১৬১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি পেল ড্যাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব), ছবি: সংগৃহীত

ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব), ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৬১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির নাম প্রকাশ করলো বিএনপিপন্থী পেশাজীবী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে পুরনো কমিটি বিলুপ্ত করে ডা. ফরহাদ হোসেন ডোনারকে আহ্বায়ক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া ডা. ওবায়দুল কবির খানকে সদস্য সচিব ও ডা. মহিউদ্দিন ভুইয়া মাসুমকে কোষাধ্যক্ষ করে এই আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ড্যাবের এই পুর্ণাঙ্গ আংশিক কমিটির নাম প্রকাশ করা হয়।

আংশিক কমিটি ঘোষণা সপ্তাহ পেরোনোর আগেই আহ্বায়ক কমিটি পেল ড্যাব।

ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) ১৬১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি ২০১৯ এ যারা স্থান পেয়েছেন তারা হলেন-

আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হোসেন ডোনার, সদস্য সচিব ডা. মো. ওবায়দুল কবির খান, কোষাধ্যক্ষ ডা. মো. এ কে এম মহিউদ্দিন ভুইয়া মাসুম।

কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হয়েছেন ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. শহিদ হাসান, ডা. রফিকুল কবির লাবু, ডা. আব্দুস সালাম, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. হারুন অর রশিদ, ডা. এ এ গোলাম মর্তুজা হারুন, ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. আজিজ রহিম, ডা. শামিমুর রহমান, ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস, ডা. ওয়াসিম হোসেন, ডা. শাহারিয়ার হোসেন চৌধুরী, ডা‌. শাহ মোহাম্মদ শাহাজান আলী, ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডা. রফিকুল হক বাবলু, ডা. এম এ সেলিম, ডা. মো. জসিম উদ্দিন, ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, ডা. খালেকুজ্জামান বাদল, ডা. তমিজউদ্দিন আহমেদ, ডা. আকমল হাবিব চৌধুরী, ডা. মোফাখখারুল ইসলাম, ডা. আজফারুল হাবিব রোজ, ডা. এ কে এম মুসা শাহিন, ডা. কামরুল হাসান সরদার, ডা. শামসুজ্জামান সরকার, ডা. বি গনি ভূইয়া, ডা. শরিফুল ইসলাম বাহার, ডা. মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, ডা. সাইফুল ইসলাম সেলিম, ডা. পরিমল চন্দ্র মল্লিক, ডা. শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, ডা. শেখ আক্তারুজ্জামান, ডা. তৌহিদুর রহমান ববি, ডা. খন্দকার জিয়াউল ইসলাম, ডা. আমিরুজ্জামান খান লাভলু, ডা. সৈয়দ মোঃ আকরাম হোসেন, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. নাসির উদ্দিন পনির, ডা. মো. খায়রুল ইসলাম, ডা. সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিশ সিমকি, ডা. সুমন নাজমুল হোসেন, ডা. কাজী মাজাহারুল ইসলাম দোলন, ডা. সামিউল হাসান বাবু, ডা. মো. জাকির হোসেন, ডা. আব্দুস শাকুর খান, ডা. মারুফ বিন সাইদ ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন, ডা. কামাল উদ্দিন, ডা. জিয়াউল করিম জিয়া, ডা. মাসুম আক্তার চন্দন, ডা. মো. আজহারুল ইসলাম।

ডা. সায়েফ উল্লাহ, ডা. প্রভাত চন্দ্র বিশ্বাস, আবুল কেনান, ডা. এ বি এম ছফিউল্লাহ, ডা. মো. মজিবুল হক দোয়েল, ডা. এম এ কামাল, ডা. সাইফুদ্দিন নিসার আহমেদ, ডা. রেজাউল আলম নিপ্পন, ডা. এ টি এম ফরিদ উদ্দিন, ডা. হাসান জাফর রিফাত, ডা. রেহান উদ্দিন খান, ডা. গোলাম সারোয়ার বিদ্যুৎ, ডা. মো. নজরুল ইসলাম, ডা. মো. শহিদুল হাসান (বাবুল), ডা. ইমদাদুল হক ইকবাল, ডা. শফিউল্লাহ ঝন্টু, ডা. হাসনাত আহসান সুমন, ডা, তৌহিদ সিকদার, ডা. মিজানুর রহমান কাউসার, ডা, এরফানুল হক সিদ্দিকী, ডা. ফাওয়াজ হোসেন শুভ, ডা. জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ রুমি, ডা. ডি এম এম ফারুক ওসমানী খোকন।

