৪৮ বছর পরও বোনের মরদেহ খুঁজছেন আমির



হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
লক্ষ্মীপুর কমলনগরের আমির হোসেন /ছবি: বার্তা২৪

লক্ষ্মীপুর কমলনগরের আমির হোসেন /ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর, সারাদিন ছিল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় হালকা বাতাস। রাত একটার দিকে ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। হঠাৎ সমুদ্রের পানি সমতল থেকে ৮-১০ ফুট উচ্চতায় ওঠে আসে। এমন প্রলয়ংকারী জলোচ্ছ্বাস আর ঘূর্ণিঝড়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়।

ঐ দিনের প্রত্যক্ষদর্শী আমির হোসেন। সেদিনের বর্ণনায় তিনি বলেন, ‘বিসুধবারিয়া (বৃহস্পতিবার) দিন আছিল। গোটা দিন ঝড়ি (বৃষ্টি) ছিল। হাঁঝের তন (সন্ধ্যা থেকে) ধরি বাতাইস শুরু অয়ছে। রাইত একটার দিকে তুফান শুরু অয়। আচমকা মাথার ওপর হানি (পানি) উডি (উঠে) গেছে।’

‘হানিত (পানিতে) ডুবি আঁর দু’বোইন মরি গেছে। রাত তিনটার সময় হানির স্রোতে হেগুনের (তাদের) লাশ ভাসি গেছে। গাছপালার কারণে ঝাঁপ দি হেগুনরে (তাদেরকে) ধইরতে হারি ন। চাইর দিন হরে (পরে) নদীর কাছে এক বোন সাফিয়ার লাশ হায়। কিন্তুক রাবিয়াকে হায়নো (পায়নি)। হে সময় (তখন) সাফিয়ার বয়স আছিল ১২ আর রাবিয়া সাত বছরের।’

এদিকে ঐ ঘটনার দীর্ঘ ৪৮ বছর পরও রাবিয়ার মরদেহ খুঁজে পাওয়ার আশায় আছেন আমির হোসেন। আমির হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার মতিরহাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি এখন ৬০ বছরে পা দিয়েছেন। কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দীর্ঘ ৪৮ বছরেও তিনি ঐ প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ‘ভোলা সাইক্লোন’র কথা ভুলেননি।

স্বজনহারা উপকূলের মানুষগুলোর মনে এখনো দুঃস্বপ্ন হয়ে ভেসে উঠে দিনটি। সেদিনের স্মৃতিগুলো মনে করে এখনো আমির হোসেনের চোখ থেকে পানি ঝরে। ছোট বোন রাবিয়াকে না পাওয়ার বেদনা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। 

জানতে চাইলে আমির আরো জানান, তুফানের পর মাথার ওপর দিয়ে পানি আসছে দেখে মা-বাবা, দুই বোন ও দুই ভাইসহ তিনি ঘরের চালের ওপর উঠে যান। কিন্তু পানির ঢেউয়ের সঙ্গে তার দুই বোন পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

স্রোত এতো টান ছিল যে গাছপালার মধ্য দিয়ে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরের দিন আশপাশের অনেক স্থানে সাফিয়া ও রাবিয়াকে খুঁজেও পাননি। চারদিন পর বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে সাফিয়ার লাশ পাওয়া গেলেও রাবিয়াকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের প্রলয়ংকারী ঐ ঘূর্ণিঝড়কে ২০১৭ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘের আবহাওয়া সংস্থা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড় বলে ঘোষণা করে। সরকারি হিসেবে ঐ দিন প্রাণ হারান প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। আর বেসরকারি তথ্যমতে এ সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ।

ঐ দিন নিহত মানুষদের স্মরণ, ঘূর্ণিঝড়ে সচেতনতা, উপকূলের সমস্যা, উপকূল সুরক্ষার জন্য দিনটিকে ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছে ‘উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটি’। সংগঠনটির উদ্যোগে গত বছর উপকূলের ৩৪টি স্থানে একযোগে দিবসটি পালন করা হয়। এবার তা পালন হবে উপকূলের ৫৪টি স্থানে। ১২ নভেম্বর উপকূল দিবসের দাবিতে লক্ষ্মীপুরের তোরাবগঞ্জ, রামগতি ও রায়পুরে আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়েছে।

   

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) আসন্ন পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাসের উদ্যোগে এলাকার মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।ক

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ঈদের আনন্দ সকলের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা যদি পাঁচজনের মুখেও হাসি ফোটাতে পারি সেখানেই আমাদের সফলতা। ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। ক্ষমতা ভোগের বিষয় নয়।

তিনি বলেন, এবার ইফতারের অর্থ দিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এ ধরণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।

সরকার সবসময় মানুষের পাশে আছে। মানুষের জীবন আরও সহনীয় করতে কাজ করছে। সরকার দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি।

;

