টাকার লোভে নির্দোষ ব্যক্তিকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি



সেন্ট্রাল ডেস্ক ২

  • Font increase
  • Font Decrease
নিরপারাধ হয়েও গ্রেফতার। টাকা দিয়েও মুক্তি মেলেনি, উল্টো রিমান্ডে সয়েছেন নির্যাতন। সম্মান বাঁচাতে পরিবারের কাকুতি-মিনতি, আহাজারি, যুক্তি, প্রমাণ কিছুই কাজে আসেনি। গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি করে আদালতে তুলে চাওয়া হয় রিমান্ড। আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিজ্ঞাসাবাদের নামে চলে অমানুষিক নির্যাতন। তখনও ছিল একই আহাজারি- আমি নির্দোষ। কে শোনে কার কথা। রিমান্ড শেষে জেল হাজতে। দীর্ঘ সময় পর জামিন। কথাগুলো বলছিলেন ধর্ষক না হয়েও পুলিশের কারসাজিতে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি হওয়া সাভারের আশুলিয়ার আউকপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী রাজ্জাক সিকদার। অভিযোগ উঠেছে, টাকা হাতিয়ে নিতে ও কম সময়ে নিজের কৃতিত্ব জাহির করতে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা নিরাপরাধ রাজাজ্জক সিকদারকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি করেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, আশুলিয়ার আউকপাড়া গ্রামে রাজ্জাক নামে দুই ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের একজন রাজ্জাক সিকদার। রাজনীতিতে জড়িত বলে এলাকাবাসীর কাছে তিনি মন্ত্রী রাজ্জাক নামে পরিচিতি। অপরজন হোটেল ব্যবসা করেন বলে তাকে হোটেল রাজ্জাক নামে ডাকেন পরিচিতজনেরা। কথা আছে, নামে নামে জমে টানে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শামীম হাসানের ঘৃণ্য কৌশলের শিকার হয়ে সেই জমের নাগাল পান মন্ত্রীখ্যাত নিরাপরাধ রাজ্জাক। প্রত্যেক্ষদর্শী ও সাক্ষীদের বক্তব্য উপেক্ষা করে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত হোটেল রাজ্জাককে বাদ দিয়ে তিনি গ্রেফতার করেন ‘মন্ত্রী’ রাজ্জাককে। তখনকার আশুলিয়ায় থাকার সেই পুলিশ কর্মকর্তা বদলি হয়ে এখন শরীয়তপুর জেলায় কর্মরত। শামীম বদলি হওয়ার পর পরিদর্শক জাহিদুল আশুলিয়ায় থানায় যোগ দিলে ওই গণধর্ষণ মামলার তদন্তভার পড়ে তার ওপর। আর তখনই বেরিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মামলার অভিযোগ ও নথিপত্র ঘেটে দেখা যায়, গত বছরের ৮ আগস্ট আশুলিয়ায় দোসাইদে গণধর্ষণের শিকার হন বাউলশিল্পী এক তরুণী। এর একদিন পর অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। সেই রাতে পূর্বের তদন্ত কর্মকর্তা শামীম হাসান মন্ত্রীখ্যাত রাজ্জাকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠান। প্রায় ৪৪ দিন জেলহাজতে থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি। আশুলিয়ার দোসাইদের আদর্শপাড়া গ্রামের ওই  বাড়িতে গণধর্ষণের শিকার বাউলশিল্পীকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার সাক্ষীরা দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া নারী সে সময় তাকে ধর্ষণের জন্য কয়েকজনের নামসহ হোটেল রাজ্জাকেই দায়ী করেছিলেন। তবু মন্ত্রী রাজ্জাকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে, মন্ত্রী রাজ্জাক গ্রেফতারের সুযোগ নেন অপরাধীর তালিকায় থাকা হোটেল রাজ্জাক। ইতোমধ্যে গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। তারা ভাড়া বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দোসাইদের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মন্ত্রী রাজ্জাকের টাকা-পয়সা আছে, আর হোটেল রাজ্জাক দরিদ্র। ফলে টাকা হাতিয়ে নিতেই মন্ত্রী রাজ্জাককে বলির পাঠা বানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা শামীম হাসান। এমনকি মামলার অন্য আসামিদেরও চাপ সৃষ্টি করে রাজ্জাক সিকদারকে অপরাধী হিসেবে শনাক্ত করার জন্য। ভুক্তভোগী রাজ্জাক সিকদার জানান, নিরপারাধ জেনেও সম্মান রক্ষায় টাকা দিয়ে আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে আমার পরিবার। আমার বড় ছেলে জুয়েল ও বাড়ির ভাড়াটিয়া স্বপন নামে একজনকে দিয়ে গ্রেফতার হওয়ার রাতে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা তুলে দিই পরিদর্শক শামীমের হাতে। পরদিন সকালে আরও ১০ হাজার টাকা স্বপনের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু রেহাই মেলেনি। উল্টো রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করেছে। প্রায় দেড় মাস পর জামিনে বের হয়েছি। