সার্বিয়াকে হারিয়ে 'অবহেলা'র জবাব দিতে চায় সুইজারল্যান্ড



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শক্তির বিচার নিশ্চিত করেই শুক্রবার এগিয়ে থেকেই সার্বিয়ার মুখোমুখি হবে সুইজারল্যান্ড। কিন্তু বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে ফেভারিট বলে আসলে কিছু নেই। তাইতো টানা দুই জয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড প্রায় নিশ্চিত করে নিতে প্রস্তুত সার্বিয়ানরা। রাশিয়া বিশ্বকাপ ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় কালিনিনগ্রাদ স্টেডিয়ামে লড়বে সুইজারল্যান্ড আর সার্বিয়া।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে দুই দেশের এবারই প্রথম দেখা হচ্ছে। ঠিক এমনই এক দৃশ্যপটে টানা দুই জয়ে নকআউট পর্বে খেলার স্বপ্নে বিভোর সার্বিয়া।  রাশিয়ার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দলটি কোস্টারিকাকে হারিয়েছে ১-০ গোলে। আবার খুব একটা পিছিয়ে নেই সুইজারল্যান্ড। ব্রাজিলের মতো ফেভারিটদের সঙ্গে ১১- গোলে ড্র তো জয়ের মতোই তৃপ্তি! এ অবস্থায় সার্বিয়াকে হারাতে পারলে উজ্জবল হবে তাদেরও দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার সম্ভাবনা। টানা ৬ ম্যাচে অপরাজিত সুইস কোচ ভ্লাদিমির পেটকোভিচ জানাচ্ছিলেন, ‘আমরা খুব ভালো খেললেও সবার কাছ থেকে স্বীকৃতি পাই না। আশা করছি এই বিশ্বকাপেই সেই অবহেলার জবাবটা দিতে পারবো। আমাদের চোখ শুধুই জয়ে।’

উল্টো দিকে সার্বিয়ার কোচ ম্লাদেন ক্রাসটাজিকও কথার যুদ্ধে কম যাচ্ছেন না। বলছিলেন, ‘সুইজারল্যান্ডের প্রতি সম্মান রেখে বলছি আমরা ওদের খেলার কৌশলটা জানি। ব্রাজিলের বিপক্ষে তাদের ম্যাচের সবকিছু বিশ্লেষণ করে দেখেছি। সময় মতো সব প্রয়োগ করবো।’ একইভাবে প্রথম ম্যাচে ফ্রি-কিক থেকে গোল করা আলেক্সান্ডার কোলারভ জানাচ্ছিলেন, ‘আমরা অবশ্যই জয়ের জন্য খেলবো। ড্রয়ের পরিকল্পনা নিয়ে খেললে সফল হওয়া যায় না।’

বর্তমান ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে সুইজারল্যান্ড এখন আছে ষষ্ঠ স্থানে। তাদের প্রতিপক্ষ সার্বিয়া ৩৪ নম্বরে। র‌্যাঙ্কিংয়ের দুরত্বটা ঠিক থাকলে সুইসদেরই শেষ হাসি হাসার কথা। তবে বিশ্বকাপের ৩২ দেশই প্রস্তুত হয়েই এসেছে এখানে একপেশে নয়, জমজমাট ম্যাচের প্রতীক্ষাতেই থাকেন দর্শকরা। সন্দেহ নেই সার্বিয়া-সুইজারল্যান্ড ম্যাচেও পাল্টে যাতে পারে হিসাবের ছক!

