ব্যাংকক-ঢাকা রুটে ‘যাত্রী শূন্য’ ড্রিমলাইনার
শুক্রবার, ফ্লাইট নম্বর বিজি ৮৯। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-ব্যাংকক রুট। উড়োজাহাজ ড্রিমলাইনার। ২৭১ আসনের এই উড়োজাহাজ ব্যাংকক থেকে ঢাকা উড়ে আসলো মাত্র ৫৬ জন যাত্রী নিয়ে।
বিশ্বের সর্বাধুনিক এ উড়োজাহাজটি যখন ব্যাংকক থেকে আকাশে উড়লো তখন পুরো ফ্লাইটি খাঁ খাঁ করছিলো। বিশাল এ উড়োজাহাজে মাত্র ৫৬ যাত্রীকে যেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কেবিন ক্রুরাও যেন সামান্য সংখ্যক যাত্রীদের সেবা দিতে এসে কিছুটা অস্বস্তিতে ভুগছিলেন।
আগস্টে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের যুক্ত হয় প্রথম ‘ড্রিমলাইনার আকাশবীনা’। ডিসেম্বরে যুক্ত হয় দ্বিতীয় ‘ড্রিমলাইনার হংসবলাকা’। বহরে যুক্ত হওয়ার পর থেকে এ দুটো উড়োজাহাজ দিয়ে সিঙ্গাপুর ও ব্যাংকক রুটের মতো দূরত্বে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে বিমান। অথচ বিশেষজ্ঞদের মতে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি এসব রুটের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। কারণ এসবের আসন সংখ্যা ১৬০টি। পক্ষান্তরে ড্রিমলাইনারের আসন সংখ্যা ২৭১টি।
বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বার্তা২৪‘কে বলেন, বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কোনো রুট প্লানিং না থাকায় যেখানে যে উড়োজাহাজ উপযুক্ত নয়, সেখানে সে সব উড়োজাহাজ দিয়ে যাত্রী পরিবহণ করা হচ্ছে। এতে বিমানের সম্পদের যেমন অপচয় হচ্ছে, তেমন আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিমানের জেনারেল ম্যানেজার (পিআর) সাকিল মেরাজ বার্তা২৪‘কে বলেন, বৈমানিকদের ট্রেনিংয়ের অংশ হিসেবে এ দুটো রুটে ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, ব্যাংকক একটি ট্যুরিজম স্পট। মানুষ আনন্দের ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ব্যাংকক যান। তাই, একটু আরামদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দিতে এ রুটে ড্রিমলাইনার চলছে।