ডাক্তার নেই, রোগীর বেডে বিড়াল ঘুমায়



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ডাক্তার নেই, রোগীর বেডে বিড়াল ঘুমায়। ছবি: বার্তা২৪.কম

ডাক্তার নেই, রোগীর বেডে বিড়াল ঘুমায়। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নেত্রকোনা: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০টি শয্যা রয়েছে। কিন্তু দিনের পর দিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ কর্মরত চিকিৎসকরা হাসপাতালে না আসার কারণে কমে গেছে রোগীর সংখ্যা। সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় উপজেলার একমাত্র এ হাসপাতালের প্রতি বিমুখ হয়ে পরেছে সাধারণ মানুষ।

উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও সেবিকারা মিলে কোনো রকমে হাসপাতালটি চালাচ্ছে। একেবারে নিরুপায় হয়ে যেকয়েকজন রোগী হাসপাতালটিতে সেবা নিতে যান, তাদের অধিকাংশ রোগীকেই আবার রেফার্ড করা হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজসহ অন্য হাসপাতালে। এছাড়া হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা একেবারেই নাজুক। বজায় নেই হাসপাতালে রোগীদের অবস্থান করার মতো পরিবেশও।

 

হাসপাতালটিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৫০ শয্যার হাসপাতালে রোগী আছেন মাত্র ৫ জন। রোগীর বেডে ঘুমাচ্ছে বিড়াল। বেডগুলো এলোমেলো। বেডে বিছানো কাপড়গুলো অপরিষ্কার, ময়লা ও রক্তমাখা।

হাসপাতাল প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ কোনো ডাক্তারকে পাওয়া যায়নি। তবে ঘণ্টাখানেক পরে জরুরি বিভাগে ডা. আলী মোহাম্মদ হোসাইন নামে একজন মেডিকেল অফিসারকে দেখা যায়। এ সময় কথা হয় হাসপাতালে ভর্তি ৫ রোগীর সঙ্গে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা নূর মিয়া বলেন, ‘অ্যাজমা রোগের চিকিৎসা নিতে বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে আছি। হাসপাতালের পরিবেশটা একদম ভালো না। খাবারের মানও খারাপ। বিশেষ করে রাতে কুকুর-বিড়ালের জন্য ঘুমানো যায় না।’

একই রকম অভিযোগ করেন হাসপাতালে ভর্তি অন্য ৪ রোগী আদমপুর গ্রামের সাবেক পৌর কাউন্সিলর অঞ্জন সরকার, একই গ্রামের মালেকা আক্তার, দুঃখিয়ারগাতী গ্রামের ঝুটন মিয়া, চারিতলা গ্রামের কামরুন্নাহার।

হাসপাতালে দায়িত্বরত সেবিকা জাকিয়া আক্তার ও রিনা আক্তারের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ‘আমরা যতক্ষণ দায়িত্বে থাকি, তখন কুকুর-বিড়াল প্রবেশ করলে তাড়িয়ে দেই। তবুও সুযোগ পেলেই কুকুর-বিড়াল ঢুকে পড়ে। হাসপাতালে নিরাপত্তা প্রহরী, আয়া ও ওয়ার্ডবয় না থাকায় এসব সমস্যা বেশি হচ্ছে।’

তাছাড়া হাসপাতালে যারা খাবার পরিবেশন করেন তারা নিয়ম মেনে রোগীদের খাবার দেন না। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন কাপড় ধোলাইয়ের নিয়ম রয়েছে। তবে পনেরো দিনে একবারও তা ধোয়া হয় না। যে কারণে রোগীদের বিছানার চাদরগুলো ময়লা থাকে বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়।

হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ, আব্দুল জাহেদ ও সুকুমার সূত্রধর জানান, হাসপাতালটিতে ২৫ থেকে ৩০ জন ডাক্তার আছেন। কিন্তু একজনও হাসপাতালে আসেন না। ডাক্তার না থাকায় সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাসপাতালে একজন বিশেষজ্ঞ দাঁতের ডাক্তার থাকলেও রোগীরা সারা বছরেও তার দেখা পান না বলে অভিযোগ করেন তারা।

হাসপাতালে না পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জিন্নাত সাবাহ্রের সঙ্গে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, খাবার পরিবেশ এবং কাপড় ধোলাইয়ের কাজটি যারা করেন তারা স্থানীয় লোক। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় অন্য বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এ বিষয়ে নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডা. তাজুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

   

