অবসরেই যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী, লিখবেন আত্মজীবনী



সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত/ছবি: বার্তা২৪

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত/ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অবসরেই যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটা তার শেষ দায়িত্ব পালন। এখান থেকেই বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অবসান ঘটাবেন তিনি। তবে ভবিষ্যতে সরকারের অন্য কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারেন তিনি। অবসর জীবনে তিনি কী করবেন- সে পরিকল্পনাও করে রেখেছেন।

 

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ে তার কক্ষে বার্তা২৪.কম’র সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন খ্যাতনামা এই বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, লেখক এবং ভাষাসৈনিক। নিয়মানুযায়ী বুধবারই ছিল সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ দিন। এরপর থেকে নির্বাচনকালীন সরকার শুরু হওয়ার কথা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রু‌টিন কাজ আর আমার দ্বারা সম্ভব হবে না। প্রধানমন্ত্রী আমার অবসরে যাওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন অন্য কোনো কাজ দেবেন আমাকে। এমনকি আমাকে নির্বাচনের কাজ করতে হতে পারে। এজন্য আমি নির্বাচনী প্রচারণায় থাকছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি পরবর্তী সরকারে কোনো দায়িত্বে থাকছি না। তবে ওই সরকারে আমার ভূমিকা হবে দায়িত্বহীন।’

‘রাজনীতিতে না থাকলেও মনোনয়নপত্র কিনবেন অর্থমন্ত্রী’ গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদের ব্যাখায় তিনি বলেন, ‘আসলে ডামি মনোনয়ন জমা দেবো আমি। এটা প্রত্যেকবারই হয়। কোনো প্রার্থী সমস্যায় পড়লে আরেকজন থাকেন। আমি গতবার যখন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম তখনও দলের পক্ষ থেকে আরেকজন ডামি মনোনয়ন দিয়েছিলেন। এটা দলের প্রয়োজনে করা হয়।’

সুতরাং আসন্ন নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে অন্য কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। তবে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে তার ছোট ভাই ড. আবুল মোমেন ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের নাম বেশ জোরেসোরে শোনা যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে অর্থমন্ত্রী কে হবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এর উত্তর দেয়াটা কঠিন, বোঝা যাচ্ছে না। তবে বর্তমান অর্থপ্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের সুযোগ রয়েছে। কারণ তার বাড়িও সিলেটের সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে।’

সিলেটে তার ছবিসহ পোস্টার সাটানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সিলেটে আমার নামে প্রচুর পোস্টার। এটা কে লাগিয়েছে? আমার ভাইকে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম। সেও জানে না। কে এর জন্য টাকা দিয়েছে? আমাকে এটা খুঁজে বের করতে হবে।’

তিনি জানান, নতুন বছরের বই মেলায় তার একটি ইংরেজি বই আসছে। বইটির নাম হবে ‘মুহিত’স নলেজস বুক’। আর অবসরে গিয়েই সিলেট বিষয়ক একটি বই লিখবেন তিনি। ওই বইয়ে গৌড়গোবিন্দের আগের সিলেটের ইতিহাস থাকবে। একই সঙ্গে আত্মজীবনীমূলক বইও লিখছেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো লেখা শেষ। ১৯৭২ সাল পর্যন্ত সময়কার ঘটনা লেখা শেষ হয়েছে। এরমধ্যে অনেক ঘটনাবহুল বর্ণনা রয়েছে। সেখানে পুরো মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কথা লেখা হয়েছে।

বইটিতে ৩১টি অধ্যায় থাকবে। শেষ হয়েছে ১-১০ম অধ্যায় ও মাঝের কয়েকটি অধ্যায়ের কাজ।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সবার কাছে বহুমুখী প্রতিভায় ভাস্বর, বর্ণিল গুণাবলী, সৎ, ন্যায়নিষ্ট, কর্মযোগী ও স্পষ্টভাষী বিরল ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। দুই মেয়াদে টানা ১০ বার (২০০৯-২০১৮) বাজেট পেশ করার রেকর্ড করেছেন তিনি। এমনকি বাংলদেশে প্রথম পরিবেশ আন্দোলনও তিনি শুরু করেছিলেন।

   

