ফুটবলে আরেকটি ‘যুদ্ধ’ জিততে প্রস্তুত বাংলাদেশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ফুটবল দল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল দল। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা বিষয় পরিস্কার যে, উভয় দল একে অন্যকে নিয়ে গেমস শুরুর আগে মোটেও তেমন কোন পরিকল্পনা করেনি। দুরতম চিন্তায় আসেনি যে এই দুই দল এবারের এশিয়ান গেমসের দ্বিতীয় পর্বে মুখোমুখি হবে।

অথচ আজ সন্ধ্যায় সেই লড়াই। বাংলাদেশ বনাম উত্তর কোরিয়া। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায়। এবারের এশিয়ান গেমসের ফুটবলে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের সময়কালকে মনে হচ্ছে রূপকথার ভেলায় চড়ে সামনে এগিয়ে চলা। গ্রুপে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড ও কাতারকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এই গেমসের ফুটবলে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে আসবে-এমনটা কে ভেবেছিল?

বাস্তবতা হল, কেউ ভাবেনি। না ফুটবল দল। না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। দায় নিয়েই বলছি, এমনকি দেশের ক্রীড়া সাংবাদিকদের কাছেও বাংলাদেশ ফুটবল দলের গ্রুপ পর্বে এই সাফল্যটা ছিল অবাক হওয়ার মতোই!

এশিয়ান গেমস ফ্টুবল বাংলাদেশের কাছে নতুন কিছু নয়। এর আগে অনেকবারই এই আসরে খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রতিবারই প্রথম পর্ব থেকেই বিদায়। আর এবারের দল নিয়ে বাংলাদেশ যখন ইন্দোনেশিয়ায় খেলতে যায় তখন দলের র‌্যাঙ্কিং ১৯৪! গেমসে অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে র‌্যাঙ্কিংয়ের এমন দুর্বল অবস্থা যে আর কারোর নেই। এই বাজে র‌্যাঙ্কিংয়ের একটি দল দ্বিতীয় পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলবে; গেমস শুরুর আগে এমন সম্ভাবনার কথা কেউ বললে, হয়তো তখন তাকে টিপ্পনি শুনতে হতো!

সেই তুলনায় ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে উত্তর কোরিয়া ১০৮ নাম্বার দল হলে এবারের গেমসে তারা অন্যতম হট ফেভারিট। এশিয়ান গেমসের দ্বিতীয় রাউন্ড তাদের জন্য মোটেও নতুনকিছু নয়। সর্বশেষ গেলবারের এশিয়ান গেমসের ফুটবলে ফাইনালেও খেলেছিল তারা। স্বর্নপদক জিততে পারেনি। রানার্সআপ হয়েই রৌপ্যপদক গলায় ঝুলিয়ে দেশে ফিরেছিল।

তবে এবারের আসরে শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি তাদের। মিয়ানমারের সঙ্গে ড্র’য়ে শুরু। পরের ম্যাচে ইরানের কাছে ০-৩ গোলে হার! দুই ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে খাদের কিনারায় ঝুলছিল উত্তর কোরিয়া। গ্রুপের শেষ ম্যাচে এসে সৌদি আরবের বিপক্ষে ৩-০ গোলের দাপুটে জয়ে সব হিসেব বদলে দেয় উত্তর কোরিয়া। পয়েন্ট সমান হলেও গোলগড়ে তারা গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে আসে।

যেখানে আজ তাদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ।

মজার ঘটনা হল প্রথম পর্বে বাংলাদেশ ও উত্তর কোরিয়া উভয় দলের প্রথম দুই ম্যাচের হিসেব-নিকেষ একেবারে হুবহু এক। এক ম্যাচে হার। অন্য ম্যাচে ড্র। এই পর্যায়ে গোলের মাপজোখও একই রকম! হারা ম্যাচে গোলের ব্যবধান ৩-০। ড্র ম্যাচে ১-১। প্রথম দ্ইু ম্যাচে দু’দলের পয়েন্টও সমান সমান ছিল। মোটে ১!

গ্রুপের শেষ ম্যাচে দুই দলের সামনে অভিন্ন লক্ষ্য ছিল। টিকতে হলে জিততে হবে। দুই দলই সেটা করে দেখাল। এবং বেশ সার্থকভাবেই। ঠিক যাকে বলে খাদের কিনারা থেকে উঠে দাড়ানো; সেটাই করে দেখাল গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ও উত্তর কোরিয়া।

ফুটবলে সবসময় খাতা-কলমের হিসেব কষে সমাধান মেলে না। মাঠের পারফরমেন্সই সবকিছু। আর তাই ফুটবলে ফেভারিট দলই প্রতিদিন ম্যাচ জিতে না। আউটসাইডাররাও হিসেব বদলে দেয়। বাংলাদেশ এবারের এশিয়ান গেমসের সেই আউটসাইডার।

আজকের দ্বিতীয় রাউন্ডের লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও সেই হিসেব নিয়েই নামছে বাংলাদেশ। সন্দেহতীতভাবে ম্যাচে ফেভারিট উত্তর কোরিয়া। ফেভারিট তত্ত্বের হিসেবটা কি আজও বদলে দিতে পারবে বাংলাদেশ।

দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার সাফ কথা-দলের খেলা অনেক উন্নত হয়েছে। আমাদের টার্গেটও বদলে গেছে এখন। সামনের লক্ষ্য একটাই- কোয়ার্টার ফাইনাল!’

