রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সুপ্রিয়া দেবীর শেষকৃত্যানুষ্ঠান



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৪

  • Font increase
  • Font Decrease
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পশ্চিমবঙ্গের নন্দিত অভিনেত্রী সুপ্রিয়া চৌধুরীর (দেবী) শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। গার্ড অব অনার জানানোর মাধ্যমে সম্পন্ন এই শেষকৃত্যে অংশ নেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রিসভার সদস্য ও টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ সুপ্রিয়ার ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীরা। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর রবীন্দ্রসদন থেকে চার কিলোমিটার দূরে কেওড়াতলা (কালীঘাট) মহাশ্মশানে সুপ্রিয়ার শেষকৃত্যানুষ্ঠান হয়। শুক্রবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সুপ্রিয়া (৮৩)। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। তার প্রয়াণের খবর পেয়ে এই অভিনেত্রীর বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বাড়িতে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবং টলিউডের নবীন-প্রবীণ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। সুপ্রিয়ার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে পরিকল্পনাও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী, বেলা ৩টা পর্যন্ত সুপ্রিয়ার মরদেহ তার বাসভবনে রাখা হয়। এরপর মরদেহ নেওয়া হয় রবীন্দ্রসদনে। সেখানে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত প্রয়াত এ অভিনেত্রীর মরদেহে সর্বস্তরের জনতাকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর কেওড়াতলা মহাশশ্মানের জন্য মহাপ্রস্থান শুরু হয় সুপ্রিয়ার মরদেহের। শোকযাত্রা শেষ হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে গিয়ে। শোকযাত্রায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চিত্রতারকা প্রসেনজিৎসহ টালিউডের তারকা শিল্পী, রাজ্যের মন্ত্রী, কলকাতার মেয়রসহ বিশিষ্টজনেরা। শোকযাত্রা শেষে সুপ্রিয়া দেবীর মরদেহ কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তৈরি একটি সাদা বেদিতে। এরপর এখানে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সুপ্রিয়া দেবীকে গান স্যালুটের মাধ্যমে শেষ বিদায় জানানো হয়। বিউগলে বেজে উঠে করুণ সুর। রাষ্ট্রীয় সম্মানের পর তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মহাশ্মশানের ভেতরে শেষকৃত্য সম্পন্নের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী সকাল থেকে শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত প্রায় পুরোটা সময়ই প্রয়াত অভিনেত্রীর পাশে ছিলেন। যেটাকে বিরল ঘটনা হিসেবে দেখছেন সুপ্রিয়ার স্বজন-শুভানুধ্যায়ীরা। ১৯৩৫ সালের ৮ জানুয়ারি তাঁর জন্ম মিয়ানমারে। আদিবাস ছিল বাংলাদেশের ফরিদপুরে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। ২০১১ সালে ‘বঙ্গবিভূষণ’ এবং ২০১৪ সালে ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় তাঁকে। সুপ্রিয়া দেবী ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগের এক নায়িকা। মহানায়ক উত্তম কুমারের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আগমন। ১৯৫২ সালে নির্মল দের পরিচালিত উত্তম কুমারের সঙ্গে ‘বসুপরিবার’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। ‘সোনার হরিণ’, ‘শুন বরনারী’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘উত্তরায়ণ’, ‘সূর্যশিখা’, ‘সবরমতী’, ‘মন নিয়ে’ ‘বিলম্বিত লয়’, ‘জীবন জিজ্ঞাসা’র মতো আরও অনেক ছবিতে উত্তম কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। গত শতকের ষাটের দশকের শেষ দিক থেকে সত্তর দশকে বেশির ভাগ ছবিতে তিনি উত্তম কুমারের নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ৪৫টির বেশি ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। অভিনয় করেছেন হিন্দি ছবিতেও।
   

চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা কারাগারে

চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিয় থানার মনসুরাবাদ দু'পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেল-২৪ এর সংবাদ কর্মী সেলিম উল্লাহর ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।

হামলায় আহত সেলিম উল্লাহ, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের চট্টগ্রাম অফিসের স্টাফ ক্যামেরাপারসন। এর আগে গত ২১ এপ্রিল রাতে নগরের ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদে এ ঘটনার পর পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করে। পরদিন ২২ এপ্রিল বিকেলে আদালতে হাজিরের পর তারা জামিন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

হামলার পর সাদ্দাম হোসেনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে নগরের ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন আহত সাংবাদিক সেলিম।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, মনসুরাবাদ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে সংবাদকর্মীর ওপর হামলা মামলার আসামি মো. সাদ্দাম হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন

হামলায় আহত সেলিমের ভাষ্য, গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে মনসুরাবাদে সংঘর্ষের মুখে পড়েন সেলিম। এ সময় তিনি সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশে ভিডিও ধারণ শুরু করেন। তা দেখে ঘটনাস্থলে থাকা সাদ্দাম ও তার অনুসারীরা তাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টাও করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পিছু হটে। হামলায় চোখে ও পায়ের লিগামেন্টে মারাত্মক জখম হয়েছে বলে সেলিম জানান।

এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক সেলিম উল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। বুধবার প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

;

বাংলাদেশ-মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ-মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা

বাংলাদেশ-মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা

  • Font increase
  • Font Decrease

মরিশাসের পররাষ্ট্র, আঞ্চলিক সংহতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী মনিশ গোবিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) মরিশাসের স্থানীয় সময় সকালে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে মরিশাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। এ সময় বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য মরিশাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে উল্লেখ করে দুই দেশের সম্পর্ককে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন মর্মে মরিশাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে অবহিত করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে মরিশাসে আরও বেশি শ্রমিক ও পেশাজীবীদের নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। এছাড়া মরিশাসে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকরা যাতে দ্রুত দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে পারে সে ব্যাপারে মরিশাস সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