ডা. সৈয়দ মাহতাবুল ইসলাম, ডা. শেখ ফরহাদ, ডা. মেহেদী হাসান, ডা. দিদারুল আলম, ডা. তৌহিদুল ইসলাম জন, ডা. মো. ওয়াসীম, ডা. মোফাখখারুল ইসলাম রানা, ডা. জিয়াউল ইসলাম, ডা. শাকিল আহম্মেদ, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামিম, ডা. আবু আহসান ফিরোজ, ডা. ফরহাদ হোসেন চৌধুরী, ডা. ফারুখ হোসেন, ডা. আদনান হাসান মাসুদ, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. আলমগীর কবির উজ্জল, ডা. মোহাম্মদ উল্লাহ মোস্তফা, ডা. রিদওয়ানুল ইসলাম, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ডা. মো. হারুন উর রশিদ খান রাকিব, ডা. মো. সামছুল আলম, ডা. মোস্তফা আজিজ সুমন, ডা. মোহাম্মদ ইসহাক, ডা. এ এস এম আতিকুর রহমান, ডা. সামিউল আলম সুহান, ডা. গাজী মো. শাহিন, ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন, ডা. নজরুল ইসলাম আকাশ, ডা. মুরাদ হোসেন, ডা. শহিদুল ইসলাম, ডা. এ এস এম নওরোজ।

ডা. শাহ মো. আমান উল্লাহ, ডা. আ.খ.ম. আনোয়ার হোসেন মুকুল, ডা. মো. ইদ্রিস আলী, ডা. আ. ন. ম. মনোয়ারুল কাদির বিটু, ডা. জাহিদুল কবির, ডা. জাফর ইকবাল, ডা. মো. আল মামুন, ডা. নাফিজ ইমতিয়াজ শিপলু, ডা. খালেকুজ্জামান দীপু, ডা. একরামুল রেজা টিপু, ডা. রেজওয়ানুর রহমান সোহেল, ডা. জাভেদ আহমেদ, ডা. তাজুল ইসলাম লোহানী, ডা. মো. আবু সায়েম, ডা. মো. সায়েম, ডা. সাইফুল আলম রনজু, ডা. তালুকদার তরিকুল ইসলাম আয়াস, ডা. ফারুক আহম্মদ, ডা. সৈয়দ ইমতিয়াজ উদ্দিন সাজিদ, ডা. মতিউর রহমান আজাদ, ডা. মাহমুদুর রহমান নোমান, ডা. এরশাদ হাসান সোহেল, ডা. মনোয়ার সাদাত, ডা. মো. সাজ্জাদুর রহমান, ডা. কাজী মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, ডা. এস এম এ মাহাবুব মুন্না, ডা. মো. ফখরুজ্জামান, ডা. আনোয়ারুল ইসলাম, ডা. আহমেদ সামি আল হাসান ইমন, ডা. মো. জাবেদ হোসেন, ডা. হাসানুল আলম শামীম, ডা. মো. আসলাম উদ্দিন, ডা. মো. সফিউল আলম ডেভিড, ডা. শরিফ আহমেদ, ডা. এস এম আকরামুজ্জামান, ডা. আবু নাসের, ডা. মো. আল আমিন, ডা. মো. আসিফুর রহমান, ডা. আবুল কালাম মোঃ ইউসুফ শিবলি, ডা. ফকির ওয়ালিদ শাহ্, ডা. সাইফুল ইসলাম শাকিল, ডা. শাহাদাৎ হোসেন জুয়েল, ডা. দেলোয়ারা খানম পান্না, ডা. রোকনুজ্জামান রুবেল, ডা. মো. আব্বাস উদ্দিন, ডা. মনিরুল ইসলাম চয়ন, ডা. মো. মমিনুল হক, ডা. গালিব হাসান, ডা. নাভিদ মোস্তাক, ডা. নজরুল ইসলাম সেলিম।