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা লজ্জায় বাড়ি বাইরে বেরুতে পারি না। নতুন তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, আমাকে অব্যহতি দেওয়া হবে। কিন্তু আমার এই অপূরণীয় ক্ষতি কি আর পূরণ হবে? এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত এবং হয়রানিমুলক ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর জন্য পূর্বের তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক শামীম হাসানের বিচার দাবি করেন রাজ্জাক সিকদার। এ বিষয়ে রাজ্জাক সিকদারের প্রতিবেশী স্বপন জানান, শামীম স্যারের (তদন্ত কর্মকর্তা) দাবিমতো টাকা পৌঁছে দিয়েছি। তবু তিনি রাজ্জাক সিকদারকে ছাড়েননি। এ মামলার অন্য আসামি বর্তমানে জামিনে থাকা আতাউর রহমান অভিযোগ করেন, গ্রেফতারের রাতে চাপ সৃষ্টি করে মন্ত্রী রাজ্জাকে শনাক্ত করতে বলেন শামীম স্যার। কিন্তু আমি রাজি হয়নি। উল্টো স্যারকে বলেছি, নিরপারাধ ব্যক্তিকে আমি শনাক্ত করতে পারবো না। প্রত্যেক্ষদর্শী ও মামলার সাক্ষী ছালেহা বেগম জানান, অসুস্থ অবস্থায় ভুক্তভোগী নারীকে যখন উদ্ধার করা হয়। তখন কয়েকজনের নামের সঙ্গে হোটেল রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু পরে শুনি, নিরপারাধ মন্ত্রী রাজ্জাককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি; কিন্তু কী হলো বুঝতে পারলাম না। এছাড়া যে ঘরে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে সেখানে হোটেল রাজ্জাক বাস করত। মন্ত্রীখ্যাত রাজ্জাক এই এলাকায় আসতেন না। স্থানীয় ইউপি সদস্য খালেক হোসেন ও এলাকাবাসী আতঙ্কের কথা জানিয়ে বলেন, পুলিশ যদি এভাবে তদন্ত না করে আসামি গ্রেফতার করে তাহলে আইনের প্রতি আস্থা কমে যাবে। এ ঘটনাকে আরও শক্ত করতে মমলা নামে নারীকে ভয় দেখিয়ে সেলিনা বানিয়ে আসামি করার অভিযোগ করেন একই মামলায় ভুক্তভোগী আরেক নারী। ওই নারী জানান, আমাকে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে জবানবন্দি নিয়েছেন ‘শামীম স্যার’। এসব কথা বললে ছেড়ে দেবে না হলে অকথ্য নির্যাতন করবে। তাই তিনি আমাকে যা বলতে বলেছেন আমি ভয়ে তাই তাই বলেছি। এ বিষয়ে মামলার বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ‘আমি রাজ্জাক সিকদারকে শনাক্ত করিনি। আমি তদন্ত কর্মকর্তা শামীম স্যারকে বলিনি যে, রাজ্জাক সিকদার জড়িত আছেন।’ এ বিষয়ে বদলি হওয়া পুলিশ পরিদর্শক শামীম হাসানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে নিজের সাফাই গেয়ে তিনি দাবি করেন, বাদীর শনাক্তের ভিত্তিতেই মন্ত্রী রাজ্জাককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে যখন বলা হয়, নতুন তদন্ত কর্মকর্তা এ ধরনের কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পাননি মন্ত্রী রাজ্জাকের বিরুদ্ধে, তখন শামীম হাসান আসামির তালিকা থেকে তার নাম বাদ দিতে বলেন। এ ছাড়া টাকা নেওয়ার বিষযটি অস্বীকার করেন তিনি। এ বিষয়ে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম জানান, আমার তদন্তে যেসব তথ্যপ্রমাণ পেয়েছি, সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি। ফলে গত ডিসেম্বরে মন্ত্রীখ্যাত রাজ্জাককে এই মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত হোটেল রাজ্জাককে মামলায় আসামির তালিকায় সংযুক্ত করা হয়েছে। আগের কর্মকর্তার তদন্ত বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাঈদুর রহামন জানান, তদন্ত করে নিরাপারাধ ব্যক্তি মামলা থেকে বাদ দিয়ে প্রকৃত আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি গাফিলতির প্রমাণ পেলে সাবেক তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
   