যেহেতু মরিশাস আফ্রিকা মহাদেশের প্রবেশদ্বার তাই মরিশাসে বাংলাদেশের বিনিয়োগের মাধ্যমে আফ্রিকা মহাদেশে বাংলাদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা বৈঠকে তুলে ধরেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে মরিশাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মনিশ গোবিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ে প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বর্তমানে মরিশাস অবস্থান করছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

;

কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল



নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে একটি বিশেষ পেশেন্ট ফোরামের আয়োজন করেছে বাংলাদেশের প্রথম জেসিআই-স্বীকৃত হাসপাতাল এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা।

প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো এই কোলোরেক্টাল ক্যান্সার। আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, হাসপাতালটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণ এবং ক্যান্সারের সাথে লড়াকু সাহসী রোগীরা তাদের নিজেদের অনুপ্রেরণামূলক গল্পগুলো সকলের সামনে উপস্থাপন করেন। এছাড়াও, বিশেষজ্ঞরা কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকির কারণ, স্ক্রীনিং নির্দেশিকা এবং চিকিৎসা পদ্ধতির উপর বিশেষ জোর প্রদান করেন।

গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং হেপাটোলজি বিভাগের কোঅর্ডিনেটর এবং সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ লুৎফুল এল. চৌধুরী নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল বজায় রাখার বিষয়ে জোর দেন। তিনি বলেন, “একজন গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট হিসেবে আমরা কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করি। নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে ক্যান্সার ভয়াবহ আকার ধারণের আগেই তা সনাক্ত ও প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমি মনে করি, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইতে সচেতনতা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। আমাদের উচিৎ ক্যান্সার নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে সচেতন হওয়া এবং নিয়মিত স্ক্রিনিং ও স্বাস্থ্যসম্মত লাইফস্টাইল বজায় রাখা। আমাদের মনে রাখা উচিত যে উপযুক্ত জ্ঞান হলো প্রতিরোধের অন্যতম ভিত্তি।”

মেডিকেল অনকোলজির কোঅর্ডিনেটর ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ ফেরদৌস শাহরিয়ার সাইদ বলেন, “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার মোকাবেলায় রোগীদের সার্বিক সহযোগীতার পাশাপাশি যথাযোগ্য চিকিৎসার ধাপগুলো নিশ্চিত করতে আমরা স্বচেষ্ট। তবে সাধারণ মানুষকেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে রোগ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।”

জেনারেল অ্যান্ড ল্যাপ সার্জারির সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন বলেন, “কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রোগীর জীবন বাঁচাতে সময়মত পদক্ষেপ ও উন্নত অস্ত্রোপচারের কৌশলগুলো গ্রহণ করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ।”

এভারকেয়ার হসপিটাল, বাংলাদেশের সিইও ও এমডি ডাঃ রত্নদীপ চাষ্কার বলেন, “এভারকেয়ার হসপিটালের মূল লক্ষ্য স্বাস্থ্যজ্ঞান ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে সমাজের কল্যাণে ভূমিকা রাখা। আমাদের দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকমন্ডলী গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলো চিহ্নিতকরণ, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কোলোরেক্টাল ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে ।”

এভারকেয়ার হসপিটাল, বাংলাদেশের মেডিকেল সার্ভিসেসের পরিচালক ডাঃ আরিফ মাহমুদ বলেন, “কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উন্নত স্বাস্থ্যসেবার প্রচার এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি রোগীকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও সহায়তায় এভারকেয়ার হসপিটাল সর্বদা স্বচেষ্ট।”

আয়োজিত এই পেশেন্ট ফোরামে বিশেষজ্ঞরা কোলোরেক্টাল ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে প্রতিরোধ ও প্রতিকারের পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে মতবিনিময় করেন। দেশের প্রথম জয়েন্ট কমিশন ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) স্বীকৃতি পাওয়া এভারকেয়ার হসপিটালের জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে অঙ্গীকারগুলোসহ ক্যান্সার মোকাবেলায় দক্ষতা ও রোগীদের স্বাস্থ্য উন্নতি প্রদর্শনে এই ফোরামটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

অনুষ্ঠানটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও হেপাটোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ ইকবাল মুর্শেদ কবির ও সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রফেসর ডাঃ শায়লা পারভীন, এভারকেয়ার হসপিটাল, বাংলাদেশের সিইও ও এমডি ডাঃ রত্নদীপ চাষ্কার, মেডিকেল সার্ভিসেস বিভাগের ডিরেক্টর ডাঃ আরিফ মাহমুদ, চিফ মার্কেটিং অফিসার ভিনয় কাউল- সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন ক্যান্সার-সারভাইভার, যারা তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুপ্রেরণামূলক গল্পগুলো সবার সাথে শেয়ার করেন।

;

মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আরাফাতের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মরিশাসের পররাষ্ট্র, আঞ্চলিক সংহতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী মনিশ গোবিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) মরিশাসের স্থানীয় সময় সকালে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। এ সময় বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে উল্লেখ করে দুই দেশের সম্পর্ককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন মর্মে মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে মরিশাসে আরও বেশি শ্রমিক ও পেশাজীবীদের নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। এছাড়া মরিশাসে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা যাতে দ্রুত দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে পারে সে ব্যাপারে মরিশাস সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন প্রতিমন্ত্রী।

যেহেতু মরিশাস আফ্রিকা মহাদেশের প্রবেশদ্বার তাই মরিশাসে বাংলাদেশের বিনিয়োগের মাধ্যমে আফ্রিকা মহাদেশে বাংলাদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা বৈঠকে তুলে ধরেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনিশ গোবিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ে প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বর্তমানে মরিশাস অবস্থান করছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

;