   

হাবিবুরের সেঞ্চুরিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শেষ রাউন্ডের ম্যাচ বড় জয় পেয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। হাবিবুর রহমানের সেঞ্চুরিতে সিটি ক্লাবকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে সিটি ক্লাবকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় গাজী। তবে দলটির বেশিরভাগ ব্যাটার ক্রিজে থিতু হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসায় তাদের সংগ্রহ বড় হয়নি। সমান তিনটি করে চার-ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৮ রান এসেছে ওপেনার হাসানের ব্যাটে। ৩৭ রান করেন রাফসান আল মাহমুদ।

গাজী গ্রুপের পক্ষে ৩ উইকেট নেন রুয়েল মিয়া। দুটি করে উইকেট পান হুসনা হাবিব মেহেদী, মঈন খান এবং আব্দুল গাফফার সাকলাইন।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ওপেনার মেহেদী মারুফকে হারালেও বিপদে পড়তে হয়নি গাজীকে। বরং তিনে নামা হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সেঞ্চুরির সঙ্গে অন্য ওপেনার আনিসুল ইসলামের ফিফটিতে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় তারা।

৮১ বলে ১০ চার এবং ৬ ছক্কায় ১০২ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন হাবিবুর। ১০ চার এবং ১ ছক্কায় ৬১ রান আসে আনিসুলের ব্যাটে।

এই জয়ে ১১ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে ষষ্ঠ দল হিসেবে সুপার লিগে নাম লিখিয়েছে গাজী। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে কেবল ৪ পয়েন্ট পাওয়া সিটি ক্লাব রয়েছে ৯ নম্বরে।

;

বাংলাদেশ কেন এমন করছে, আকাশ চোপড়ার প্রশ্ন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএল খেলা নিয়ে সরগরম দেশের ক্রিকেট। তাকে আইপিএলে নিরবচ্ছিন্নভাবে খেলতে দেয়া উচিৎ নাকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য মাঝপথে ফিরিয়ে আনা উচিৎ, তা নিয়ে চলছে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা। বাংলাদেশের বোর্ড কর্তা থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটাররা বিষয়টি নিয়ে মত দিলেও ভারতীয় কেউ এতদিন এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।

তবে সে ধারা ভেঙে এবার মুস্তাফিজ ইস্যুতে মুখ খুলেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া। মুস্তাফিজকে আইপিএলের মাঝপথ থেকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বিসিবির সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও পোস্ট করেছেন আকাশ। সেখানে তার প্রশ্ন, ‘মুস্তাফিজুর রহমান চলে যাচ্ছে। সে চেন্নাইয়ের হয়ে (পুরো মৌসুম) খেলতে পারবে না। শুধু আর কয়েকদিনের জন্য আছে। বাংলাদেশ কেন এমন করছে?’

চেন্নাইয়ের হয়ে চলতি মৌসুমে দারুণ পারফর্ম করছেন মুস্তাফিজ। ৬ ম্যাচ খেলে এরই মধ্যে ১০ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। চেন্নাইয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও এই বাংলাদেশি পেসার। এমন অবস্থায় চেন্নাই যদি পুরো মৌসুম তার সার্ভিস না পায়, সেক্ষেত্রে দলটি বিপদে পড়বে বলে মনে করেন আকাশ, ‘তাকে (মুস্তাফিজ) খেলতে দাও। সে চলে গেলে চেন্নাইয়ের ক্ষতি হবে।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শুরুতে মুস্তাফিজকে আইপিএলে অংশ নেয়ার জন্য ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেয়। পরে ছুটির মেয়াদ একদিন বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করা হয়।

;

নাসুমের ফাইফার, মোহামেডানের সহজ জয়



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সবশেষ ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে হারতে হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। আর তাতে পয়েন্ট টেবিলেও হোঁচট খেয়েছে দলটি। সেই ধাক্কা সামলে নিয়ে এদিন ডিপিএলে মিরপুরের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে মোহামেডান। নাসুম আহমেদের ফাইফারে মাত্র ১৩৫ রানেই আলআউট ব্রাদার্স। যা ব্যাট হাতে ৫ উইকেট হাতে রেখে মাত্র ২৩.২ ওভারে টপকে গেছে মোহামেডান।