পাবনায় ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাইপথে আনা ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনিসহ ১২টি ট্রাক জব্দ করেছে পাবনা জেলা পুলিশ। এ সময় ট্রাকচালক ও হেলপারসহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অবৈধভাবে আমদানিকৃত ভারতীয় চিনি দেশে এনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে মাঠে নামে পুলিশ। পরে কাজিরহাট ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তারা মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপর এগুলো জব্ধ করা হয় এবং ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরও জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

;

জিআই স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা



শরীফ ইকবাল রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি চাষিরা। এতে নরসিংদীর অবস্থানকে আরও উপরে নিয়ে গেছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।

কোনো দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জিআই এর স্বীকৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এবার সেই জিআই পণ্যের তালিকায় নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর নরসিংদীর অমৃত সাগর কলার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে। জিআই সনদপত্রটি ১১ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রধানের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই স্বীকৃতিতে খুশি কলাচাষিরা।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীতে দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি থাকায় এখানে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ বেশি হয়। অমৃত সাগর কলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরণ করে আশপাশের জেলা ও রাজধানীতে সরবরাহ করা হয়।

শুধু তাই নয়, দেশের বাইরেও রফতানি হচ্ছে এই সাগর কলা। এরই প্রেক্ষিতে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের সহযোগিতায় নরসিংদীর লটকন ও অমৃত সাগর কলাকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে সাগর কলাকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে অমৃত সাগর কলা দেশে ও দেশের বাইরে রফতানিতে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ৫৮০ হেক্টর জমিতে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ করা হয়েছে। এই স্বীকৃতিতে আগামী বছর এর চাষাবাদ আরও বাড়বে বেলে আশাবাদ সচেতন মহলের।

;

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসছেন ব্যারিস্টার সুমন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসবেন দেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য, ক্রীড়া সংগঠক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে খেলবেন তিনি ও তার দল।

বালিয়াকান্দিতে খেলতে আসার বিষয়টি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নিজেই তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটি বহরপুরের আয়োজনে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি বনাম মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ফুটবল খেলতে আসবেন। খেলার মাঠটি প্রস্তুত করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ বলেন, বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ব্যারিস্টার সুমন তার একাডেমির খেলোয়াড় নিয়ে ফুটবল খেলতে আসবেন। এ খেলায় হাজার হাজার দর্শক হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। খেলার মাঠসহ আশপাশের এলাকা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী শহিদুল ইসলামের (সাহিদ) সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমের।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ,বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কালাম আজাদ,কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু,বালিয়াকান্দির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম,বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ হান্নানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

;

শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে হরিণ শিকারের চেষ্টা, যুবক আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
যুবক আটক

যুবক আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারের ১৫০ ফুট ফাঁদসহ মো. জুয়েল নামের এক চোরা শিকারিকে আটক করেছে বনবিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগ শরণখোলা রেঞ্জের বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন অভয়ারণ্য থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় অপর দুই শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যায়।

আটক জুয়েল ঢাকার ডেমরা থানার মো. জালালের ছেলে। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি এলাকায় তার শ্বশুর মো. মনো হাওলাদারের বাড়িতে এসে সুন্দরবনে হরিণ শিকার করতে গিয়ে আটক হয়েছেন জুয়েল।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চরখালী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নিয়মিত টহলকালে বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ির কাছে অভয়ারণ্য থেকে ফাঁদ পেতে অপেক্ষারত অবস্থায় জুয়েল নামে এক চোরা শিকারিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার সাথে থাকা অপর দুই চোরা শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়াদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানায় বনবিভাগ।

এদিকে আটককৃতের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

;