কাতার ম্যাচে জয়ের নায়ক জামাল ভূঁইয়া অবশ্য আজকের প্রতিপক্ষ উত্তর কোরিয়ার শক্তি সম্পর্কে সন্মান জানিয়ে বললেন-‘উত্তর কোরিয়া অবশ্যই বড় দল। শক্তিশালী দল। আমরা ভালই জানি এই ম্যাচটা আমাদের জন্য তেমন সহজ কিছু হবে না। তবে আমরা নিজেদের শক্তি এবং সমস্যা নিয়েই বেশি পরিকল্পনা করছি। এই ম্যাচের ওপরই আমাদের সব মনোযোগ এখন। নিজেদের ওপর আস্থা আছে আমাদের। হয়তো এই ম্যাচে আগের মতো তেমন বেশি সুযোগ আমরা পাবো না। তবে যখনই সুযোগ পাবো , সেটা কাজে লাগাতে হবে। আমাদের কাছে এখন এই ম্যাচটা একটা যুদ্ধের মতোই!’

এই ‘ফুটবল যুদ্ধে’ জিতে বাংলাদেশ কি পারবে এবারের এশিয়ান গেমসে সাফল্যের গল্পকে আরও উচুঁতে তুলতে?

বাংলাদেশের জন্য একরাশ শুভকামনা!

   

চেন্নাইয়ের জার্সিতে খেলার স্বপ্ন দেখতেন মুস্তাফিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএলে খেলা নিয়ে কম কথা হয়নি। বিশেষ করে আইপিএলের মাঝপথে তাকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য দেশে ফিরিয়ে আনার প্রশ্নে বিসিবি পরিচালকদের মধ্যেও মতদ্বৈধতা দেখা গেছে। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান জালাল ইউনুস এও বলেছিলেন, আইপিএল খেলে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই। তবে মুস্তাফিজ নিজে কিন্তু সেভাবে ভাবছেন না। বরং আইপিএলে খেলার কিছু উপকারী দিক খুঁজে পেয়েছেন দেশের অন্যতম সেরা এই পেসার।

চেন্নাই সুপার কিংসের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের সঙ্গে আলাপে নিজের ব্যক্তিজীবন এবং ক্রিকেট ক্যারিয়ারের বেশকিছু বিষয় খোলাসা করেছেন মুস্তাফিজ। আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে খেলা নিয়ে তার ভাবনা বর্ণনা করতে গিয়ে মুস্তাফিজ বলেন, ‘আইপিএলে সব দেশের তারকা ক্রিকেটাররা থাকে। এখানে সাফল্য পেলে অন্যত্র সফল হওয়া সহজ হয়ে যায়।’

২০১৬ সালে আইপিএলে অভিষেক হয় মুস্তাফিজের। প্রথম আসরে খেলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। সেবার অরেঞ্জ আর্মির হয়ে শিরোপাও জিতেছিলেন, হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতেও দেখা গেছে তাকে।

তবে সবসময়ই তার ভেতর সুপ্ত বাসনা ছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার। মুস্তাফিজের ভাষায়, ‘চেন্নাইয়ের হয়ে এবারই প্রথম খেলছি। ২০১৬ সালে আইপিএলে অভিষেকের পর থেকেই চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার স্বপ্ন ছিল। যেদিন চেন্নাইয়ের তরফ থেকে ডাক পাই, আমি ওই রাতে ঘুমাতে পারিনি।’

চেন্নাই সুপার কিংস তারকায় ঠাঁসা এক দল। মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক দলটির সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ। এছাড়া কোচিং প্যানেলেও রয়েছেন স্টিফেন ফ্লেমিং, মাইক হাসি, ডোয়াইন ব্রাভোর মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। তাদের সান্নিধ্যে থেকে, দিকনির্দেশনায় খেলে কী শিখতে পেরেছেন সেটাও অকপটেই জানালেন মুস্তাফিজ, ‘মাহি ভাই, ডিজে ব্রাভোরা ডেথ ওভারে ফিল্ডিং সাজানো নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন, এই বিষয়গুলো কাজে লেগেছে। (ধোনির সঙ্গে) বোলিং নিয়ে মূলত কথা হয়। মাঠেই বেশি কথা হয়। মাহি ভাই নিজে এসেই আমাকে বলেন কোনটা কীভাবে করলে ভালো হয়।’

আইপিএলের চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে ১২ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন মুস্তাফিজ। চেন্নাইয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এখন তিনিই। যদিও শেষ কয়েক ম্যাচে বেশ খরুচে বোলিং করেছেন। তবে বাংলাদেশে ফেরার আগে আরও দুইটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেতে পারেন মুস্তাফিজ। সে দুটি ম্যাচে নিশ্চয়ই নিজের সেরাটা মেলে ধরতে চাইবেন ‘কাটার মাস্টার’খ্যাত এই গতিতারকা।