   

‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
মেধা-দক্ষতায় বিকশিত হয়ে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবে

মেধা-দক্ষতায় বিকশিত হয়ে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবে

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব বলেছেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীরা মেধা ও দক্ষতায় বিকশিত হয়ে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হতে হবে। তোমরা নিজের ও পরিবারের উন্নয়নে কাজ করবে এবং একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে কুষ্টিয়া জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে যারা ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন, সেসব মেধাবী শিক্ষার্থীদের ‘বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি-২০২২’ প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্যগণের কৃতি সন্তান হিসেবে তোমাদেরকে ভবিষ্যতে আরও কৃতিত্ব অর্জন করতে হবে। বাবা-মার স্বপ্ন বাস্তবায়নে, কঠোর পরিশ্রম ও সাধনা করতে হবে।’

তিনি সবার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা ও সর্বাঙ্গীন মঙ্গল করেন।

তিনি আশা করেন, এই সংবর্ধনা শিক্ষার্থীদের মাঝে আরও বেশি করে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের জন্য উজ্জীবিত ও প্রস্তুত হবে বলে মনে করেন তিনি। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফলতার চূড়ান্ত শিখরে অবস্থান করবে বলেও অনুষ্ঠানে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পরে শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধাবৃত্তির ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও সম্মানী তুলে দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৯ জন ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১ জন মোট ১০ জনকে এই মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়।

;

নোয়াখালীতে ১২ সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম        



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নোয়াখালীতে ১২ সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম        

নোয়াখালীতে ১২ সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম        

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর চাটখিল, সোনাইমুড়ী ও সুবর্ণচর উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতায় কয়েকটি নতুন রাস্তা পাকাকরণ কাজে ও পুরোনো সড়ক সংস্কারকাজে সিডিউল বহির্ভূত ভাবে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

এর মধ্যে রয়েছে, চাটখিল উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের এম হোসেন পাটেয়ারী মার্কেট থেকে ধর্মপুর প্রথমিক বিদ্যালয় সড়ক। ধর্মপুর প্রথমিক বিদ্যালয় থেকে চিল্লার দীঘির পাড় সড়ক। এখানে একটি প্যাকেজে পাঁচটি সড়কের ১ হাজার ৯৫৪ মিটার নতুন সড়ক পাকাকরণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে ।

সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৪ মিটার নতুন সড়ক পাকাকরণের কাজের কার্যাদেশ পান মেসার্স রিয়া এন্ড স্বাদ ব্রাদার্স। এটি ঠিকাদার বাহার কোম্পানীর মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ অনুযায়ী জিএনপি-৩ প্রকল্পের কাজটির প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কিন্ত রাস্তা নির্মাণে একেবারে নিম্নমানের ইট, ইটের খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া সড়কে চারটি কালভার্ট নির্মাণেও একেবারে নিম্নমানের ইট ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে ব্যবহার করা হয়। তবে ঠিকাদার বাহার কোম্পানী অভিযোগ নাকচ করেন। 


অপরদিকে, সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের আমকি থেকে থানারহাট পর্যন্ত ২৯৭০ মিটার সড়ক সংস্কার কাজে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। গ্রেটার নোয়াখালী প্রজেক্ট প্রকল্পের এ কাজটি করছে মেসার্স এম এন ট্রেডাস। এর প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। কাজটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় ঠিকাদার মাহমুদুল হক রনি। ঠিকাদার রনি বলেন, দুটি গাড়ির ইটের খোয়া খারাপ ছিল। এরপর তারা ভালো সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হয়।   