পার্বত্য জেলায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দ্রুত অর্থ ছাড়ের সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য জেলায় দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থ ছাড়ের সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে তিন পার্বত্য জেলায় ২৬ উপজেলার ১২২টি ইউনিয়নে পাড়া পর্যায়ে (৪ হাজার ৮০০ পাড়াকেন্দ্র) প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন করার লক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় করার বিষয়ে কমিটি গুরুত্বারোপ করেন। প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগের পরিবর্তে প্রকল্পে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দিয়ে পরিচালনার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে মেয়াদোত্তীর্ণ রাবার প্লটের লিজ নবায়ন ফি ও অটো নবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য রাবার বোর্ড; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের সমন্বয়ে বৈঠক করে তার সুপারিশ কমিটির পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন এনজিও’র মাধ্যমে পরিচালিত প্রকল্পগুলো মনিটরিং ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। বৈঠকের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হয়।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব; চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান; বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বীর বাহাদুর উ শৈ সিং। বৈঠকে কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, দীপংকর তালুকদার, পংকজ নাথ, আব্দুল মোতালেব, মো. মঈন উদ্দিন, মাহমুদুল হক সায়েম এবং বেগম জ¦রতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, হেলেন কেলারসহ বিভিন্ন এনজিও’র মাধ্যমে যে সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প তিন পার্বত্য জেলায় চলমান তার রিপোর্ট এবং মেয়াদোত্তীর্ণ রাবার প্লটের লিজ নবায়ন ফি ও অটো নবায়ন প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

;

দেশে যারা ক্ষমতায় আছে তাদের লজ্জাবোধ নেই: গয়েশ্বর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমানে বাংলাদেশে যারা ক্ষমতায় আছে তাদের লজ্জাবোধ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। 

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ আলোচনা সভা ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার ভূতের ভয়ে আছে। ঘুমের ওষুধ খেলেও ভূতের ভয়ে ঘুম আসে না।

পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদেরও লজ্জাবোধ ছিল উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, স্বৈরাচারেরও লজ্জাবোধ আছে। শুধু কাপড় দিয়ে শরীর আবৃত করলেই লজ্জা নিবারণ হয় না। এটা হচ্ছে নৈতিকতার লজ্জাবোধ। তাদের সেটা নাই। আর এরশাদ ছিল প্রাতিষ্ঠানিক স্বৈরাচার।

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, যারা ভোটের দিন ভোট দিতে গেছে তারা ভোট দিতে পারে নাই। লাইনে শুধু দাঁড়িয়ে থেকেছে। টাকা আর বিরিয়ানির প্যাকেট দিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। আমরা সব সময় যেটা বলি, ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত। ঠিক একইভাবে আজকে ভোট হোক বা না হোক শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, সবাইতো গণতন্ত্রের কথা বলছে, গণমাধ্যমের কথা বলছে। কিন্তু গণমাধ্যম কী স্বাধীন? আমিতো তা মনে করিনা। আজকাল টেলিভিশনের টকশোতে যেভাবে নির্লজ্জভাবে কথা বলে এটা সাংবাদিকতা না। আবার মালিকদেরও একটা ব্যাপার আছে। প্রতিটা হাউজই কোন সংবাদ যাবে কোন সংবাদ যাবে না সেটাও বাছাই করা হয়। এখন সরকারের প্রশংসা আর চাটুকারিতা করতে করতে অনেকে শত কোটি টাকার মালিক হয়ে গিয়েছেন। সাংবাদিকের স্বাধীনতা থাকলে তারা লিখতে পারবে। কিন্তু মালিকরা সরকারকে ব্ল্যাকমেইল করে, তাই তারা লিখতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, আজকে ২০০৮ সাল থেকে জনগণ প্রতারিত হচ্ছে। ভোট কিন্তু একটা উৎসব। ঈদ-পূজার থেকেও বড় উৎসব। কিন্তু আজকে সেটাকে ভাগ করে দিয়েছে শুধু গণতন্ত্রের জন্য। এখন বহু সাংবাদিক রাজনীতিবিদ আছে যারা স্বার্থের জন্য গণতন্ত্রকে স্বৈরতন্ত্র করে ফেলে। আবার স্বৈরতন্ত্রকে গণতন্ত্র বানিয়ে ফেলে।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, বিএফইউজে'র মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট পারভেজ হোসেন, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা রোটারীয়ান এম নাজমুল হাসানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

;

এবারের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও স্বস্তির হবে: অতিরিক্ত আইজিপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, গত যেকোনো ঈদের চাইতে এবারের ঈদযাত্রা আরও বেশি নিরাপদ এবং অনেক বেশি স্বস্তির হবে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, নাড়ির টানে যারা বাড়ি যাবেন তারা যেনো আবার নিরাপদে ফিরে আসতে পারেন তার জন্য হাইওয়ে পুলিশ সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।

ঈদযাত্রায় সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ পণ্যবাহী ট্রাকের ছাদে উঠে ঈদযাত্রা করবেন না। আমাদের প্রতিটি প্রাণই কিন্তু মূল্যবান। যারা নিজস্ব গাড়িতে চলাচল করছেন শুধু তারা না, যারা আমাদের শ্রমিক পর্যায়ের যাত্রী আছে তারাও যেনো নিরাপদে বাড়ি যেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করবেন।

