ফুটপাত দখল রেখেই চলছে ট্রাফিক সচেতনতা মাস!



তাসকিন আল আনাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফুটপাত দিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতায় চলাচল করতে হয় পথচারিদের-বার্তা২৪

ফুটপাত দিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতায় চলাচল করতে হয় পথচারিদের-বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রিজওয়ানা হোসেন, মগবাজারের বাসিন্দা। নগরীর যানজটে প্রতিদিন অফিসে যেতে তাকে পাড়ি দিতে হয় এক ‘বন্ধুর পথ’। ফুটপাতে দিয়ে হাঁটার পথটুকুতেও থাকে হকারদের উপদ্রপ। হাঁটতে গেলে দোকানের মালামালা ফুটপাতের উপর সাজিয়ে রাখার কারণে বারবার নেমে মূল সড়ক দিয়েই হেঁটে যেতে হয় তাকে। এতে পেছন থেকে গাড়ির হর্নে বারবারই চমকে উঠেন রিজওয়ানা হোসেন।

একদিকে খানাখন্দে ভরা ফুটপাতে অন্যদিকে চলছে মোটরসাইকেল সার্ভিসিং ও গাড়ির ডেকোরেশন-এমন চিত্র বাংলামটোর মোর থেকে মগবাজার পর্যন্ত ফুটপাতের। শুধু কি বাংলামটোরে মিরপুর ১, মিরপুর ১০, ফার্মগেট, গুলিস্তানসহ প্রায় অনেক স্থানে ফুটপাতে এমন অরাজকতা অব্যাহত রয়েছে।  

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/14/1536908750759.jpg

ফলে পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে সড়কে চলা মাসব্যাপী ট্রাফিক সচেতনতা কার্যক্রম যেন আদতে কোন কাজেই আসছে না।

এসব স্থানে নিয়মিত চলাচলকারী পথচারীদের অভিযোগ, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করতে বলছেন কিন্তু ব্রিজ থেকে নেমেই আমাদেরকে মুখোমুখি হতে হচ্ছে ফুটপাতে বসা চায়ের দোকানের, হকারের অথবা কোন গাড়ির ডেকোরেশন এর দোকানের। ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা কি পুলিশের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।

পথচারিদের এমন অভিযোগ সম্পর্কে বাংলামোটরে দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট শামসুজ্জোহা বলেন, প্রতিনিয়তই এই ধরনের দোকানদারদের কাছে যারা সার্ভিস নিতে আসছেন বা গাড়ি ও মোটরবাইক পার্ক করে সার্ভিসিং করাচ্ছেন তাদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে। দোকান তুলে দেওয়া হচ্ছে –কিন্তু তারা আবার এসে বসছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/14/1536908699312.jpg

রাজধানীতে বিভিন্ন সময় ফুটপাত উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে থাকে সিটি কর্পোরেশন। তবে ভুক্তভুগীদের অভিযোগ, সিটি করপোরেশন হঠাৎ একদিন অভিযান চালিয়ে ক্ষান্ত হন, এরপর আর কোনো খবর থাকে না। তারা এ ব্যাপারে তাদের এক প্রকারে উদাসীন বলা চলে।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা  মোঃ আমিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কম বলেন, আমরা প্রায়ই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করি। এটা আমাদের চলমান প্রক্রিয়া তবে আমরা ধরে রাখতে পারি না, সকালে উঠালে বিকেলে এসে বসে পড়ে। এক্ষেত্রে পুলিশের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব না।

তিনি আরো বলেন, ট্রাফিক সচেতনতা মাস  চলছে কিন্তু পুলিশ আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটপাত ক্লিয়ার রাখার জন্য কোনো সহযোগিতা চায়নি। তবে আমরা বসে নাই, অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি।