জেলার সুবর্ণচর উপজেলায় ৪টি নতুন সড়ক পাকাকরণে ও দুটি সড়ক সংস্কারে সিডিউল বহির্ভূত ভাবে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। 

সংস্কার সড়ক গুলো হলো, সুবর্ণচর উপজেলার থানার হাটের ষ্টীল ব্রিজ থেকে হাজীপুর সড়ক। এ সড়কটির ২ হাজার ৫০০ মিটার সড়ক সংস্কারে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া,ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। জিওবি ম্যানটেনেজ প্রকল্পের এ কাজটি করছে জেলার কোম্পানীগঞ্জের ঠিকাদার মো.মাওলা। তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স জননী এন্টার প্রাইজ। এ প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। ঠিকাদার মাওলা বলেন, একটি গাড়ির খোয়া ভুলে ইট ভাটা থেকে দেওয়া হয়। এ ছাড়া পুরো সড়কে ভালো ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়।  

সুবর্ণচর বর্ডার থেকে থানার হাট স্ট্রিল ব্রিজ পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৫৬ মিটার সড়ক সংস্কারে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি পিচ ঢালাইয়ে নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। নিয়ম অনুসারে সড়ক পরিষ্কার করে প্রাইম কোট দিয়ে পিচ ঢালাইয়ের কাজ হওয়ার কথা। তা না করে শেষ করা হয়েছে কার্পেটিংয়ের কাজ। জিওবি ম্যানটেনেজ প্রকল্পের কাজটি করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শাহীন ট্রেডার্স। সড়কে কাজের তদারকিতে থাকা সুবর্ণচর উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের ল্যাব টেকনিশিয়ান সাইফুল ইসলাম দুলাল জানান, কাজটি করছে ঠিকাদার শিহাব উদ্দিন শাহীন। তবে এ বিষয়ে ফোনে কাজের মান সম্পর্কে জানতে চাইলে ঠিকাদার শিহাব উদ্দিন শাহীন কাজটি তিনি করছেন না বলে জানান। তবে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্র নিশ্চিত করেন কাজটি করছেন ঠিকাদার শিহাব উদ্দিন শাহীন।     


সুবর্ণচর উপজেলায় নিন্মমানের কাজ হওয়া নতুন সড়ক গুলো হলো, উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী আনছল হক সড়ক। এ সড়কের ১হাজার মিটার নতুন রাস্তা নির্মাণে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া,ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। জিএনপি-৩ প্রকল্পের কাজটি ১ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মনির আহমদ ট্রেডার্স। ঠিকাদার মনির চেয়ারম্যান অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, সব ধোক্কা অভিযোগ।

করক্লার্ক ইউনিয়নের নোমানিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার সামনের জাফানি সেন্টার থেকে এমপি প্রজেক্ট পর্যন্ত ১হাজার মিটার সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া,ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। জিএনপি-৩ প্রকল্পের কাজটি প্রায় ৭৫-৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করছে ফিরোজ আহমদের মালিকানাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রোকেয়া কনস্ট্রাকশন। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ঠিকাদার ফিরোজের মুঠোফোনে কল করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলার ১নং চর জব্বর ইউনিয়নের ফিরিঙ্গি চৌরাস্তা থেকে নুরু পাটেয়ারী হাটের আগ পর্যন্ত ১হাজার মিটার সড়ক নির্মাণে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া,ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। জিএনপি-৩ প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়ন করছেন ঠিকাদার হুমায়ন। এ বিষয়ে ঠিকাদারের প্রতিনিধি কিরণ দাবি করেন, উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের কর্মকর্তারা দেখেছেন আমরা মানসম্পন্ন সামগ্রী দিয়ে কাজ করছি। তাদের কোনো অভিযোগ নেই।   