অনুষ্ঠানে সেভ দ্য রোডের পক্ষ থেকে ঈদে সড়কে যানজট নিরসনে এবং দুর্ঘটনা কমাতে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

প্রস্তাবগুলো হলো- প্রতি পাঁচ কিলোমিটার অন্তর হাইওয়ে পুলিশ বুথ বা মনিটরিং টিম স্থাপন করতে হবে।

>> শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নয়, সকল রোডে কার্যকরী সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং মনিটর করা।

>> মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য পৃথক লেনের ব্যবস্থা করা।

>> ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ ও সেগুলো দখলমুক্ত করা এবং জেব্রা ক্রসিংগুলো কার্যকর করা। পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ নিযুক্ত করা।

>> নির্দিষ্ট স্থানে বাস স্টপেজ স্থাপন ও সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ এবং পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, সিটি করপোরেশন আমাদের থেকে ট্যাক্স নেয় অথচ রাস্তাঘাট ঠিক করে না। তাই যানজট নিরসনে সিটি করপোরেশনের আরও ভূমিকা নেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, ফুটপাত ইজারা দেওয়া হয়েছে। এগুলো পুলিশের সামনে হচ্ছে। কিন্তু কেউ কি এগুলো দেখে না। এগুলো যদি বন্ধ না হয় তাহলে যানজট বা দুর্ঘটনা বন্ধ করা যাবে না। হাইওয়েতে মিশুক থ্রি হুইলার চলাচলের পিছনে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। দুর্ঘটনা ও যানজট নিরসনে ৭৩টি পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই দেখা যায় বড় গাড়ির (বাস/ট্রাক) নামে মামলা হচ্ছে। তাই পুলিশের প্রতি অনুরোধ দুর্ঘটনার তদন্ত করে তারপর যেন মামলা দেওয়া হয়।

;

বগুড়ায় ১১ মাসেও গরু ব্যবসায়ী রাজ্জাক হত্যার খুনিরা অধরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়া সদরে প্রায় ১১ মাস আগে গরু ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাককে(৫৫) কুপিয়ে হত্যা করে আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। গত ১১ মাসে তিনবার তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন হলেও পুলিশ খুনিদের শনাক্ত করতে পারেনি। ফলে খুনিরা এখনও অধরা রয়ছে। এবার খুনিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছেন স্থানীয় গ্রামবাসী।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে নামুজা ইউনিয়নের চৌমহুনী বন্দরে মানববন্ধন করেন গ্রামবাসী।

আব্দুর রাজ্জাক বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়নের সাহাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

নিহতের ছেলে আতিকুল ইসলাম শুভ জানান, গত বছরের ১০ মে রাত ১০টার দিকে হাটে গরু বিক্রি করে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। বাড়ির ২০০ গজ কাছে দুর্বৃত্তরা তাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে আড়াই লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন নিহতের স্ত্রী আবেদা বেগম বগুড়া সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই নুর জাহিদ ৫ মাস তদন্ত করে কোনো অগ্রগতি না হলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে আরো ৬ মাস তদন্তেও কোনো অগ্রগতি না হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা বাদীকে ডেকে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনতে ( পিবিআই) স্থানান্তরের পরামর্শ দেন বলে জানান বাদী আবেদা বেগম। ডিবি পুলিশের পরামর্শে আদালতে আবেদন করলে মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়।

পিবিআই বগুড়ার পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) জাহিদ হোসেন বলেন, দেড় মাস আগে মামলাটি পাওয়া গেছে। এরপর থেকেই পিবিআই বগুড়ার পুলিশ সুপার নিজেই তদন্ত কার্যক্রম তদারকি করছেন। পাশাপাশি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে খুনের সাথে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন।

মঙ্গলবার গ্রামবাসীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, আব্দুর রাজ্জাক খুনের ১১ মাস পার হলো, পুলিশ আমাদেরকে এতদিন আশ্বাসের মধ্যেই রেখেছে। থানাও ডিবি অফিস ঘুরে আমরা ক্লান্ত। ডিবি পুলিশ যেভাবে বলেছে আমরা সেভাবেই আদালতে আবেদন করেছি। মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর হলেও খুনিরা গ্রেফতার তো দূরের কথা শনাক্তের কাজও পুলিশ করতে পারেনি। যার কারণে গ্রামের মানুষ আজ রাস্তায় নেমেছে।

বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ( ডিবি)ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোস্তাফিজ হাসান বলেন, ডিবি'র এসআই হাফিজ মামলাটি তদন্ত করেছেন। তিনি পদোন্নতি পেয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তার আগেই বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

;