;

আচমকা অবসরে পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হঠাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাট চুকানোর ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের তারকা নারী ক্রিকেটার বিসমাহ মারুফ। দীর্ঘ ১৭ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে পাকিস্তানের জার্সিতে রেকর্ড ১৩৬ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও লিগে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

দীর্ঘসময় পাকিস্তানের নারী দলের নেতৃত্ব দেয়া বিসমাহর অধীনে মোট ৯৬টি ম্যাচ খেলেছে দল। ৬২ টি-টোয়েন্টি ও ৩৪টি ওয়ানডেতে পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব করেছেন তিনি।

ব্যাট-বল তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ার মুহূর্তে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি-দুই ফরম্যাটেই পাকিস্তানের জার্সিতে সর্বোচ্চ রান বিসমাহর। ১৩৬ ওয়ানডেতে ২৯.৫৫ গড়ে তার রান ৩ হাজার ৩৬৯। এই ফরম্যাটে ২১ বার ফিফটি করলেও সেঞ্চুরির দেখা পাননি। টি-টোয়েন্টিতে ১৪০ ম্যাচে মারুফের রান ২৮৯৩, ফিফটি ১২টি।

আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নেয়া প্রসঙ্গে মারুফ জানান, ‘আমি যে খেলাটিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি তা থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আমার জন্য একটি অবিশ্বাস্য যাত্রা, চ্যালেঞ্জ, জয় এবং অবিস্মরণীয় স্মৃতিতে ভরা। আমি আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, যারা আমার ক্রিকেট যাত্রায় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে সমর্থন করেছে।’

;

রনির তাণ্ডবে তামিম-মুশফিকদের হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগ পর্বে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান। রনি তালুকদারের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংককে ৩৩ রানে হারিয়েছে সাদাকালোরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে হয় মোহামেডানকে। রনি তালুকদারের সেঞ্চুরি আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ফিফটিতে ব্যাটিংটা উপভোগ করে তারা। ৫০ ওভার শেষে তাদের স্কোরবোর্ডে শোভা পায় ৬ উইকেটে ৩১৭ রানের বড় সংগ্রহ।

১৩১ বলে ৮ চার এবং ৯ ছক্কায় ১৪১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস আসে রনির ব্যাটে। রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ঠিক ৫০ রান করেন ফর্মে থাকা অঙ্কন। মিরাজ ২৯ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে খেলেন  ৫৩ রানের হার না মানা ইনিংস। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শেখ মেহেদী।

জবাব দিতে নেমে মোহামেডানের স্কোর টপকে যাওয়ার চেষ্টা কম করেনি প্রাইম ব্যাংক। ওপেনার তামিম ইকবাল (১৪) ব্যর্থ হলেও লড়াই চালিয়ে যান শাহাদাত দিপু, শেখ মেহেদী, সানজামুলরা। তবে তাদের কেউই তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। সেট হয়েও ফিরেছেন আক্ষেপ সঙ্গী করে।

প্রাইমের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে শেখ মেহেদীর ব্যাটে। ৫১ রান করেন শাহাদাত দিপু। ১ রানের জন্য ফিফটি মিস হয় সানজামুলের। তাদের প্রচেষ্টার পরও ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। মোহামেডানের হয়ে সমান দুটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি, মুশফিক হাসান এবং নাসুম আহমেদ।

;

শেখ জামালের কাছে হেরে শিরোপা-স্বপ্ন শেষ শাইনপুকুরের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এবার চমকের পর চমক দেখিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। প্রথম পর্বে আবাহনীর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে জায়গা করে নেয় তারা। সুপার লিগেও প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল দলটি। তবে সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে হোঁচট খেতে হল তাদের। দলটিকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে শাইনপুকুর। জিসান আলম ও অধিনায়ক আকবর আলির ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। ৪৬.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে তারা স্কোরবোর্ডে জমা করে ২৬৪ রান।

দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পোড়েন শাইনপুকুর ওপেনার জিসান আলম। তাইবুর রহমানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে তাকে থামতে হয় ৯৮ রানে। ৬৪ রান আসে আকবর আলির ব্যাটে।

শেখ জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাইবুর।

২৬৫ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার সাইফ হাসানের ফিফটি ও তিনে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বির সেঞ্চুরিতে ৪৬.২ ওভারেই লক্ষ্য পৌঁছে যায় শেখ জামাল।

নাহিদ রানার বলে তানজিদ হাসান তামিমের ক্যাচ হওয়ার আগে ৬৭ রান করেন সাইফ। অন্যদিকে সমান ছয়টি করে চার-ছক্কায় ১০১ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন ফজলে মাহমুদ।

এই হারে শিরোপার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেল শাইনপুকুরের। অন্যদিকে শিরোপার দৌড়ে না থাকলেও সুপার লিগে প্রথম জয়ের উৎসব করছে শেখ জামাল।

;