সরজমিনে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবকদের বারবার অনুরোধেও নগরবাসী যেন বুঝেই উঠতে পারছেন না। কোনটা নিয়ম আর কোনটা অনিয়মের। ব্যস্ত সড়কে ট্রাফিক সচল থাকা অবস্থায় একজন পথচারীকে সিগন্যাল বন্ধের আগে  জেব্রাক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপারে বাধা দিতে গেলে রীতিমতো ঝগড়ার পর্যায়ে চলে যায়। এসময় কর্তব্যরত পুলিশ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে তাকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/14/1536908503207.jpg

এ সময় সেখানে কর্মরত রেড ক্রিসেন্ট  স্বেচ্ছাসেবক  আশিকুর রহমান জানান ‘অনেকে জানে এবং বুঝে কোনটা জেব্রা ক্রসিং , কোনটা ফুটওভার ব্রিজ- এরপরও সচেতন হয় না। নিজের থেকে সচেতন না হলে আমাদের পক্ষে সম্ভব না ধরে ধরে সচেতন করা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/14/1536908587698.jpg

এই স্বেচ্ছাসেবক বলেন, ফুটপাথ তো অবশ্যই দখলমুক্ত করতে হবে। একদিকে ফুটপাত বন্ধ করে, অন্যদিকে ট্রাফিক রুলস ফলো করতে বলব এটা হয় না। তবে সম্প্রতি প্রশাসন ট্রাফিক সচেতনতা বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে, আশা করি আস্তে আস্তে সবার সহযোগিতা সব ঠিক হয়ে যাবে।  

গত, ২০১৬ সালে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মশিউর রহমান নেতৃত্বে নিউমার্কেট, বাংলামোটর, মৌচাক, মালিবাগ, মগবাজার ফুটপাথ দখলমুক্ত করা হলেও এরপরে তা আবার বেহাত হয়ে যায়। স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে আবারো রমরমা ব্যবসা জমিয়ে তোলে এই এলাকার হকাররা। তবে কোনো কোনো স্থানে সফলও হয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।

   

জিআই স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি চাষিরা। এতে নরসিংদীর অবস্থানকে আরও উপরে নিয়ে গেছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।

কোনো দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জিআই এর স্বীকৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এবার সেই জিআই পণ্যের তালিকায় নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর নরসিংদীর অমৃত সাগর কলার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে। জিআই সনদপত্রটি ১১ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রধানের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই স্বীকৃতিতে খুশি কলাচাষিরা।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীতে দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি থাকায় এখানে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ বেশি হয়। অমৃত সাগর কলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরণ করে আশপাশের জেলা ও রাজধানীতে সরবরাহ করা হয়।

শুধু তাই নয়, দেশের বাইরেও রফতানি হচ্ছে এই সাগর কলা। এরই প্রেক্ষিতে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের সহযোগিতায় নরসিংদীর লটকন ও অমৃত সাগর কলাকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে সাগর কলাকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে অমৃত সাগর কলা দেশে ও দেশের বাইরে রফতানিতে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ৫৮০ হেক্টর জমিতে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ করা হয়েছে। এই স্বীকৃতিতে আগামী বছর এর চাষাবাদ আরও বাড়বে বেলে আশাবাদ সচেতন মহলের।

;

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসছেন ব্যারিস্টার সুমন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসবেন দেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য, ক্রীড়া সংগঠক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে খেলবেন তিনি ও তার দল।

বালিয়াকান্দিতে খেলতে আসার বিষয়টি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নিজেই তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটি বহরপুরের আয়োজনে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি বনাম মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ফুটবল খেলতে আসবেন। খেলার মাঠটি প্রস্তুত করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ বলেন, বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ব্যারিস্টার সুমন তার একাডেমির খেলোয়াড় নিয়ে ফুটবল খেলতে আসবেন। এ খেলায় হাজার হাজার দর্শক হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। খেলার মাঠসহ আশপাশের এলাকা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী শহিদুল ইসলামের (সাহিদ) সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমের।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ,বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কালাম আজাদ,কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু,বালিয়াকান্দির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম,বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ হান্নানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

