন রিশাদের মুখ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা চার জয়ের পর মোহামেডানের কাছে হেরে ছন্দপতন হয়েছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। তবে সে হার ভুলে আবার জয়ের ধারায় ফিরেছে রূপগঞ্জ। শামিম পাটোয়ারি এবং তৌফিক খান তুষারের জোড়া ফিফটিতে পারটেক্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পারটেক্স অধিনায়ক মিজানুর রহমান। কিন্তু অধিনায়ক বাদে দলটির অন্য কেউ সে সিদ্ধান্তের মান রাখতে পারেননি। দলীয় সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলে মিজান নিজেই যা দলের স্কোরকে ভদ্রস্থ করার চেষ্টা করেছেন। তার ৮৮ রানের ইনিংসে চড়ে ৪৭.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান পর্যন্ত পৌঁছে।

রূপগঞ্জের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম এবং শুভাগত হোম। মাশরাফি ৯ ওভার বল করে ৩০ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি।

তবে রূপগঞ্জের দুই ব্যাটার শামিম এবং তুষারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২৫.৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ। ওপেনার তুষারের ব্যাটে আসে ৮৩ রান। আর ৪৩ বলে ৬ চার এবং ৮ ছক্কায় ৮৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেল দলকে জয় এনে দেন ম্যাচসেরা শামিম।

এদিকে ৫ উইকেট নিয়েও শাইনপুকুরকে জেতাতে পারেননি স্পিনার রিশাদ হোসেন। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়ার পথে শাইনপুকুরকে ২৬ রানে হারিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দিনের অপর ম্যাচে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সিটি ক্লাবকে ৩৮ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে গাজী টায়ার্স।

;

‘লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিৎ বাংলাদেশের’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে ১-০ তে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। বড় হারের সে স্মৃতিকে পেছনে রেখে বাংলাদেশের সামনে এখন আরেকটি টেস্টের চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রামে লঙ্কানদের ধরাশায়ী সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া বাংলাদেশ, তাতে সিরিজ হার এড়ানোর পাশাপাশি প্রথম টেস্টে বড় হারের কষ্টও কিছুটা লাঘব হতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে ‘ব্যক্তিগত কারণে’ অস্ট্রেলিয়া গেছেন। কোচ না থাকায় কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ। তবে দল এবং একইসঙ্গে সমর্থকদের জন্য সুখবর, টেস্ট সিরিজে খেলার কথা না থাকলেও দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। 

দলে ফিরেই সাকিব জানালেন, লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিত বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে ভালো ক্রিকেট খেলার পর এমনটাই চাইছেন সাকিব, ‘আশা তো সব সময় করি আমরা জিতব। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সব সময়ই আমরা স্ট্রাগল করেছি, আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনেক ভালো করা উচিত এবং টেস্ট ম্যাচ জেতা উচিত।’

অনভিজ্ঞ একটা দল নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের অথৈ সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য সাকিবের প্রত্যাবর্তন অনেক আনন্দের সংবাদ। প্রথম টেস্ট শেষে অধিনায়ক শান্ত সংবাদ সম্মেলনে সেটাই বলেছিলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।’

;