নওগাঁয় নারী উদ্যোক্তাদের হাট বাজার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় নারীদের উদ্যোক্তা সংগঠন উইমেন্স অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট ‘উই টিম’ নওগাঁ’র উদ্যোগে অফলাইন মিটিং এবং হাটবাজার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) শহরের বৌ বাজার খলিফাপাড়ায় দিনব্যাপী এই হাটবাজারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, উদ্যোক্তারা নিজের তৈরিকৃত পণ্যের পসরা নিয়ে বসে আছেন যেখানে আছে থ্রি পিস, বুটিকের তৈরি পোশাক, ছোট বাচ্চাদের পোশাক, গহনা, আংটি, চুড়ি, ওড়না ইত্যাদি।

হাটবাজারে স্টল দেওয়া উদ্যোক্তা ও উই গ্রুপের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি শারমিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, নারী উদ্যেক্তাদের কথা চিন্তা করে আমাদের এই ব্যানারে সারাদেশে মেলা হচ্ছে। যেখানে দেশি পণ্যের প্রচার হবে, আমাদের ও প্রচার। যারা বাসায় বসে অনলাইনে সেল করে তারা অফলাইনেো সেল করতে পারছে। এতে উদ্যেক্তাদের জন্য খুবই ভালো হচ্ছে। যদি রোজা না হতো আমরা বাহিরে ৩ দিন ধরে মেলা করতাম।

ইসরাত জাহান চৈতি বলেন, আমাদের ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য এ ধরনের উদ্যোগ খুবই ভালো ফল এনে দেয়। কারণ আমরা এখানে আসায় ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছি। অফলাইন-অনলাইন দুই মাধ্যমেই বিক্রি ভালো হচ্ছে। 

উদ্যোক্তা বিপাশা ভট্টাচার্য বলেন, এই ধরনের হাট বাজারের মাধ্যমে আমাদের প্রসারের সুযোগ রয়েছে। এতে পরিচিত বাড়ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নাসরিন লেজু বলেন, বাসার কাছেই এসে দেখি হাট বসেছে। এখনাএ দাম ও মান ভালো হওয়ায় পণ্য কিনতে পেরেছি।

এসময় উই গ্রুপের নওগাঁ প্রতিনিধি শারমিন, প্রতিনিধি তনুসহ অনেক উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

সম্পত্তির ভাগ না পাওয়ায় বাবার কবরে শুয়ে মরদেহ দাফনে বাধা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সদরে মজিবর রহমান (৬৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সম্পত্তির ভাগ না পাওয়ায় মৃত্যুর পর তার তৃতীয় ছেলের বিরুদ্ধে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দুই ঘণ্টা মরদেহ বাড়ির উঠানে পড়ে থাকে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সদরের চাওয়া সরঞ্জাবাড়ি ইউনিয়নের বাটুল টারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মজিবর রহমান ওই এলাকার বাসিন্দা ও চার সন্তানের জনক।

সম্পত্তির ভাগ না দেওয়ায় বাবার কবরে শুয়ে মরদেহ দাফনে বাধা দেন ছেলে

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত মজিবর রহমান তার তিন ছেলেকে নিজের সম্পত্তির জমি লিখে দেয়। তার তৃতীয় ছেলে নওশাত আলী ঢাকায় চাকরি করতেন। তার সাথে বাবার বনিবনা কম থাকায় তাকে কোনো জমি লিখে দেয়নি। হঠাৎ মধ্যরাতে মজিবর রহমান মারা গেলে শুক্রবার দুপুরে তাকে দাফন করার প্রস্তুতি নেয় স্বজনরা। এ সময় নওশাদ তার বাবার কবরে শুয়ে থেকে মরদেহ দাফন করতে বাধা দেয়। পরে স্থানীয়রা পুলিশের সহায়তায় অন্য জায়গায় কবর খুঁড়ে মরদেহ দাফন করেন।

এ বিষয়ে চওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম কবির শাহ বলেন, মৃত মজিবর তার তৃতীয় ছেলেকে জমি লিখে না দেওয়ার কারণে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেয়। পরে স্থানীয়রা সবাই মিলে পুলিশের সহায়তায় অন্য জায়গায় কবর খুড়ে মরদেহ দাফন করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে অন্য জায়গায় কবর খুড়ে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

;

দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় চট্টগ্রামের বায়োজিদ থানাধীন টেক্সটাইল গেট এলাকায় জুতার সোল তৈরির কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম অঞ্চলে কন্ট্রোল রুম থেকে বার্তা২৪.কমকে জানায়, ৪টা ১০ মিনিটে খবর পেয়ে প্রথমে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও তিনটিসহ ৫টি ইউনিট যোগ দেয়। বর্তমানের ইউনিট বাড়িয়ে মোট ৯টি ইউনিট কাজ করছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি এবং এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবরও পায়নি।

বায়েজিদ থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বার্তা২৪.কমকে বলেন, জুতার সোল তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। পোশাকের কারখানা নয়। আমি ঘটনাস্থলে আছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসও কাজ করছে। 

;