;

শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে হরিণ শিকারের চেষ্টা, যুবক আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
যুবক আটক

যুবক আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারের ১৫০ ফুট ফাঁদসহ মো. জুয়েল নামের এক চোরা শিকারিকে আটক করেছে বনবিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগ শরণখোলা রেঞ্জের বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন অভয়ারণ্য থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় অপর দুই শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যায়।

আটক জুয়েল ঢাকার ডেমরা থানার মো. জালালের ছেলে। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি এলাকায় তার শ্বশুর মো. মনো হাওলাদারের বাড়িতে এসে সুন্দরবনে হরিণ শিকার করতে গিয়ে আটক হয়েছেন জুয়েল।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চরখালী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নিয়মিত টহলকালে বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ির কাছে অভয়ারণ্য থেকে ফাঁদ পেতে অপেক্ষারত অবস্থায় জুয়েল নামে এক চোরা শিকারিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার সাথে থাকা অপর দুই চোরা শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়াদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানায় বনবিভাগ।

এদিকে আটককৃতের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

;

‘শিক্ষার প্রসারে কাঙাল হরিনাথ ছিলেন সদা সচেষ্ট’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ বলেছেন, শিক্ষার প্রসারে কাঙাল হরিনাথ ছিলেন সদা সচেষ্ট। দারিদ্র্যের কারণে হরিনাথ পড়াশোনা বেশিদূর চালিয়ে যেতে পারেননি। কিন্তু শিক্ষার প্রসারে তিনি ছিলেন সদা সচেষ্ট।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘর মিলনায়তনে গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের ১২৮তম প্রয়াণ দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, অভাব-অনটনের মধ্যে বড় হলেও অবহেলিত সমাজের বৈষম্য এবং জমিদারদের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সচেতন করে তোলার জন্য তিনি ১৮৬৩ সালে কুষ্টিয়ার প্রথম সংবাদপত্র ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ প্রকাশ করেন। পরে পত্রিকাটি পাক্ষিক ও তার কিছু পরে সাপ্তাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে। এক পয়সা মূল্যের এই পত্রিকাটিতে কাঙাল হরিনাথ অবিরাম নীলকর ও জমিদারদের নানা জুলুমের কথা প্রকাশ করতে থাকেন। পত্রিকাটি প্রকাশের সুবিধার্থে তিনি ১৮৭৩ সালে একটি ছাপাখানা স্থাপন করেন।

তিনি বলেন, কাঙাল হরিনাথের পত্রিকাটি সেই সময়ে নির্যাতিত কৃষক ও প্রজাদের পক্ষের একটি পত্রিকা হিসেবে পরিচিতি পায়। কিন্তু সরকারের কঠোর মুদ্রণনীতি ও নানা বিরোধিতায় ১৮ বছর প্রকাশের পর ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সেই উনিশ শতকে গ্রামের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে এমন একটি পত্রিকা প্রকাশের কারণে কাঙাল হরিনাথ অমর হয়ে রয়েছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম।

এরআগে জাদুঘর চত্বরে কাঙাল হরিনাথের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, কাঙাল হরিনাথ ১৮৩৩ সালের ২২ জুলাই কুমারখালীর কুণ্ডুপাড়া এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৯৬ সালের এই দিনে তিনি মারা যান। শৈশবে স্থানীয় ইংরেজি স্কুলে হরিনাথের লেখাপড়া শুরু হয়। আর্থিক কারণে তা বেশিদূর এগোয়নি। ১৮৫৫ সালে বন্ধুদের সহায়তায় নিজ গ্রামে একটি ভার্নাকুলার স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। গ্রামের সাধারণ লোকদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে সেখানে অবৈতনিক শিক্ষকরূপে শিক্ষকতা শুরু করেন হরিনাথ। পরের বছর তারই সাহায্যে কৃষ্ণনাথ মজুমদার কুমারখালীতে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন।

;