সুবর্ণচরের চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের কাটাবুনিয়া গ্রামের আনছার আলীর বাড়ির দরজা থেকে ছিদ্দিক মেম্বারের বাড়ির দরজা পর্যন্ত ৪২৫ নতুন সড়ক পাকাকরণে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদার মো.মঞ্জুর রহমান। ঠিকাদার মো.মঞ্জুর বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় থেকে কোনো অভিযোগ নেই। আমি ভালো কাজ করছি।    

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাটখিল উপজেলা প্রকৌশলী মো.রাহাত আমিন পাটোয়ারী বলেন, নিন্মমানের কাজ করার কোনো সুযোগ নেয়। সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রকৌশলী মো.এমদাদুল হক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর নিম্নমানের ইটের খোয়া অপসারণ করে নেওয়া হয়।  সুবর্ণচর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, নিম্নমানের কাজ করে থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। 

;

আইপিইউ’র গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আইপিইউ’র গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকার

আইপিইউ’র গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকার

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেলে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে বক্তব্য দেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।

সেশনে আইপিইউ’র প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকসন, আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাপনী সেশনে বক্তব্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ২৩ মার্চ ২০২৪ তারিখে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইপিইউ সমাবেশে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সভায় সভাপতিত্ব করা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।

তিনি বলেন, এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পেরে তিনি আনন্দিত।

স্পিকার বলেন, বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের ৩২টি সদস্য রাষ্ট্র উপস্থিত ছিল এবং তারা পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সমস্ত এজেন্ডা সমাধানে অংশ নেয়।

এসময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, মাহবুব উর রহমান, শাহাদারা মান্নান, নীলুফার আনজুম, এইচ এম বদিউজ্জামান, মো. মুজিবুল হক, আখতারুজ্জামান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

;

চট্টগ্রামে প্রাক্তন স্ত্রীর স্বামীর হাতে বৃদ্ধ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় প্রাক্তন স্ত্রীর স্বামীর হাতে আনোয়ার মিয়া (৫৫) নামের এক বৃদ্ধ খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আনোয়ার মিয়া হাইলধর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ জানিয়েছে, আনোয়ার মিয়া বিদেশে থাকা অবস্থায় সাত বছর আগে তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায় প্রতিবেশী শাহাদাত। এরপর থেকে দীর্ঘদিন তারা এলাকায় ফিরেননি। দেশে এসে আনোয়ার মিয়া আবার বিয়ে করেন এবং রিকশা চালানো শুরু করেন। কিছুদিন আগে নিজ বাড়িতে ফেরেন শাহাদাত হোসেন। নিজের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া শাহাদাতকে এলাকায় দেখে কয়েকবার তার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় আনোয়ারের সঙ্গে। বুধবার রাতে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে আনোয়ারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে শাহাদাত। ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়।

আনোয়ারের বর্তমান স্ত্রী পারভিন আক্তার বলেন, বুধবার রাত ১২টার দিকে পারভেজ নামের এক ছেলে আমাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে। ২ মিনিট পর শাহাদত ও তার স্ত্রী মরিয়ম বেগমসহ আরো তিন চারজন লোক আমার স্বামীকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে পাশের বিলে নিয়ে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। আমাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে তাকে আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।

নিহতের চাচাতো ভাই সিরাজুল ইসলাম বলেন, আনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন, এসময় তার টাকাপয়সা পূর্বের স্ত্রী মরিয়ম বেগমের নামে ব্যাংকে জমা হত। ২০০৯ সালে স্ত্রী মরিয়ম বেগম স্থানীয় মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মো. শাহাদতের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে আনোয়ার মিয়ার সব টাকা পয়সা ও গয়নাঘাটি নিয়ে তাকে তালাক দিয়ে মরিয়ম বেগম শাহাদতের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরে আনোয়ার হোসেন আরেকটি বিয়ে করে। এদিকে শাহাদাত দীর্ঘদিন বাহিরে থাকলেও চলতি রমজানের আগে মরিয়ম বেগমকে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহায়েল আহমেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আনোয়ারের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে। হত্যা করে শাহাদাত পালিয়ে গেছেন। তবে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;