১৩ আগস্টের অপেক্ষায় আশরাফুল
তিনি ছিলেন আশার ফুল। বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার। কিন্তু একটা ভুল আকাশ থেকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে তাকে। সেই যে পথ হারিয়েছেন তারপর তো নিষেধাজ্ঞার কলঙ্ক সঙ্গী হয়েছে তার। অবশেষে প্রতীক্ষার প্রহর ফুরাল। সোমবার, ১৩ আগস্ট মুক্তি মিলছে। ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারির ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও বিপিএলে খেলার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে।
কলঙ্কমুক্ত হয়ে আবারো জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখছেন আশরাফুল। নিজের সেই ইচ্ছের কথা শোনালেন ইএসপিএন-ক্রিকইনফোকে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘আমি অনেক দিন ধরেই ২০১৮ সালের ১৩ আগস্টের জন্য অপেক্ষায় আছি। নিষেধাজ্ঞার পাঁচ বছর কেটে গেছে। যদিও গত দুই মৌসুম ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি। আবারও বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারা হবে আমার জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন।’
সেই ২০১৪ সালের জুন মাসে জীবনটা তছনছ হয়ে যায় আশরাফুলের। পাতানো ম্যাচের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিপিএলের দুর্নীতি বিরোধী ট্রাইব্যুনাল তাকে ৮ বছরের নিষিদ্ধ করে। সঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা।
এরপর অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ডিসিপ্লিনারি প্যানেল শাস্তি কমিয়ে করে পাঁচ বছর। আর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে দুই বছর আগে।
নিষেধাজ্ঞার সময়টাতে আশরাফুল বিসিবি ও আইসিসির দুর্নীতি দমন প্রোগ্রামে, শিক্ষা কর্মসূচি ও ট্রেনিংয়ে অংশ নিয়েছেন। ২০১৫ সালের বিপিএলে আশরাফুল দুর্নীতি দমনের উপর সচেতনতামূলক কাজে অংশ নিয়ে আত্মশুদ্ধি করেছেন।
ফেরার পর লড়াইটা অবশ্য মন্দ হয়নি। তবে আশাবাদী আশরাফুল। বলছিলেন, ‘সত্যি বলতে কী প্রথম মৌসুমটা ভালো কাটেনি। ২০১৭-১৮ মৌসুমে ভালো করেছিলাম। পারফরম্যান্স দিয়ে এখন আমি দলে জায়গা পাওয়ার যোগ্য।’
সুযোগটা এখন কাজে লাগাতে পারলেই হয়। মাঠে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলতে পারলে অবশ্যই ফেরা সম্ভব। আর আশরাফুলের বয়সটা এখন ৩৪। সত্যিকার অর্থেই চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন টেস্টের সর্বকনিষ্ট সেঞ্চুরিয়ান।