এদিন বল হাতে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের ওপর চড়াও হন নাসুম। নিজের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরান রহমাতুল্লাহ আলিকে। এরপর একে একে সাজঘরে ফিরিয়েছেন ইমতিয়াজ, মাহমুদুল হাসান, রাহাতুল ও ব্রাদার্স অধিনায়ক মনির হোসাইনকে। তার বোলিং তোপের সামনে সুবিধা করতে পারেননি ব্রাদার্সের তেমন কেউই।

বল হাতে নাসুম দারুণ সঙ্গ পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজের থেকেও। তার শিকার ৩ উইকেট। মোহামেডানের স্পিনারদের দাপুটে দিনে মাঝে মাহমুদুল হাসান ও রাহাতুল ফেরদৌসের ৪৫ রানে ভর করে কোনো রকমে ৩৪.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৩৫ রানের পুঁজি পায় ব্রাদার্স।

জবাব দিতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই জয়ের ভিত গড়ে ফেলে মোহামেডান। দলীয় ৬৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় মোহামেডান। সাজঘরে ফেরেন ১০ রানে থাকা রনি তালুকদার। এরপর অবশ্য নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট পড়েছে মোহামেডানের। তবে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন দলটির অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ইমরুল অপরাজিত ছিলেন ৭১ বলে ৯২ রানে।

লিগে এটি মোহামেডানের ৮ম জয়। আর এ জয়ে ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দলটির অবস্থান তালিকার তিন নম্বরে। অন্যদিকে শীর্ষে থাকা আবাহনী ১১ ম্যাচের সবকটিতেই জয় নিয়ে পয়েন্ট ২২।

;

আতালান্তাকে হারিয়েও ইউরোপা লিগ থেকে বিদায় লিভারপুলের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচে আতালান্তার মাঠে ম্যাচের একদম শুরুতেই গোলের দেখা পায় লিভারপুল। শেষ পর্যন্ত ওই এক গোলের ব্যবধান নিয়েই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অল রেডরা। তবে জয়েও টুর্নামেন্টের সেমিতে ওঠা হলো না তাদের। কেননা আগের লেগের ঘরের মাঠে ইতালিয়ান ক্লাবটির কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে সেমিতে পৌঁছায় আতালান্তা। 

এদিকে চলতি আসর শেষেই লিভারপুলকে বিদায় বলবেন ক্লপ। এতে ইউরোপা লিগে এই হারে বিদায়বেলায় খালি হাতেই শেষ হলো এই জার্মান কোচের ইউরোপ অধ্যায়। চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করতে না পারায় লিভারপুলের সামনে এই ইউরোপা লিগই ছিল একমাত্র ইউরোপ প্রতিযোগিতার লড়াই। সেখানে শিরোপা উপহার দিয়েই ক্লপকে বিদায় বলতে চেয়েছিল সবাই। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে উঠল না। 

প্রিমিয়ার লিগেও সবশেষ রাউন্ডের ম্যাচে ধাক্কা খেয়েছে লিভারপুল। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে শীর্ষে ছিল তারা। তবে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্নে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে তাদের। 

আতালান্তার মাঠে ম্যাচটিতে সেমি নিশ্চিত করতে অন্তত ৪ গোলের ব্যবধানে জিততে হতো লিভারপুলকে। ম্যাচটা অল রেডরা শুরুও করেছিল সেভাবেই। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে সফল স্পট কিক থেক গোল পান মোহাম্মদ সালাহ। সেই শুরু, সেই শুরুর গোলেই শেষ। মাঝে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি লিভারপুল। সমতাতেও ফেরেনি আতালান্তা। তবে আগের লেগে বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় সেমির পর এর হারে কোনো ফারাকই পড়েনি ইতালিয়ান ক্লাবটির। 

এদিকে রাতের আরেক ম্যাচে বেনফিকাকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিতে পৌঁছেছে মার্শেই। এই ফ্রেঞ্চ ক্লাবের সঙ্গেই সেমিতে লড়বে আতালান্তা। 

;