বিএসএফের গুলিতে ফের বাংলাদেশি নিহত ১, আহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের বুড়িরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলিতে মুরুলী চন্দ্র (৪৩) নামে একজন বাংলাদেশি রাখাল নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২ জন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দিনগত মধ্যরাতে কালীগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট সীমান্তের ৯১৩ নম্বর পিলারের একশত গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রাখাল মুরুলী চন্দ্র কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামের সুশীল চন্দ্রের ছেলে। আহতরাও একই এলাকার চন্দ্রপুর গ্রামের আজিমুল হকের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৩) ও নুর ইসলামের ছেলে লিটন মিয়া (৪৩)।

সীমান্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মত শুক্রবার রাতে ৪/৫ জনের একটি পাচারকারী চক্র ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গরু পাচার করতে বুড়িরহাট সীমান্তের ৯১৩ নং পিলার এলাকা দিয়ে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে।

গরুর রাখালরা ভারতীয় গরু নিয়ে ওই সীমান্ত দিয়ে ফেরার পথে ভারতের একশত গজ অভ্যন্তরে কোচবিহার জেলার সিতাই থানার ৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চিত্রাকোট ক্যাম্পের টহল দল তাদেরকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। এতে ৩ জন বাংলাদেশি রাখাল গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। বাকি রাখালরা আহতদের টেনে হেচড়ে বাংলাদেশ নিয়ে আসলে তাদের পরিবার তাদের হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় আহত মুরুলী চন্দ্রকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ নিহত রাখাল মুরুলী চন্দ্রের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বাকি ২ জনকে তাদের পরিবার গোপনে বে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছেন।

কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, সীমান্ত এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মুরলী চন্দ্র নামে একজনের মরদেহ আমরা উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোফাজ্জল হোসেনকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

;

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: মৃত্যু বেড়ে ১৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুর কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় কুদ্দুস খান (৪৫) নামে আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে দুর্ঘটনাটিতে ১৭ জনের মৃত্যু হলো।

শনিবার (৩০ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান তিনি। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, কুদ্দুসের শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ঘটনাটিতে এখন পর্যন্ত ১৭ জন মারা গেল।

মৃত কুদ্দুস খানের ছেলে মো. নাজিম খান জানান, তাদের বাড়ি লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলায়। কালিয়াকৈর তেলিরচালা এলাকায় তার মা নাজমা বেগমকে নিয়ে থাকতেন বাবা। কোনাবাড়ি পেপসি কোম্পানীতে দিনমজুরের কাজ করতেন কুদ্দুস খান। ঘটনার সময় তিনি কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছিলেন।

গত বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে উপজেলার মৌচাক, তেলিরচালা এলাকায় টপেস্টার গার্মেন্টসের পাশে শফিক মিয়ার মালিকানাধীন আবাসিক কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৩২ জন দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আসে। পরবর্তীতে বেশ কয়েকজন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে যান। আর এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হলো।

 

;

ঢাকার বাতাস আজও খুব অস্বাস্থ্যকর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিন দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়েই চলেছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরেই মেগাসিটি ঢাকার বাতাসেও বাড়ছে দূষণ। শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে ঢাকার বাতাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। যদিও সবচেয়ে বেশি দূষণ থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহরের বাতাসে।

এদিন সকাল ১০টার দিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৪৮ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

দূষিত শহরের তালিকায় ১৭৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে চিয়াং মাই। এ ছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতের শহর দিল্লির স্কোর ১৭২। আর ১৬০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে আছে যথাক্রমে জার্মানির শহর মিউনিখ ও নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরের স্কোর ১৫৫।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

;

ভাঙ্গা থেকে যশোর রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে আজ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-যশোর রেলপথে শনিবার (৩০ মার্চ) ও আগামীকাল রোববার পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে। ভাঙ্গা-নড়াইল-যশোর অংশে এ পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করবে বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি) বিভাগের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ভাঙ্গার অদূরে বামনকান্দা রেলওয়ে স্টেশন থেকে যশোরের রূপদিয়া স্টেশন পর্যন্ত ৮৭ কিলোমিটার ব্যাপ্তি। এই পথেই ট্রায়াল ট্রেন চলাচল করবে। এজন্য দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ ও ৩১ মার্চ ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন থেকে যশোরের রূপদিয়া রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন উচ্চগতিতে চলাচল করবে। এ সময় ট্রেনের গতি থাকবে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। ট্রেন চলাচলের সময় রেললাইনের ওপর জনসাধারণের চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরীক্ষামূলক এ ট্রেন চলাচলের সময় কোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প সংলগ্ন এলাকাবাসী ও এলাকায় চলাচলকারী সর্বসাধারণ পরিবারের শিশু, বৃদ্ধ, মানসিক প্রতিবন্ধী (যদি থাকে) এবং গৃহপালিত প্রাণীগুলোকে নিজ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

 

;